কোরানের আলোকে নাস্তিকতার পরিচয়ঃ
লেখকঃ হাবিব
ঈশ্বর/স্রস্টা প্রতি বিশ্বাস নেই একই সাথে তার আজ্ঞাবিরুদ্ধচারণ করাকে নাস্তিকতা বলে।
নাস্তিকতার গূনগুলো নিম্নরুপ যা প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষ কাফেরদের মাঝে আংশিক/বিশেষভাবে প্রতিফলিতঃ
১)নাস্তিকরা মনুষ্যজাতির কূলাংগার শ্রেণি ও পশুগুনান্বিতঃ এজন্য আল্লাহ বলেনঃ
7,179 ﺍًﺮﻴِﺜَﻛ َﻢَّﻨَﻬَﺠِﻟ ﺎَﻧْﺃَ
ْﻢُﻬَﻟ ۖ ِﺲْﻧِﺈْﻟﺍَﻭ ِّﻦِﺠْﻟ
ْﻢُﻬَﻟَﻭ ﺎَﻬِﺑ َﻥﻮُﻬَﻘْﻔَﻳ
ْﻢُﻬَﻟَﻭ ﺎَﻬِﺑ َﻥﻭُﺮِﺼْﺒُﻳ
ۚ ﺎَﻬِﺑ َﻥﻮُﻌَﻤْﺴَﻳ ﺎَﻟ ٌﻥ
ْﻢُﻫ ْﻞَﺑ ِﻡﺎَﻌْﻧَﺄْﻟﺎَﻛ َ
َﻥﻮُﻠِﻓﺎَﻐْﻟﺍ ُﻢُﻫ َﻚِﺌَٰﻟ
আর আমি সৃষ্টি
করেছি
দোযখের জন্য
বহু জ্বিন ও
মানুষ। তাদের
অন্তর রয়েছে,
তার দ্বারা
বিবেচনা করে
না, তাদের
চোখ রয়েছে,
তার দ্বারা
দেখে না, আর
তাদের কান
রয়েছে, তার
দ্বারা শোনে
না। তারা
চতুষ্পদ জন্তুর
মত; বরং তাদের
চেয়েও
নিকৃষ্টতর।
তারাই হল
গাফেল,
শৈথিল্যপরায়ণ।
2)পশুবাদঃ নাস্তিকরা পাপিস্ঠ ইহুদি দলবিভাজনে নিকৃষ্ট অংশ-তৎকালীন এদের পাপিষ্ঠদের বানরশুকরে পরিনত হয় গজবে।নাস্তিকরা তাদের চরম অবাধ্যতা অনুকরণে তাদের কুকর্মের ওয়ারিশ।তাদের কূকর্মগুলো বাস্তবায়ন করতে চায় পশুবাদ দিয়ে,পাশুবিক অনন্ত স্বাধীনতা।
পাগ্লা ডারউইন তাহ বিবর্তনেরুপ দেয়ঃ
2/65 َﻦﻳِﺬَّﻟﺍ ُﻢُﺘْﻤِﻠَﻋ ْﺪَﻘَﻟَﻭ
ِﺖْﺒَّﺴﻟﺍ ﻲِﻓ ْﻢُﻜْﻨِﻣ ﺍْﻭَ
ًﺓَﺩَﺮِﻗ ﺍﻮُﻧﻮُﻛ ْﻢُﻬَﻟ ﺎَ
َﻦﻴِﺌِﺳﺎَﺧ
তোমরা
বনিইস্রায়েলদের কে
ভালরূপে
জেনেছ, যারা
শনিবারের
ব্যাপারে
সীমা লঙ্ঘণ
করেছিল।
আমি
বলেছিলামঃ
তোরা
লাঞ্ছিত বানর
হয়ে যা।
7/166 ﺍﻮُﻬُﻧ ﺎَﻣ ْﻦَﻋ ﺍْﻮَﺘَﻋ
ًﺓَﺩَﺮِﻗ ﺍﻮُﻧﻮُﻛ ْﻢُﻬَﻟ ﺎَ
َﻦﻴِﺌِﺳﺎَﺧ
তারপর যখন
তারা এগিয়ে
যেতে লাগল
সে কর্মে যা
থেকে তাদের
বারণ করা হয়েছিল, তখন
আমি নির্দেশ
দিলাম যে,
তোরা
লাঞ্ছিত বানর
যা।
Ayat
5/60 َﻚِﻟَٰﺫ ْﻦِﻣ ٍّﺮَﺸِﺑ ْﻢُﻜُﺌِّﺒَﻧُ
ُﻪَﻨَﻌَﻟ ْﻦَﻣ ۚ ِﻪَّﻠﻟﺍ َﺪْﻨِ
َﻞَﻌَﺟَﻭ ِﻪْﻴَﻠَﻋ َﺐِﻀَﻏَﻭ ُﻪَّ
َﺮﻳِﺯﺎَﻨَﺨْﻟﺍَﻭ َﺓَﺩَﺮِﻘْﻟ
ٌّﺮَﺷ َﻚِﺌَٰﻟﻭُﺃ ۚ َﺕﻮُﻏﺎَّﻄﻟ
ِﺀﺍَﻮَﺳ ْﻦَﻋ ُّﻞَﺿَﺃَﻭ ﺎًﻧﺎَ
ِﻞﻴِﺒَّﺴﻟﺍ
বলুনঃ আমি
তোমাদেরকে
বলি, তাদের
মধ্যে কার মন্দ
প্রতিফল
রয়েছে
আল্লাহর
কাছে?
