আসুন দেখি প্রথমে এ বিষয়ে পবিত্র কুরআন কী বলে!
যারা সেই নিরক্ষর রাসূলের অনুসরণ করে চলে যার কথা তারা তাদের নিকট রক্ষিত তাওরাত ও ইঞ্জীল কিতাবে লিখিত পায়। (৭:১৫৭)।
15. প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের জন্য একজন ভাববাদী পাঠাবেন| তোমাদের নিজের লোকদের মধ্য থেকেই এই ভাববাদী আসবে| সে আমারই মতো হবে| তোমরা অবশ্যই এই ভাববাদীর কথা শুনবে|(দ্বিতীয় বিবরণ 18:15)דברים-Deuteronomy :1818 נביא אקים להם מקרב אחיהם כמוך ונתתי דברי בפיו ודבר אליהם את כל אשר אצונו׃18. আমি তাদের কাছে তোমার মতোই একজন ভাববাদী পাঠাব| এই ভাববাদী তাদের ভ্রাতৃবর্গদের মধ্যেই একজন হবে| সে য়ে কথা অবশ্যই বলবে সেটা আমি তাকে বলে দেব| আমি যা আদেশ করি তার সমস্ত কিছু সে লোকদের বলবে|(দ্বিতীয় বিবরণ 18:18)
נָבִ֨יא | 18 | ||
বার্তাবাহক/নবী |
אֲחֵיהֶ֖ם18 তাদের ভ্রাতৃবর্গদের |
אֲחֵיהֶ֖ם |
- তিনি হবেন মুসা আ. এর মত।
- তিনি ইসরাইলীদের ভাইদের তথা ইসমাইলিয় বংশ থেকে আসবেন। কারণ এখানে ভ্রাতৃবর্গ বলা আছে। ইসহাক আ. ইসমাঈল আ. এর ভাই।
- আল্লাহ তা‘আলা তার বাণী গুলো সেই নবীকে দিয়ে প্রচার করাবেন ও তিনি এসব বাণী মানুষকে জানাবেন। তিনি তার প্রতি নির্দেশিত আয়াত গুলো মানুষকে জানিয়ে দিবেন।
এবার আসুন দেখি এই বৈশিষ্ট্য গুলো নবী মুহাম্মদ সা: এর সাথে মিলে যায় কিনা:
মুসা আ. ও মুহাম্মদ সা. মধ্যে অনেক মিল আছে৷ যেমন তারা উভয়েই পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান নিয়ে এসেছেন। তাদের প্রত্যেকেই ছিলেন নবী ও রাসূল ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং তারা প্রত্যেকেই নিজের মাতৃভূমি থেকে তাদের বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্রের কারণে হিজরত করেছেন। মুসা আ. মিশর থেকে সবাইকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন ফিলিস্তিনে। আর মুহাম্মদ সা. মক্কা থেকে পালিয়ে মদিনায় গিয়েছিলেন। কারণ তাদের দুজনকেই হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিলো তাই। এখানে আমরা গভীর মিল দেখতে পাচ্ছি। মূসা আ. তাওয়াত পেয়েছিলেন তুর পাহাড়ে, অপরদিকে মুহাম্মদ সা. ও প্রথম ওহী পেয়েছিলেন পাহাড়ে। মূসা আ. ও মুহাম্মদ সা. দুজনই স্বাভাবিক ভাবে মারা গিয়েছিলেন। মূসা আ. বিবাহিত ছিলেন, অপরদিকে মুহাম্মদ সা. ও বিবাহিত ছিলেন। মূসা আ. এর সাথে একমাত্র মুহাম্মদ সা. এর বৈশিষ্ট্যেরই গভীর মিল আছে। মূসা আ. এর সাথে মুহাম্মদ সা: ব্যতীত, অন্য কোন নবীর সাথে এই বৈশিষ্ট্য মিলে যায় না। তাই এটা প্রমানিত যে এখানে যেই নবীর কথা বলা হয়েছে তিনি মুহাম্মদ সা.। ইব্রাহীম আ. এর ছিল দুই সন্তান ইসমাইল ও ইসহাক আ. (আদিপুস্তক ২১)। ইসমাইল আ: হলেন আরবদের পূর্বপুরুষ। আর ইসহাক আ: ইহুদি জাতির পূর্বপুরুষ। আর যে নবীর ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে তিনি ইহুদীদের মধ্য থেকে আসবেন না। বরং তিনি আসবেন তাদের ভ্রাতৃবর্গদের মধ্যে থেকে । ভ্রাতৃবর্গদেরম মধ্য থেকে, তথা ইসমাইল (আ.) এর বংশ থেকে। মুহাম্মদ (সা.) ইসমাইল (আ.) এর বংশ থেকে এসেছেন। সুতরাং, তিনিই বাইবেলে উল্লিখিত নবী (প্রমানিত)।
এখন যদি খ্রিস্টানরা বলে এখানে যিশু বা ঈসা আ. এর কথা বলা হয়েছে। তবে তা হাস্যকর কারণ এসব বৈশিষ্ট্য যিশু বা ঈসা আ. এর সাথে মিলে না । মূসা আ. স্বাভাবিক ভাবে জন্মেছিলেন। কিন্তু যিশু বা ঈসা আ. অলৌকিক ভাবে কোন পুরুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই জন্মেছেন। যিশু বা ঈসা আ. ছিলেন অবিবাহিত কিন্তু মূসা আঃ ছিলেন বিবাহিত। যিশু বা ঈসা আ. কোন নতুন আইন নিয়ে আসেনি কিন্তু মূসা আ. ও মুহাম্মদ সা. দুজনেই নতুন আইন এনেছিলেন। তাই এটা প্রমানিত এখানে যিশু বা ঈসা আ. নই এখানে মুহাম্মদ সা. এর কথা বলা হয়েছে৷
◉ এবার আসুন আমরা দেখি মুহাম্মদ সাঃ এর নাম New Testament এর কোথায় লিখা আছে! !!
নিচের ছবিটি দেখুন :
Song Of Solomon /পরমগীত এই অধ্যায়ে সরাসরি মুহাম্মদ সা. এর নাম বণর্ণা করা হয়েছে।
দেখুন :-
[שיר השירים-Song of Songs : 5:161]
6 חכו ממתקים וכלו מחמדים זה דודי וזה רעי בנות ירושלם׃ Hikko Mamittakim we kullo Muhammadim Zehdoodeh wa Zehrace Bayna Jerusalem."
এই হিব্রু শব্দের অর্থ מַחֲמַדִּ֑= Mahammadim/Muhammadim
এটির বাংলা অর্থ মুহাম্মদীম। এটির বাংলা মুহাম্মদ থেকে বহুবচন মুহাম্মদীম করা হয়েছে৷ যার অর্থ প্রসংশীয়৷ খ্রিস্টানরা এটা নিয়ে অনেক মিথ্যাচার করে তারা মানতে চায় না। ইহুদিদের নিজস্ব Website থেকে আপনাদের স্ত্রিনশট তুলে দিলাম দেখুন তারা এটাকে কী অনুবাদ করেছে।