Are you sure?

বিবিধ »  বিবিধ

পিয়ার রিভিউ না হলে বিজ্ঞানসম্মত না?

 

Table of Contents

শুরুর কথা... 1

প্রয়োজনীয়তা... 2

পিয়ার রিভিউ নয়, কিন্তু বিজ্ঞানসম্মত.. 3

সুপ্রিম কোর্টের সম্মতি... 5

পিয়ার রিভিউ: সীমাবদ্ধতা... 7

. পিয়ার রিভিউ মান নির্ভুল হবার নিশ্চয়তা দেয় না।. 7

2. পিয়ার রিভিউ করে জালিয়াতি বন্ধ হয় না... 9

. পিয়ার রিভিউ কদাচিৎ নিরপেক্ষতা বজায় রাখে।. 10

. পিয়ার রিভিউ থেকে পক্ষপাত.. 14

. পিয়ার রিভিউ থেকে বিবাচন.. 21

মতবিরোধ রোধেপিয়ার রিভিউতাসের ব্যবহার.. 23

জবরদস্তি সর্বসম্মতি... 26

শেষ কথা... 28

 

শুরুর কথা

পিয়ার রিভিউ হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার দ্বারা প্রস্তাবিত কিছু (গবেষণা বা প্রকাশনা হিসাবে) উপযুক্ত শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞদের একদল দ্বারা মূল্যায়ন করা হয়।

আজকের দিনে, আমরা প্রায়ই পিয়ার রিভিউ প্রক্রিয়া দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বিজ্ঞানকে সত্যের নিরপেক্ষ উত্স মনে করি। দুর্ভাগ্যবশত, বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা পক্ষপাত [পাবলিকেশন বায়াস] বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রবেশ করেছে, যা বেশ ভালভাবে নথিভুক্ত হয়েছেএক কথায়, গবেষণা মানের তুলনা ব্যতীত, অন্য কারণে কিছু নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি অন্যদের তুলনায় প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

অনেকেই হয়তো নকশা তত্ত্বের পক্ষে পিয়ার রিভিউ পেপারের লিস্ট দেখেছেন। [লিংক] অতীতে, সমালোচকরা অভিযোগ করেছিলেন যে, আইডি তত্ত্ব "পিয়ার-পর্যালোচিত গবেষণা" প্রকাশ না করা পর্যন্ত তাকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করা যাবে না। নিপুণ নকশা তত্ত্ব ও ডারউইনবাদের দর্শনগত বিরোধ বিজ্ঞানের ইতিহাসে একক নয়। মতাদর্শিক বিরোধ ইতিহাসে অনেক।[i] তবুও এটি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে পিয়ার-পর্যালোচিত মুদ্রণে স্বীকৃতি পাওয়া কোনও ধারণার বৈজ্ঞানিক যোগ্যতা প্রদর্শনের জন্য আবশ্যকীয় নয়।

প্রয়োজনীয়তা

স্বাভাবিকভাবেই আপনি চাইবেন আপনার গবেষণার সব ঠিক আছে কিনা তা এই ব্যাপারে অভিজ্ঞ কেউ একটু খতিয়ে দেখুক। তবে ভুলে গেলে চলবে না, এই অভিজ্ঞ লোকেরা স্বার্থপর- হিংসুক মানবজাতির অংশ।

তাই পিয়ার রিভিউ না হলেই সেই গবেষণাপত্র একদম উড়িয়ে দেয়া বাতুলতা। Lawrence Altman লিখেছেন যে, পিয়ার রিভিউ হলেই তা নিখুঁত নয়: ‘...has created a widespread misimpression that passing peer review is the scientific equivalent of the Good Housekeeping seal of approval.[ii]

শুধু তাই না, অধিক ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরের বিখ্যাত ম্যাগাজিনে প্রকাশিত গবেষণাপত্র বিজ্ঞানবাদীদের নিকটে পেয়ে যাচ্ছে আকাশচুম্বী গ্রহণযোগ্যতা। থমাস স্ট্রসেল বলেন, But unbeknownst to the media, the journals at the top got there because of herd behavior by researchers, not because they are better than lower-tier journals at vetting research quality. Here’s why: Researchers submit their best work to the top journals, which can therefore afford to maintain their prestige by rejecting, not publishing, many high-quality papers. That’s brand creation—not science. Most of their editorial effort goes into deciding which submitted papers are sufficiently newsworthy. Anonymous peer review by jealous competitors has its merits, but it has a tendency to select for fashionable if relatively unoriginal and inoffensive papers … although these reports often do not substantively advance scientific knowledge, and many subsequently are invalidated.

‘শীর্ষস্থানীয় জার্নালগুলি গবেষকদের দলীয় আচরণের কারণে আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে, গবেষণার মান পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে তারা নিম্ন-স্তরের জার্নালের চেয়ে ভাল বিধায় খ্যাতির আসনে আসীন হয় নি, কিন্তু গণমাধ্যম তা জানে না। কারণ হল: গবেষকরা শীর্ষস্থানীয় জার্নালে তাদের সেরা কাজ জমা দেন, যার ফলে অনেক উচ্চমানের কাগজপত্র প্রত্যাখ্যান করা, প্রকাশ না করার পরেও যেন তাদের সম্মান বজায় রাখতে পারেন। এতে ব্র্যান্ড সৃষ্টি হয় — বিজ্ঞান নয়। তাদের  সম্পাদকীয় প্রচেষ্টার বেশিরভাগ এই সিদ্ধান্ত নিতে ব্যয় হয়ে যায় যে, কোন গবেষণাপত্র পাঠকের নজর কাড়বে। হিংস্র প্রতিযোগীদের দ্বারা বেনামে পর্যালোচনার কিছু ভাল গুণ রয়েছে, তবে এতে তুলনামূলকভাবে অনাক্রমণাত্মক এবং অযৌক্তিক কাগজগুলি কেতাদুরস্তের জন্য বেছে নেওয়ার প্রবণতা থাকে… অথচ এই প্রতিবেদনগুলি প্রায়শই বৈজ্ঞানিক জ্ঞান অগ্রসরে কোন উপকারেই আসে না এবং এমনকি পরবর্তীকালে অনেক কিছুই অবৈজ্ঞানিক প্রমাণিত হয়।[iii]

পিয়ার রিভিউ নয়, কিন্তু বিজ্ঞানসম্মত

অনেক যুগান্তকারী আবিষ্কার পিয়ার রিভিউ হয় নি। অনেক আবিষ্কার আবার পিয়ার রিভিউ না হয়ে বই আকারে প্রকাশিত হয়েছিল। যেমনঃ কোপার্নিকাসের De Revolutionibus, নিউটনের প্রিন্সিপিয়া।

ডিএনএ নিয়ে ওয়াটসন - ক্রিকের গবেষণাপত্র পিয়ার রিভিউ ছিল না। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্ব Annalen der Physik জার্নালে প্রকাশিত হলেও, আসলে তা পিয়ার রিভিউ হয় নি।[iv]

আবার তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্র(শক্তির সংরক্ষণশীলতার নীতি) আবিস্কারের পাণ্ডুলিপি তৎকালীন প্রভাবশালী জার্মান ম্যাগাজিন journal Annalen der Physik-এর পিয়ার রিভিউ কমিটি ফিরিয়ে দিয়েছিল।[v]

সাইন্স ও ন্যাচার ম্যাগাজিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা প্রত্যাখ্যান করেছে, এমনকি নোবেল বিজয়ী গবেষণাও প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জুয়ান মিগুয়েল লিখেছেন।[vi] তিনি ৪ টি উদাহরণ দিয়েছিলেনঃ

১. ১৯৮১ সালে ‘ন্যাচার’ ব্রিটিশ প্রাণরসায়নবিদ রবার্ট মিচেলের হরমোনের সিগন্যাল বিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা প্রত্যাখ্যান করে, যা ১৮০০ বার উদ্ধৃত হয়েছে।

২. ১৯৩৭ সালে ‘ন্যাচার’ সাইট্রিক এসিডের ক্রেবস চক্র প্রত্যাখ্যান করে, যা নোবেল পুরস্কার পায়।

৩. হারমুট মিচেলের গবেষণা প্রত্যাখ্যান করে, যা ১৯৮৮ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পায়।

৪. ১৯৮৩ সালে মাইকেল বিরেজের পেপার প্রত্যাখ্যান করে, যা ১৯০০ বার উদ্ধৃত হয়েছে।[vii]

খ্যাতনামা ম্যাগাজিন ন্যাচার পিয়ার রিভিউয়ের ভুল স্বীকারপূর্বক সম্পাদকীয় প্রকাশ করে লিখেছে, (T)here are unarguable faux pas in our history. These include the rejection of Cerenkov radiation, Hideki Yukawa’s meson, work on photosynthesis by Johann Deisenhofer, Robert Huber and Hartmut Michel, and the initial rejection (but eventual acceptance) of Stephen Hawking’s black-hole radiation.

আমাদের ইতিহাসে বিব্রতকর কিছু ভুল হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চেরেনকোভ বিকিরণকে প্রত্যাখ্যান করা, হিদেকি ইউকোয়া'র মেসন, জোহান ডিসেনহোফার, রবার্ট হুবার এবং হার্টমুট মিশেলের সালোকসংশ্লেষণের গবেষণা এবং স্টিফেন হকিংয়ের ব্ল্যাকহোল বিকিরণের প্রাথমিক প্রত্যাখ্যান (তবে শেষ অবধি গ্রহণ)[viii]

এছাড়াও বিটা ক্ষয় সংক্রান্ত এনরিকো ফার্মি-র দূর্বল মিথস্ক্রিয়া তত্ত্ব ন্যাচার ম্যাগাজিন প্রত্যাখ্যান করেছিল, কারণ ফার্মি-র তত্ত্ব নাকি অতি কল্পিত ছিল।[ix]

ক্যাম্পানারিও লিখেছেন, Something is wrong with the peer review system when an expert considers that a manuscript is not of enough interest and it later becomes a classic in its discipline (or, even worse, when the work reported in a rejected paper earns the Nobel Prize). … Contrary to reports by the American Association for the Advancement of Science and the National Academy of Sciences, publication in a peer-reviewed journal is not necessarily the best means of identifying valid research.

“পিয়ার রিভিউ সিস্টেমের মধ্যে কিছু সমস্যা রয়েছে, যখন কোনও বিশেষজ্ঞ বিবেচনা করেন যে একটি পান্ডুলিপি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ নয় এবং এটি পরে তার অনুশাসনের একটি ক্লাসিক হয়ে যায় (বা আরও খারাপ হলে, যখন প্রত্যাখাত কাজটি নোবেল পুরস্কার অর্জন করে)। … আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্স এবং ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেসের প্রতিবেদনের বিপরীতে, পিয়ার-পর্যালোচিত জার্নালে প্রকাশ করা, বৈধ গবেষণা শনাক্ত করার সর্বোত্তম উপায় নয়”[x]

সুপ্রিম কোর্টের সম্মতি

১৯৮৩ সালে Daubert v. Merrell Dow Pharmaceuticals, Inc. মামলায় সুপ্রিম কোর্ট মতামত দেয় যে, পিয়ার-পর্যালোচিত জার্নালগুলিতে প্রকাশনা আইনানুগ বিজ্ঞানের সূচক হতে পারে, এটি অগত্যা ভাল বিজ্ঞানের সূচক নয়:

Publication (which is but one element of peer review) is not a sine qua non of admissibility; it does not necessarily correlate with reliability, and in some instances well-grounded but innovative theories will not have been published. Some propositions, moreover, are too particular, too new, or of too limited interest to be published.