যাদের প্রতি
আল্লাহ
অভিসম্পাত
করেছেন,
যাদের প্রতি
তিনি
ক্রোধাম্বিত
হয়েছেন,
যাদের
কতককে বানর
ও শুকরে
রূপান্তরিত
করে
দিয়েছেন
এবং যারা
শয়তানের আরাধনা
করেছে,
তারাই
মর্যাদার দিক
দিয়ে
নিকৃষ্টতর এবং
সত্যপথ থেকেও
অনেক দূরে।
এজন্য নাস্তিকরা পাপিষ্ঠবাপদাদাকে বানর পরিচয় দিতে ভালবাসে আর শুকর খেতে ভালবাসে।
৩)নগ্নতাবাদঃ নাস্তিকরা নগ্নতাকে সাপোর্ট করে তারা মনে করে মানুষ পশুর মতো উলংগ থাকবে এটাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।এজন্য আল্লাহ বলেনঃ
يَا بَنِي آدَمَ لَا يَفْتِنَنَّكُمُ الشَّيْطَانُ كَمَا أَخْرَجَ أَبَوَيْكُمْ مِنَ الْجَنَّةِ يَنْزِعُ عَنْهُمَا لِبَاسَهُمَا لِيُرِيَهُمَا سَوْآتِهِمَا ۗ إِنَّهُ يَرَاكُمْ هُوَ وَقَبِيلُهُ مِنْ حَيْثُ لَا تَرَوْنَهُمْ ۗ إِنَّا جَعَلْنَا الشَّيَاطِينَ أَوْلِيَاءَ لِلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ
বাংলা অনুবাদঃ হে বনী-আদম শয়তান যেন তোমাদেরকে বিভ্রান্ত না করে; যেমন সে তোমাদের পিতামাতাকে জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছে এমতাবস্থায় যে, তাদের পোশাক তাদের থেকে খুলিয়ে দিয়েছি-যাতে তাদেরকে লজ্জাস্থান দেখিয়ে দেয়। সে এবং তার দলবল তোমাদেরকে দেখে, যেখান থেকে তোমরা তাদেরকে দেখ না। আমি শয়তানদেরকে তাদের বন্ধু করে দিয়েছি, , যারা বিশ্বাস স্থাপন করে না।
(সূরাঃ আল আ'রাফ, ৭/২৭)
৪)ব্যভিচারঃ এরা দাবি করে বৈবাহিক সম্পর্ক ব্যতিরেকে যৌনাচার প্রাকৃতিক ও উত্তম,যা পশুদের মধ্যে বিদ্যমান।এটাই সঠিক।এজন্য তারা বিবাহবর্হিভুত ব্যভিচার আহবান করে
,আাল্লাহ বলেনঃ
وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنَا ۖ إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلًا
বাংলা অনুবাদঃ আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।
(সূরাঃ বনী ইসরাঈল, ১৭/৩২)
الزَّانِي لَا يَنْكِحُ إِلَّا زَانِيَةً أَوْ مُشْرِكَةً وَالزَّانِيَةُ لَا يَنْكِحُهَا إِلَّا زَانٍ أَوْ مُشْرِكٌ ۚ وَحُرِّمَ ذَٰلِكَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ
বাংলা অনুবাদঃ ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারিণী নারী অথবা মুশরিকা নারীকেই বিয়ে করে এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী অথবা মুশরিক পুরুষই বিয়ে করে এবং এদেরকে মুমিনদের জন্যে হারাম করা হয়েছে।
(সূরাঃ আন-নূর, ২৪/ ৩)
৫)সমকামিঃ এরা সমকামি,সমকামিতাকে জোর করে প্রাকৃতিক নিয়ম দাবি করে।আল্লাহ বলেনঃ
وَلُوطًا إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ أَتَأْتُونَ الْفَاحِشَةَ مَا سَبَقَكُمْ بِهَا مِنْ أَحَدٍ مِنَ الْعَالَمِينَ
বাংলা অনুবাদঃ এবং আমি লূতকে প্রেরণ করেছি। যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে সারা বিশ্বের কেউ করেনি ?
