Are you sure?

বিজ্ঞান »  ইসলাম ও বিজ্ঞান

পর্ব ২১//: কোরআনে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি: "প্রাণী বিজ্ঞান: মৌমাছি ও তার নৈপুণ্য" [সূরা আন নাহল (النّحل), আয়াত: ৬৮-৬৯]

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

 

বিষয়: পবিত্র কোরআনে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি পর্ব সিরিজ।

আলোচনা: "প্রাণী বিজ্ঞান: মৌমাছি ও তার নৈপুণ্য" [সূরা আন নাহল (النّحل), আয়াত: ৬৮-৬৯]

\_________________________________/

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতাহু প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা। আশা করি অবশ্যই সবাই মহান আল্লাহ্ সুবহানু ওয়াতা'আলার অশেষ রহমত ও দয়ায় ভালো এবং সুস্থ আছেন। আজকে বহুদিন পরে পবিত্র কোরআনের  বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি পর্ব সিরিজের ২১ তম পর্ব আলোচনা করতে যাচ্ছি ইনশাআল্লাহু তা'আলা। আশা করি অবশ্যই সবাই মনোযোগ সহকারে পড়বেন ইনশাআললাহ। তাহলে আপনাদের কিছুটা হলেও জানা হবে 

 

প্রথমে আসুন, আমরা মৌমাছির জীবন চক্র সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নিই। বিংশ শতাব্দীর আগ পর্যন্ত মৌমাছির জীবন চক্র নিয়ে বিজ্ঞানীদের সুস্পষ্ট কোন ধারণা ছিল না। তারা মনে করতেন যে, মৌমাছি আসলে দুই প্রকার। একটি হলো পুরুষ মৌমাছি। এদের কাজ স্ত্রী মৌমাছিদের সন্তান উৎপাদনে সহায়তা করা। গৃহ অর্থাৎ মৌচাক নির্মাণ, ফুল থেকে মধু সংগ্রহ, গৃহ পাহারা দেওয়া ইত্যাদি। 

 

অপরটি হলো স্ত্রী মৌমাছি (Quran Bee). এদের কাজ হলো শুধুমাত্র সন্তান উৎপাদন করা। এটাই ছিল বিজ্ঞানীদের প্রথম দিকের ধারণা। 

 

১৯৭৩ সালে অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানী কার্ল ভন ফ্রিসচ (Karl Von Frisch) "Physiology or Medicine" বিষয়ে সফল গবেষণার জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তার গবেষণার প্রধান বিষয় ছিল "মৌমাছির জীবন চক্র"। তিনি এই বিষয়ে একটি গবেষণামূলক বই লিখেছেন যার নাম "The dancing bees". তিনি বৈজ্ঞানিক ভাবে অর্থাৎ ফটোগ্রাফি এবং অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রমাণ করে দেখান যে, মৌমাছি আসলে তিন ধরনের। 

 

i) প্রথমটি হচ্ছে স্ত্রী মৌমাছি। এদের কাজ শুধুমাত্র সন্তান উৎপাদন করা। আর কোন কাজেই এরা অংশগ্রহণ করে না। 

ii) দ্বিতীয়টি হচ্ছে পুরুষ মৌমাছি। এদের কাজ হচ্ছে স্ত্রী মৌমাছিদের (Queen bees) সন্তান উৎপাদনের জন্য প্রজনন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করা। এর বাইরে এরা আর কোন কাজে অংশগ্রহণ করে না। 

iii) তৃতীয়টি হচ্ছে বন্ধ্যা স্ত্রী মৌমাছি অর্থাৎ এরা কখনোই সন্তান উৎপাদন করতে পারে না। প্রাকৃতিক ভাবেই এরা বন্ধ্যা হয়ে থাকে। এদের অন্য নামে বলা হয় "কর্মী মৌমাছি বা শ্রমিক মৌমাছি।"

 

পুরুষ মৌমাছি এবং স্ত্রী মৌমাছি (Queen bee) সন্তান উৎপাদন ছাড়া মৌচাক নির্মাণ, ফুল থেকে রস সংগ্রহ সহ অন্যান্য কাজেই অংশগ্রহণ করে না। এসব করে কর্মী মৌমাছি বা দ্বিতীয় ক্যাটাগরির স্ত্রী মৌমাছি, যারা জন্মগত ভাবে বন্ধ্যা হয়ে থাকে। এদের Queen bee বলা হয় না বরং বলা হয় Worker Bee.

