বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
২য় পর্ব
খ্রিস্টান বনাম মুসলিম সংলাপ:
আলোচনা:-যীশুর বক্তব্য দ্বারা ত্রিত্ববাদ খন্ডন
লেখা:কৃতজ্ঞতান্তে শায়েখ আল্লামা কিরানবী রহঃ এর লিখিত "ইযহারুল হক "(সত্যেরপ্রকাশ) বই থেকে
\___________________________________/
মার্ক লিখিত সুসমাচারে "সর্বপ্রধান আজ্ঞার বিষয়ে শিক্ষা " শিরোনামে বলা হয়েছে:-
28 আর তাদের একজন ব্যবস্থার শিক্ষক কাছে এসে তাদের তর্ক বিতর্ক করতে শুনলেন এবং যীশু তাদের ঠিকঠিক উত্তর দিচ্ছেন শুনে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন,"সব আদেশের ভেতরে কোনটী প্রথম?"
29. যীশু উত্তরে বললেন,প্রথমটি এই, “হে ইস্রায়েল, শোন; আমাদের ঈশ্বর প্রভু একমাত্র প্রভু;”
30. "আর তুমি সেই ঈশ্বরকে তোমার সমস্ত হৃদয়, তোমার সমস্ত প্রাণ ও তোমার সমস্ত মন দিয়ে তোমার ঈশ্বর প্রভুকে ভালবাসবে।”
31. দ্বিতীয়টি এই, “তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবাসবে” এই দুইটি আদেশের থেকে বড় আর কোন আদেশ নেই।
32. ব্যবস্থার শিক্ষক তাঁকে বললেন, হে সৎ গুরু, আপনি সত্যি বলছেন যে, তিনি এক এবং তিনি ছাড়া অন্য কোন ঈশ্বর নেই;
33. আর সমস্ত হৃদয়, সমস্ত বুদ্ধি, তোমার সমস্ত শক্তি ও ভালবাসা দিয়ে ঈশ্বরকে ভালবাসা এবং প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবাসা সব হোম ও বলিদান থেকে ভালো।
34. তখন সে বুদ্ধিমানের মতো উত্তর দিয়েছে শুনে যীশু তাকে বললেন, তুমি ঈশ্বরের রাজ্যের খুব কাছাকাছি আছ (অর্থাৎ জান্নাতে প্রবেশ করবে)। এর পরে তাঁকে কোন কথা জিজ্ঞাসা করতে আর কারোর কোনো সাহস হলো না।"(মার্ক ১২:২৮-৩৪)[প্রায় একই কথা বলা হয়েছে মথি ২২:৩৪-৩৮ পদে]।
মথি লিখিত সুসমাচারের উপযুক্ত দুটি আজ্ঞার কথা উল্লেখ করে যীশু বলেছেন:-
40. এই দুটি আদেশেই সমস্ত ব্যবস্থা এবং ভাববাদীদের বই নির্ভর করে।"(মথি ২২:৪০)
এ থেকে একটা বাস্তব মহা সত্য আরো সুস্পষ্ট ভাবে জানা গেল।আর তা হলো প্রথম যে আজ্ঞা/আদেশটি তাওরাত ও সকল ভাববাদীদের গ্রন্থগুলোতে সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং যা ঈশ্বরের রাজ্যের নৈকট্যের (অর্থাৎ জান্নাতে প্রবেশ করার) মূল কারণ তা হলো একত্ববাদ (but not Trinity) অর্থাৎ এ কথা বিশ্বাস করা যে সদাপ্রভু মহান আল্লাহই বলেন একমাত্র ঈশ্বর বা উপাস্য এবং তিনি ছাড়া দ্বিতীয় কোন উপাস্য নেই।
যদি ত্রিত্ববাদের (অর্থাৎ তিনের সমন্বয়ে এক ঈশ্বরে বিশ্বাসের) উপরে মুক্তি তথা অনন্ত জীবন নির্ভর করতো তবে নিশ্চয়ই তা তাওরাত এবং অন্যান্য ভাববাদীদের গ্রন্থগুলোতে প্রথম আদেশ হিসেবে সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হতো।তাহলে যীশু বলতেন:-"প্রথম আজ্ঞা এই,যিনি তিনটি প্রকৃত ও সম্পূর্ণ পৃথক সত্ত্বার অধিকারী /তিনি তিনের সমন্বয়ে একজন ঈশ্বর।"অথচ এইরূপ কোন কথা কোন তাওরাত সহ কোন ভাববাদীদের কিতাবের মধ্যে উল্লেখ করা হয় নাই।
