বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
খ্রিস্টান বনাম মুসলিম সংলাপ:
বিষয়: বাইবেলের পুরাতন নিয়মে রাসূল (ﷺ) এর সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী
আলোচনা: ১ম অংশ: দ্বিতীয় বিবরণ ১৮ অধ্যায়ে কার সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে?যীশু না নবী মুহাম্মদ (ﷺ) ?
মূল লেখা: আল্লামা কিরানবী রহঃ এর লিখিত "ইযহারুল হক (সত্যেরপ্রকাশ)" বই থেকে ।
\___________________________________/
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতাহু প্রিয় ভাই ও বোনেরা। আশা করি অবশ্যই সবাই মহান আল্লাহ্ সুবহানু ওয়াতা'আলার অশেষ রহমত ও দয়ায় ভালো এবং সুস্থ আছেন। আজকে আমরা প্রথম পর্ব দিয়ে বাইবেলের পুরাতন নিয়মে বিশ্ব মহামানবের আগমন বার্তা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণীর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ যুক্তি প্রমাণ উপস্থাপন করে প্রকৃত সত্য উপস্থাপন করা হলো ইনশাআললাহ। যাইহোক মূল আলোচনায় আসা যাক এখন। বাইবেলে বলা হয়েছে:-
17. তখন সদাপ্রভু আমাকে কহিলেন, উহারা ভালই বলিয়াছে ।
18. আমি উহাদের জন্য উহাদের ভ্রাতৃগণের মধ্য হইতে তোমার সদৃশ এক ভাব্বাদী উৎপন্ন করিব (a Prophet from among their brethren, like unto thee) ও তাঁহার মুখে আমার বাক্য দিব; আর আমি তাঁহাকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিব, তাহা তিনি উহাদিগকে বলিবেন।
19. আর আমার নামে তিনি আমার যে সকল বাক্য বলিবেন, তাহাতে যে কেহ কর্ণপাত না করিবে, তাহার কাছে আমি প্রতিশোধ লইব।
20. কিন্তু আমি যে বাক্য বলিতে আজ্ঞা করি নাই, আমার নামে যে কোন ভাববাদী দুঃসাহসপূর্বক তাহা বলে, কিম্বা অন্য দেবতাদের [ঈশ্বরের] নামে যে কেহ কথা বলে, সেই ভাববাদীকে মরিতে হইবে।
21. আর তুমি যদি মনে মনে বল, সদাপ্রভু যে বাক্য বলেন নাই, তাহা আমরা কি প্রকারে জানিব?
22. [তবে শুন] কোন ভাব্বাদী সদাপ্রভুর নামে কথা কহিলে যদি সেই বাক্য পরে সিদ্ধ না হয়, ও তাহার ফল উপস্থিত না হয়, তবে সেই বাক্য সদাপ্রভু বলেন নাই; ঐ ভাববাদী দুঃসাহসপূর্বক তাহা বলিয়াছে, তুমি তাহা হইতে উদ্বিগ্ন হইও না।" (দ্বিতীয় বিবরণ ১৮:১৭-২২; ROVU)
আবার বাইবেলের অন্যত্রেও এই একই বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে (বাইবেল ; প্রেরিত ৩:২২-২৩)
অনলাইন সোর্স:
https://bible.com/bible/1791/deu.18.17-22.ROVU
ইহুদিগণ দাবি করেন যে, এই ভবিষ্যদ্বাণী ও সুসংবাদটি যিহোশূয়ের বিষয়ে বলা হয়েছে। আর এর বিপরীতে ত্রিত্ববাদী পৌলীয় খ্রিস্টধর্মের অনুসারীরা দাবি করেন যে, কথাটি যীশুর বিষয়ে বলা হয়েছে। এখানে ইহুদি ও খ্রিস্টানদের উভয়ের দাবিই ভিত্তিহীন। নিঃসন্দিগ্ধ ভাবে এই ভবিষ্যদ্বাণীটি বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) এর আগমন বিষয়ক সুসংবাদ ছাড়া আর কিছুই নয়। এখানে দশটি বিষয়ের মাধ্যমে তা প্রমাণ করব ইনশাআললাহ।
