Are you sure?

তুলনামূলক ধর্মতত্ব »  বিবিধ

যীশুর নিজের মুখে দুই কথা অর্থাৎ পরস্পর সাংঘর্ষিক কেন ? কে সত্য বলছে যীশু না যোহন দি ব্যাপটিস্ট/ ইয়াহিয়া আঃ ?

যীশুর নিজের মুখে দুই কথা অর্থাৎ পরস্পর সাংঘর্ষিক কেন ?

কে সত্য বলছে যীশু না যোহন দি ব্যাপটিস্ট/ ইয়াহিয়া আঃ ?

\___________________________________/

যীশু বলেছেন:

31. আমি যদি নিজের সমন্ধে নিজে সাক্ষ্য দিই, তবে আমার সাক্ষ্য সত্য হবে না"(যোহন ৫:৩১)

 

"If I bear witness of myself, my witness is not true."(John 5:31 King James Bible)

 

উত্তর:যীশুর নিজের সাক্ষ্য সত্য বলে গৃহীত হবে না যা তিনি নিজ মুখেই বলেছেন। 

 

আর পরবর্তীতে ইহুদিরা যীশুর এই কথা মনে রেখেছিল যে," যীশু নিজেই বলেছিলেন তিনি নিজের ব্যপারে সাক্ষ্য দিলে সেটা সত্য বলে গৃহীত হবে না।" আর পরবর্তীতে ইহুদিরা যীশুর নিজের করা উক্তি তাকেই বলে যে তোমার সাক্ষ্য গৃহীত হবে না। কেননা এই কথা তুমি নিজেই বলেছিলে।যার প্রমাণ নিচে দেখুন:

 

13. তাতে ফরীশীরা তাঁকে বলল, তুমি নিজের সম্পর্কে নিজে সাক্ষ্য দিচ্ছ; তোমার সাক্ষ্য সত্য নয়।

14. যীশু উত্তর দিয়ে তাদের বললেন, “যদিও আমি নিজের সম্পর্কে নিজে সাক্ষ্য দিই, তবুও আমার সাক্ষ্য সত্য। কারণ আমি কোথা থেকে এসেছি, কোথায় বা যাচ্ছি তা জানি; কিন্তু তোমরা জানো না আমি কোথা থেকে আসি বা কোথায় যাই।”(যোহন 8:13-14)

 

13. The Pharisees therefore said unto him, Thou bearest record of thyself; thy record is not true.

14. Jesus answered and said unto them, Though I bear record of myself, yet my record is true: for I know whence I came, and whither I go; but ye cannot tell whence I come, and whither I go."(John 8:13-14 King James Bible)

 

উত্তর:যীশু প্রথমেই বলেছিলেন, তার নিজের সাক্ষ্যও সত্য বলে গৃহীত হবে না (যোহন ৫:৩১)।অথচ পরে আবার বললেন,তার নিজের সাক্ষ্য সত্য বলে গৃহীত হবে (যোহন ৮:১৪)।অর্থাৎ যীশু নিজেই নিজের কথার পরস্পর বিরোধী কথা বলছেন।আর যারা পরস্পর বিরোধী কথা বলেন মূলত এরাই মিথ্যার আশ্রয় নিতে চায়।এখন কথা হলো কোন মহান লোক কী মিথ্যা বলতে পারেন অর্থাৎ পরস্পর বিপরীত কথা বলতে পারেন নাকি?খ্রিস্টান ভাই ও বোনেরা কী বলেন?তাহলে আমরা পাই,

 

যীশুর নিজস্ব বানী:

১)তার সাক্ষ্য গৃহীত হবে না।

২)তার সাক্ষ্য গৃহীত হবে।

 

যীশু কী দুই ধরনের কথা বলতেন?উত্তর দেন খ্রিস্টান ভাই ও বোনেরা?

আবার দেখুন,

 

যীশু বললেন:-

11. আমি তোমাদের সত্য বলছি, স্ত্রীলোকের গর্ভে যারা জন্মগ্রহণ করেছে তাদের মধ্যে যোহন বাপ্তিষ্মদাতা থেকে মহান কেউই সৃষ্টি হয়নি, তা সত্বেও স্বর্গরাজ্যে অতি সামান্য যে ব্যক্তি, সে তাঁর থেকে মহান।"(মথি ১১:১১)

 

11. Verily I say unto you, Among them that are born of women there hath not risen a greater than John the Baptist: notwithstanding he that is least in the kingdom of heaven is greater than he.(Matthew 11:11 King James Bible)

 

উপরোল্লিখিত ভার্স থেকে বোঝা যায় যে,ইহুদিদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হলেন জন দ্য ব্যাপটিস্ট অর্থাৎ হযরত ইয়াহিয়া আঃ,যাঁরা কিনা মায়ের গর্ভে জন্ম নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ হলেন তিনি।

 

14. যীশু বললেন,"তোমরা যদি একথা বিশ্বাস করতে রাজী থাক তবে শোন," এই যোহনই [যোহন দি ব্যাপটিস্ট  বা হযরত ইয়াহিয়া আঃ]-সেই ভাববাদী এলীয়,য়াঁর আসবার কথা ছিল৷"(মথি ১১:১৪)

 

14. And if ye will receive it, this is Elias, which was for to come."(Matthew 11:14 King James Bible)

 

এখানে যীশু ,যোহন অর্থাৎ ইয়াহিয়া আঃ এর ব্যপারে সাক্ষ্য দিয়ে বললেন যে ,"যোহন-ই হলেন এলিয়,যাঁর আসবার কথা ছিল।"এখন নিচের উদ্ধৃতিতে খেয়াল করুন:

 

19. এখন যোহনের সাক্ষ্য হল, যখন ইহূদি নেতারা কয়েক জন যাজক ও লেবীয়কে যিরূশালেম থেকে যোহনের কাছে এই কথা জিজ্ঞাসা করতে পাঠাল, আপনি কে?