নোট:(মার্ক ১২:২৮-৩৪)-ভার্সে ইহুদিদের একজন শিক্ষক সকল আদেশের মধ্যে সর্বপ্রথম আদেশ জানতে চাওয়ায় যীশু ঈশ্বরের একত্ববাদ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন, যা শুনে উক্ত শিক্ষক ঈশ্বরের একত্ববাদে সাক্ষ্য দিয়ে যীশুর কথাকে সত্য বলে স্বীকার করেন।আর যীশু উক্ত ইহুদি আলেমের প্রতিরোত্তরে তাঁকে জান্নাতের সুসংবাদ দেন যে,"তিনি স্বর্গরাজ্যের খুব নিকটে তথা জান্নাতী।"অর্থাৎ উক্ত ইহুদি পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছে "একমাত্র ঈশ্বর ব্যতীত দ্বিতীয় কেউই নেই।" যীশুও ইহুদি আলেমের এরুপ ঈশ্বরের একত্ববাদের সাক্ষ্য শুনে তাকে জান্নাতী বলে ঘোষণা দিয়েছেন।আর ইহুদিরা ত্রিত্ববাদে বিশ্বাস করে না।
তাহলে উপরোল্লিখিত বক্তব্যের আলোচনা থেকে এটাই প্রমাণ হয় যে ঈশ্বরের তিনটি সত্ত্বা নয় (not Trinity) বা তিনের সমন্বয়ে একজন ঈশ্বর নন।কেননা ইহুদিদের বিশ্বাস হলো ঈশ্বর মাত্র একজন কিন্তু তিনের সমন্বয়ে এক ঈশ্বর ইহুদিরা বিশ্বাস করে না। এখানে প্রশ্ন হলো যদি ইহুদিরা ত্রিত্ববাদে বিশ্বাস নাই করে তাহলে যীশু কোন যুক্তিতে উক্ত ইহুদি আলেম কে "ঈশ্বরের স্বর্গরাজ্যের খুবই নিকটে " বলে ঘোষণা করল?যেখানে ইহুদিরা একজন সত্ত্বাধারী ঈশ্বরে বিশ্বাস করার মাধ্যমে জান্নাতের সুসংবাদ পেয়ে গেল সেখানে কোন যুক্তিতে ত্রিত্ববাদে বিশ্বাস না করলে জান্নাতে যাওয়া যাবে না-দাবিগুলো সত্য হয় খ্রিস্টানদের?
তাহলে আমরা পেলামঃ
i)ইহুদিরা ত্রিত্ববাদে বিশ্বাস করে না অপরদিকে
ii)খ্রিস্টানরা ত্রিত্ববাদে বিশ্বাস করে।
ত্রিত্ববাদীগণ বিভিন্ন ভাববাদীর অপ্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বাক্য থেকে বিভিন্ন খাটাখাটনি করে,কষ্টকল্পনা করে ত্রিত্ববাদের পক্ষে কিছু "অযৌকক্তিক কাল্পনিক ব্যাখ্যা "-প্রদান করে যা যীশু খ্রিস্ট সহ সকল ভাববাদীদের গ্রন্থের সুস্পষ্ট বক্তব্যের সাথে পরস্পর বিপরীত এবং মারাত্মক সাংঘর্ষিক। এছাড়া ত্রিত্ববাদ বিরোধীদের সামনে প্রমাণ হিসেবে এগুলো একদমই মূল্যহীন। কারণ এসকল কাল্পনিক ব্যাখ্যা অতি দূরবর্তী ও অত্যন্ত অস্পষ্ট। এগুলোর বিপরীতে সুস্পষ্ট বাক্যাবলী রয়েছে যা ত্রিত্ববাদকে প্রত্যাখ্যান করে এবং একত্ববাদ প্রমাণ করে।এখানে এতটুকু প্রমাণ করাই যথেষ্ট যে,মুক্তি ও অনন্ত জীবন লাভের জন্য যদি ত্রিত্ববাদে বিশ্বাসের কোন প্রয়োজন থাকত তবে ইস্রায়েলীয় ভাববাদীগণ অবশ্যই অত্যন্ত সুস্পষ্ট ভাবে তা উল্লেখ করতেন যেভাবে তাঁরা একত্ববাদের কথা উল্লেখ করেছেন।যার ফলে ইহুদিরাও ত্রিত্ববাদে বিশ্বাস করতো।
এছাড়া " তিনের সমন্বয়ে একজন ঈশ্বর"-এই অভিনবত্ব বাইবেলের নতুন নিয়মে কেবলমাত্র পৌল মহাশয়ের সৃষ্টি, কিন্তু যীশুর নয় এবং সেই সাথে পুরাতন নিয়মে এসবের বালাই নেই।সেখানে ঈশ্বর "এক ও অদ্বিতীয় "-রুপেই সুস্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে। যেমন :-
ক)10. সদাপ্রভু বলেন, তোমরাই আমার সাক্ষী ও আমার মনোনীত দাস, যাতে তোমরা জানতে পার ও আমার ওপর বিশ্বাস করতে পার আর বুঝতে পার যে, আমিই তিনি। আমার আগে কোনো ঈশ্বর তৈরী হয়নি আর আমার পরেও অন্য কোনো ঈশ্বর হবে না।
11. আমি, আমিই সদাপ্রভু এবং আমি ছাড়া আর কোনো উদ্ধারকর্তা নেই।"(ইসাইয়া/যীশাইয় ৪৩:১০-১১)[(এছাড়া ইসাইয়া ৪৩:১,৩,৭,১০,১১,১২,১৩,১৫,২১; ৪৪:২৪ সহ ইত্যাদি ভার্স দ্রষ্টব্য)
এখানে স্বয়ং ঈশ্বর নিজেই বলেছেন তাঁর আগে এবং পরেও কোন ঈশ্বর নেই অর্থাৎ তিনি কেবলমাত্র একজন-ই ঈশ্বর।তাহলে যীশু কিভাবে কোন যুক্তিতে তাঁর পরে ঈশ্বর হয়?