(সূরাঃ আল আ'রাফ, ৭/ ৮০)
إِنَّكُمْ لَتَأْتُونَ الرِّجَالَ شَهْوَةً مِنْ دُونِ النِّسَاءِ ۚ بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ مُسْرِفُونَ
বাংলা অনুবাদঃ তোমরা তো কামবশতঃ পুরুষদের কাছে গমন কর নারীদেরকে ছেড়ে। বরং তোমরা সীমা অতিক্রম করেছ।
(সূরাঃ আল আ'রাফ, আয়াতঃ ৮১)
অথচ নারী সৃষ্টি পুরুষের জন্য, নাস্তিকরা সমকামিতায় তা বিচ্ছেদ ঘটায় চিরায়ত নিয়ম।আল্লাহ বলেনঃ
وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُمْ مِنْ أَنْفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُمْ مَوَدَّةً وَرَحْمَةً ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
বাংলা অনুবাদঃ আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।
(সূরাঃ আর-রূম,৩০/২১)
৬)পশুকামিতাঃ এরা নিজেদের বানর থেকে এসেছে তাই পশুকামিতা দ্বিধাবোধ করেনা।পশুকামিতা ইসলামে হারাম।আর সেই সংগমে থাকা পশু ও পশুকামি লোককে হত্যার আদেশ(আবু দাউদ হাঃ ৪৪০৫)
৭)অপ্রচারে পটুঃ নাস্তিকরা অপ্রচারে পটু কোরানে আয়াত কার্টসার্ট আলোচনা তাফসিরবিহীন,প্রসংগ ঢেকে রাখে।আল্লাহ বলেনঃ
هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُحْكَمَاتٌ هُنَّ أُمُّ الْكِتَابِ وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ ۖ فَأَمَّا الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ زَيْغٌ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ ابْتِغَاءَ الْفِتْنَةِ وَابْتِغَاءَ تَأْوِيلِهِ ۗ وَمَا يَعْلَمُ تَأْوِيلَهُ إِلَّا اللَّهُ ۗ وَالرَّاسِخُونَ فِي الْعِلْمِ يَقُولُونَ آمَنَّا بِهِ كُلٌّ مِنْ عِنْدِ رَبِّنَا ۗ وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّا أُولُو الْأَلْبَابِ
বাংলা অনুবাদঃ তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর, তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না।
(সূরাঃ আল ইমরান,৩/৭)
৮)প্রবৃত্তি অনুসারীঃ এরা কাউকে অনুসরণ করা পছন্দ করেনা,খ্যাতি কাউকে পেলে তার খুত বের করবেই,এরা নিজেদের মতামতের সাথে একেঅপরে মিল নেই,নিজ প্রবৃত্তি অনুসরন করে
।আল্লাহ বলেনঃ
فَإِنْ لَمْ يَسْتَجِيبُوا لَكَ فَاعْلَمْ أَنَّمَا يَتَّبِعُونَ أَهْوَاءَهُمْ ۚ وَمَنْ أَضَلُّ مِمَّنِ اتَّبَعَ هَوَاهُ بِغَيْرِ هُدًى مِنَ اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ
বাংলা অনুবাদঃ অতঃপর তারা যদি আপনার কথায় সাড়া না দেয়, তবে জানবেন, তারা শুধু নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে। আল্লাহর হেদায়েতের পরিবর্তে যে ব্যক্তি নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, তার চাইতে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে? নিশ্চয় আল্লাহ জালেম সম্প্রদায়কে পথ দেখান না।
(সূরাঃ আল কাসাস, ২৮/ ৫০)
৯)স্রষ্টা না দেখার পক্ষে সাফাইঃ
স্রষ্টা দেখতে পায়না বলেই জেদ ধরে রাখে দাবি করে তিনি নেই।এটাই তাদের না দেখা পক্ষে স্রষ্টাকে অস্বীকার দাবি।আল্লাহ বলেনঃ