20. তিনি অস্বীকার না করে স্পষ্ট কথায় উত্তর দিলেন, “আমি সেই খ্রীষ্ট নই।” অর্থাৎ যোহন দ্য ব্যপ্টাইজ খ্রিস্ট নন (i)

21. আর তারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, “তবে আপনি কে? আপনি কি এলিয় [হযরত ইলিয়াস আঃ] ?” তিনি বললেন," না”(ii)। তারা বলল, “আপনি কি সেই ভাববাদী?” তিনি উত্তরে বললেন, “না”  (iii)

(যোহন ১:১৯-২১)

 

পাঠক বন্ধুগণ এখন ভালো করে খেয়াল করুন:যীশু খ্রিস্ট যোহন দি ব্যাপটিস্ট অর্থাৎ হযরত ইয়াহিয়া আঃ এর সম্পর্কে সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন ,ইহুদিদের মধ্যে যারা মায়ের গর্ভে জন্ম নিয়েছে,তাদের মধ্যে যোহন এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ আর কেউ নেই (মথি ১১:১১)।আবার যীশু এও বললেন যে,"এই যোহন-ই হচ্ছে সেই ভাববাদী এলিয়,যাঁর আসবার কথা ছিল (মথি ১১:১৪)।এখন কথা হলো যীশু যার বিষয়ে সাক্ষ্য দিলেন এবং যাঁকে মহান বললেন সেই যোহন-ই যীশুর কথাকে প্রত্যাখ্যান করে বলল যে ,"তিনি এলিয় নন বা সেই ভাববাদী নন,যার আসবার কথা ছিল অথচ যীশু-ই বলেছেন যোহন হলেন এলিয়। অথচ যীশুও ঈশ্বরের একজন মহান দূত এবং যোহন অর্থাৎ ইয়াহিয়া আঃ ও ঈশ্বরের একজন মহান দূত।কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছে ঈশ্বর প্রেরিত দুই মহান দূত অর্থাৎ যীশুর কথা যোহন প্রত্যাখ্যান করছে।আমরা পাই,

 

i)যীশু বলেছেন:-"যোহন-ই সেই ভাববাদী এলিয়"(মথি ১১:১৪)

ii)যোহন বলেছেন:-"তিনি সেই ভাববাদী এলিয় না"(১:২১)

 

একটি উদাহরণ দেই:

মনে করুন,আপনি সাদেক এবং একজন ডাক্তার। আর আমি বনি এবং একজন ইঞ্জিনিয়ার।এখন একজন এসে আপনার কাছে জানতে চাইল এবং জিজ্ঞেস/প্রশ্ন করল:এখানে ইঞ্জিনিয়ার কে?তখন আপনি আমাকে দেখিয়ে বললেন,উনি ইঞ্জিনিয়ার। লোকটি আমাকে এসে জিজ্ঞেস করল:আপনি কী ইঞ্জিনিয়ার?আমি উত্তরে বললাম,না।" (আর ঠিক এরুপ ঘটনা ঘটেছে যীশু এবং যোহন দি ব্যাপটিস্ট অর্থাৎ হযরত ইয়াহিয়া আঃ এর মাঝে)।

 

একটা প্রশ্ন:কেউ কী নিজের সম্পর্কে মিথ্যা বলবে কী?আমি বনি হয়েও কী বলব,"আমি বনি নই?"

 

এখানে তাহলে কে সত্য?হয়ত,সাদেক সত্য অথবা বনি সত্য। এই দুইজনের মধ্যে যে কোন একজন সত্য অর্থাৎ যে কোন একজন মিথ্যাবাদী।কিন্তু কেউ মিথ্যাবাদী হলে সে আর মহান এবং শ্রেষ্ঠ থাকে না।আর খ্রিস্টানরা এরুপ সমস্যায় পতিত হলে আমরা মুসলিমরা এরুপ সমস্যায় পড়ি না। কারণ আমরা কাউকেই পার্থক্য করি না। সব নবী-রাসূলরাই ছিলেন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর মহান আল্লাহ প্রেরিত এবং মহান চরিত্রের অধিকারী। তারা সকলেই ছিলেন নিষ্পাপ। কিন্তু বাইবেল নবীদের চরিত্রে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কলঙ্ক লেপন করেছে এবং কী যীশুকেও ছাড় দেয়নি।

 

তাহলে খ্রিস্টান ভাই ও বোনেদের কাছে প্রশ্ন থেকে গেল।কে সত্য কথা বলছে?

i)যীশু খ্রিস্ট নাকি 

ii)যোহন দি ব্যাপটিস্ট ?

 

যথার্থ রেফারেন্স সহ উদ্ধৃতি দিয়ে যুক্তি সহকারে উত্তর চাই খ্রিস্টান ভাই ও বোনদের কাছে?