“প্রকাশনা (যা পিয়ার রিভিউর একটি উপাদান) গ্রহণযোগ্যতার জন্য অপরিহার্য নয়; এটি অগত্যা নির্ভরযোগ্যতার সাথে সম্পর্কিত করা যেতে পারে না এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে মজবুত ভিত্তির তবে নতুন তত্ত্বগুলি প্রকাশিত হবে না। তদতিরিক্ত, কিছু প্রস্তাব খুব নির্দিষ্ট, খুব নতুন, বা প্রকাশের জন্য খুব সীমিত আগ্রহ দেখানো হয়।[xi]

তারা আরও স্বীকার করে যে, পিয়ার রিভিউ হয় নি এমন গবেষণা বৈজ্ঞানিকভাবে নির্ভুল হতে পারে।[xii] তখন ইতিহাসবেত্তা ও বিজ্ঞানীদের একটি দলের মুখপাত্র হিসাবে বিবর্তনবাদী স্টিফেন জে গোল্ড জোর দিয়ে বলেছিলেন যে, অজনপ্রিয় বিজ্ঞানসম্মত তত্ত্ব পিয়ার রিভিউ-এর কারনে বাতিল হয়ে যেতে পারেঃ

Judgments based on scientific evidence, whether made in a laboratory or a courtroom, are undermined by a categorical refusal even to consider research or views that contradict someone’s notion of the prevailing “consensus” of scientific opinion. Science progresses as much or more by the replacement of old views as by the gradual accumulation of incremental knowledge. Automatically rejecting dissenting views that challenge the conventional wisdom is a dangerous fallacy, for almost every generally accepted view was once deemed eccentric or heretical. Perpetuating the reign of a supposed scientific orthodoxy in this way, whether in a research laboratory or in a courtroom, is profoundly inimical to the search for truth. A categorical refusal even to examine and consider scientific evidence that conflicts with some ill-defined notion of majority opinion is a recipe for error in any forum.

Unable or unwilling to investigate scientific methodology and determine just what is orthodox and “generally accepted,” the Ninth Circuit instead seized upon publication in a peer-reviewed scientific journal as the badge of respectability, the sine qua non of admissible “good science.” The court thereby converted that editorial tool into something no scientist or journal editor ever meant it to be: a litmus test for scientific truth. This is not the way scientists work in their laboratories and symposia, and it is not the way that science should be used in the courtroom if the goal is to ensure the most accurate and valid judgments possible.

[…]

As scientists, physicians, historians of science and sociologists of science who are members of the “scientific community,” amici can assure the Court that this is not how scientists work in their pursuit of truth. Amici challenge the Ninth Circuit’s premise that the only “good science” is that which is “generally accepted” and published in peer-reviewed journals, and reject the notion that scientific analysis and conclusions that might diverge from what a court deems the published “consensus” are so unreliable as to be wholly unworthy of consideration. The quality of a scientific approach or opinion depends on the strength of its factual premises and on the depth and consistency of its reasoning, not on its appearance in a particular journal or on its popularity among other scientists. Even if it were possible to determine the existence and character of a “consensus,” which is itself a task fraught with difficulty, prevailing views and conventional wisdom have all too often been consigned to the dust heap of the history of science. If the purpose of the Federal Rules of Evidence is to enable the fact-finder to make the most informed decision possible, by providing the assistance of qualified experts who possess “scientific, technical or other specialized knowledge [that] will assist the trier of fact to understand the evidence or to determine a fact in issue,” Fed.R.Evid. 702, then it would be a grave mistake to require that all scientific analysis be supported by a consensus and published in a particular form in order to be considered.[xiii]

পিয়ার রিভিউ: সীমাবদ্ধতা

. পিয়ার রিভিউ মান নির্ভুল হবার নিশ্চয়তা দেয় না।

মাঝারি ও নিম্নমানের জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা বঙ্গীয় বিজ্ঞানবাদী ব্যতীত অন্যান্য কট্টর পিয়ার রিভিউ রক্ষকরা প্রত্যাখ্যান করে না এবং উপরন্তু, ভুল তথ্য প্রকাশ করে নি, এমন কোন জার্নাল নেই।[xiv] ভুল শুধরাতেও অনেক বছর লেগেছে, এমন ঘটনা কম না।[xv]

সক্স বলেন, 'যখন কোন লেখকের একটি কাগজে মনগড়া তথ্য পাওয়া যায়, তখন বিজ্ঞানীরা সেই লেখকের সমস্ত প্রকাশনা খুব কমই পরীক্ষা করেন, তাই বৈজ্ঞানিক পত্র কল্পনার চেয়ে বেশি দূষিত হতে পারে। 'সোক্স এবং রেনি নথিভুক্ত করেছেন যে, ভুয়া কাগজটি প্রায়শই কার্যকরভাবে বৈজ্ঞানিক মহল থেকে মুছে ফেলা হয় না, কারণ নতুন গবেষণাপত্রের লেখকরা প্রত্যাহারকৃত গবেষণা উদ্ধৃত করে চলে।[xvi]

২০০৮ সালে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জার্নালে প্রকাশিত একটি পেপারের মতে, [T]he process is under assault from critics who say it is ineffective at filtering out poor research, while it perpetuates predictable work at the expense of more imaginative thinking.

প্রক্রিয়াটি সমালোচকরা আক্রমণ করছে এই বলে যে, এটি দুর্বল গবেষণাকে ছাঁটাই করার কাজে নিষ্ক্রিয়, বরং এটি কাল্পনিক চিন্তাভাবনা ব্যয় করে অনুমানযোগ্য কাজকে স্থায়িত্ব দান করে।[xvii]

২০১৫ সালে সাইন্স ম্যাগাজিনে ২৫০ জন সহরচয়িতা মনোবিজ্ঞানের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক তথ্যের পুনঃউৎপাদনযোগ্যতা নিরূপনের চেষ্টা করেন।[xviii] কারন, একই শর্তসাপেক্ষে একই ফলাফল প্রপাওয়া যাবে- এটাই বিজ্ঞানের অন্যতম ভিত্তি। দেখা যায় যে, ১০০ টি পূর্ব প্রকাশিত গবেষণার মাত্র ৩৯ টি পুনরায় প্রতিপাদন করা গেছে। মানে, বাকি ৬১% গবেষণার উপাত্ত ভুয়া।

ফার্মাকোলজির প্রফেসর David Colquhoun মনে করেন, মিলিয়ন মিলিয়ন পেপার প্রকাশ করার কারনে পিয়ার রিভিউ সিস্টেম আর ভাল কাজ করছে না। রিভিউ করার মত জনবল নেই। তাই অনেক মান হীন গবেষণাও প্রকাশিত হচ্ছে। David Colquhoun বলেন, “The blame for this sad situation lies with the people who have imposed a publish-or-perish culture, namely research funders and senior people in universities. To have “written” 800 papers is regarded as something to boast about rather than being rather shameful. University PR departments encourage exaggerated claims, and hard-pressed authors go along with them.”

এই দুঃখজনক পরিস্থিতির জন্য ‘প্রকাশ বা নাশ সংস্কৃতি’ সৃষ্টিকারীরা দায়ী, যথা- গবেষণা তহবিলকারী এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রবীণ ব্যক্তিরা। ৮০০ টি কাগজ “লিখে রাখা” লজ্জাজনক হওয়ার চেয়ে গর্ব করার মতো কিছু হিসাবে বিবেচিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগগুলি অতিরঞ্জিত দাবিগুলিকে উত্সাহ দেয় এবং কঠোর চাপের মুখে লেখকরা তাদের সঙ্গ দেন।[xix]

আবার ৩৬ টি সম্ভাব্য নোবেল বিজয়ী আবিষ্কারের তালিকা করেছেন, যা মানসম্পন্ন হওয়া সত্বেও কতিপয় বিজ্ঞানী মহল ও সম্পাদকরা বিরোধিতা করার কারনে প্রকাশিত হয় নি।[xx] নোবেল বিজয়ীদের আত্ম-জীবনী নোবেল প্রাইজের ওয়েবে গিয়ে পড়লেই দেখবেন, অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে, তাদের গবেষণা প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল।

2. পিয়ার রিভিউ করে জালিয়াতি বন্ধ হয় না

British Medical Journal এর সম্পাদক Richard Smith বলেন যে, গবেষণায় নিয়মিত জালিয়াতি করা হয়। তিনি বলেন, most cases are not publicised. They are simply not recognised, covered up altogether or the guilty researcher is urged to retrain, move to another institution or retire from research

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই (জালিয়াতির তথ্য) প্রচার হয় না। এগুলিকে শুধু (মিথ্যা হিসাবে) স্বীকৃতি দেওয়া হয় না, পুরোপুরি চেপে রাখা হয় বা দোষী গবেষককে পুনরায় প্রশিক্ষণ করানো হয়, অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে যায় বা গবেষণা থেকে অবসর নেওয়ার জন্য জোর করা হয়।

স্মিথ আরও স্বীকার করেন যে, ভুয়া গবেষণাগুলো মামলা মোকদ্দমার ভয় না থাকলে প্রকাশক তা প্রত্যাহার করে না।[xxi]

একবিংশ শতাব্দীতে পদার্থবিদ্যায় প্রতারণার সবচেয়ে বড় ঘটনাগুলির মধ্যে একটি হল, নিউ জার্সির বেল ল্যাবরেটরিজ-এর ন্যানোটেকনোলজির একজন তরুণ গবেষক জ্যান হেনড্রিক শোনের। তিনি যুগান্তকারী সাফল্যের পর সাফল্য অর্জন করে চলছিলেন এবং তিনটি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু 2002 সালে, বেশ কিছু পদার্থবিজ্ঞানী লক্ষ্য করলেন যে, একই ডেটা বিভিন্ন গবেষণাপত্রে বিভিন্ন পরীক্ষায় উপস্থিত রয়েছে। এরপর একটি তদন্ত কমিটি বৈজ্ঞানিক অসদাচরণের ষোলটি ঘটনা খুঁজে পায়, যার বেশিরভাগ ডেটা-ই তৈরি করা বা পুনর্ব্যবহার করা। তদন্তের ফলস্বরূপ, সাইন্স ম্যাগাজিনের নয়টি এবং ন্যাচারের সাতটি সহ অন্য বৈজ্ঞানিক জার্নালগুলি থেকে মোট 2৮টি গবেষণাপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছিল৷ [Wikipedia entry on ‘Schön scandal’: http://en.wikipedia.org/wiki/Schön_scandal]

