(কিছুটা বিজ্ঞানের দর্শন বিষয়ক, যা পাঠকের পক্ষে গলধ:করন কঠিন হতে পারে।)
প্রজাত্যায়ন হল এক প্রজাতি থেকে নতুন প্রজাতির আগমন। কিন্তু প্রশ্ন হল, প্রজাতি কি?
The very term 'species' is deeply ambiguous. (এখানে)
বিবর্তনবাদীরা নতুন প্রজাতির আগমন শিরোনাম দেখলেই যেভাবে লাফিয়ে পড়ে তা দেখার মত দৃৃশ্য। কিন্তু নিপুণ নকশা তত্ত্বকে আক্রমণের আগে দেখা উচিত যে, যাকে বিবর্তনের প্রমাণ বলা হচ্ছে তা আসলে প্রমাণ কিনা।
কারণ সত্যিকারের বিবর্তনের ফলে জিন পুলের সম্প্রসারণ ঘটে। মানে, নতুন তথ্য যুক্ত হয়। এভাবে সরল প্রাণ থেকে জটিল উন্নত প্রাণের উদ্ভব ঘটলে তাকে বিবর্তন বলা হয়। শুধু প্রজননগত অন্তরণ বিবর্তনের প্রমাণ নয়।
প্রজাতির বহুল প্রচলিত সংজ্ঞা বিজ্ঞানী মেয়ারের দেয়া, যা ফাইলোজেনি ভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরণ করে। তবে আজকাল প্রোপাগাণ্ডা জোরদার করতে সংজ্ঞা আরও শিথিল করেছে।
In the past, it was thought that two different species must be unable to produce fertile offspring in order to be defined as such. But in more recent years, it has been established that many birds and other animals that we consider to be unique species are in fact able to interbreed with others to produce fertile young.
অতীতে নিজেদের মধ্যে প্রজননে অক্ষম প্রাণীদের আলাদা প্রজাতি বলা হত। আজকাল নিজেদের মধ্যে প্রজননে সক্ষম হলেও পৃৃথক প্রজাতি বলা হয়।
কিছুদিন পর হয়তো বলবে, কৃৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গ নিজেদের মধ্যে প্রজননে সক্ষম হলেও আলাদা প্রজাতি। অতীতে এই যুক্তি দিয়েই ডারউইনবাদীরা আফ্রিকায় তাণ্ডব চালিয়েছিল। এখন বলবে, conspiracy theory.
যাইহোক, প্রজাতি নিরূপণে নিপুণ নকশা তাত্ত্বিকরা টাইপোলজি ভিত্তিক রীতিসিদ্ধ পদ্ধতি অনুসরণ করে।
কিন্তু কোন কিছুকে প্রজাতি বলে অভিহিত করার মানেই হল শ্রেণিকরণ। আর প্রাণীর শ্রেণিবিন্যাস মূলত বিবর্তন তত্ত্বকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। স্টিফেন জে গুল্ড লিখেছেন,
how could the existence of distinct species be justified by a theory [evolution] that proclaimed ceaseless change as the most fundamental fact of nature?
কীভাবে পৃথক প্রজাতির অস্তিত্বকে এমন একটি তত্ত্ব [বিবর্তন] দ্বারা ন্যায্যতা দেওয়া যেতে পারে যা নিরবচ্ছিন্ন বিবর্তনকে প্রকৃতির সবচেয়ে মৌলিক সত্য হিসাবে ঘোষণা করে?
(Stephen Jay Gould, “A Quahog Is a Quahog,” Natural History (August/ September 1979); also published in New Scientist as “Species Are Not Specious” (August 2, 1979).)
কোনও বিবর্তনবাদীর চোখে কেন প্রজাতি বলে কিছু থাকতে হবে? যদি সমস্ত জীবন একটি ছোট জিন পুল থেকে নির্বাচিত মিউটেশনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে বিস্তারের দ্বারা উত্পাদিত হয়, তবে জীবগুলি সত্যই পার্থক্যসূচক সীমানা প্রদর্শন ছাড়াই একে অপরের মধ্যে রূপান্তরিত হওয়া উচিত। ডারউইন নিজেও সমস্যাটি স্বীকার করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি প্রজাতির বাস্তবতা অস্বীকার করেছিলেন।
মাইকেল ডেন্টন তার evolution :a theory in crisis বইয়ে দেখিয়েছেন যে, শ্রেণিবিদ্যার নেতৃৃস্থানীয় বিজ্ঞানীরা নিপুণ নকশা তাত্ত্বিকদের টাইপোলজি ভিত্তিক সংজ্ঞার দিকে ঝুকে পড়ছেন। ডেন্টন বলেছেন, যদি বিবর্তন তত্ত্ব সত্য হত, জীবের শ্রেণিবিন্যাসের একটি ধারাবাহিক বিন্যাস প্রদর্শন করা উচিত, যেমন বায়ুর গতির শ্রেণিবিন্যাস, যাকে চলমান ধারা যেকোন অংশে বিভক্ত করা যায় (যেমন, 1, 2, 3, 4 ক্রমে হারিকেনের বাতাসের বেগের শ্রেণিবিন্যাস)। (Denton, Evolution: A Theory in Crisis, chapters 5–9.) তার বিপরীতে, জীবকূল পার্থক্যসূচক শ্রেণিতে আবদ্ধ, যার প্রতিটি সদস্য তার দলের পক্ষে "যোগ্য-প্রতিনিধি" এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর সদস্যদের থেকে সমদূরবর্তী।
স্টিফেন গোল্ড বলেছিলেন,"existence of distinct species was quite consistent with creationist tenets of a pre-Darwinian era". "স্বতন্ত্র প্রজাতির অস্তিত্ব একটি প্রাক-ডারউইনিয়ান যুগের সৃষ্টবাদী তত্ত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ"।
প্রজাতির অস্তিত্ব তাই নিপুণ নকশা তত্ত্বের প্রমাণ।