Are you sure?

বিজ্ঞান »  ইসলাম ও বিজ্ঞান

পর্ব ৮//: পরমাণুর কণিকা সমূহের অস্তিত্ব সম্পর্কে কোরআন

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম 

পদার্থ বিজ্ঞানের সম্পর্কে কোরআন 

কোরআনে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি পর্ব:০৮

আলোচনা:-"পরমাণুর কণিকা সমূহের অস্তিত্ব সম্পর্কে কোরআন

\_______________________________/

মহিমান্বিত ঐশীগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআন হলো পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ,অর্থ সুবিন্যস্ত যা শব্দছন্দ ও অর্থের দিক থেকে সুবিন্যস্ত ও মজবুত উৎকৃষ্ট মানের আসমানী গ্রন্থ।আর এই পবিত্র আল কোরআন মাজীদে রয়েছে প্রায় এক হাজারেরও অধিক বৈজ্ঞানিক তথ্যসুনিপুনে ভরপুর,যা সম্প্রতি আধুনিক বিজ্ঞান আবিষ্কার করে আমাদের কে এই সত্য বিষয়গুলো জানিয়ে দিয়েছে অথচ কোরআন সেটা ১৪০০+ বছর পূর্বে জানিয়ে দিয়েছে।আর এই জন্য কোরআন মাজীদ কে মহান আল্লাহ্ বিজ্ঞানময় গ্রন্থ বলে ঘোষণা করেছেন যেন সত্য সন্ধানী ব্যক্তিরা সত্যের দিকে আসতে পারে।মহান আল্লাহ্ এরশাদ করেছেন সূরা ইয়াসীন (يس), আয়াত: ২

 

وَٱلْقُرْءَانِ ٱلْحَكِيمِ

উচ্চারণঃ ওয়াল কুরআ-নিল হাকীম।

অর্থঃ প্রজ্ঞাময়/বিজ্ঞানময় কোরআনের কসম।

 

আর পৃথিবীর একমাত্র আসমানী গ্রন্থ হলো মহিমান্বিত ঐশীগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআন মাজীদ যার বৈজ্ঞানিক আয়াত সমূহের তথ্যগুলো প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানের সত্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।আর অন্যান্য তথাকথিত আসমানী কিতাবগুলো এই আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে 

 

প্রাচীনকাল "পরমাণুবাদ তত্ত্ব "-নামে একটি সুপরিচিত তত্ত্ব ব্যাপকভাবে স্বীকৃত ছিল।সর্বপ্রথম এ তত্ত্ব উপস্থাপন করেন গ্রিক বিজ্ঞানীগণ বিশেষ করে ডেমোক্রিটাস (Democritus) নামে এক পন্ডিত যিনি ২৩ শত বছর পূর্বে (২৩০০) বাস করতেন।ডেমোক্রিটাস (Democritus) ও তাঁর পরবর্তী লোকেরা ধারণা করত যে,"পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশই পরমাণু।"প্রাচীন আরবগণও এই ধারণা পোষণ করতেন। আরবি শব্দ "জাররাহ"- সাধারণত পরমাণু কেই বোঝায়। সাম্প্রতিক সময়ে আধুনিক বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে যে,পরমাণু কে বিভক্ত করা সম্ভব।"পরমাণু কে যে আরো ভাঙ্গা যায় এ তথ্য টি বিংশ শতাব্দীর আবিষ্কার। ১৪০০+ বছর পূর্বে এ ধারণাটি অস্বাভাবিক বলে মনে হতো এমনকি একজন আরবের নিকটও।তার নিকট "জাররাহ "-এর অর্থ ছিল "ঐ সীমা যার বাইরে কেউই যেতে পারে না।"নিম্নে কোরআনের এই আয়াতটি এই সীমা স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে।মহিমান্বিত ঐশীগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআন মাজীদে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর মহান আল্লাহ্ সুবহানু ওয়াতা আলা এরশাদ বলেছেন সূরা সাবা (سبا), আয়াত: ৩

 

وَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَا تَأْتِينَا ٱلسَّاعَةُ قُلْ بَلَىٰ وَرَبِّى لَتَأْتِيَنَّكُمْ عَٰلِمِ ٱلْغَيْبِ لَا يَعْزُبُ عَنْهُ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَلَا فِى ٱلْأَرْضِ وَلَآ أَصْغَرُ مِن ذَٰلِكَ وَلَآ أَكْبَرُ إِلَّا فِى كِتَٰبٍ مُّبِينٍ

 

অর্থঃ কাফেররা বলে আমাদের উপর কেয়ামত আসবে না। বলুন:কেন আসবে না? আমার পালনকর্তার শপথ-অবশ্যই আসবে। তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত। নভোমন্ডলে ও ভূ-মন্ডলে তাঁর অগোচরে নয় অণু পরিমাণ কিছু, না তদপেক্ষা ক্ষুদ্র এবং না বৃহৎ-সমস্তই আছে সুস্পষ্ট কিতাবে [লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত ও লিপিবদ্ধ আছে]।"

 

অনুরূপ পয়গাম কোরআনের ১০:৬১ স্থানে আছে।

 

[(নোট:এখানে "কিতাব"-বলতে "লাওহে মাহফুজ " কে বোঝানো হয়েছে যাতে সমস্ত কিছুই সংরক্ষিত ও লিপিবদ্ধ আছে।(মুয়াসসার)]

 

এই আয়াতটি আল্লাহর সর্বজ্ঞতা,প্রকাশ্য বা গোপন সকল বস্তু সম্পর্কে তাঁর জ্ঞানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই আয়াতটি আরো অগ্রসর হয়ে প্রকাশ করছে যে,পরমাণু থেকে বড় বা ক্ষুদ্রতর সকল কিছু সম্পর্কে মহান আল্লাহ্ সম্পূর্ণভাবে পরিজ্ঞাত।সুতরাং এ আয়াত থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ হয় যে,পরমাণু থেকে ক্ষুদ্রতর কোন কিছু থাকা সম্ভব।অথচ এ সত্য তথ্যটি অতি সম্প্রতি উদ্ঘাটন করেছে আমাদের আধুনিক বিজ্ঞান। 

 

 

আর সর্বশক্তিমান ঈশ্বর মহান আল্লাহ্ সুবহানু ওয়াতা আলার কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য সত্য ধর্ম হলো ইসলাম এবং ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম কস্মিনকালেও মুক্তির পথ হতে পারবে না যা সূরা আল ইমরান (آل عمران), আয়াত: ১৯ ও ৮৫ নং আয়াতে- বলা হয়েছে 

 

إِنَّ ٱلدِّينَ عِندَ ٱللَّهِ ٱلْإِسْلَٰمُ وَمَا ٱخْتَلَفَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ إِلَّا مِنۢ بَعْدِ مَا جَآءَهُمُ ٱلْعِلْمُ بَغْيًۢا بَيْنَهُمْ وَمَن يَكْفُرْ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ فَإِنَّ ٱللَّهَ سَرِيعُ ٱلْحِسَابِ

 

অর্থঃ নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশতঃ, যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের প্রতি কুফরী করে তাদের জানা উচিত যে, নিশ্চিতরূপে আল্লাহ হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত দ্রুত।

 

وَمَن يَبْتَغِ غَيْرَ ٱلْإِسْلَٰمِ دِينًا فَلَن يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِى ٱلْءَاخِرَةِ مِنَ ٱلْخَٰسِرِينَ

 

অর্থঃ যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত।

 

আল্লাহ্ সবাই কে সঠিক পথে কবুল করুন। আমীন