 

এবার আসুন পবিত্র কোরআন কী বলেছে এ সম্পর্কে? পবিত্র কোরআনে মৌমাছির নামানুসারে সম্পূর্ণ একটা সূরা আছে। সেটা হলো সূরা আন নাহল। আরবিতে "নাহল/النّحل" এর অর্থ হলো মৌমাছি। প্রসঙ্গত একটি কথা বলে রাখি। বাংলা বা ইংরেজিতে ক্রিয়ার (Verb) কোন লিঙ্গান্তর হয় না অর্থাৎ ক্রিয়ার পুরুষ এবং স্ত্রী লিঙ্গ হয় না। আমরা ইংরেজিতে পুং লিঙ্গ এবং স্ত্রী লিঙ্গের জন্য একই Verb ব্যবহার করি। যেমন:

 

i) He does the work. [এখানে পুং লিঙ্গের জন্য does]

i) She does the work. [এখানে স্ত্রী লিঙ্গের জন্য does]

 

তাহলে আমরা দেখতে পারলাম যে, ইংরেজিতে পুং লিঙ্গ এবং স্ত্রী লিঙ্গের জন্য একই Verb ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অ্যারাবিক ভাষায় এরকম ব্যবহার হয় না। বরং অ্যারাবিক ভাষায় পুং লিঙ্গ এবং স্ত্রী লিঙ্গের জন্য আলাদা আলাদা Verb ব্যবহার করা হয়। যেহেতু পবিত্র কোরআন আরবি ভাষায় নাযিল হয়েছে তাই আমাদের কেও আরবি ব্যাকরণের সাহায্যে পবিত্র কোরআন বুঝতে হবে, অন্যথায় ভুল হবে।এবার পবিত্র কোরআনের কাঙ্খিত আয়াতে আসা যাক যেখানে মহামহিমান্বিত আল্লাহ্ সুবহানু ওয়াতা'আলা ১৬ নং সূরা আন নাহল (النّحل), আয়াত: ৬৮-৬৯ নং আয়াতে মৌমাছির সম্পর্কে এরশাদ করেছেন:-

 

وَأَوْحَىٰ رَبُّكَ إِلَى ٱلنَّحْلِ أَنِ ٱتَّخِذِى مِنَ ٱلْجِبَالِ بُيُوتًا وَمِنَ ٱلشَّجَرِ وَمِمَّا يَعْرِشُون

ثُمَّ كُلِى مِن كُلِّ ٱلثَّمَرَٰتِ فَٱسْلُكِى سُبُلَ رَبِّكِ ذُلُلًا يَخْرُجُ مِنۢ بُطُونِهَا شَرَابٌ مُّخْتَلِفٌ أَلْوَٰنُهُۥ فِيهِ شِفَآءٌ لِّلنَّاسِ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَةً لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ

 

অর্থঃ তোমার রব্ব মৌমাছির অন্তরে ইঙ্গিত দ্বারা নির্দেশ দিয়েছেনঃ তুমি গৃহ নির্মাণ কর পাহাড়, বৃক্ষ এবং মানুষ যে গৃহ নির্মাণ করে তাতে। এর পর প্রত্যেক ফল হতে কিছু কিছু আহার কর, অতঃপর তোমার রবের সহজ পথ অনুসরণ কর। ওর উদর হতে নির্গত হয় বিবিধ বর্ণের পানীয়, যাতে মানুষের জন্য রয়েছে রোগের প্রতিষেধক। অবশ্যই এতে রয়েছে নিদর্শন চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য।" [অনুবাদক: মুজিবুর রহমান]

 

"And your Lord inspired to the bee, "Take for yourself among the mountains, houses, and among the trees and [in] that which they construct. Then eat from all the fruits and follow the ways of your Lord laid down [for you]." There emerges from their bellies a drink, varying in colors, in which there is healing for people. Indeed in that is a sign for a people who give thought." [Translator: Sahih International]

 

আয়াতের সম্পূর্ণ তাফসীর পড়তে ক্লিক করুন:

৬৮ নং আয়াতের তাফসীর: 

https://hadithbd.com/quran/link/?id=1969

৬৯ নং আয়াতের তাফসীর: 

https://hadithbd.com/quran/link/?id=1970

 

এছাড়া নিম্নের লিঙ্ক থেকে উক্ত আয়াতের অসাধারণ জ্ঞান গর্ভ লেকচার শুনতে পারেন ইনশাআললাহ। মৌমাছির মত হও- উস্তাদ  নোমান আলী খান: https://youtu.be/qY90Gi1XrSA

 

মৌমাছি সম্পর্কে লেকচার দেখতে ক্লিক করুন- ড.জাকির নায়েক 

https://youtu.be/t3FPd4Fzz8g

 

এইখানে উপরোল্লিখিত ৬৮ নং আয়াতের মধ্যে বলা হয়েছে:-"