পিয়ার রিভিউ দ্বারাই বিবর্তনবাদীরা পিল্টডাউন মানবের ফসিল প্রতারণার অবতারণা করেছিল। যা 40 বছর ধরে নিপুণ নকশা তত্ত্বের বিরুদ্ধে পেশ করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য প্রতারণা হল, Hwang Woo-suk এর ভ্রূণীয় স্টেম কোষ ক্লোনিং; ন্যাচার ম্যাগাজিনে Jan Hendrik Schön প্রকাশিত superconductivity এর জালিয়াতি।

এছাড়া জার্মানির Professor Reiner Protsch von Zieten মানুষের বিবর্তনকে সত্য প্রমাণের জন্য জীবাশ্মের সময় নির্ধারণে এত বেশি জালিয়াতি করেছেন যে, অন্যান্যরা বলেছেন যে, এখন মানুষের বিবর্তনের ইতিহাস নতুন করে লিখতে হবে। এমনকি তিনি নিয়ান্ডারথাল মানবের জীবাশ্ম নিয়েও জালিয়াতি করেছেন। তার গবেষণাপত্রের সবই বিবর্তনবাদী ম্যাগাজিনে পিয়ার রিভিউড মার্কায় ঢালাওভাবে প্রচার হত।[xxii]

বিজ্ঞানের উপাসক নাস্তিক দার্শনিক ডেনিয়েল ডেনেট প্রতারণা চাপিয়ে রাখতে উৎসাহ দিয়ে বলেন,

‘Since the belief in the integrity of scientific procedures is almost as important as the actual integrity, there is always a tension between a whistle-blower and the authorities, even when they know that they have mistakenly conferred scientific respectability on a fraudulently obtained result.’
'যেহেতু বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সাধুতায় বিশ্বাস রাখা প্রকৃত সাধুতার মতোই গুরুত্বপূর্ণ, তাই একজন তথ্য-ফাসকারী এবং কর্তৃপক্ষের মধ্যে সর্বদা বিরোধ থাকে, এমনকি যদিও তারা জানতে পারে যে, তারা ভুল ফলাফলকে বৈজ্ঞানিক সম্মান প্রদান করেছে। '
[Dennett, D. (2006), Breaking the Spell: Religion as a Natural Phenomenon, Viking, New York, NY.]

আরেকটি সাম্প্রতিক উদাহরণ হল, হার্ভার্ডের জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক মার্ক হাউসারকে 2010 সালে হার্ভার্ডে একটি অফিসিয়াল তদন্তে বৈজ্ঞানিক অসদাচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তিনি বানরদের উপর পরীক্ষায় তথ্য মিথ্যে বা উদ্ভাবন করেছিলেন। [Nature (2010), ‘News briefing’, Nature, 467, 11.] এবারও, তার অসততা পিয়ার-রিভিউ প্রক্রিয়া দ্বারা সনাক্ত করা যায়নি। সমালোচনা আলোচনায় আসে যখন একজন স্নাতক ছাত্র তথ্য ফাঁস করে দেয়। হাউসার Moral Minds: The Nature of Right and Wrong (2007) নামে একটি বইয়ের লেখক, যেখানে তিনি দাবি করেন যে, নৈতিকতা একটি উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত প্রবৃত্তি, যা বিবর্তন দ্বারা উত্পাদিত এবং ধর্ম থেকে স্বাধীন। হাউসার একজন নাস্তিক, এবং তার ফলাফল একটি নাস্তিকিয় দৃষ্টিকোণকে সমর্থন করে। তার জালিয়াতি উন্মোচিত হওয়ার কয়েক মাস আগে একটি সাক্ষাত্কারে, তিনি বলেছিলেন যে তার গবেষণায় দেখা গেছে যে,

'নাস্তিকরা ধার্মিকদের মতোই নীতিবান'।

[Daily Telegraph (2010), ‘ “Atheists just as ethical as churchgoers”, new research shows’, Daily Telegraph, 9 February.]

. পিয়ার রিভিউ কদাচিৎ নিরপেক্ষতা বজায় রাখে।

ল্যান্সেটের সম্পাদক হর্টন লিখেছেন, The mistake, of course, is to have thought that peer review was any more than a crude means of discovering the acceptability—not the validity—of a new finding. Editors and scientists alike insist on the pivotal importance of peer review. We portray peer review to the public as a quasi-sacred process that helps to make science our most objective truth teller. But we know that the system of peer review is biased, unjust, unaccountable, incomplete, easily fixed, often insulting, usually ignorant, occasionally foolish, and frequently wrong

পিয়ার রিভিউ কোনও নতুন আবিষ্কারের সত্যতা বুঝায় না, এবং এটা গবেষণার গ্রহণযোগ্যতা অনুধাবনের মানহীন মাধ্যম ছাড়া আর কিছু নয়। সম্পাদক এবং বিজ্ঞানীরা উভয়ই পিয়ার পর্যালোচনাকে কেন্দ্রীয় গুরুত্ব ভেবে জোর দিয়ে থাকেন। আমরা জনগণের কাছে পিয়ার পর্যালোচনাকে একটি অর্ধ-পবিত্র প্রক্রিয়া হিসাবে চিত্রিত করি যেন তা বিজ্ঞানকে আমাদের নিকট সবচেয়ে নিরপেক্ষ সত্যবাদী বানাতে সাহায্য করে। তবে আমরা জানি যে পিয়ার রিভিউয়ের ব্যবস্থা পক্ষপাতদুষ্ট, অন্যায়, দায়মুক্ত, অসম্পূর্ণ, প্রায়শই নির্দিষ্ট, প্রায়শই অপমানজনক, সাধারণত অজ্ঞ, মাঝে মাঝে বোকা এবং প্রায়শই ভুল[xxiii]

Journal of the American Society for Information Science জানিয়েছেঃ Sometimes scientists encounter strong resistance from peers to their new ideas. The scientific community often finds it difficult to accept new ideas or methods and unexpected observations. The greatest and most harmful source of resistance from scientists to scientific discovery comes precisely from those peers whose mission is to preserve the quality of scientific work: The editors and referees of scientific journals.

কখনও কখনও বিজ্ঞানীরা সমকক্ষদের কাছ থেকে তাদের নতুন ধারণার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধের মুখোমুখি হন। বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়টি প্রায়শই নতুন ধারণা বা পদ্ধতি এবং অপ্রত্যাশিত পর্যবেক্ষণ গ্রহণ করতে চায় না। বিজ্ঞানীদের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় এবং ক্ষতিকারক উত্স হল সেসব সমকক্ষ, যাদের লক্ষ্য বৈজ্ঞানিক কাজের গুণগতমান সংরক্ষণ করা: বৈজ্ঞানিক জার্নালের সম্পাদক এবং বিচারক।[xxiv]

রবার্ট হিগস লিখেছেন, Peer review, on which lay people place great weight, varies from important, where the editors and the referees are competent and responsible, to a complete farce, where they are not. As a rule, not surprisingly, the process operates somewhere in the middle, being more than a joke but less than the nearly flawless system of Olympian scrutiny that outsiders imagine it to be. Any journal editor who desires, for whatever reason, to knock down a submission can easily do so by choosing referees he knows full well will knock it down; likewise, he can easily obtain favorable referee reports. As I have always counseled young people whose work was rejected, seemingly on improper or insufficient grounds, the system is a crap shoot. Personal vendettas, ideological conflicts, professional jealousies, methodological disagreements, sheer self-promotion and a great deal of plain incompetence and irresponsibility are no strangers to the scientific world; indeed, that world is rife with these all-too-human attributes

পিয়ার পর্যালোচনা, যার উপর লোকেরা বড় আস্থা রাখে, সম্পাদক এবং রেফারিদের উপযুক্ততা এবং দায়বদ্ধতার উপর ভিত্তি করে গুরুত্বপূর্ণ থেকে সম্পূর্ণ প্রহসনে পরিণত হতে পারে। আশ্চর্যজনকভাবে বাইরের লোকদের কল্পনার অলিম্পিয়ান যাচাই-বাছাইয়ের মত নিখুঁত না হলেও, পিয়ার রিভিউ প্রক্রিয়াটি নিখাদ ভাড়ামি ও প্রায় নিখুঁতের মাঝামাঝি ওঠানামা করে। যে কোনও কারণেই হোক, সম্পাদক কোন গবেষণা পত্র ছাপাতে না চাইলে, সহজেই তিনি তার সুপরিচিত একজন রেফারিকে বেছে নিয়ে সহজেই গবেষণা প্রত্যাখ্যান করতে পারে; তেমনি, তিনি সহজেই অনুকূলে যাবে এমন রেফারি দিয়ে রিভিউ করাতে পারেন। আপাতদৃষ্টিতে অনুচিত বা অপর্যাপ্ত কারণে প্রত্যাখ্যাত গবেষক যুবকদের আমি সবসময় পরামর্শ দিয়েছি, সিস্টেম এলোপাথাড়ি কাজ করে। ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা, মতাদর্শগত দ্বন্দ্ব, পেশাদারী ঈর্ষা, পদ্ধতিগত দ্বিমত, নিছক স্ব-পদোন্নতি এবং একইসাথে সরল অক্ষমতা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতা বৈজ্ঞানিক জগতে অপরিচিত নয়; প্রকৃতপক্ষে, এই পৃথিবীটি সমস্ত-মানব-গুণাবলীতে পরিপূর্ণ[xxv]

current anthropology এর সম্পাদক লিখেছেন, And the most difficult question to handle editorially is the matter of ad hominem attacks seeking publication, and the even more ad hominem (verging on libelous) replies of those who feel they have been attacked … If one thing clearly emerges from the editorial experience, it is that our colleagues are emotional, easily hurt, and identify very strongly indeed with what passes for objective, impersonal science … [This includes] ‘big names,’ some of whom seem extremely sensitive when their authority is questioned …

সম্পাদকীয় পরিচালনা করার সবচেয়ে কঠিন প্রশ্ন হল প্রকাশিতব্য পত্রের ব্যক্তি আক্রমণ, এবং যারা নিজেদের আক্রমণের শিকার বলে মনে করেন তাদের জবাব আরও বেশি ব্যক্তি আক্রমণ করে (অপমানের চূড়ান্ত সীমায় চলে যায়)... সম্পাদকীয় অভিজ্ঞতা থেকে যদি কোন বিষয় স্পষ্টভাবে দৃষ্টিগোচর হয়, তবে তা হল- আমাদের সহকর্মীরা আবেগপ্রবণ, সহজেই আঘাত পেয়ে যান, এবং আবেগের সাথে নিরপেক্ষ, নৈর্ব্যক্তিক বিজ্ঞানে উত্তীর্ণ সবকিছুকে মিশ্রিত করে ফেলেন ... [এতে অন্তর্ভুক্ত] 'খ্যাতনামা লোক', যাদের মধ্যে কেউ কেউ তাদের কর্তৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হলে অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে যান বলে মনে হয়…[xxvi]

এই বস্তুনিষ্ঠতার অভাবের বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে — মূলত গবেষণার জন্য তহবিলের প্রতিযোগিতা, হয়তো তার পিয়ার হলেন সেই ব্যক্তি যিনি এই গবেষণা তহবিলের বরাদ্দ নিয়ন্ত্রণ করেন।

সাইন্স ম্যাগাজিনে মার্টিন লিখেছেন, Mention ‘peer review’ and almost every scientist will regale you with stories about referees submitting nasty comments, sitting on a manuscript forever, or rejecting a paper only to repeat the study and steal the glory

‘পিয়ার রিভিউ’ এর কথা বললেই, প্রায় প্রতিটি বিজ্ঞানী আপনাকে রেফারিদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করে অনেক গল্প শুনানো শুরু করবে, যেমন- গবেষণা নিয়ে বাজে মন্তব্য করবে, চিরকাল একটি পান্ডুলিপিতে বসিয়ে রাখবে, বা কেবল আবিষ্কার চুরি করার জন্য গবেষণা পুনরাবৃত্তির পরামর্শ দিয়ে কাগজ প্রত্যাখ্যান করার গল্পগুলি দিয়ে আপনাকে মোহিত করবে।[xxvii]

একারনে মেডিসিনে নোবেল বিজয়ী গান্টার ব্লোবেল যখন বলেছিলেন, when your grants and papers are rejected because some stupid reviewer rejected them for dogmatic adherence to old ideas…

“যখন আপনার অনুদান এবং কাগজপত্রগুলি প্রত্যাখ্যান করা হয়, কারণ কিছু বোকা পর্যালোচনাবিদরা পুরানো মতবাদ অনুসারে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন…” তখন করতালিতে গ্যালারি মুখরিত হয়ে গিয়েছিল।[xxviii]

বিজ্ঞান বিষয়ক সাংবাদিক Denyse O’Leary লিখেছেন, “The overwhelming flaw in the traditional peer review system is that it listed so heavily toward consensus that it showed little tolerance for genuinely new findings and interpretations.”