প্রথম বিষয়:
যীশুর সমসাময়িক ইহুদি পন্ডিত ও ধর্মগুরুগণ উপরোল্লিখিত ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে প্রতিশ্রুত একজন ভাব্বাদী/নবীর আগমনের অপেক্ষায় ছিলেন এবং তারা নিশ্চিতরুপে বিশ্বাস করত যে, প্রতিশ্রুত এই ভাব্বাদী মসীহ বা খ্রিস্ট নন বরং তিনি অন্য একজন হবেন। কাজেই এখানে যে ভাব্বাদীর সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে তিনি যিহোশূয় হতে পারেন না এবং কী যীশুও হতে পারেন না।
দ্বিতীয় বিষয়:
এই ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা হয়েছে:-"তোমার সদৃশ (like unto thee). যিহোশূয় বা যীশু কেউই মোজেস/মোশি [হযরত মুসা আঃ] এর মতো হতে পারেন না। কারণ, প্রথমত যিহোশূয় ও যীশু উভয়েই ইস্রায়েল সন্তানগণের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। আর ইস্রায়েল সন্তানগণের মধ্যে কেউই মোশির তুল্য বা সদৃশ হতে পারেন না।কারণ বাইবেলে বলা হয়েছে:-
34. মোশির তুল্য কোন ভাব্বাদী ইস্রায়েলের মধ্যে আর উৎপন্ন হয় নাই [there arose not a prophet since in Israel like unto Moses]...।" (দ্বিতীয় বিবরণ ৩৪:১০ ROVU)
অনলাইন সোর্স:
https://bible.com/bible/1791/deu.34.10.ROVU
দ্বিতীয়ত মোশি ও যিহোশূয়ের মধ্যে কোন সাদৃশ্য/মিল নেই। কারণ মোশি ছিলেন ঐশ্বরিক গ্রন্থ ও বিধিনিষেধময় নতুন ব্যবস্থা প্রাপ্ত একজন ভাববাদী। পক্ষান্তরে যিহোশূয় এরুপ কিছুই লাভ করেননি বরং তিনি মোশির ব্যবস্থার অনুসারী একজন ভাববাদী ছিলেন। তাই যিহোশূয়ের মোশির সদৃশ হওয়াটা অযৌকক্তিক ও বাতিল।
অনুরূপ ভাবে মোশি ও যীশুর মধ্যেও পূর্ণ সাদৃশ্য নেই। কারণ ত্রিত্ববাদী পৌলীয় খ্রিস্টানগণের দাবি ও বিশ্বাস অনুসারে যীশু ছিলেন ঈশ্বর ও প্রভু, আর এই হিসেবে মোশি নিশ্চিত তাঁর দাস মাত্র। তাহলে এখানেও যীশুর মোশির তুল্য হওয়াটা অযৌকক্তিক এবং তা বাতিল।
আবার ত্রিত্ববাদী পৌলীয় খ্রিস্টানগণের বিশ্বাস অনুসারে যীশু সৃষ্টিজগতের [মানুষের পাপ] মুক্তির জন্য নিজে শাপগ্রস্থ বা অভিশপ্ত হয়েছেন যা পৌল সুস্পষ্ট ভাবে-ই বলে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন:-
13. খ্রীষ্টই মূল্য দিয়া আমাদিগকে ব্যবস্থার শাপ হইতে মুক্ত করিয়াছেন, কারণ তিনি আমাদের নিমিত্তে শাপস্বরূপ [Cursed] হইলেন; কেননা লেখা আছে, ‘‘যে ব্যক্তিকে গাছে টাঙ্গান যায়, সে শাপগ্রস্ত...।" (গালাতীয় 3:13, 15 ROVU)
অনলাইন সোর্স:
https://bible.com/bible/1791/gal.3.13-15.ROVU
পক্ষান্তরে মোশি তাঁর জাতির জন্য শাপগ্রস্থ বা অভিশপ্ত হননি। আবার খ্রিস্টানদের বিশ্বাস অনুসারে যীশু নরকে গমন করেন। ত্রিত্ববাদীদের ধর্ম বিষয়ক পুস্তকে তা সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। পক্ষান্তরে মোশি নরকে গমন করেননি।
আবার, খ্রিস্টানগণের দাবি ও বিশ্বাস অনুসারে যীশু ক্রুশবিদ্ধ হয়েছেন তাঁর অনুসারীদের পাপ মুক্তির জন্য। মোশি তাঁর অনুসারীদের পাপ মুক্তির জন্য ক্রুশবিদ্ধ হননি।