ওয়া আওহা- রব্বুকা ইলান নাহলি আনিত্তাখিযী" মিনালজিবা-লি বুইঊতাও ওয়া মিনাশশাজারি ওয়া মিম্মা-ইয়া‘রিশূন।" [মূল আরবি উদ্ধৃতি উপরে দেখুন]। যার অর্থ:-"তোমার রব্ব মৌমাছির অন্তরে ইঙ্গিত দ্বারা নির্দেশ দিয়েছেনঃ তুমি গৃহ নির্মাণ কর পাহাড়, বৃক্ষ এবং মানুষ যে গৃহ নির্মাণ করে তাতে।" [অনুবাদক: মুজিবুর রহমান]।

 

[মূল আরবি উদ্ধৃতি ফলো করতে পারেন]। আপনি যদি আরবি ভাষা জানেন অথবা আরবি ব্যাকরণ সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন, তাহলে অবশ্যই আপনি দেখবেন যে "পুরুষ মৌমাছির" জন্য আরবিতে ব্যবহৃত Verb হলো "ইত্তাখিজ", এবং "স্ত্রী মৌমাছির" জন্য ব্যবহৃত Verb হলো "ইত্তাখিজি" বা ٱتَّخِذِى. এইখানে যাল এর নিচে যের চিহ্ন দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ উচ্চারণ হবে জি। আলাদা আলাদা শব্দ। 

 

উপরোল্লিখিত আয়াতে দেখুন মহান আল্লাহ্ সুবহানু ওয়াতা'আলা ৬৮ নং আয়াতে "ইত্তাখিজ" শব্দ ব্যবহার না করে "ٱتَّخِذِى/ইত্তাখিজি" শব্দ ব্যবহার করেছেন। তাহলে বোঝা গেল যে উক্ত আয়াতে, মৌমাছির প্রতি যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা অবশ্য অবশ্যই স্ত্রী মৌমাছির জন্য। যদি পুরুষ মৌমাছি কে নির্দেশ করত, তাহলে উক্ত আয়াতে কখনোই "

ইত্তাখিজি/ٱتَّخِذِى" ব্যবহার হতো না বরং "ইত্তাখিজ" শব্দ ব্যবহার করতে হতো। যদি ইত্তাখিজ" শব্দ ব্যবহার হতো তাহলে সেটা আরবি ব্যাকরণ অনুসারে ভুল তো হতেই, সেই সাথে আধুনিক বিজ্ঞানের অনুযায়ী ভুল বলে প্রমাণ হতো অথচ তা হয়নি। কারণ বিজ্ঞানী কার্ল ভন ফ্রিসচ ১৯৭৩ সনে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে, মৌচাক নির্মাণ, মধু সংগ্রহ ইত্যাদিতে পুরুষ মৌমাছি নয় বরং স্ত্রী কর্মী মৌমাছিই অংশ নেয়। সুবহানআল্লাহ্। আল্লাহু আকবর। 

 

এছাড়া বিজ্ঞানী "কার্ল ভন ফ্রিসচ (Karl Von Frisch) ১৯৭৩ সালে মৌমাছিদের আচারণ ও বার্তা বিনিময় ও যোগাযোগ বিষয়ে গবেষণা কর্মের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি আরো প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছেন যে,"একটি কর্মী মৌমাছি যখন কোন নতুন ফুলের বাগান/উদ্যানের সন্ধান পায়, সাথে সাথে অন্য কর্মী মৌমাছিদের সেই উদ্যান সম্পর্কে অবহিত করে অর্থাৎ মৌমাছিটি আবার মৌচাকে ফিরে যায় এবং মৌমাছি নৃত্য (Bee dance) নামক আচারণের মাধ্যমে তার সহকর্মী মৌমাছিদের কে সেখানে যাওয়ার সঠিক গতিপথ ও মানচিত্র বলে দেয়। এক্সাক্টলি যে পথে গিয়ে মৌমাছিটি এই উদ্যানের সন্ধান পায়, অন্যদের কেও ঠিক সেই পথের সন্ধান দেয়। পথের এই সন্ধান দানে মৌমাছিটি কোনরকম হেরফের করে না অর্থাৎ অন্য পথ দিয়ে যেতে বলে না। কার্ল ভন ফ্রিসচের ভাষায় এটি হলো "Waggle Dance."