"প্রচলিত পিয়ার রিভিউ সিস্টেমের অপ্রতিরোধ্য ত্রুটি হল, এটি ঐকমত্যের পক্ষে এত বেশি ঝুঁকে আছে যে, এটি সত্যই নতুন অনুসন্ধান এবং ব্যাখ্যাগুলির জন্য সামান্য-ই সহনশীলতা দেখিয়ে থাকে।"[xxix]

নিউ সাউথ ওয়ালেস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রফেসর এভেলিন রিচার্ডস এবিসি রেডিওতে বলেছেন: Science...is not so much concerned with truth as it is with consensus. What counts as “truth”? is what scientists can agree to count as truth at any particular moment in time … [Scientists] are not really receptive or not really open-minded to any sorts of criticisms or any sorts of claims that actually are attacking some of the established parts of the research (traditional) paradigm—in this case neo-Darwinism—so it is very difficult for people who are pushing claims that contradict the paradigm to get a hearing. They’ll find it difficult to [get] research grants; they’ll find it hard to get their research published; they’ll, in fact, find it very hard.

বিজ্ঞান ... সত্যের চেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতকে প্রাধাণ্য দেয়। "সত্য" হল তা, যা কালের যে কোনও নির্দিষ্ট লগ্নে বিজ্ঞানীরা সত্য হিসাবে গণ্য করতে সম্মত হতে পারে ... [বিজ্ঞানীরা] আসলেই প্রচলিত গবেষণা পরিকাঠামোর প্রতিষ্ঠিত কিছু অংশকে আক্রমণ করলে বা কোনও রকম সমালোচনা করলে, সে সকল দাবির প্রতি খোলা মানসিকতা রাখে না- এক্ষেত্রে নব্য-ডারউইনবাদ — সুতরাং এই তাত্ত্বিক পরিকাঠামোর বিরোধিতা করে, এমন লোকদের পক্ষে শুনানি করা খুব কঠিন। তারা গবেষণা অনুদান [পেতে] অসুবিধায় পড়বে; তাদের পক্ষে তাদের গবেষণা প্রকাশ করা কঠিন হবে; সত্যি বলতে, খুব কঠিন হবে।[xxx]

বিশিষ্ট সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার উইলিয়াম উইলসন লিখেছেন, ““If peer review is good at anything, it appears to be keeping unpopular ideas from being published.”

"যদি পিয়ার পর্যালোচনা কোনও বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকে, তবে মনে হয় এটি অপ্রচলিত ধারণা প্রকাশ করা থেকে বিরত রাখতে দক্ষ।"[xxxi]

. পিয়ার রিভিউ থেকে পক্ষপাত

স্টিফেন জে গোল্ড লিখেছিলেন, “[t]he stereotype of a fully rational and objective ‘scientific method,’ with individual scientists as logical (and interchangeable) robots, is self-serving mythology.”

“ব্যক্তি বিজ্ঞানীকে যুক্তিনির্ভর রোবট ভেবে সম্পূর্ণ যৌক্তিক ও বস্তুনিষ্ঠ ‘বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি’-তে বিশ্বাস করা, নিজেকে রূপকথা শোনানোর মত”।[xxxii]

এটা অবাক হওয়ার মতো বিষয় নয় যে, পিয়ার পর্যালোচনা প্রক্রিয়ায় বস্তুনিষ্ঠতার অভাব পক্ষপাতিত্বের দিকে পরিচালিত করে। এই পক্ষপাত বিভিন্ন উপায়ে প্রকাশিত হয়। পর্যালোচক এবং লেখকের মধ্যে ব্যক্তিগত ঈর্ষা থাকলে এড হোমনেম পক্ষপাত ঘটে; বা যখন পর্যালোচক গবেষণামূলক তহবিল, অ্যাপয়েন্টমেন্ট, বা সম্মানের জন্য লেখকের সাথে প্রতিযোগিতা করে এবং তাই পর্যালোচনাকারীর আক্রমণ তাদের কাজের বিষয়বস্তুর চেয়ে লেখকের দিকে ঝুঁকে থাকে। অন্যদিকে, পর্যালোচক যদি লেখকের বন্ধু বা সহকর্মী হয়, তবে পর্যালোচক তাদের কাজের মূল্যায়নে নমনীয় হতে পারে।

যখন লেখকের প্রাতিষ্ঠানিক কর্মস্থানের উপর নির্ভর করে নিবন্ধগুলি গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করা হয়, তখন অনুমোদনের পক্ষপাত ঘটে। তাদের গবেষণার মান যত খারাপ-ই হোক, হার্ভার্ড এবং ইয়েলের মতো মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির লেখকরা তাদের নিবন্ধগুলি ছোট কলেজ বা বেসরকারী থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের লেখকদের চেয়ে প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই সমস্যাটি ডগলাস পিটারস এবং স্টিফেন সিসি-র একটি বিতর্কিত গবেষণায় ভালভাবে প্রকাশিত হয়েছিল, যার মধ্যে বিশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গবেষকদের দ্বারা পূর্বে প্রকাশিত বারোটি নিবন্ধ একই পত্রিকায় পুনরায় দাখিল করা হয়েছিল, তবে ভিন্ন লেখক এবং প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে। ৩৮ জন সম্পাদক এবং পর্যালোচকদের মধ্যে কেবল তিন জন পুনরায় জমা হয়েছে বলে সনাক্ত করেছিলেন এবং নয়টি নিবন্ধনের মধ্যে আটটি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল যদিও সেগুলি একই জার্নালগুলো মাত্র 18 থেকে 32 মাস আগে সেসব প্রকাশ করেছিল![xxxiii] রিক ক্র্যান্ডাল বলেন, ‘The editorial process has tended to be run as an informal, old-boy network which has excluded minorities, younger researchers, and those from lower-prestige institutions … Authors can feel that they’re dealing with hostile gatekeepers whose goal is to keep out manuscripts on picky grounds rather than let in the best work.’

মানে, 'সম্পাদনা প্রক্রিয়াটি একটি অনানুষ্ঠানিক, স্বজনপ্রিয় দল দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে যা সংখ্যালঘু, তরুণ গবেষক এবং অখ্যাত-প্রতিষ্ঠানের লোকদের বঞ্চিত করছে ... লেখকরা অনুভব করতে পারেন যে, তারা শত্রুতাপরায়ণ দারোয়ানদের সাথে কাজ করছেন, যার লক্ষ্য সেরা কাজ বাছাই করার চেয়ে সামান্য অজুহাতে পান্ডুলিপিগুলি বাতিল করা।''[xxxiv]

২০১২ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত নিবন্ধে বিজ্ঞানীদের মাঝে বর্ধিষ্ণু বিতৃষ্ণার কথা উলীখ করা হয়ঃ For centuries, this is how science has operated — through research done in private, then submitted to science and medical journals to be reviewed by peers and published for the benefit of other researchers and the public at large. But to many scientists, the longevity of that process is nothing to celebrate.

The system is hidebound, expensive and elitist, they say. Peer review can take months, journal subscriptions can be prohibitively costly, and a handful of gatekeepers limit the flow of information. It is an ideal system for sharing knowledge, said the quantum physicist Michael Nielsen, only “if you’re stuck with 17th-century technology.”

“কয়েক শতাব্দী ধরে, বিজ্ঞান এভাবেই চালিত হয়েছিল - ব্যক্তিগতভাবে গবেষণার মাধ্যমে, তারপরে বিজ্ঞান ও চিকিৎসা জার্নালগুলিতে গৃহীত হয় পর্যালোচনা করার জন্য এবং তারপর অন্যান্য গবেষক এবং জনসাধারণের সুবিধার জন্য প্রকাশিত হয়। তবে অনেক বিজ্ঞানীর কাছে এই প্রক্রিয়াটির দীর্ঘায়ু উদযাপন করার মতো কিছু নয়।

তারা বলে, সিস্টেমটি সঙ্কীর্ণমনা, ব্যয়বহুল এবং অভিজাত শ্রেণীর। পিয়ারের পর্যালোচনা কয়েক মাস সময় নিতে পারে, জার্নাল সাবস্ক্রিপশন ব্যয়বহুল হতে পারে এবং মুষ্টিমেয় দ্বার-রক্ষক তথ্যের প্রবাহকে সীমাবদ্ধ করে দেয়। কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানী মাইকেল নীলসেন বলেছেন, জ্ঞান ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য এটি একটি আদর্শ সিস্টেম, কেবলমাত্র "যদি আপনি 17 দশ শতাব্দীর প্রযুক্তিতে আটকে থাকেন।"[xxxv]

মতাদর্শগত পক্ষপাত ঘটে যখন তারা যথাক্রমে আলোচ্য বিষয়ে পর্যালোচকের নিজস্ব অবস্থান বা প্রত্যয়কে নিশ্চিত বা অস্বীকার করে কিনা তার উপর নির্ভর করে নিবন্ধগুলি গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করে। উদাহরণস্বরূপ, বিগ ব্যাং মহাবিশ্ববিদ্যায় বিশ্বাসী একজন পর্যালোচক, সুস্থিত-দশার কসমোলজিকে সমর্থন করে এমন কোনও কাগজ যুক্তি ভিত্তিক হলেও খুব কমই ইতিবাচক মূল্যায়ন করবেন। রবার্ট হিগস লিখেছেন:

Researchers who employ unorthodox methods or theoretical frameworks have great difficulty under modern conditions in getting their findings published in the “best” journals or, at times, in any scientific journal. Scientific innovators or creative eccentrics always strike the great mass of practitioners as nut casesuntil it becomes impossible to deny their findings, a time that often comes only after one generation's professional ring-masters have died off. Science is an odd undertaking: everybody strives to make the next breakthrough, yet when someone does, he is often greeted as if he were carrying the ebola virus. Too many people have too much invested in the reigning ideas; for those people an acknowledgment of their own idea's bankruptcy is tantamount to an admission that they have wasted their lives. Often, perhaps to avoid cognitive dissonance, they never admit that their ideas were wrong.

