Are you sure?

তুলনামূলক ধর্মতত্ব »  বিবিধ

বেদের বিকৃতির সাতকাহন

মুসলিমরা যখন পুরাণ,রামায়ণ,মহাভারত, স্মৃতিশাস্ত্র ইত্যাদি থেকে হিন্দুধর্মের অসাড়তার রেফারেন্স প্রদান করে,তখন হিন্দুরা এগুলোর জবাব দিতে না পেরে শাস্ত্রগুলোকেই অস্বীকার করে বসে,যেই শাস্ত্রগুলো দীর্ঘদিন ধরে হিন্দুসমাজে চর্চিত হয়ে আসছে।অভিযোগের মুখ থেকে নিজেদের পিঠ বাঁচাতে এখন হিন্দুরা দাবি করা শুরু করেছে বেদই একমাত্র সঠিক ও অবিকৃত গ্রন্থ।বাকি সব বিকৃত।কিন্তু অনুসন্ধান করলে দেখা যায় হিন্দুধর্মের প্রধান গ্রন্থ বেদও একটি বিকৃত গ্রন্থ। হিন্দুরা মানতে চাক বা না চাক,এই পোস্টে তা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে যাবে।তাই বেদ কোনো নির্ভরযোগ্য ঐশীবাণী হতে পারে না।হিন্দুদের মতে বেদ ৪ ভাগে বিভক্ত।যথা:

 

১.ঋগ্বেদ

২.যজুর্বেদ

৩.সামবেদ

৪.অথর্ববেদ

 

পোস্টটিতে ৪ বেদেরই বিকৃতি তুলে ধরা হবে।

 

◾বেদের কতিপয় হারানো মন্ত্র:

 

খ্রিষ্টপূর্ব যুগে লিখিত বিখ্যাত একটি বৈদিক শব্দকোষ হচ্ছে 'নিরুক্ত'।

 

নিরুক্ত ৭/৮ অনুযায়ী,

 

"ঋগ্বেদের দশটি গ্রন্থে অগ্নি ও বিষ্ণুকে একটি যৌথ স্তব উৎসর্গ করা হয়েছে।"

 

কিন্তু,সমগ্র ঋগ্বেদে অগ্নি ও বিষ্ণুকে উদ্দেশ্য করে যৌথভাবে স্তবকৃত একটিও মন্ত্র নেই।যার দ্বারা বোঝা যায় নিরুক্তের যুগে উক্ত মন্ত্রটি ঋগ্বেদে থাকলেও বর্তমান ঋগ্বেদে তা নেই।

 

◾ বেদের শাব্দিক বিকৃতি:

ন যে সংস্কৃত Vaayah হলো একটি মাত্র শব্দ [নিরুক্ত ৬/২৮ দেখুন]। কিন্তু শাকাল শাখার ঋগ্বেদের পাঠে এই শব্দটি বিভক্ত হয়ে Vaa এবং yah হয়েছে,ফলে এই অংশটুকু অর্থহীন হয়ে পড়েছে। ঋগ্বেদ 10:29:1 সেই জায়গা ,যেখানে এই ভুলটি আছে।

 

 

এরকম বহু শাব্দিক বিকৃতির উদাহরণ বেদে দেখানো যায়,যেমনঃ ঋগ্বেদ ৫/৩৯/১, সামবেদ ৪/২/১/৪,নিরুক্ত ৪/৪ ইত্যাদি।

 

◾ ঋগ্বেদ থেকে 999 টি সুক্ত হারিয়ে গেছে!!!

 

শৌনক ঋষি তাঁর ব্রহ্‌দদেবতায়,বিখ্যাত সংস্কৃত ব্যাকরণবিদ কাত্যায়ন (খ্রিষ্টপূর্ব ৩য় শতক) সর্বানুক্রমণীতে, সায়ান আচার্য এবং স্কন্দ স্বামী তাঁদের ঋগ্বেদের মন্ডল 1, সূক্ত 99 ভাষ্যের ভূমিকায় বলেছেন যে কাশ্যপ ঋষি 1000টি জাতবেদা সূক্তের স্বাক্ষী,এই সূক্তগুলিতে মন্ত্রের (রিক্) সংখ্যা একটি করে বৃদ্ধি পায়।

 

★ কাত্যায়নের সর্বানুক্রমণী:

 

পন্ডিত কাত্যায়ন তাঁর ঋগ্বেদ মন্ডল ১,সুক্ত ৯৯ বিষয়ে লিখেনঃ

 

जातवेदस एका । जातवेदस्यम् एतदादीन्येकभूयांसिसूक्तसहस्त्रमेतत्तु कश्यपार्षम् ।

 

অর্থাৎ,ঋষি কাশ্যপ ১০০০ টি জাতবেদা সুক্তের স্বাক্ষী।

 

★ শৌনক ঋষির ব্রহ্দদেবতা :

 

ঋষি কাশ্যপ জাতবেদার উদ্দেশ্যে রচিত 1000টি সুক্তের স্বাক্ষী যেগুলো ইন্দ্রকে সম্বোধন করা সুক্তের আগে দৃষ্ট হয় (উদাহরণস্বরূপ: ঋগ্বেদ মণ্ডল 1,সুক্ত 99 ও সুক্ত 100)। এর মধ্যে প্রথম সূক্তটি হল-

 

Sanskrit:

 

जातवेदसे सुनवाम सोममरातीयतो नि दहाति वेदः |

स नः पर्षदति दुर्गाणि विश्वा नावेव सिन्धुं दुरितात्यग्निः

 

English:

 

HYMN XCIX. Agni.