 

সূরা নাহলের ৬৯ নং আয়াতটা ভালো করে দেখুন। এখানে বলা হয়েছে:-"ثُمَّ كُلِى مِن كُلِّ ٱلثَّمَرَٰتِ فَٱسْلُكِى سُبُلَ رَبِّكِ/এর পর প্রত্যেক ফল হতে কিছু কিছু আহার কর, অতঃপর তোমার রবের সহজ পথ অনুসরণ কর।" [অনুবাদক: মুজিবুর রহমান]

 

লক্ষ্য করুন: মহান আল্লাহ্ বলেছেন,"তোমার রবের সহজ পথ অনুসরণ কর।" আচ্ছা এটি কী মানুষ কে বলা "সহজ-সরল" পথ বা "সিরাতুল মুস্তাকিম" নাকি? অবশ্যই না। কারণ কী? কারণ হলো, মানুষের পরকালে জবাবদিহির দায় আছে ঠিকই কিন্তু মৌমাছির তা নেই। 

 

তাহলে এইখানে মৌমাছিদের কে কোন সহজ-সরল পথে চলার কথা বলা হয়েছে? অবশ্যই এটি হলো কার্ল ভন ফ্রিসচের সেই মৌমাছির "Waggle Dance ".  এক্সাক্টলি সে পথ, যা তারা জানে অর্থাৎ আল্লাহ্ জানিয়ে দিয়েছেন সে পথ সম্পর্কে। যা তার জন্য সহ অন্যান্য কর্মী মৌমাছিদের জন্য সহজ, যা মহান আল্লাহ্ তাকে এই পথেই চলার নির্দেশ দিয়েছেন। সুবহানআল্লাহ্। ।।

 

অন্যান্য শ্রমিক মৌমাছিদের তথ্য দেওয়ার লক্ষ্যে এ ধরনের আচারণ আলোকচিত্র ও অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক ভাবে আবিষ্কৃত হয়েছে ১৯৭৩ সালে অথচ মহান আল্লাহ্ পবিত্র কোরআনে ১৪০০+ বছর আগে আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। ।। সুবহানআল্লাহ্। আল্লাহু আকবর। 

 

আগে মানুষ ভাবত, কর্মী মৌমাছিরা পুরুষ এবং ঘরে ফিরে আসার পরে তাদেরকে রাজা মৌমাছির নিকট জবাবদিহি করতে হতো; আর এটা আছে বিখ্যাত ঔপন্যাসিক উইলিয়াম শেক্সপিয়ার এর হেনরি দ্য ফোর্থ (Henry the Furth) নাটকের কিছু সংলাপে। আর তার 

সময়কার লোকেরা এটাই মনে করত। আসলে এটা মোটেই সত্য নয়। কারণ মহামহিমান্বিত আল্লাহ্ সুবহানু ওয়াতা'আলা পবিত্র আল কোরআনে বলে দিয়েছেন, শ্রমিক মৌমাছি বা সৈনিক মৌমাছিরা হলো স্ত্রী মৌমাছি। তারা রাজা নয় বরং রাণী মৌমাছির নিকট জবাবদিহি করে। আর পবিত্র কোরআনের ১৬ নং সূরা আন নাহল (النّحل) এর ৬৯ নম্বর আয়াতে মৌমাছির জন্য "স্ত্রী লিঙ্গ" ব্যবহার করা হয়েছে। ("کُلِیۡ" বা কুলি এবং "فَاسۡلُکِیۡ" বা ফাসলুকী)। এ থেকেই প্রমাণ হয় যে, যেসব মৌমাছিরা মৌচাক ছেড়ে খাদ্য সংগ্রহে বের হয় তারা হলো স্ত্রী মৌমাছি। অন্যথায় বলা যায় শ্রমিক মৌমাছি বা সৈনিক মৌমাছি। 

 

মহিমান্বিত ঐশীগ্রন্থ পবিত্র কোরআন উপরোল্লিখিত আয়াতে উল্লেখ করেছে যে, কিভাবে একটি মৌমাছি দক্ষতার সাথে তার রবের প্রশস্ত পথ বের করে ফেলে।" [এটা সবচেয়ে ভালো করে বুঝতে পারবেন যদি নোমান আলী খানের উপরোল্লিখিত লেকচারটি দেখেন;ইনশাআললাহ]

 

বিঃদ্রঃ 

i) সম্পূর্ণ পবিত্র কোরআনের অর্থ, বাংলা, ইংরেজি, আরবি সহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ, তাফসীর লিংক (আবু বকর যাকারিয়া হাফিঃ) পড়ুন। 

Published by: King Fahd Complex, Madina, Saudi Arabia 

https://quranenc.com/en/browse/bengali_zakaria/48/1

 

ii) বাংলাদেশ হাদিস অ্যাকাডেমির "কোরআনের তাফসীর লিংক)

https://hadithbd.com/quran/