“যেসব গবেষক অপ্রচলিত পদ্ধতি বা তাত্ত্বিক কাঠামো ব্যবহার করেন তাদের গবেষণাগুলি "সেরা" জার্নালে বা কোনও বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত হওয়ার সময় বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে প্রচুর অসুবিধার মুখোমুখি হয়। বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবক বা উদ্ভাবন পাগলদের সর্বদা অসংখ্য সম্পাদকদের মাথাপাগল করে রাখে যতক্ষণ না তাদের আবিষ্কারগুলি অস্বীকার করা অসম্ভব হয়ে যায়, এমন সময় প্রায়শই এক প্রজন্মের পেশাদার রিং-মাস্টার্স মারা যাওয়ার পরে আসে। বিজ্ঞান অদ্ভুত অঙ্গীকার দেয়: প্রত্যেকে আগামী যুগান্তকারী কিছু করার চেষ্টা করে, তবে কেউ যখন তা করে, তখন তাকে প্রায়শই স্বাগত জানানো হয় না, এমন যেন তিনি ইবোলা ভাইরাস বহন করছেন। প্রভাবশালী তত্ত্বের পিছনে অসংখ্য লোক বিপুল সময় বিনিয়োগ করেছেন; এই লোকগুলির জন্য তাদের নিজস্ব ধারণা দেউলিয়া হওয়ার স্বীকৃতি দেয়া, আর নিজেদের জীবন নষ্ট করেছেন সেই স্বীকৃতি দেয়া সমান কথা। প্রায়শই, সম্ভবত জ্ঞানের মতবিরোধ এড়ানোর জন্য, তারা কখনই স্বীকার করে না যে তাদের ধারণা ভুল ছিল”।[xxxvi]

নিপুণ নকশা তত্ত্বের বিরোধিতার কারন আসলে এটাও। মাইকেল বিহি-র একটি পেপার প্রত্যাখ্যানের কারন হিসাবে বলা হয়েছিল, your unorthodox theory would have to displace something that would be extending the current paradigm.

আপনার অপ্রচলিত তত্ত্ব এমন কিছু স্থানচ্যুত করবে যা বর্তমান তত্ত্বকে বিস্তৃত করত।[xxxvii]

2004 সালে, ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইনের সমর্থক ড. স্টিফেন মায়ার, যিনি কোনও সৃষ্টিবাদী নন তবে বিশেষজ্ঞ হিসাবে বিশ্বাস করেন যে বিবর্তন ভুল, তিনি সংক্ষেপে পিয়ার-রিভিউড জার্নাল প্রসিডিংস অফ দ্য বায়োলজিকাল সোসাইটি অব ওয়াশিংটনে একটি নিবন্ধ সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য প্রকাশ করেছিল। কারণ এটি জার্নালের প্রকাশক প্রকাশের এক মাস পরে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। এটি প্রত্যাহার করতে গিয়ে জার্নাল বলেছে, “The Council endorses a resolution on ID published by the American Association for the Advancement of Science which observes that there is no credible scientific evidence supporting ID as a testable hypothesis to explain the origin of organic diversity. Accordingly, the Meyer paper does not meet the scientific standards of the Proceedings.”

“American Association for the Advancement of Science দ্বারা প্রকাশিত আইডি সম্পর্কিত একটি প্রস্তাবকে পরিষদ সমর্থন করেছে, যেখানে তারা দেখেছেন যে জৈব বৈচিত্রের উত্স ব্যাখ্যা করার জন্য পরীক্ষামূলক অনুমান হিসাবে আইডি সমর্থনকারী কোনও বিশ্বাসযোগ্য বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তদনুসারে, মেয়ারের পেপার জার্নাল প্রসিডিংসের বৈজ্ঞানিক মানদণ্ড পূরণ করে না।"[xxxviii]

গবেষণাপত্র গ্রহণকারী সম্পাদক রিচার্ড স্টার্নবার্গকে তা প্রকাশের জন্য তার কর্মক্ষেত্র স্মিথসোনিয়ানে হয়রানি করা হয়েছিল এবং করদাতাদের ডলার নিয়ে কুৎসিতভাবে নিন্দা করা হয়েছিল, যা কংগ্রেসনাল তদন্ত অবধি গড়ায়, কিন্তু তা স্টার্নবার্গকে সমর্থন করেছিল এবং কর্মক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করার জন্য স্মিথসোনিয়ানকে অভিযুক্ত করেছিল।[xxxix] অথচ স্টার্নবার্গ একজন বিবর্তনবাদী, এবং নিপুণ নকশা তাত্ত্বিক নন।[xl]

যারা বিপদজনক হারে জলবায়ু পরিবর্তন অস্বীকার করেন, তাদের কপালেও একই ঘটনা ঘটেছে। মাইকেল ক্রিক্টন বলেছিলেন, “environmentalism seems to be the religion of choice for urban atheists.”

"পরিবেশবাদ শহুরে নাস্তিকদের নির্বাচিত ধর্ম বলে মনে হচ্ছে।"[xli]

MIT এর বায়ুমণ্ডল বিজ্ঞানের প্রফেসর লিখেছেনঃ who dissent from the alarmism have seen their grant funds disappear, their work derided, and themselves libelled as industry stooges, scientific hacks or worse. Consequently, lies about climate change gain credence even when they fly in the face of the science that supposedly is their basis.

যারা আতঙ্ক ছড়ানো থেকে ভিন্নমত পোষণ করেছে তাদের অনুদানের তহবিলগুলি অদৃশ্য হয়ে গেছে, তাদের কাজগুলিকে উপহাস করা হয়েছে এবং তাদের শিল্পপতিদের ভাঁড় বলে অপবাদ দেয়া হয়েছে, ভাড়াটে বিজ্ঞানী বা আরও খারাপ কিছু আখ্যা দিয়েছে। ফলস্বরূপ, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে মিথ্যাগুলি গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে গেল, এমনকি তা বিজ্ঞানের কল্পিত ভিত্তির সাথে সংঘাতে জড়ালেও।[xlii]

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ে পক্ষপাত সাইন্স ও ন্যাচার ম্যাগাজিনে সবচেয়ে বেশি।[xliii] কার্বনের সামাজিক মূল্য [বৈশ্বিক উষ্ণায়নের একটি পরিভাষা] সংক্রান্ত মেটা-এনালাইসিস অনুযায়ী, বিরোধী হয়ে যায় এমন তথ্য অনেক ক্ষেত্রে অবদমনের শিকার হয়েছে, অথচ তা বিজ্ঞানে ঊর্ধ্বমুখী ধারা সৃষ্টি করত।[xliv] তারা মন্তব্য করেন যে, এরকম বাছাইকৃত তথ্য পরিবেশনের প্রবণতা পিয়ার রিভিউ করা প্রকাশনায় বেশি!

২০১৫ সালে US National Institutes of Health-এর মেটা-এনালাইসিস অনুযায়ী, হতাশারোধক ওষুধের কার্যকারিতা অতিরঞ্জিত করে প্রকাশের জন্য পাবলিকেশন বায়াসকে দায়ী।

এগুলো তো কিছুই না। ২০১৬ সালে প্লস ওয়ানে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়, যেখানে অনেক বার ‘the creator’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছিল।[xlv] বিবর্তনবাদী সম্প্রদায় ক্রোধে ফেটে পড়েছিল। PLOS ওয়ান নিবন্ধের মন্তব্য বিভাগ একটি ক্রুদ্ধ জনতার ভিড়ে পরিণত হয়েছিল। জার্নালের একাধিক সম্পাদক পদত্যাগ করার হুমকি দিলেন। প্রাক্তন লেখকরা নিবন্ধটি প্রত্যাহার না করা হলে ভবিষ্যতে গবেষণাপত্র না দেওয়ার হুমকি দিল। কিছু মন্তব্যকারী সেই সম্পাদককে বরখাস্ত করার আবেদন জানাল, যিনি তা অনুমোদন করেছিলেন। একজন এটাও বলল যে, সম্পাদককে কেবল প্লস ওয়ান-এর সম্পাদক হতে বরখাস্ত করলে হবে না, বরং তার নিয়মিত বৈজ্ঞানিক কাজ থেকেও বরখাস্ত করতে হবে!

লেখকদের মধ্যে একজন মন্তব্য করেছিলেন যে, তিনি বা তাঁর সহকর্মীরা কেউই ইংরেজীতে দক্ষ ছিলেন না এবং চীনা ভাষায় ‘স্রষ্টা’ শব্দের আলাদা ধারণা রয়েছে বলে চিহ্নিত করে এই বিতর্কটি মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি তার জবাবগুলোতে স্পষ্টরূপে বিবর্তনকে সমর্থন করেছেন এবং তা প্রমাণের জন্য প্রকাশনার বাক্য পরিবর্তন করার প্রস্তাব করেছিলেন, কিন্তু তাঁর যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা উপেক্ষা করা হয়েছিল।[xlvi] গবেষণাপত্রটি প্রত্যাহ্যার করা হয়, যদিও নাস্তিক P.Z. Myers তার ব্লগে স্বীকার করেছিলেন যে, গবেষণাপত্রে উল্লিখিত উপাত্ত নিখুঁত।

আজকের প্রকৃতিবাদীদের হাতে নিউটনের প্রিন্সিপিয়া পিয়ার রিভিউ করতে দিলে নিশ্চিতভাবে প্রত্যাখ্যাত হত। কারন তার বইয়ে ঈশ্বর শব্দ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছেঃ This most beautiful system of the sun, planets, and comets, could only proceed from…an intelligent and powerful Being…called the Lord God…Blind metaphysical necessity…could produce no variety of things. All that diversity of natural things…could arise from nothing but the ideas and will of a Being, necessarily existing.