এছাড়া মোশির ব্যবস্থায় শাস্তি, দন্ড, গোসলের বিধান, পবিত্রতা ও শুচিতার বিধান, শুচি ও অশুচি খাদ্য ও পানীয়র ইত্যাদির বিধান রয়েছে। অপরদিকে প্রচলিত নতুন নিয়ম থেকে প্রমাণিত হয় যে, যীশুর ব্যবস্থায় এসব কিছুই নেই।
মোশি তাঁর জাতির মানুষের কাছে সম্মানিত মর্যাদাময় নেতা ছিলেন, সকলেই তাঁর আনুগত্য করতো ও তাঁর আদেশ এবং নিষেধ কার্যকর করা হতো। কিন্তু যীশু এরুপ ছিলেন না।
(নোট: যীশু কে এই ভবিষ্যদ্বাণীর প্রতিশ্রুত ভাববাদী বলে দাবি করলে, ত্রিত্ববাদী খ্রিস্টানদের কে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, তিনি "খ্রিস্ট" ছিলেন না। কারণ প্রতিশ্রুত "মসীহ্ (খ্রিস্ট)" ও প্রতিশ্রুত "ভাববাদী" দুইজন আলাদা ব্যক্তি হবেন অর্থাৎ তারা এক ব্যক্তি নন। আর এখানে যিহোশূয়কে বোঝানো হলে তো আর ইহুদিগণ হাজার হাজার বছর ধরে "সেই ভাববাদীর" আগমনের আশায় থাকতো না। "(যোহন ১:১৯-২৭)
তৃতীয় বিষয়:
এই ভবিষ্যদ্বাণীতে একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা হয়েছে:-"מִקֶּ֥רֶב אֲחֵיהֶ֖ם /উহাদের ভ্রাতৃগণের মধ্য হইতে (from among their brethren). এখানে "উহাদের তথা তাদের" বলতে "বনি ইস্রায়েল" বংশকে বোঝানো হয়েছে। আর "উহাদের ভ্রাতৃগণ তথা তাদের ভাই" বলতে "বনি ইস্রায়েল বংশের ভাই বংশকে" বোঝানো হয়েছে। বনি ইসরাইলরা হলো হযরত ইয়াকুব আঃ এর বংশধর। আর ইয়াকুব আঃ হলেন ইসহাক আঃ এর বংশধর। এই ইসহাক আঃ এর বড় ভাই ছিলেন হযরত ইসমাইল আঃ। আর ইসমাইল আঃ এর সন্তানগণ ইসমাইল বংশ নামে পরিচিত অর্থাৎ বনি ইসরাইল এর ভাই বংশ হলো বনি ইসমাইল।
এছাড়া আমরা নিশ্চিত ভাবে জানি যে, ইস্রায়েল সন্তানদের দ্বাদশ বংশ সকলেই তখন মোশির নিকট উপস্থিত ছিলেন। যদি এই ভবিষ্যদ্বাণীর উদ্দেশ্য হতো যে, এই প্রতিশ্রুত ভাববাদী ইস্রায়েলের দ্বাদশ বংশের কোন বংশে জন্মগ্রহণ করবেন তবে এখানে ঈশ্বর "উহাদের মধ্য হইতে" বলতেন কিন্তু কখনোই "উহাদের ভ্রাতৃগণের মধ্য হইতে" বলতেন না। "ভ্রাতৃগণ Brethren" কথাটা থেকে স্পষ্ট-ই বোঝা যায় যে , প্রতিশ্রুত ভাববাদী ইস্রায়েলীয়দের দ্বাদশ বংশের কোন বংশের কোন বংশের অন্তর্ভুক্ত হবেন না বরং দ্বাদশ বংশের সকলের "ভ্রাতৃগণের" মধ্যে তিনি জন্মগ্রহণ করবেন। "ভ্রাতৃগণ" কথাটির প্রকৃত ও আভিধানিক অর্থ এরুপই। আর এই অর্থে এই শব্দটি বাইবেলের অন্যত্র ব্যবহার করা হয়েছে। সদাপ্রভু ঈশ্বর হাগার/Hagar [হযরত হাযেরা আঃ] কে তাঁর পুত্র ইসমাইল আঃ এর বিষয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেই প্রতিশ্রুতিতে "ভ্রাতৃগণ/Brethren" শব্দটি এই অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। আদিপুস্তক ১৬ অধ্যায়ের ১২ আয়াতে ১৮৪৪ সালে প্রকাশিত আরবি অনুবাদ অনুসারে বলা হয়েছে:-"সে তাহার ভ্রাতৃগণের সকলের সম্মুখে বসতি স্থাপন করিবে।" আর ১৮১১ সালে প্রকাশিত আরবি অনুবাদে বলা হয়েছে:-সে তাহার ভ্রাতার সকলের সম্মুখে বসতি স্থাপন করিবে (He shall dwell in the presence of all his brethren)."
