Are you sure?

তুলনামূলক ধর্মতত্ব »  বিবিধ

বাইবেল যীশুর শিষ্য মথির লেখা নয় বরং এটি যীশুর শিষ্যের নামে কোন এক অজ্ঞাত নামা ব্যক্তির লেখা

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম 

আলোচনা:-'বাইবেল যীশুর শিষ্য মথির লেখা নয় বরং এটি যীশুর শিষ্যের নামে কোন এক অজ্ঞাত নামা ব্যক্তির লেখা।এর প্রমাণ দেখুন:

\______________________________________/

এ বিষয়ে এনসাইক্লোপিডিয়া বৃট্যানিকার Biblical literature প্রবন্ধের বক্তব্য হলো:

 

"নতুন নিয়মের বিষয়টি হলো চার্চ (ধর্মীয় মন্ডলী বা জামাত) যদি বাইবেল তৈরি না করত,তাহলে কোন বাইবেলই থাকত না। অপরদিকে লেখনীর বিষয়বস্তুর ভিত্তিতে চার্চই বাইবেলের বইগুলো বাছাই করেছে।....প্রকৃত বিষয় হলো ১৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে যে কোন খ্রিস্টান নাম প্রকাশ না করে অথবা কোন প্রসিদ্ধ বাইবেলীয় ব্যক্তিত্ব যীশুর শিষ্যদের নামে বই লিখতে পারতেন।এরুপ কর্মকে ছলচাতুরি বা প্রতারণা বলে গণ্য করা হতো না। "

 

বিষয়টা অতি বিস্ময়কর। ১০০/১৫০ বছর পরে যে কোন খ্রিস্টান সম্পূর্ণ মিথ্যা ভাবে একটা পুস্তক লিখে প্রচার করেছেন যে এটা মথি লিখিত ইঞ্জিল,এটা লুক লিখিত ইঞ্জিল বা এটা পিতর লিখিত ইঞ্জিল ...!এভাবে যীশুর শিষ্যদের বা সাধুদের নামে যে যা পারছে তাই লিখে প্রচার করেছে।এরুপ কর্মকে উক্ত ধার্মিক লেখক বা সমাজের অন্য কোন ধার্মিক খ্রিস্টান কেউই অন্যায় বা পাপ বলে গণ্য করছে না। এগুলো সমাজে ইঞ্জিল নামে প্রসিদ্ধ হওয়ার আরো ১০০/১৫০ বছর পর এরুপ ধার্মিক খ্রিস্টানরা "অজ্ঞত ধার্মিক মানুষদের লেখা "-অর্ধশতাধিক ইঞ্জিল থেকে শুধুমাত্র বিষয়বস্তুর পছন্দীয়তার দিকে তাকিয়ে শুধুমাত্র চারটা ইঞ্জিল বেছে নিয়ে নতুন নিয়মের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করলেন।আর এটা যে যীশুর শিষ্যরা লিখে নাই তার একটা প্রমাণ:

 

9. সেই জায়গা থেকে যেতে যেতে যীশু দেখলেন, মথি নামে এক ব্যক্তি কর আদায়ের জায়গায় বসে আছে; তিনি তাঁকে বললেন, “আমার সঙ্গে এস।” তাতে তিনি উঠে তাঁর সঙ্গে চলে গেলেন।

 

●এখানে কথা হলো এটা যীশুর শিষ্য মথির লেখা নয়।কেননা এটা যদি যীশুর শিষ্য মথির নিজস্ব লেখা হতো তাহলে তিনি কখনোই এরুপ লিখতেন না যে :-"সেই জায়গা থেকে যেতে যেতে যীশু দেখলেন, মথি নামে এক ব্যক্তি কর আদায়ের জায়গায় বসে আছে; তিনি তাঁকে বললেন, “আমার সঙ্গে এস।” তাতে তিনি উঠে তাঁর সঙ্গে চলে গেলেন।"(এইরুপ লেখা হয় অন্য ব্যক্তির ক্ষেত্রে কিন্ত নিজের ক্ষেত্রে নয়।)।এইটা যদি মথির নিজস্ব লেখা হতো তাহলে তিনি এইভাবে লিখতেন:-"সেই জায়গা থেকে যীশু আমাকে দেখলেন যে,আমি কর আদায়ের জায়গায় বসে আছি।তখন তিনি আমাকে বললেন,"আমার সঙ্গে এসো।"এতে আমি তাঁর সাথে গেলাম।"কিন্তু এটা যে যীশুর শিষ্য মথির লেখা নয় যা বোঝাই যাচ্ছে। 

 

10. পরে তিনি যখন মথির ঘরের মধ্যে খাবার খেতে বসলেন, আর অনেক কর আদায়কারী ও পাপী মানুষ এসে যীশুর এবং তাঁর শিষ্যদের খাবার খেতে বসল।"

 

●এখানেও খেয়াল করেন।উপরের বাক্যটি নিশ্চয়ই অন্য জন লিখেছেন মথির নামে।কেননা সেখানে বলা হয়েছে:-"পরে তিনি যখন মথির ঘরের মধ্যে খাবার খেতে বসলেন"-কথাটা আছে।এখন এটা যদি মথির নিজস্ব লেখা হতো তাহলে মথি কখনোই নিজের ক্ষেত্রে এইভাবে লিখতেন না। বরং তিনি এইভাবে লিখতেন:-"পরে তিনি যখন আমার ঘরে খাবার খেতে বসলেন"তখন অনেক কর আদায়কারী ও পাপী মানুষ এসে আমাদের সাথে খাবার খেতে বসল।"কিন্তু বাক্যটি এই ভাবেও লেখা নেই কারণ এটা মথির লেখা নয় বরং কোন এক অজ্ঞাত নামা ব্যক্তি মথির নামে এসব লিখেছে।

 

11. তা দেখে ফরীশীরা তাঁর শিষ্যদের বলল, তোমাদের গুরু কেন কর আদায়কারী ও পাপীদের সাথে খাবার খান?

 

●এখানেও দেখেন কী বলা হয়েছে?নিশ্চিত এটা মথির লেখা নয় বলেই অন্য ভাবে লেখা হয়েছে। যদি মথির নিজস্ব লেখা হতো তাহলে মথি কখনোই এইভাবে লিখতেন না।মথি যদি নিজে লিখত তাহলে "দেখে ফরীশীরা তাঁর শিষ্যদের বলল"-বাক্য টি তিনি এইভাবে লিখতেন না। বরং তিনি লিখতেন:-"তা দেখে ফরিশীরা আমাদের বলল"। কিন্তু কখনোই এইভাবে লেখা হয় নাই।

 

12 যীশু তা শুনে তাদেরকে বললেন, সুস্থ লোকদের ডাক্তার দেখাবার দরকার নেই, কিন্তু অসুস্থদের প্রয়োজন আছে।

13 কিন্তু তোমরা গিয়ে শেখো, এই কথার মানে কি, “আমি দয়াই চাই, বলিদান নয়”; কারণ আমি ধার্ম্মিকদের নয়, কিন্তু পাপীদেরকে ডাকতে এসেছি।"(মথি ৯:৯-১৩)

 

 

সুতরাং প্রচলিত মথি লিখিত সুসমাচার যীশুর শিষ্য মথির লেখা নয় যা প্রমাণিত।