সূর্য, গ্রহ এবং ধূমকেতুসের এই অতি সুন্দর ব্যবস্থাটি কেবলমাত্র ... একজন বুদ্ধিমান এবং শক্তিশালী সত্তা দ্বারা পরিচালিত হতে পারে ... যাঁকে ঈশ্বর বলা হয়… অন্ধ-অদূরদর্শী আধ্যাত্মিক আবশ্যকতা… বিভিন্ন ধরণের জিনিস তৈরি করতে পারে না। প্রাকৃতিক জিনিসের সমস্ত বৈচিত্র্য ... ওয়াজিবুল ওজুদ [আবশ্যকীয় সত্ত্বার] চিন্তা এবং ইচ্ছা ব্যতীত অন্য কিছু থেকে উদ্ভূত হতে পারে না।[xlvii]

দুয়া কবুল হবার ঘটনা আমরা শুধু মানুষের মুখে মুখে কিংবা প্রাচীন কিতাবে খুজেঁ পাই। কিন্তু পিয়ার রিভিউ পেপারে এরকম ঘটনা বিরল। মতাদর্শিক পক্ষপাতের কারনে ক্রেইগ কিনারের অলৌকিকত্ব ও প্রার্থনা কবুলের উপর ২ খণ্ডের বিস্তৃত বিজ্ঞান ভিত্তিক সংগ্রহ পিয়ার রিভিউ কর্তৃপক্ষ প্রকাশ হতে দিবে বলে মনে হয় না।

. পিয়ার রিভিউ থেকে বিবাচন

প্রচলিত তত্ত্বের বিরুদ্ধে গেলেই গবেষণা প্রত্যাখ্যান করা হয়। Science ও Nature এর মত জার্নালগুলো কোনরূপ দৃষ্টিপাত না করেই আবহাওয়া পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনকারীর পেপার প্রত্যাখ্যান করে। লিন্ডজেন লিখেনঃ … even when such papers are published, standards shift. When I [Lindzen], with some colleagues at NASA, attempted to determine how clouds behave under varying temperatures, we discovered what we called an “Iris Effect,” wherein upper-level cirrus clouds contracted with increased temperature, providing a very strong negative climate feedback sufficient to greatly reduce the response to increasing CO2. Normally, criticism of papers appears in the form of letters to the journal to which the original authors can respond immediately. However, in this case (and others) a flurry of hastily prepared papers appeared, claiming errors in our study, with our responses delayed months and longer. The delay permitted our paper to be commonly referred to as “discredited.”

এমনকি যখন এমন গবেষণা প্রকাশিত হয়, মানদণ্ড পালটে যায়। নাসা-তে আমি ও আমার সহকর্মীরা পরিবর্তনশীল তাপমাত্রায় মেঘের আচরণ নির্ণয়ের চেষ্টা করেছিলাম, তখন আমরা ‘আইরিস ইফেক্ট’ আবিষ্কার করি, যাতে উচ্চ স্তরের সিরেস মেঘ উচ্চ তাপমাত্রার সংস্পর্শে আসলে খুব শক্তিশালী বিপরীত জলবায়ু প্রতিক্রিয়া দেয় যা অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইডের ফলাফল হ্রাসে যথেষ্ট। যাইহোক, এই ক্ষেত্রে (এবং অন্য ক্ষেত্রেও) তড়িঘড়ি করে প্রস্তুত গবেষণাপত্রগুলির হিড়িক পড়ে গেল, যা আমাদের গবেষণায় ত্রুটি ছিল বলে দাবি করে, আমাদের পাল্টা জবাব কয়েক মাস এবং তার বেশি দেরিতে প্রকাশ হয়। বিলম্বের ফলে আমাদের গবেষণা "নিন্দিত" হিসাবে উল্লেখ করা ফেলে।[xlviii]

ফ্র্যাংক টিপলার লিখেছেন, স্টিফেন হকিং ফিজিক্যাল রিভিউ ম্যাগাজিনে প্রাথমিকভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল, কারন তিনি কৃষ্ণ গহ্বর বাষ্পীভবণ নিয়ে গবেষণা করে প্রমাণ করেছিলেন যে, পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক নীতি ‘ইউনিটারিটি’ আসলে ভুল। হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের উৎপত্তি নিয়ে টুযো উইলসনের পেপার বাতিল করা হয়। টুযো উইলসন বলেন, I … sent [my paper] to the Journal of Geophysical Research. They turned it down…. They said my paper had no mathematics in it, no new data, and that it didn’t agree with the current views. Therefore, it must be no good.'

আমি ... [আমার কাগজ] জিওফিজিকাল গবেষণা জার্নালে প্রেরণ করেছি। তারা এটিকে ফিরিয়ে দিয়েছে…। তারা বলেছিল যে, আমার কাগজে কোনও গাণিতিক যুক্তি নেই, কোনও নতুন ডেটা নেই এবং এটি বর্তমান মতামতের সাথে একমত নয়। সুতরাং, এটি ভাল হবে না।'[xlix]

Research News & Opportunities in Science and Theology এর সম্পাদক লিখেছেন, ‘If an editor chooses to publish a hostile review of a book, common politeness would suggest that the author ought to have some space to respond. But editors have a “higher calling” than common politeness, namely the editorial mission and guidelines that inform every decision as to what will be printed and what will be rejected. I have learned, since becoming the editor of Research News, common politeness is often in tension with editorial priorities…’

‘যদি কোনও সম্পাদক কোনও বইয়ের বিরুদ্ধে পর্যালোচনা প্রকাশ করেন, সাধারণ ভদ্রতা বলবে লেখকের পাল্টা জবাব দেয়ার সুযোগ থাকা উচিত। তবে সাধারণ ভদ্রতার, যথা- সম্পাদকীয় লক্ষ্য এবং নির্দেশিকা যা সিদ্ধান্ত দেয় যে কী মুদ্রিত হবে এবং কোনটি প্রত্যাখ্যান করা হবে, চেয়ে সম্পাদকদের একটি মহান আত্ম-অনুভূতি রয়েছে। Research News এর সম্পাদক হওয়ার পরে আমি বুঝেছি যে, সাধারণ ভদ্রতা প্রায়শই সম্পাদকীয় অগ্রাধিকারের সাথে চাপের মুখে থাকে ...’

ফ্র্যাংক টিপলার বলেন, ২০০২ সালে তিনি টুলানে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবর্তনবাদী স্টিভ ডারউইন এবং নকশা তাত্ত্বিক বিল ডেম্বস্কি-র বিতর্কের আয়োজন করেন। এরপর থেকে স্টিভ ডারউইন বাহ্যিকভাবে তার সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করলেও আরেকজন বিবর্তনবাদী ফ্যাংকের দিকে প্রায়ই কটমট করে তাকিয়ে থাকেন। টিপলার বলেন যে, তার কোন গবেষণা যদি এই লোকের দ্বারা রিভিউ করানোর জন্য পাঠানো হয়, তাহলে তার গবেষণা কখনই প্রকাশ পাবে বলে তিনি মনে করেন না।[l]

বিজ্ঞানে জালিয়াতি এবং প্রতারণার একটি অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ গবেষণায়, উইলিয়াম ব্রড এবং নিকোলাস ওয়েড দেখিয়েছেন যে, প্রতারণা সহজে বিনা প্রতিরোধে পাস হয় যতক্ষণ ফলাফলগুলি প্রচলিত তত্ত্বের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়:
Acceptance of fraudulent results is the other side of that familiar coin, resistance to new ideas. Fraudulent results are likely to be accepted in science if they are plausibly presented, if they conform with prevailing prejudices and expectations, and if they come from a suitably qualified scientist affiliated with an elite institution. It is for the lack of all these qualities that new ideas in science are likely to be resisted . . . For the ideologists of science, fraud is taboo, a scandal whose significance must be ritually denied on every occasion.

প্রতারণামূলক ফলাফল গ্রহণ করা সেই পরিচিত মুদ্রার অন্য দিক, নতুন তত্ত্বকে প্রতিরোধ। প্রতারণামূলক ফলাফল বিজ্ঞানে গৃহীত হতে পারে যদি সেগুলিকে যুক্তিসঙ্গতভাবে উপস্থাপন করা হয়, যদি সেগুলি প্রচলিত কুসংস্কার এবং প্রত্যাশাগুলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় এবং যদি সেগুলি একটি অভিজাত প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত একজন উপযুক্ত যোগ্য বিজ্ঞানী থেকে আসে। এই সমস্ত গুণাবলীর অভাবের জন্যই বিজ্ঞানের নতুন ধারণাগুলি প্রতিহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। . . বিজ্ঞানবাদীদের জন্য, জালিয়াতি ফাঁস নিষিদ্ধ, একটি কলঙ্ক যার তাত্পর্য অবশ্যই প্রতিটি অনুষ্ঠানে আচারিকভাবে ইখলাসের সঙ্গে অস্বীকার করা উচিত। [Broad, W., and Wade, N. (1985), Betrayers of the Truth: Fraud and Deceit in Science, Oxford University Press, Oxford.]

২০০২ সালে নিপুণ নকশা-র পক্ষে যায় এমন একটি গবেষণা American Association for the Advancement of Science (AAAS)-কে দেয়া হলে, তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। তারা দাবি করে যে, নকশা তত্ত্বের পক্ষে কোন প্রমাণ নেই।[li] পরবর্তীতে জরিপ করে দেখা গেছে যে, তারা আসলে নকশা তাত্ত্বিকদের রচনা না পড়েই তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।[lii]

মতবিরোধ রোধেপিয়ার রিভিউতাসের ব্যবহার

পিয়ার-রিভিউ সিস্টেমের ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও, "পিয়ার-রিভিউ" ক্রমবর্ধমান শব্দালঙ্কৃত অস্ত্র হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, আর সংখ্যালঘু বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিকে নিরব করার লক্ষ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। ক্যান্ট ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞানী ফ্রাঙ্ক ফুরেডি, তথ্য প্রদান না করে অভ্রান্ত পিয়ার রিভিউ-এর পুরাকথার ওকালতি করে আত্মপক্ষ সমর্থনকে "অ্যাডভোকেসি সায়েন্স" বা “ওকালতি বিজ্ঞান” বলে অভিহিত করে, এর উদ্বেগজনক উত্থানের বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন ও পিয়ার রিভিউ-কে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবে অভিহিত করেছেন:

[I]n recent years the most disturbing threat to the integrity of the peer-review system has been the growing influence of advocacy science. In numerous areas, most notably in climate science, research has become a cause and is increasingly both politicized and moralized. Consequently, in climate research, peer review is sometimes looked upon as a moral project, where decisions are influenced not simply by science but by a higher cause…

…Increasingly, peer review is cited as kind of unquestioned and unquestionable authority for settling what are in fact political disputes. Consequently, the findings of peer review are looked upon, not simply as statements about the quality of research or of a scientific finding, but as the foundation for far-reaching policies that affect everything from the global economy to our individual lifestyles.

Increasingly, peer review has been turned into a quasi-holy institution, which apparently signifies that a certain claim is legitimate or sacred. And from this perspective, voices which lack the authority of peer review are, by definition, illegitimate. Peer review provides a warrant to be heard — those who speak without this warrant deserve only our scorn.

You can almost visualize peer-review dogmatists waving their warrant and demanding that their opponents be silenced. For someone like George Monbiot, the British climate-change alarmist, peer review is the equivalent of a holy scripture. Boasting of his encounter with an opponent, who challenged him to a debate on speed cameras, Monbiot wrote: “I accepted and floored him with a simple question.” Predictably, the question was: “Has he published his analysis in a peer-reviewed journal?”

