Are you sure?

তুলনামূলক ধর্মতত্ব »  বিবিধ

পর্ব ১//:যীশুর বাক্য দ্বারা ত্রিত্ববাদ খন্ডন

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম 

১ম পর্ব 

খ্রিস্টান বনাম মুসলিম সংলাপ:

আলোচনা:যীশুর বক্তব্য দ্বারা ত্রিত্ববাদ খন্ডন 

লেখা:"-কৃতজ্ঞতান্তে শায়েখ আল্লামা কিরানবী (রহঃ) এর লিখিত ইযহারুল হক" বই থেকে 

\_________________________________/

যোহন লিখিত সুসমাচারে যীশু খ্রিস্ট সর্বশক্তিমান ঈশ্বর মহান আল্লাহ্ কে সম্বোধন করে বলেছেন:-

 

3. আর এটাই অনন্ত জীবন ; যেন তারা তোমাকে জানতে পারে, একমাত্র সত্যময় ঈশ্বরকে এবং তুমি যাকে পাঠিয়েছ ,যীশু খ্রীষ্টকে"(যোহন ১৭:৩)

 

And this is life eternal, that they might know thee the only true God, and Jesus Christ, whom thou hast sent(John 17:3 KJV Bible)

 

এখানে "অনন্ত জীবন" কী তা যীশু সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করেছেন।তিনি দুটি বিষয়ের কথা জানিয়ে দিয়েছেন।সেগুলো হলো:

(i)সর্বশক্তিমান ঈশ্বর মহান আল্লাহ্ সুবহানু ওয়াতা'আলা কে একমাত্র সত্য ঈশ্বর বা উপাস্য বলে জানা।

(ii)যীশু তথা ঈসা আঃ কে তাঁর প্রেরিত (নবী) বলে জানা।

 

এখানে যীশু খ্রিস্ট বলেননি যে:-"ইহাই অনন্ত জীবন যেন তাহারা জানে যে, তোমার সত্ত্বা তিনটি সম্পূর্ণ সত্ত্বার সমন্বয় এবং যীশু মনুষ্য ও ঈশ্বর ,অথবা যীশু মাংসে প্রকাশিত ঈশ্বর। "(God manifested in the flesh/God in the flesh/God incarnate).

 

যীশু এ কথা বলেছিলেন মহান আল্লাহ্ কে সম্বোধন করে প্রার্থনার মধ্যে। কাজেই ইহুদিদের ভয়ে প্রকৃত সত্য এড়িয়ে গিয়েছিলেন বলে চিন্তা করার শক্তি এখানে নেই। যদি সত্যিই "ত্রিত্ববাদে বিশ্বাসের "-উপর অনন্ত জীবনের ভিত্তি হতো তবে নিশ্চয়ই যীশু এখানে তা উল্লেখ করতেন। 

 

সুতরাং যীশু খ্রিস্টের উপরোল্লিখিত বক্তব্য থেকে সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত হলো যে অনন্ত জীবন হলো মহান আল্লাহর প্রকৃত (true) একত্বে বিশ্বাস করা (but not Trinity) এবং যীশুর প্রেরিতত্বে অর্থাৎ আল্লাহর নবী বলে বিশ্বাস করা।আর প্রকৃত একত্ব নিঃসন্দিগ্ধ ভাবে প্রকৃত ত্রিত্বের বিপরীত ও সাংঘর্ষিক। অনুরুপভাবে যীশুর প্রেরিত হওয়া তাঁর ঈশ্বর হওয়ার সাথে সাংঘর্ষিক। কারণ প্রেরিত ও প্রেরণকারী নিঃসন্দিগ্ধ ভাবে ভিন্ন ব্যক্তি হওয়া আবশ্যক এবং যৌক্তিক।

 

উপরোল্লিখিত তথ্যের মাধ্যমে প্রমাণিত অনন্ত জীবন ঈশ্বরের প্রকৃত একত্ব ও যীশুর নবীত্বের বিশ্বাস শুধুই ইসলাম ধর্মেই রয়েছে। অন্যান্য সকল ধর্ম এই অনন্ত জীবন থেকে বঞ্চিত। পারসিয়ান অগ্নিউপাসক,ভারতীয় ও চীনের অংশীদারী বা পৌত্তেলিকরা অনন্ত জীবন থেকে বঞ্চিত। কারণ তাদের মধ্যে উপরের বিশ্বাসের দুটি অংশের একটিও পাওয়া যায় না। ত্রিত্ববাদী পৌলীয় খ্রিস্টানগণও অনন্ত জীবন থেকে বঞ্চিত। কারণ তাদের মধ্যে উপরের বিশ্বাসের প্রথম অংশটি বিদ্যমান নেই। ইহুদিগণ সকলেই তা থেকে বঞ্চিত। কারণ তাদের মধ্যে উপরের বিশ্বাসের দ্বিতীয় অংশটি বিদ্যমান নেই। 

 

সুতরাং যীশুর উপরোক্ত বক্তব্য অনুযায়ী একমাত্র মুসলিম জাতিই অনন্ত জীবনের অধিকারী।