খ)39. এখন দেখ, আমি, আমিই তিনি; আমি ছাড়া কোনো ঈশ্বর নেই; আমি হত্যা করি, আমিই, জীবন্ত করি; আমি আঘাত করেছি, আমিই সুস্থ করি; আমার হাত থেকে উদ্ধারকারী কেউই নেই" (দ্বিতীয় বিবরণ ৩২:৩৯)
6....আমিই প্রথম ও আমিই শেষ; আমি ছাড়া আর কোনো ঈশ্বর নেই।
7. আমার মত আর কে আছে...?(যিশাইয় ৪৪:৬,৭)[এছাড়া যিশাইয় ৪৪:২,৬-৭,৮,২১,২৪ দ্রষ্টব্য]
গ)4. কিন্তু আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর, যে তোমাদের মিশর দেশ থেকে বার করে নিয়ে এসেছি। তুমি অন্য কোন দেবতাকে [ভুয়া/মিথ্যা ঈশ্বর কে] মানবে না কিন্তু আমাকে মানবে; তুমি অবশ্যই স্বীকার করবে যে আমি ছাড়া সেখানে আর কোন রক্ষাকর্তা নেই" (হোসেয় ১৩:৪)।
[নোট:হোসেয় ১৩ অধ্যায় টা পড়লে হাসিও আসে বাইবেলের ঈশ্বরের কর্মকাণ্ডের বর্ণনাগুলো পড়লে]
ঘ)35. সদাপ্রভুই ঈশ্বর, তিনি ছাড়া আর কেউ নেই, এটা যেন তুমি জানো........!
39. অতএব আজ জানো, মনে রাখ যে, উপরে অবস্থিত স্বর্গে ও নীচে অবস্থিত পৃথিবীতে সদাপ্রভুই ঈশ্বর, অন্য কেউ নেই।"(দ্বিতীয় বিবরণ ৪:৩৫-৩৯)
ঙ)4. হে ইস্রায়েল, শোনো; আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু এক;
5. আর তুমি তোমার সমস্ত হৃদয়, তোমার সমস্ত প্রাণ ও তোমার সমস্ত শক্তি দিয়ে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভালবাসবে।"(দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৪-৫)
চ)এছাড়া যিশাইয় ভাববাদীর পুস্তকে আরো অনেক আছে।যাতে বলা হয়েছে:-5. "আমিই সদাপ্রভু এবং অন্য আর কেউ নেই; আমি ছাড়া আর ঈশ্বর নেই। আমি যুদ্ধের জন্য তোমাকে অস্ত্র দেবো যদিও তুমি আমাকে জানো না;
6. যাতে লোকে জানতে পারে সূর্য ওঠা থেকে এবং পশ্চিম দিক থেকে যে আমি ছাড়া আর কোন ঈশ্বর নেই। আমিই সদাপ্রভু, আর অন্য কেউ নেই।"(যিশাইয় ৪৫:৫-৬)
তাহলে উপরোল্লিখিত উদ্ধৃতির আলোকে সুস্পষ্ট ভাবে কোন রকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়াই জানা এবং বোঝা গেল যে,পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত অর্থাৎ সারা পৃথিবীর মানুষের মুক্তির জন্য জানতে হবে যে,সদাপ্রভু ঈশ্বর মহান আল্লাহ্ তাআ'লা এক ও অদ্বিতীয় উপাস্য। কিন্তু তাদের এ কথা জানার প্রয়োজন নেই যে,ঈশ্বর সদাপ্রভু মহান আল্লাহ্ তিনটি পৃথক পৃথক সত্ত্বার অধিকারী (তিনের সমন্বয়ে একজন সত্ত্বাধারী ঈশ্বর)।
ছ)এছাড়া যিশাইয় ভাববাদীর পুস্তকে আরো বলা হয়েছে:-