وَقَالَ الَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ لَوْلَا يُكَلِّمُنَا اللَّهُ أَوْ تَأْتِينَا آيَةٌ ۗ كَذَٰلِكَ قَالَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ مِثْلَ قَوْلِهِمْ ۘ تَشَابَهَتْ قُلُوبُهُمْ ۗ قَدْ بَيَّنَّا الْآيَاتِ لِقَوْمٍ يُوقِنُونَ
বাংলা অনুবাদঃ যারা কিছু জানে না, তারা বলে, আল্লাহ আমাদের সঙ্গে কেন কথা বলেন না? অথবা আমাদের কাছে কোন নিদর্শন কেন আসে না? এমনি ভাবে তাদের পূর্বে যারা ছিল তারাও তাদেরই অনুরূপ কথা বলেছে। তাদের অন্তর একই রকম। নিশ্চয় আমি উজ্জ্বল নিদর্শনসমূহ বর্ণনা করেছি তাদের জন্যে যারা প্রত্যয়শীল।
(সূরাঃ আল বাকারা, ২/ ১১৮)
১০)তর্কপ্রিয়ঃ নাস্তিক তর্কপ্রিয়,তালগোল পাকিয়ে দাবি তালগাছ আমার।যুক্তিতে হেরে পলাতক।এই শ্রেনিদের ব্যাপারে আল্লাহ বলেনঃ وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِي هَٰذَا الْقُرْآنِ لِلنَّاسِ مِنْ كُلِّ مَثَلٍ ۚ وَكَانَ الْإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا
বাংলা অনুবাদঃ নিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়।
(সূরাঃ কাহফ, ১৭/ ৫৪)
أَوَلَمْ يَرَ الْإِنْسَانُ أَنَّا خَلَقْنَاهُ مِنْ نُطْفَةٍ فَإِذَا هُوَ خَصِيمٌ مُبِينٌ
বাংলা অনুবাদঃ মানুষ কি দেখে না যে, আমি তাকে সৃষ্টি করেছি বীর্য থেকে? অতঃপর তখনই সে হয়ে গেল প্রকাশ্য বাকবিতন্ডাকারী।
(সূরাঃ ইয়াসীন, ৩৬/ ৭৭)
১১)শয়তানপ্রিয়ঃ এরা শয়তানের কাজ ভালবাসে,ইলুমিনাতি গোপন সদস্য। আল্লাহ বলেনঃ
فَرِيقًا هَدَىٰ وَفَرِيقًا حَقَّ عَلَيْهِمُ الضَّلَالَةُ ۗ إِنَّهُمُ اتَّخَذُوا الشَّيَاطِينَ أَوْلِيَاءَ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَيَحْسَبُونَ أَنَّهُمْ مُهْتَدُونَ
বাংলা অনুবাদঃ একদলকে পথ প্রদর্শন করেছেন এবং একদলের জন্যে পথভ্রষ্টতা অবধারিত হয়ে গেছে। তারা আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করেছে এবং ধারণা করে যে, তারা সৎপথে রয়েছে।
(সূরাঃ আল আ'রাফ, ৭/ ৩০)
এদের অনেকই ইহুদীয় প্রভাবিত যাদুগ্রস্থ কিংবা যাদুপ্রিয়।আল্লাহ বলেনঃ
وَاتَّبَعُوا مَا تَتْلُو الشَّيَاطِينُ عَلَىٰ مُلْكِ سُلَيْمَانَ ۖ وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلَٰكِنَّ الشَّيَاطِينَ كَفَرُوا يُعَلِّمُونَ النَّاسَ السِّحْرَ وَمَا أُنْزِلَ عَلَى الْمَلَكَيْنِ بِبَابِلَ هَارُوتَ وَمَارُوتَ ۚ وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّىٰ يَقُولَا إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلَا تَكْفُرْ ۖ فَيَتَعَلَّمُونَ مِنْهُمَا مَا يُفَرِّقُونَ بِهِ بَيْنَ الْمَرْءِ وَزَوْجِهِ ۚ وَمَا هُمْ بِضَارِّينَ بِهِ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ ۚ وَيَتَعَلَّمُونَ مَا يَضُرُّهُمْ وَلَا يَنْفَعُهُمْ ۚ وَلَقَدْ عَلِمُوا لَمَنِ اشْتَرَاهُ مَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ مِنْ خَلَاقٍ ۚ وَلَبِئْسَ مَا شَرَوْا بِهِ أَنْفُسَهُمْ ۚ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ