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পিয়ার-রিভিউ সিস্টেমের বিশুদ্ধতা উপর সবচেয়ে বিরক্তিকর হুমকি হ'ল ওকালতি বিজ্ঞানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব। অসংখ্য ক্ষেত্রে, উল্লেখযোগ্যভাবে জলবায়ু বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে, গবেষণা একটি অজুহাত হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং ক্রমবর্ধমানভাবে রাজনীতিকরণ এবং নৈতিকতার ব্যাপারে পরিণত করেছে। ফলস্বরূপ, জলবায়ু গবেষণায়, পিয়ার পর্যালোচনাকে কখনও কখনও নৈতিক কার্যক্রম হিসাবে দেখা হয়, যেখানে সিদ্ধান্তগুলি কেবল বিজ্ঞানের দ্বারা নয় বরং উচ্চতর অজুহাত দ্বারা প্রভাবিত হয়…

…ক্রমবর্ধমানভাবে, রাজনৈতিক বিরোধগুলি আসলে নিষ্পত্তি করার জন্য এক ধরণের অবিতর্কিত এবং প্রশ্নাতীত কর্তৃপক্ষ হিসাবে পিয়ার রিভিউকে উল্লেখ করা হচ্ছে। ফলস্বরূপ, পিয়ার পর্যালোচনার রায়গুলি কেবল গবেষণার মান বা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের বিবৃতি হিসাবেই নয়, বরং বিশ্ব অর্থনীতি থেকে আমাদের ব্যক্তিজীবন পর্যন্ত সমস্ত কিছুকে প্রভাবিত করে, এমন সুদূরপ্রসারী নীতিগুলির ভিত্তি হিসাবে দেখা হচ্ছে।

ক্রমবর্ধমানভাবে, পিয়ার পর্যালোচনাকে একটি অর্ধ-পবিত্র প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করা হয়েছে, যা স্পষ্টতই কোনও নির্দিষ্ট দাবি বৈধ বা পবিত্র হবার ইঙ্গিত দেয়। এবং এই দৃষ্টিকোণ থেকে, পিয়ার পর্যালোচনার অভাবযুক্ত মতামত সংজ্ঞা অনুসারে, অবৈধ। পিয়ার পর্যালোচনা শুনানির জন্য জামিন সরবরাহ করে - যারা এই জামিন ছাড়াই কথা বলে তারা কেবল আমাদের নিন্দার দাবিদার।

আপনি কল্পনায় দেখতে পারেন, পিয়ার-রিভিউ কু-মতবাদীরা তাদের জামিন নাড়িয়ে, তাদের বিরোধীদের চুপ করিয়ে দেওয়ার দাবি করছে। ব্রিটিশ জলবায়ু-পরিবর্তনের আতঙ্কবাদী জর্জ মনবিওটের মতো কারও নিকটে, সমকক্ষ পর্যালোচনা হল একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থের সমতুল্য। স্পিড ক্যামেরার বিতর্কে তার প্রতিপক্ষের সাথে তার মুখোমুখি হওয়ার অহংকার মিশ্রিত ঘটনা নিয়ে মনবিওট লিখেছেন: "আমি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি এবং একটি সহজ প্রশ্ন দিয়ে তাকে ভূপাতিত করেছি।" সহজে-ই অনুমেয়, প্রশ্নটি ছিল: "তিনি কি তার বিশ্লেষণ পিয়ার-পর্যালোচিত জার্নালে প্রকাশ করেছেন?"[liii]

পিয়ার রিভিউ-এর তাস ব্যবহার করতে ওস্তাদ এমন লোকদের ভাল উদাহরণ হল আর্সেনিক ভিত্তিক প্রাণের আবিষ্কারের গুজব। নাসা সংবাদ সম্মেলন করে ২০১০ সালে আর্সেনিক ভিত্তিক প্রাণের উপর তাদের গবেষণা প্রকাশ করার ঘোষণা দেয়।

সমালোচকরা তাদের যেসব মতামত প্রকাশ করল তার বেশিরভাগ ছিল পত্রিকার সাক্ষাৎকার, ব্লগ ও ইন্টারনেট ভিত্তিক উৎস। নাসা তখন জবাবে বলেছিল, “আমরা আশা করি, এই কাজটি পিয়ার-পর্যালোচিত জার্নালে প্রকাশিত হবে, যেভাবে বিজ্ঞান উত্তমভাবে এগিয়ে চলেছে”।

বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানী জোনাথন এ. আইসেন তখন খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, “This was amazing since, well, they were the ones who held the overhyped press conference. And then I (and others) found it appalling that they in essence would not response to critiques because they were not “peer reviewed.” … Whether they were right or not in their claims, they are now hypocritical if they say that the only response should be in the scientific literature.”

এটি আশ্চর্যজনক যেহেতু, তারাই আগে পাঁড় মাতালের মত সংবাদ সম্মেলন করেছিল। এবং তারপরে আমি (এবং অন্যরা) এটি দেখে বিস্মিত হলাম যে, তারা মূলত সমালোচনার জবাব দেবে না, কারণ সমালোচকরা ‘পিয়ার পর্যালোচনা করে নি’ … তাদের দাবি ঠিক বা ভুল যেটাই হোক, তারা কপটাচারী, যদি তারা বলে যে, সমালোচনা শুধুই বৈজ্ঞানিক সাহিত্যে হতে হবে”।[liv]

অবশেষে সমালোচকরা তাদের জবাব পিয়ার-পর্যালোচিত সাহিত্যে প্রকাশ করেছিলেন। তবে পিয়ার-পর্যালোচিত জার্নালগুলিতে যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দ্বিমত করেন তাদের পক্ষে কি প্রকাশনা পাওয়া সর্বদা সম্ভব?

জবরদস্তি সর্বসম্মতি

বিজ্ঞানী মহলের সর্বসম্মতির অজুহাতে অনেক সময়েই বিবর্তন তত্ত্বকে সত্য দাবি করা হয়, আর নিপুণ নকশা তত্ত্ব প্রত্যাখ্যানের যুক্তি দেয়া হয়। এটা কি বুদ্ধিমানের কাজ?

থমাস কুহন দেখিয়েছেন যে, বিজ্ঞানীরা প্রধান প্রধান বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার বা বর্তমানে পরিচিত বৈজ্ঞানিক সত্যগুলোকে পুনরায় আবিষ্কার বা পুনঃ পরীক্ষা করে একদম শূণ্য থেকে তাদের কাজের সূচনা করেন না। তারা ব্যক্তিগতভাবে সমস্ত প্রমাণ পরিদর্শন করে না, সমস্ত ডেটা পড়ে না এবং সমস্ত যুক্তি পরীক্ষা করে না। বরং ছাত্র জীবনে তারা তাদের শিক্ষক এবং পাঠ্যপুস্তকের অধীনে বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত তত্ত্বগুলি শিখেছে এবং গ্রহণ করেছে।[lv] এটি হল মতদীক্ষাদান বা ধর্মান্তরকরণ, ঐক্যমত্য নয়। তদুপরি, আপাত ঐক্যমত্যের বেশিরভাগ অংশই কৃত্রিম এবং চাপিয়ে দেয়া। বিজ্ঞানীদের শুধু কোন একটা প্রকল্প অনুসরণ করতে হবে এবং তাতে তাদের কতটা সময় বরাদ্দ করতে হবে তা ভেবে নিতে হবে। অল্প বয়স্ক বিজ্ঞানীরা সেই পথ বেছে নেয় যা তাদের দ্রুত অধিষ্ঠিত করবে, সহজে অনুদান অর্জন এনে দিবে বা কোনও পরীক্ষাগার নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দিবে। সুপ্রতিষ্ঠিত এবং ব্যাপকভাবে গৃহীত বৈজ্ঞানিক মতবাদ ও তত্ত্বগুলিকে আক্রমণ করে এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে না। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একজন পরিদর্শন সহযোগী সম্প্রতি উল্লেখ করেছেন, অনেক গবেষক মনে করেন যে তাদের নতুন গবেষণা প্রতিষ্ঠিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানালে বা হুমকি দিলে, তাদের অর্থায়নের সম্ভাবনা কম, এবং তাই তারা এসব উল্লেখ করে আবেদন করেন না।[lvi] অন্যদিকে, প্রবীণ বিজ্ঞানীদের জন্য তাদের খ্যাতি রক্ষার দুশ্চিন্তা রয়েছে।

অনেক ক্ষেত্রে পর্যালোচকরা ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে পারে না। ইঁদুরকে জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত আলু খাওয়ানোর প্রভাব সম্পর্কে Ewen ও Pusztai-এর গবেষণাকে রয়েল সোসাইটি এবং শীর্ষস্থানীয় মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যানসেট উভয়ই পর্যালোচনা করেছিলেন। রয়েল সোসাইটির ছয় জন পর্যালোচকের সবাই গবেষণাকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বলে ঘোষণা করেছিলেন, তবুও ল্যানসেটের ছয়জনের মধ্যে পাঁচ জন পর্যালোচক বলেছিলেন যে, গবেষণাটি প্রকাশ করা উচিত। ল্যানসেটের সম্পাদক রিচার্ড হর্টন জিজ্ঞাসা করেছেন: ‘[H]ow can two (reasonably) well-regarded organisations peer review the same work … and yet come to such radically opposite conclusions about its validity…?’

‘দুটি সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান কীভাবে একই কাজের পর্যালোচনা করে… এবং এর অকাট্যতা সম্পর্কে এতটা বিপরীত সিদ্ধান্তে আসতে পারে…?’[lvii]

ইতিহাস সাক্ষী যে, সর্বসম্মতি প্রায়শ-ই ভুল।

‘As recently as the mid-1970s, the scientific consensus among climatologists and scientists in related fields was that the earth was about the enter a new ice age. Drastic proposals were made, such as exploding hydrogen bombs over the polar icecaps (to melt them) or damming the Bering Strait (to prevent cold Arctic water from entering the Pacific Ocean), to avert this impending disaster. Well-reputed scientists, not just uninformed wackos, made such proposals. How quickly we forget.’

‘সম্প্রতি ১৯৭০ সালের মাঝামাঝি সময়ে, জলবায়ুবিদ এবং তা সম্পর্কিত শাস্ত্রের বিজ্ঞানীদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক ঐক্যমত্য ছিল যে, পৃথিবী একটি নতুন বরফ যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। এই আসন্ন বিপর্যয় এড়াতে কঠোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, যেমন মেরু বরফের উপর হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণ করে (সেগুলি গলানো) বা বেরিং স্ট্রেইট-এ বাঁধ দেয়া (ঠান্ডা সুমেরু জল প্রশান্ত মহাসাগরে প্রবেশে রোধ করতে)। কেবল অনবহিত হাতুড়ে বিজ্ঞানীরা নন, খ্যাতিমান বিজ্ঞানীরা এ জাতীয় প্রস্তাব করেছিলেন। আমরা কত তাড়াতাড়ি ভুলে যাই।’[lviii]

শেষ কথা

বিজ্ঞানীরা সাধারণত ধরে নেন যে জালিয়াতি বিরল এবং গুরুত্বহীন। কারণ বিজ্ঞান নিজেই নিজেকে সংশোধন করে। হেটিঞ্জারের মতে,

হাস্যকরভাবে, এই আত্মতুষ্টির বিশ্বাস এমন একটি পরিবেশ তৈরি করে যেখানে প্রতারণার বিকাশ ঘটতে পারে৷

[Hettinger, T. P. (2010), ‘Misconduct: don’t assume science is self-correcting’, 466, 1040.]