9. আমি ঈশ্বর এবং অন্য আর কেও নেই, আমি ঈশ্বর এবং আমার মত আর কেউ নেই।"(যিশাইয় ৪৬:৯)।
জ)10. আমাদের প্রভু ঈশ্বরের মতো আর কোন ঈশ্বর নেই।"(যাত্রাপুস্তক ৮:১০)
ঝ)20. হে সদাপ্রভু, তোমার মত আর কেউ নেই এবং তুমি ছাড়া কোনো ঈশ্বর নেই"(১ বংশাবলি ১৭:২০)
ঞ)22. অতএব, হে সদাপ্রভু ঈশ্বর, তুমি মহান; কারণ তোমার মত কেউ নেই ও তুমি ছাড়া কোন ঈশ্বর নেই"(২ শ্যামুয়েল ৭:২২)
ট)4. সদাপ্রভুু সমস্ত জাতির বহু ঊর্ধ্বে এবং তাঁর মহিমা আকাশমণ্ডলের ওপরে উন্নত।
5. কোন ব্যক্তিই আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুুর মতো নয়"(সামসংগীত ১১৩:৪-৫)
ঠ)"আমিই প্রভু,তোমাদের ঈশ্বর "(লেবীয় পুস্তক ১৯:২,৩,৪,১০,১২,১৪,১৬,১৮,২৫,২৮,৩০,৩১,৩২,৩৪,৩৬,৩৭)
এছাড়া "তিন খোদা বা এক খোদা তিন"-এই অভিনবত্ব বাইবেলের নতুন নিয়মের সৃষ্টি নয় বরং পৌলের দাবি ,পুরাতন নিয়মে এসবের বালাই নেই।সেখানে খোদা "এক ও অদ্বিতীয় "-রুপেই ব্যাখ্যাত হয়েছে যার প্রমাণ গুলো দেখুন:
• (ইসাইয়া ৪৩:১,৩,৭,১০,১১,১২,১৩,১৫,,২১)
• (ইসাইয়া/যীশাইয় ৪৪:২,৬-৭,৮,২১,২৪)
• (হোসেয়া ১৩:৪)
• (দ্বিতীয় বিবরণ ৩২:৩৯)
• (ইসাইয়া ৪০:১৮,২৫,২৮)
• (যীশাইয় ৪৫:৩,,৫,৬,৭,৮,১১,১৮,১৯,২১,২২)
• (গীতসংহিতা/সামসংগীত ৮৬:৮,১০)
• (গীতসংহিতা/সামসংগীত ৮৩:১৮)
• (যীশাইয় ৬৪:৪)
• (যাত্রাপুস্তক ৮:১০,)
• (দ্বিতীয় বিবরণ ৪:৩৫,৩৯)
• (১ বংশাবলী ১৭:২০)
• (দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৪,৫,১০)
• (দ্বিতীয় বিবরণ ১৩:৪)
• (২ শ্যামুয়েল ৭:২২)
• (লেবীয় পুস্তক ১৯:২,৩,৪,১০,১২,১৪,১৬,১৮,২৫,২৮,৩০,৩১,৩২,৩৪,৩৬,৩৭)
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ১৮১১ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত আরবি অনুবাদে অনুবাদক মার্ক লিখিত সুসমাচারের উপযুক্ত ভার্সটির বিকৃত অনুবাদ করা হয়েছে "The Lord our God is one Lord."-এর অনুবাদে "আমাদের ঈশ্বর প্রভু এক-ই প্রভু"-এর পরিবর্তে তিনি লিখেছেন :-"তোমাদের ঈশ্বর প্রভু একই প্রভু। "
এই বিকৃতির দ্বারা বাক্যটির সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য নষ্ট করা হয়েছে। কারণ উত্তম পুরুষের সর্বনাম "আমাদের ঈশ্বর প্রভু "-প্রমাণ করে যে,যীশু ঈশ্বর নন ; তিনিও অন্যদের মত একমাত্র ঈশ্বরের বান্দা বা দাস।কিন্তু মধ্যম পুরুষের সর্বনাম "তোমার ঈশ্বর প্রভু " থেকে তা প্রমাণিত হয় না। বাহ্যত ইচ্ছাকৃতভাবে-ই এই বিকৃতি সাধন করা হয়েছে।