আর বাংলা কেরি বাইবেলে বলা হয়েছে:-"সে তাহার সকল ভ্রাতার সম্মুখে বসতি করিবে।" (আদিপুস্তক 16:12 ROVU)
অনলাইন সোর্স:
https://bible.com/bible/1791/gen.16.12.ROVU
অনুরূপ ভাবে আদিপুস্তকের ২৫ অধ্যায়ের ১৮ অধ্যায়েও ইসমাইল আঃ এর বিষয়ে "ভ্রাতৃগণ" শব্দটি এই অর্থেই ব্যবহার করা হয়েছে। ১৮৪৪ সালে মুদ্রিত আরবি অনুবাদে এখানে বলা হয়েছে:-"তাহার সকল ভ্রাতার (all his brethren) প্রান্তে তিনি বসবাস করিলেন।"
১৮১১ সালে মুদ্রিত আরবি অনুবাদে এখানে বলা হয়েছে"-"তাহার সকল ভ্রাতার উপস্থিতিতে তিনি বসতি স্থাপন করিলেন।"
এইখানে "ভ্রাতৃগণ" বলতে এষৌ-এর বংশধর, ইসহাক আঃ এর বংশধর ও ইব্রাহিম আঃ এর অন্যান্য পুত্রের বংশধরদের বোঝানো হয়েছে। বাইবেলে বলা হয়েছে:-
14. পরে মোশি কাদেশ হইতে ইদোমীয় রাজার নিকটে দূত দ্বারা বলিয়া পাঠাইলেন, তোমার ভ্রাতা ইস্রায়েল কহিতেছে, আমাদের যে সমস্ত কষ্ট ঘটিয়াছে, তাহা তুমি জ্ঞাত আছ।" (গণনা পুস্তক ২০:১৪ ROVU) অনলাইন সোর্স:
https://bible.com/bible/1791/num.20.14.ROVU
আবার বাইবেলে বলা হয়েছে:-
2. পরে সদাপ্রভু আমাকে কহিলেন....
4. আর তুমি লোক সমূহকে এই আজ্ঞা কর, সেয়ীর-নিবাসী তোমাদের ভ্রাতৃগণের অর্থাৎ এষৌ-সন্তানদের সীমার নিকট দিয়া তোমাদিগকে যাইতে হইবে, আর তাহারা তোমাদের হইতে ভীত হইবে......।
8. পরে আমরা....সেয়ীর-নিবাসী আমাদের ভ্রাতৃগণ এষৌ-সন্তানদের সম্মুখ দিয়া গমন করিলাম....।" (দ্বিতীয় বিবরণ ২:২-৮ ROVU)
অনলাইন সোর্স:
https://bible.com/bible/1791/deu.2.2-8.ROVU
এভাবে ইস্রায়েল সন্তানদের ভ্রাতৃগণ বলতে এষৌ-এর সন্তানদের বোঝানো হয়েছে। এভাবে আমরা দেখতে পাই, ইস্রায়েল সন্তানদের ভ্রাতৃগণ বলতে ইসমাইল সন্তানগণ, এষৌ সন্তানগণ বা আব্রাহাম ও ইসহাকের অন্যান্য সন্তানদের বংশধরকে বোঝানো হয়। এ হলো "ভ্রাতৃগণ" শব্দের আভিধানিক ও প্রকৃত অর্থ। এতে সন্দেহ নেই যে, রুপক অর্থে "ইস্রায়েল সন্তানগণের ভ্রাতৃগণ" বাইবেলে কোথাও কোথাও "ইস্রায়েল সন্তানগণের মধ্যকার" কাউকে বোঝানো হয়েছে। কিন্তু কোন স্থানে কোন শব্দ মূল ও প্রকৃত অর্থ গ্রহণ করা অসম্ভব হলেই শুধু সেখানে তার রুপক অর্থ গ্রহণ করা যায়। এখানে প্রকৃত অর্থ কে বাদ দিয়ে রূপক অর্থ গ্রহণের কোন যৌক্তিকতা নেই। আর যিহোশূয় ও যীশু প্রকৃত অর্থে ইস্রায়েল সন্তানগণের ভ্রাতা নন, বরং তাদের অন্তর্ভুক্ত। কাজেই এই ভবিষ্যদ্বাণী যীশু এবং যিহোশূয়ের মধ্যে প্রযোজ্য হয় না।
চতুর্থ বিষয়:
এই ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা হয়েছে:-"এক ভাব্বাদী উৎপন্ন করিব" (আরবি বাইবেলের ভাষ্যানুযায়ী : "আগামীতে উৎপন্ন করিব")। আর এই কথা বলার সময় যিহোশূয় ইস্রায়েল সন্তানগণের সাথে মোশির নিকট উপস্থিত ছিলেন এবং মোশির স্থলাভিষিক্ত ভাববাদী তিনি (যোশূয়া ১:১-২; তবে সম্পূর্ণ অধ্যায়টা পড়তে পারেন)। কাজেই এই ভবিষ্যদ্বাণী কিভাবে তাঁর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে?
পঞ্চম বিষয়:
এই ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা হয়েছে:-"তাঁহার মুখে আমার বাক্য দিব (will put my words in his mouth)." এই কথা থেকে সুস্পষ্ট ভাবে বোঝা যায় যে, এই ভাববাদীর উপর পৃথক "আসমানী কিতাব" অবতীর্ণ হবে এবং নিরক্ষর হওয়ার কারণে তিনি তা মুখস্থ রেখে পাঠ করবেন। আর এ দুটি বিষয়ের কোনটিই যিহোশূয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
চলমান পর্ব।