আর কেন হাস্যকর হবে না? সংশোধন করতে হলে একই পরীক্ষার পুনরাবৃত্তি করতে হবে। কিন্তু কোন গবেষক নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করে অন্যের ভুল ধরতে চান না। কারণ প্রকাশনা সংস্থাগুলো মৌলিক কাজ ছাপাতে চায়, পুনরাবৃত্তি নয়।

এত বৈরী পরিবেশেও মাঝে মাঝে কিছু সত্য উদ্ভাসিত হয়। এমনই এক বিরল পিয়ার রিভিউ গবেষণা ২০২০ সালে প্রকাশিত হয়; যেখানে 47 বছর ধরে অন্ধ নারী, যে সারাজীবন সাদা ছড়ি দিয়ে পথ চলেছে, ব্রেইল দিয়ে লেখাপড়া করেছে, মাত্র এক রাতে আকুতি করে প্রার্থনা করেই সুস্থ হয়েছে।[lix] পদার্থবিদ্যা ও কোষতত্ত্ব থেকে ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ এন্থনি ফ্লিউ পিয়ার রিভিউ পেপার থেকে তালিকা দেখিয়েছেন।[lx] ২০১৫ সালের রসায়নে নোবেল পুরস্কার থেকেও ঈশ্বরের অস্তিত্বের আভাস পাওয়া যায়।[lxi]

স্পষ্টতই, যখন বুদ্ধিমান নকশার কথা আসে তখন বিজ্ঞানের চেয়ে রাজনীতি অনেক প্রভাব ফেলে।

মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা সত্ত্বেও, আইডি প্রবক্তারা পিয়ার-পর্যালোচিত বৈজ্ঞানিক জার্নালে তাদের ধারণা প্রকাশ করেছেন। এটি প্রমাণ করে যে, বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণের জন্য সন্দেহজনক "পিয়ার-রিভিউ" প্রয়োগ করা হোক বা না হোক, নকশা তত্ত্বের একাডেমিক বৈধতা রয়েছে।

পড়ুনঃ পদার্থবিজ্ঞানী প্রফেসর সালেহ হাসান নাকিবের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর



[i] Kuhn, T., The Structure of Scientific Revolutions (3rd edition), University of Chicago Press, Chicago, 1996.

[ii] Altman, L.K., For Science's Gatekeepers, a Credibility Gap, New York Times, 2 May 2006

[iii] Stossel, T., Mere Magazines, The Wall Street Journal, 30 December 2005. https://www.wsj.com/articles/SB113590672017634344

[iv] See Frank Tipler, “Refereed Journals: Do They Insure Quality or Enforce Orthodoxy?,” International Society for Complexity, Information, and Design Archives (June 30, 2003).

[v] Shatz, D., Peer Review: A critical inquiry, Rowman and Littlefield, Lanham, Maryland, p. 130, 2004.

[vi] Juan Miguel Campanario, “On Influential Books and Journal Articles Initially Rejected Because of Negative Referees’ Evaluations,” Science Communication, Vol. 16(3):304-325 (March, 1995).

[vii] Juan Miguel Campanario, “Not in our Nature,” Nature, Vol. 361:488 (February 11, 1993).

[viii] Coping with peer rejection, Nature 425:645, 16 October 2003

[ix] Beta decay, wikipedia.org

[x] Juan Miguel Campanario, “On Influential Books and Journal Articles Initially Rejected Because of Negative Referees’ Evaluations,” Science Communication, Vol. 16(3):304-325 (March, 1995).

[xi] Daubert v. Merrell Dow Pharmaceuticals, Inc. , 509 U.S. 579, 593-594 (1993) (internal citations removed).

[xii] Daubert v. Merrell Dow Pharmaceuticals, Inc. , 509 U.S. 579, 594 (1993) (emphasis added).

[xiii] Brief Amici Curiae of Physicians, Scientists, and Historians of Science in Support of Petitioners, Daubert v. Merrell Dow Pharmaceuticals, Inc., 509 U.S. 579 (1993).

[xiv] Altman, L.K., For Science's Gatekeepers, a Credibility Gap, New York Times, 2 May 2006

[xv] Higgs, R., Peer Review, Publication In Top Journals, Scientific Consensus, And So Forth, History News Network, 7 May 2007, hnn.us.

[xvi] Sox H. C. and Rennie, D., Research Misconduct, Retraction, and Cleansing the Medical Literature: Lessons from the Poehlman Case, Annals of Internal Medicine, pp. 609–613, 18 April 2006

[xvii] Clive Cookson and Andrew Jack, “Science stifled?,” Financial Times (June 12, 2008).

[xviii] Open Science Collaboration, “Estimating the Reproducibility of Psychological Science,” Science349 (August 2015): aac4716, doi:10.1126/science.aac4716.

[xix] David Colquhoun, “Publish-or-perish: Peer review and the corruption of science,” The Guardian (September 5, 2011).

[xx] Campanario, J.M. Rejecting and resisting Nobel class discoveries: accounts by Nobel Laureates. Scientometrics 81, 549–565 (2009). https://doi.org/10.1007/s11192-008-2141-5

[xxi] Batty, D., Journals regularly publish fraudulent research, Guardian Unlimited, 3 May 2006; guardian.co.uk

[xxii] Harding, L., History of modern man unravels as German scholar is exposed as fraud, guardian.co.uk, 19 February 2005

[xxiii] Horton, R., Genetically modified food: consternation, confusion, and crack-up, Medical Journal of Australia 172:148–149, 2000.

[xxiv] Juan Miguel Campanerio, “Have Referees Rejected Some of the Most-Cited Articles of All Times?,” Journal of the American Society for Information Science, Vol. 47(4):302-310 (1996).

[xxv] Higgs, R., Peer Review, Publication In Top Journals, Scientific Consensus, And So Forth, History News Network, 7 May 2007, hnn.us.

[xxvi] Belshaw, C., Peer review and the Current Anthropology experience, in Harnad, S. (editor), Peer Commentary on Peer Review, Cambridge University Press, Cambridge, p. 17, 1982.

[xxvii] Martin Enserink, “Peer Review and Quality: A Dubious Connection?,” Science, Vol. 293:2187-2188 (September 21, 2001).

[xxviii] New York Times (October 12, 1999)

[xxix] Denyse O’Leary, “Part Four: Conclusion – How will we know if a more open system works better?,” ARN.org (November 15, 2006).

[xxx] Richards, E., Lateline, Australian Broadcasting Corporation, 9 October 1998

[xxxi] William A. Wilson, Scientific Regress, First Things May 2016; “America's most influential journal of religion and public life” www.firstthings.com/article/2016/05/scientific-regress

[xxxii] Stephen Jay Gould, “In the Mind of the Beholder,” Natural History, Vol. 103 (2):15 (1994).

[xxxiii] Peters, D and Ceci, S., Peer-review practices of psychological journals: The fate of published articles, submitted again, Behavioral and Brain Sciences 5(2):3–11, 1982.

[xxxiv] Crandall, R., Editorial responsibilities in manuscript review, in Harnad, ref. 16, p. 24.

[xxxv] Thomas Lin, “Cracking Open the Scientific Process,” New York Times (January 16, 2012).

[xxxvi] Higgs, R., Peer Review, Publication In Top Journals, Scientific Consensus, And So Forth, History News Network, 7 May 2007, hnn.us.

[xxxviii] The Wayback Machine “Statement From the Council of the Biological Society of Washington” September 26, 2007 https://web.archive.org/web/20070926214521/http:/www.biolsocwash.org/id_statement.html

[xxxix] “Intolerance and the Politicization of Science at the Smithsonian” Staff Report for Representative Mark Souder December 11, 2006 https://www.discovery.org/m/2008/02/IntoleranceandthePoliticizationofScienceattheSmithsonian.pdf

[xl] David Klinghoffer “Unintelligent Design” National Review August 16, 2005, https://www.nationalreview.com/2005/08/unintelligent-design-david-klinghoffer/

[xli] Michael Crichton, “Envrionmentalism as Religion” (lecture, Commonwealth Club, San Francisco, CA, September 15, 2003), https://www.pe.tamu.edu/DL_Program/graduate_seminar_series/Documents/MichaelCrichton_evironmentalism.pdf

[xlii] Lindzen, R., Climate of Fear, Opinion Journal, 12 April 2006.

[xliii] Patrick Michaels, “Evidence for ‘Publication Bias’ Concerning Global Warming in Science and Nature,” Energy and Environment 19 (March 2008): 287–301, doi:10.1260/095830508783900735.

[xliv] Tomas Havranek et al., "Selective Reporting and the Social Cost of Carbon," Social Science Research Network, CERGE-EI Working Paper Series no. 533, March 1, 2015, https://ssrn.com/abstract=2585972.

[xlv] Cai-Hua Xiong, Ming-Jin Liu, Le Xiong, and Xioa-Lin Huang. “Biomechanical Characteristics of Hand Coordination in Grasping Activities of Daily Living.” PLOS One January 5, 2016. https://journals.plos.org/plosone/article?id=10.1371/journal.pone.0146193

[xlvii] Isaac Newton, Isaac Newton’s Mathematical Principles of Natural Philosophy and His System of the World, trans. Andrew Motte, ed. Florian Cajori (Berkeley: University of California Press, 1934), 544, 546.

[xlviii] Lindzen, R., Climate of Fear, Opinion Journal, 12 April 2006.

[xlix] Frank Tipler, “Refereed Journals: Do They Insure Quality or Enforce Orthodoxy?,” International Society for Complexity, Information, and Design Archives (June 30, 2003) (internal citations removed).

[l] See Frank Tipler, “Refereed Journals: Do They Insure Quality or Enforce Orthodoxy?,” International Society for Complexity, Information, and Design Archives (June 30, 2003).

[lii] See John G. West, “Intelligent Design Could Offer Fresh Ideas on Evolution,” Seattle Post-Intelligencer (December 6, 2002).

[liii]  Frank Furedi, “Turning peer review into modern-day holy scripture,” Spiked (February 23, 2010).

[liv] Eisen, J., 2012. Stop deifying &quot;peer review&quot; of journal publications:. [online] Phylogenomics.blogspot.com. Available at: <https://phylogenomics.blogspot.com/2012/02/stop-deifying-peer-review-of-journal.html> [Accessed 24 June 2021].

[lv] Kuhn, T., The Structure of Scientific Revolutions (3rd edition), University of Chicago Press, Chicago, p. 80, 1996

[lvi] Baker, L., Rising Fears for Academic Freedom, ANU Reporter 32(7), 11 May 2001.

[lvii] Horton, R., Genetically modified food: consternation, confusion, and crack-up, Medical Journal of Australia 172:148–149, 2000.

[lviii] Higgs, R., Peer Review, Publication In Top Journals, Scientific Consensus, And So Forth, History News Network, 7 May 2007, hnn.us.

[lix] Romez, C., Freedman, K., Zaritzky, D. and Brown, J., 2020. Case report of instantaneous resolution of juvenile macular degeneration blindness after proximal intercessory prayer. EXPLORE, 17(1), pp.79-83.

[lx] Antony Flew and Roy Abraham Varghese, There Is a God: How the World’s Most Notorious Atheist Changed His Mind (New York: HarperOne, 2007).

[lxi] NobelPrize.org. 2015. The Nobel Prize in Chemistry 2015. [online] Available at: <https://www.nobelprize.org/prizes/chemistry/2015/press-release/> [Accessed 27 June 2021].