বাংলা অনুবাদঃ তারা ঐ শাস্ত্রের অনুসরণ করল, যা সুলায়মানের রাজত্ব কালে শয়তানরা আবৃত্তি করত। সুলায়মান কুফর করেনি; শয়তানরাই কুফর করেছিল। তারা মানুষকে জাদুবিদ্যা এবং বাবেল শহরে হারুত ও মারুত দুই ফেরেশতার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছিল, তা শিক্ষা দিত। তারা উভয়ই একথা না বলে কাউকে শিক্ষা দিত না যে, আমরা পরীক্ষার জন্য; কাজেই তুমি কাফের হয়ো না। অতঃপর তারা তাদের কাছ থেকে এমন জাদু শিখত, যদ্দ্বারা স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। তারা আল্লাহর আদেশ ছাড়া তদ্দ্বারা কারও অনিষ্ট করতে পারত না। যা তাদের ক্ষতি করে এবং উপকার না করে, তারা তাই শিখে। তারা ভালরূপে জানে যে, যে কেউ জাদু অবলম্বন করে, তার জন্য পরকালে কোন অংশ নেই। যার
বিনিময়ে তারা আত্নবিক্রয় করেছে, তা খুবই মন্দ যদি তারা জানত।
(সূরাঃ আল বাকারা, ২/ ১০২)
১২)ঝগড়াটেঃ নাস্তিকরা ঝগড়াটে হয়,কোরান থেকে যুক্তি দেখালে তারা কাহিনীকেচ্ছা দাবি করে।আল্লাহ বলেনঃ
وَمِنْهُمْ مَنْ يَسْتَمِعُ إِلَيْكَ ۖ وَجَعَلْنَا عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ أَكِنَّةً أَنْ يَفْقَهُوهُ وَفِي آذَانِهِمْ وَقْرًا ۚ وَإِنْ يَرَوْا كُلَّ آيَةٍ لَا يُؤْمِنُوا بِهَا ۚ حَتَّىٰ إِذَا جَاءُوكَ يُجَادِلُونَكَ يَقُولُ الَّذِينَ كَفَرُوا إِنْ هَٰذَا إِلَّا أَسَاطِيرُ الْأَوَّلِينَ
বাংলা অনুবাদঃ তাদের কেউ কেউ আপনার দিকে কান লাগিয়ে থাকে। আমি তাদের অন্তরের উপর আবরণ রেখে দিয়েছি যাতে একে না বুঝে এবং তাদের কানে বোঝা ভরে দিয়েছি। যদি তারা সব নিদর্শন অবলোকন করে তবুও সেগুলো বিশ্বাস করবে না। এমনকি, তারা যখন আপনার কাছে ঝগড়া করতে আসে, তখন কাফেররা বলেঃ এটি পুর্ববর্তীদের কিচ্ছাকাহিনী বৈ তো নয়।
(সূরাঃ আল আনআম, ৬/২৫)
১৩)বিদ্রুপপ্রিয়ঃ নাস্তিকরা বিদ্রুপপ্রিয়।এরা অপ্রচারে দুর্বল ঈমানি মুসলিমদের ঘায়েল করে নিজেদের মতো বানাতে চায়।আল্লাহ বলেনঃ
وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللَّهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلَا تَقْعُدُوا مَعَهُمْ حَتَّىٰ يَخُوضُوا فِي حَدِيثٍ غَيْرِهِ ۚ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِينَ وَالْكَافِرِينَ فِي جَهَنَّمَ جَمِيعًا
বাংলা অনুবাদঃ আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।
(সূরাঃ আন নিসা, ৪/১৪০)
১৪)নারীবাদঃ নারীকে পুরুষের অর্ধাংগিনী বলা হয়।নাস্তিকরা
কোমলমতি অবলার অন্তরে দাগ বসিয়ে দাবি করে নারী মানে
ঘরের দাসী কিংবা পুরুষের বোঝা।এভাবে নারীদের ভুলভাল
বুঝিয়ে উৎশৃখল করে নিজেদের ভোগের জন্য
স্বেচ্ছাচারী পতিতা-পুরূষালি তৈরি করা হয়।এছাড়া বৈজ্ঞানিকভাবে
একজন নারীর মগজ ছেলে তুলনায় ছোট,এমনকি
সাইক্লোজিভাবেও পার্থক্য।এজন্য পুরুষ চাইলেও সে বাচ্চা
প্রসব করতে পারবেনা,তেমনি একজন নারী চাইলেও সে
