Are you sure?

তুলনামূলক ধর্মতত্ব »  নাস্তিক্যধর্ম

নারী মুক্তি

ভুমিকাঃ
সম্মানিত পাঠক আজকে আমরা আলোচনা করবো নারী মুক্তির স্বরূপ নিয়ে। সমাজের কিছু মানুষ নারীকে লাঞ্চিত ও অপমানিত করার এক অভিনব প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। নারী সম্মান কি? নাস্তিকেরা নারীকে কিভাবে ভোগ করতে চেয়েছে? নারী জাতিকে পিছিয়ে দিতে নাস্তিকেরাই অগ্রগামী কেন? নারীকে ভোগ করতে না পেরে বিবাহ প্রথার বিরোধিতা কেন? পরিবার ও সমাজ কেন ধ্বংস হচ্ছে?

 

নারীর সম্মান কিভাবে হয়ঃ
আল্লাহ তায়ালা নারী ও পুরুষকে দিয়েছেন চাহিদা ও কিছু আকাঙ্খা। মানুষ ক্ষুধা অনুভব করে। ক্ষুধার দরুন কেউ ধুতুরা ফল খায় না। ক্ষুধা নিবারণ করতে সে খায় ফলমুল, ভাত বা গোস্ত ইত্যাদি। সভ্য মানুষেরা তৃষ্ণা নিবারণ করতে মূত্র পান করে না। কেউই বিষপান করে না। কারণ বিষ ক্ষতিকর। মূলত খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম-নীতি আছে। মানুষের মস্তিষ্ক অনেক নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর জিনিসের দিকে ধাবিত করে। যেরকম একজন মানুষ যানে ধুমপান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তারপরেও নিজের চাহিদার দিকে খেয়াল করে তারা ধুমপান করেন। ক্ষতির দিকে তারা তাকায় না। এটাকেই বলে নফস। ঠিক তেমনি মানুষের যৌন চাহিদারও কিছু নিয়ম আছে। ইসলামের সেই নিয়মটি হলো বিয়ে। বিয়ে সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেনঃ

 

وَأَنْكِحُوا الْأَيَامَى مِنْكُمْ وَالصَّالِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَائِكُمْ إِنْ يَكُونُوا فُقَرَاءَ يُغْنِهِمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
তরজমাঃ ‘তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত (পুরুষ হোক বা নারী) তাদের বিবাহ সম্পাদন করো

 - সূরা নুর, আয়াত নম্বর- ৩২

 

হাদিস থেকে দলিলঃ

 

عن أبي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم إذا خطب إليكم من ترضون دينه وخلقه فزوجوه إلا تفعلوا تكن فتنة في الأرض وفساد عريض

 

অর্থাৎ হজরত আবু হুরায়রা (রাযি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কাছে যদি কেউ প্রস্তাব দেয়, আর তাদের ধার্মিকতা ও চরিত্র তোমাদের পছন্দসহ হয়, তাহলে অতি দ্রুত বিবাহ সম্পাদন করে নাও, যদি এমন না করো (আরো অধিক পাবার আশা কর) তাহলে জেনে রাখো, এই পৃথিবীতে বিশাল ফেতনা সৃষ্টির কারণ হবে।’

 - তিরমিযি : হাদিস নম্বর ১০৮৪

 

একজন নাস্তিক সবসময় নিজের নফসের চাহিদার দিকে খেয়াল রাখে। ক্ষতি কি? কেন হয়?এগুলো তারা খেয়াল রাখে না। তারা বিবাহরীতি মানতে চায় না।
নাস্তিকদের মনের ভেতরে থাকে নারীর প্রতি একরাশ ভোগ করার কামনা। যখন তারা এই কামনা পূরণ করতে পারে না। ঠিক তখনই তারা বিবাহ প্রথার বিরোধিতা করে। হুমায়ুন আজাদ সুস্পষ্ট বলেছে, আমার ভালো লাগে নারী। অজস্রবার সে পরিতৃপ্তি অর্জন করেছিলেন নারী থেকে। কিন্তু সে বহুবার পরিতৃপ্তি অর্জন করতে পারে নাই। রেফারেন্স হিসেবে খুলে দিলাম হুমায়ুন আজাদ সাহেবের লিখিত বইঃ

