একদিন মহাবিশ্বের কোণায় বসে কয়েকটি পরমাণু ভাবছিল, "চল, একটু আড্ডা দেই!" আর তারপরই কল্পনাতীত এক দুর্ঘটনা ঘটে গেল – স্রেফ আকস্মিকভাবে, তারা একত্রে হয়ে গেল প্রোটিন, ডিএনএ, আরএনএ! এরপর কী হলো? মিরাকল! একটা নিখুঁত কোষ তৈরি হয়ে গেল, যেন কারখানার অর্ডার মতো বিশেষ উপাদানগুলো ঠিক সময়ে ডেলিভারি পেয়ে গিয়েছে।
কিন্তু সমস্যাটা কী জানেন? ক্যালকুলেটর নিয়ে বসলে দেখা যায়, এই ঘটনাটা ঘটার সম্ভাবনা এতই ক্ষীণ যে, এটি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। কারণ, আমরা জানি, যদি কোনো ঘটনার সম্ভাবনা ১০^১৪০-এর বাইরে চলে যায়, তবে তা কেবল কল্পনার বিষয়। তার মানে হলো, আমরা আসলে অস্তিত্বই রাখি না, কারণ আমাদের থাকা সম্ভব নয়! তো, আসুন সবাই এখনই অস্তিত্ব সংকট অনুভব করি!
কিছু বিজ্ঞানী অবশ্য বলেন, "আরে না না, একে একে ছোট ছোট ধাপে এটা সম্ভব হয়েছে।" কিন্তু তারা বোধহয় বুঝতে পারেননি যে, রাইবোজাইম বলে যে আরএনএ-জাতীয় বস্তুটা নিজের কপি করতে পারে, তারও দুইটা অনুলিপি একসঙ্গে আসার সম্ভাবনা ১০^২৭৭! মানে, যদি আপনি ১০^১৪০-এর বাইরে চলে যান, তাহলে তো মহাবিশ্বও যথেষ্ট বড় নয় এটা ঘটার জন্য! অথচ, এসব বিজ্ঞানীরা দিব্যি গবেষণা করে যাচ্ছেন, যেন কোনো এক অলৌকিক ঘটনায় ঘটনাটা ঘটেই গেছে।
এদিকে, ডারউইন সাহেবের আত্মা বোধহয় এখন মহাবিশ্বের কোনো কোণে বসে কাঁদছেন। কারণ, তার বিবর্তন তত্ত্বকে যদি ধাপে ধাপে হিসাব করা হয়, তবে দেখা যাবে যে, প্রত্যেকটা ধাপের সম্ভাবনা এত ক্ষীণ যে একসঙ্গে এগুলো হওয়া একেবারেই অসম্ভব! ডারউইন কি কখনো ক্যালকুলেটর হাতে নিয়ে হিসাব করেছিলেন? সম্ভবত না, কারণ তখন ক্যালকুলেটর ছিল না!
তাহলে কী দাঁড়ালো? জীবন বলে কিছু নেই! আমরা আসলে অস্তিত্বহীন কণা, যা নিজেরা নিজেদের নিয়ে বিভ্রান্ত! কারণ, সম্ভাবনার অঙ্ক বলছে, আমরা আসলেই থাকতে পারি না।
তাই আসুন, সবাই একত্রে ঘোষণা দেই: "আমি নেই, তুমি নেই, এই লেখা নেই, বিজ্ঞান নেই! কারণ, এই সবকিছুর সম্ভাবনা ১০^১৪০-এর চেয়ে কম!"