পুরুষের মতো ১৫/২০কেজি চালের ভরাট বস্তা বহন করতে
পারেনা,যেখানে প্রকৃতি বলছে নারী-পুরুষ সমান নয়,সেখানে
সমান অধিকার চাওয়া হাস্যকর।নারীরা মুখস্থতায় দক্ষ হলেও পুরূষের
মতো মানসিক দক্ষতা নেই ফলে উদ্ভব পরিস্থিতিতে একজন
নারী কি সিদ্ধান্ত নিবে,তাতে বুঝা যায় রাজনীতিতে প্রতিহিংসপরায়ণ
ও অসহিষ্ণুতা এই দেশে।দেশ শাসনে নারীকে ব্যবহার করে
তাকে ভুলভাল বুঝিয়ে নাস্তিকরা তথাকথিত বুদ্ধিজীবিরা নিজেদের
অবৈধতা ও প্রভাব বজায় রাখতে চায়।বিশ্বনবী রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ''পুরুষগণ যখন মহিলাদের নেতৃত্ব
স্বীকার করবে, তখন তাঁদের ধ্বংস অনিবার্য " [সূত্র :মুস্তাদরাকে
হাকিম ৪/২১৯] অপর এক বর্ণনায় রয়েছে - রাসূল সাঃ বলেছেন " ঐ
জাতি কখনো উন্নতিসাধন করতে পারবে না, যে জাতির রাষ্ট্রপ্রধান
বা শাসক হবে নারী " [সূত্র : শামী-১/৫৪৮/ জাওহারুল
ফাতওয়া-৪১১-৩২০, ইযালাতুল খাফা,১/১৯]
১৫)এরা ইহুদি-খৃস্টানদের এজেন্ট ও ঐক্যবদ্ধ ইসলামবিদ্বেষীঃ এজন্য আল্লাহ মুসলিমদের সর্তক করেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الَّذِينَ اتَّخَذُوا دِينَكُمْ هُزُوًا وَلَعِبًا مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِكُمْ وَالْكُفَّارَ أَوْلِيَاءَ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ
বাংলা অনুবাদঃ হে মুমিনগণ, আহলে কিতাবদের মধ্য থেকে যারা তোমাদের ধর্মকে উপহাস ও খেলা মনে করে, তাদেরকে এবং অন্যান্য কাফেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না। আল্লাহকে ভয় কর, যদি তোমরা ঈমানদার হও।
(সূরাঃ আল মায়িদাহ, আয়াতঃ ৫৭)
اللَّهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُوا يُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ ۖ وَالَّذِينَ كَفَرُوا أَوْلِيَاؤُهُمُ الطَّاغُوتُ يُخْرِجُونَهُمْ مِنَ النُّورِ إِلَى الظُّلُمَاتِ ۗ أُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
বাংলা অনুবাদঃ যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে। আর যারা কুফরী করে তাদের অভিভাবক হচ্ছে তাগুত। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এরাই হলো দোযখের অধিবাসী, চিরকাল তারা সেখানেই থাকবে।
(সূরাঃ আল বাকারা, ২/ ২৫৭)
هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَىٰ وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ
বাংলা অনুবাদঃ তিনিই প্রেরণ করেছেন আপন রসূলকে হেদায়েত ও সত্য দ্বীন সহকারে, যেন এ দ্বীনকে অপরাপর দ্বীনের উপর জয়যুক্ত করেন, যদিও মুশরিকরা তা অপ্রীতিকর মনে করে।
(সূরাঃ আত তাওবাহ,৯/ ৩৩, ৬১/৯)
هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَىٰ وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ ۚ وَكَفَىٰ بِاللَّهِ شَهِيدًا
বাংলা অনুবাদঃ তিনিই তাঁর রসূলকে হেদায়েত ও সত্য ধর্মসহ প্রেরণ করেছেন, যাতে একে অন্য সমস্ত ধর্মের উপর জয়যুক্ত করেন। সত্য প্রতিষ্ঠাতারূপে আল্লাহ যথেষ্ট।
(সূরাঃ আল ফাতহ, ৪৮/ ২৮)