বেচারা এতটা যৌনলোভী ছিল যে, ছোট শিশু উলঙ্গ অবস্থায় দেখেও তার কামনা জেগে উঠেছিল। আমি অবাক হয়েছি তার বই পড়ে। সে কি সত্যি ছোট শিশুর উলঙ্গ দেহ দেখে সে সুখ পেয়েছিলেন? হুম তাই এবার তার বই দেখুনঃ–

শুধু মাত্র তাই না হুমায়ুন আজাদ চুপি চুপি অন্য নারী বক্ষ দেখেছেন। সে এই কথা তার বইয়েই লিপিবদ্ধ করেছেনঃ

সম্মানিত পাঠক, আপনারা কি বুঝতে পারলেন নাস্তিকেরা কেন বিবাহ প্রথার বিরোধিতা করে? নাস্তিকদের মুখোশের আড়ালে নারীকে ভোগ করার এক হিংস্র চেহারা। সেই কামনাকে পুঁজি করে তারা নারীর প্রতি ঝাপিয়ে পড়তে চায়। তাদের এমন কামনা পূর্ণ করতে পারে না শুধু ধর্মের কারণে। ধর্মের নিয়ম হলো বিবাহ। যার মাধ্যমে গড়ে ওঠে একটি সমাজ ও পরিবার। সমাজ ও পরিবার মিলে মানুষ বসবাস করে শান্তিপ্রিয় ভাবে। নাস্তিকেরা সমাজ পরিবার ধ্বংস করে, বিবাহপ্রথার বিরোধিতা করে শুধুমাত্র নিজের বিকৃত জৈবিক চাহিদা পূর্ণ করার জন্য। নাস্তিকেরা দাঁড় করতে থাকে যুক্তি নামক এক ভয়ংকর নিয়ম।তারা নিজেরা নিজেদের মত ব্যাখ্যা করে অযৌক্তিক বিষয়কে যুক্তির ধোঁয়া তুলে প্রচার করে। তখন তারা বলে কিছুই পবিত্র বা অপবিত্র নয়। তাদের কিতাব স্পষ্টঃ

বিবাহ প্রথাকে নাস্তিকেরা বলতে থাকে অশ্লিল রেফারেন্সঃ

শুধু তাই নয় বিবাহকে দাস প্রথা হিসেবে আখ্যায়িত করে রেফারেন্সঃ

বিদেশি নাস্তিকেরা তো আরো ভয়ানক। বার্ট্রান্ড রাসেল বিবাহের দ্বারা মানুষ নাকি অসুখি হয় এই কথাও বলেছে। রেফারেন্সঃ

নারী নাস্তিকেরা তাদের যৌনচাহিদা লাগামহীন ভাবে অনুভব করতে কম ছিলেন না। তাসলিমা নাসরিন বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় সরাসরি বলেছে:

https://www.bd-pratidin.com/editorial/2019/11/21/476542?fbclid=IwAR1XLpCJHAnQewDkyoYZGHfMLOX8jHJ9fhOQq-tMhiWkehDI7yyasMCJrh8

বিবাহ ছাড়া পশুরাও টিকে থাকে। সুতরাং আমরাও বিবাহ ছাড়া টিকে থাকবো।
সম্মানিত পাঠক, কি ভয়ংকর কথা! সে আমাদেরকে পশুর মত থাকতে বলছে। পশুর যেমন যৌন চাহিদার নিয়ম থাকে না। তেমনই নাস্তিকদেরও নেই। এটা তাসলিমা নাসরিন স্বীকার করেছে। পশুরা তার আপন মায়ের সাথে জেনা করে। কি ভয়ংকর বিকৃত চিন্তাধারা আমাদেরকে দিতে চায় তাসলিমা নাসরিন! শুধু তাই নয় বিখ্যাত নাস্তিক লরেন্স ক্রাউসও উক্ত বচনের সমর্থনে বলেছে, মানুষ পশুপাখি মা বাবা ভাই বোন সবার সাথে যৌন সম্পর্ক করতে পারবে। ভিডিও লিংকঃ- https://youtu.be/pn2T-Z9hPFw

