বিজ্ঞানীগণ বলেন যে মহাবিশ্বে ছায়াপথ গঠনের পূর্বে মহাকাশীয় বস্তু ছিল আদিতে গ্যাসীয় পদার্থের আকারে। সংক্ষেপে বললে বলা যায় যে, ছায়াপথ সৃষ্টির পূর্বে বিপুল গ্যাসীয় পদার্থ বা মেঘমালা বিদ্যমান ছিল। আদি মহাকাশীয় বস্তু কে "গ্যাসের"-চেয়ে "ধুম"- শব্দের দ্বারা বর্ণনা করা অধিকতর সঠিক এবং গ্রহণযোগ্য। মহিমান্বিত ঐশীগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআন মাজীদে বিশ্বজগতের অবস্থার বর্ণনা প্রসঙ্গে সেখানে মূল ভাষায় "دُخَانٌ/দুখান"- শব্দের উল্লেখ রয়েছে। "দুখান" শব্দের অর্থ হলো "ধোঁয়া বা Smoke." পবিত্র কোরআন মাজীদের ৪১ নং সূরা হা-মীম সাজদাহ্ (فصّلت), আয়াত: ১১-তে বলা হয়েছে:
ثُمَّ ٱسْتَوَىٰٓ إِلَى ٱلسَّمَآءِ وَهِىَ دُخَانٌ فَقَالَ لَهَا وَلِلْأَرْضِ ٱئْتِيَا طَوْعًا أَوْ كَرْهًا قَالَتَآ أَتَيْنَا طَآئِعِينَ
অর্থঃ অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন যা ছিল ধূম্রপুঞ্জ বিশেষ। অতঃপর তিনি ওটাকে এবং পৃথিবীকে বললেনঃ তোমরা উভয়ে এসো স্বেচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বললঃ আমরা এলাম অনুগত হয়ে।" [অনুবাদক: মুজিবুর রহমান]
আর এই ঘটনাটি হলো মহাবিস্ফোরণ বা Big Bang এর স্বাভাবিক পরিণতি যা রাসূল ﷺ এর সময়ে আরবদের নিকটে ছিল অজানা। তাহলে সেই সময়ে এ জ্ঞানের উৎস কী হতে পারে?
ছায়াপথ