কি ধরনের লাগামহীন ও বিকৃত চিন্তাধারা নাস্তিকেরা লালন করে আপনারাই বলুন।
হুমায়ুন আজাদ এও বলেন, নৈতিকতার সীমা হওয়া উচিত সংকীর্ণ। আমার কোন কাজে অন্যের ক্ষতি না হলে সেই কাজ করা শুদ্ধ বলে বিবেচিত।

 

আবার অন্যদিকে নাস্তিকেরা দাবি করে মরার পরে মানুষের ক্ষতি হয় না। তাহলে নাস্তিক্য ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী একজন মানুষ লাশের সাথেও জেনা করতে পারবে। কি ভয়ংকর কথা!
হুমায়ুন আজাদ নিজেও পতিতালায় যেতেন। রেফারেন্সঃ

 

সম্মানিত পাঠক, একজন নাস্তিক নিজের মা-বাবা, পশুপাখি ও লাশের সাথে জেনা করা এবং পতিতালয়ে যাওয়ার বিকৃত চিন্তাধারা ধারণ করে। তারা শুধু আমাদের সমাজকে নয় বরং পূর্ণ মানবসভ্যতাকে ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তাসলিমা নাসরিন নিজে বলেছেন আমরা পশুদের মতো জীবন-যাপন করতে চাই। লিংকঃ

https://www.bd-pratidin.com/editorial/2019/11/21/476542?fbclid=IwAR1XLpCJHAnQewDkyoYZGHfMLOX8jHJ9fhOQq-tMhiWkehDI7yyasMCJrh8


পশুরা যেমন ময়লা-আবর্জনা খেয়ে টিকে আছে। তাসলিমা নাসরিন কি ময়লা আবর্জনা খেয়ে টিকে থাকতে চায়? পশুরা উলঙ্গ অবস্থায় থাকে। তাসলিমা নাসরিন কি উলঙ্গ হয়ে টিকে থাকতে চায়? হ্যাঁ, তাসলিমা বা নাস্তিক ধর্ম ব্যাবসায়ীদের মত বিকৃত চিন্তাধারা যারা শক্ত হস্তে আঁকড়ে ধরে

তারা এই নিয়ম গুলো মানতে পারে। কিন্তু একজন সভ্য ও সুচিন্তাশীল মানুষ কখনো তা মানতে পারে না। নারীকে তারা যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে পেতে চায়। তাই নারী মুক্তির নামে নারীকে উলঙ্গ করে তারা সুখ পেতে চায়। তখন নারী হয়ে যায় একটি ভোগ্যপণ্য। সোভিয়েত ইউনিয়ন তার প্রমাণ। সোভিয়েত ইউনিয়ের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট ‘মিখাইল গর্ভাচেভ’ তার ”Perestroika : New Thinking for Our Country and the World” বইয়ের Status of Women অধ্যায়ে লিখেছেন, নারীকে ঘর থেকে বের করে আমরা যেই পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলাম। যা আমাদের পূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
তারাও নারীর অধিকার ও নারী মুক্তির ভুয়া শ্লোগান তুলেছিল। আমরা যারা নারীর প্রকৃত সম্মান ও অধিকার নিয়ে চিন্তা করি। তখন আমাদের বুক কেঁপে ওঠে তাদের ভয়ংকর নীতি অবলোকন করে। কোন নারী যেন এরকম ভয়ংকর ফাঁদে পা না দেয়। নারী থাকুক সম্মানিত, নারী থাকুক শ্রদ্ধেয়, নারী অধিকার মুক্তি পাক, নারী শক্তি জেগে উঠুক। নাস্তিকতার কুসংস্কার ও ভয়ংকর নীতিমালা থেকে নারীরা মুক্তিপাক।