 

1. FOR Jātavedas let us press the Soma: may he consume the wealth of the malignant.

May Agni carry us through all our troubles, through grief as in a boat across the river.

 

Bengali:

 

আমরা জাতবেদার উদ্দেশ্যে সোম অভিষব করি। যারা আমাদের প্রতি শত্রুর ন্যায় আচরণ করে, তিনি তাদের ধন দহন করুন। যেরূপ নৌকাদ্বারা নদী পার করা হয়, সেরূপ তিনি আমাদের সমস্ত দুঃখ পার করিয়ে দিন; অগ্নি আমাদের পাপসমূহ পার করিয়ে দিন।

 

…(ঋগ্বেদ মন্ডল 1,সুক্ত 99)।

 

শকুপানিতে মন্ত্রের সংখ্যা এক করে বৃদ্ধি পায় (স্তবকের সংখ্যায়)।  {ব্রহ্দদেবতা ৩ -১৩০ -বি}

 

★ ষড়গুরুশিষ্যের বেদার্থ দিপিকা:

 

ষড়গুরুশিষ্যের লেখা অনুসারে এই মন্ত্রগুলো সংখ্যায় ছিলো ৫,০০,৪৯৯।

 

ऋचस्तु पंचलक्षा स्युः सैकोनशतपंचकम्

 

✔️ উপরোক্ত তথ্যের আলোকে আমরা নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তে আসতে পারি:

 

 (১) কাশ্যপ ঋষি ঋগ্বেদ মন্ডল 1,সূক্ত 99 সহ মোট 1000 জাতবেদা সূক্তের স্বাক্ষী।

 

(২) ঋগ্বেদ মন্ডল 1,সূক্ত 99 এই 1000 সূক্তের প্রথম সূক্ত।

 

 (৩) এই সূক্তগুলিতে মন্ত্রের সংখ্যা এক করে বৃদ্ধি পায়,যার দ্বারা আমরা জানতে পারি এই 1000টি সূক্তে মোট 500,500টি রিক (মন্ত্র) রয়েছে।

 

 (৪) কিন্তু বর্তমান ঋগ্বেদ সংহিতাগুলিতে আমরা এই 1000টি সুক্তের মধ্যে একটি মাত্র পাই,যা ১ম মন্ডল,সুক্ত ৯৯ এ অবস্থিত।এটি আমাদের এই সিদ্ধান্তে নিয়ে যায় যে ঋগ্বেদ থেকে 999টি সুক্ত হারিয়ে গেছে। বিকল্পভাবে বলা যেতে পারে যে ঋগ্বেদ থেকে 5,00,499 টি রিক (মন্ত্র) হারিয়ে গেছে!!!

 

◾তিন বেদ বনাম চার বেদ:

 

শাস্ত্রসমূহ ভালোভাবে পাঠ করলে জানা যায় যে বেদ আসলে ৪ টি নয়,বরং ৩ টি! 

 

★ বাল্মীকি রামায়ণে যখন শ্রী রাম ও লক্ষ্মণ কিষ্কিন্ধা পর্বতে ছিলো,তখন ভগবান রামচন্দ্র হনুমানের একটি কথা শুনে উক্তি করেন:

 

"ন অন ঋগবেদ বিনীতস্য ন অ যযুর্বেদ- ধারিন। ন অ সামবেদ বিদুষ শক্যম এবম বিভাষিতু মদম।।"

 

অর্থ:- ঋগ্বেদ অধ্যয়নে যে অনভিজ্ঞ,যযুর্বেদে যার বোধ নেই,সামবেদ যার অধ্যয়ন নেই--সেই ব্যক্তি ভিন্ন অন্য কেউ এই সদৃশ বাক্য প্রয়োগ করতে পারে না।---{বাল্মিকী রামায়ণ ৪/৩/২৮}।

 

এখানে শ্রী রামচন্দ্র কর্তৃক বেদের তালিকা থেকে অথর্ববেদকে বাদ দেয়ার কারণ কি?

 

★ ছান্দোগ্য উপনিষদের বর্ণনা অনুযায়ীও বেদ ৩ টি।

 

"তিনি এই তিন দৈব শক্তির জন্ম দিয়েছিলেন এবং তাদের থেকে এইভাবে তিনি নির্যাসগুলিকে বের করে এনেছিলেন- অগ্নি থেকে রিক মন্ত্রগুলি, বায়ু থেকে যজুঃ মন্ত্রগুলি, আদিত্য থেকে সাম মন্ত্রগুলি।"  [ছান্দোগ্য উপনিষদ- অধ্যায় 4, খণ্ড 17, মন্ত্র 2]

 

শতপথ ব্রাহ্মণ 11:5:8:1,2-এ একই কথা বলা হয়েছে। সবজায়গায় শুধুমাত্র তিনটি বেদের কথাই বলা হয়েছে।

 

★ মনু ঋষি বলেন:

 

মনুস্মৃতি ১:২৩

 

" কিন্তু অগ্নি,বায়ু এবং সূর্য থেকে তিনি ত্রিবিধ শাশ্বত বেদ তৈরি করেছিলেন, যার নাম রিক, যজুঃ এবং সাম - যজ্ঞের যথাযথ সম্পাদনের জন্য।"

 

মনুস্মৃতি 2:118, 2:230, 9:188 দেখুন, যেখানে শুধুমাত্র তিনটি বেদের উল্লেখ করা হয়েছে।

 

★ খোদ বেদ হতেই জানা যায় বেদ হলো ৩ টি।

 

ঋগ্বেদ ১০/৯০/৯:-

 

সংস্কৃত:-

তস্মাদ্যজ্ঞাৎ সর্বহুৎ ঋচঃ সামানি জজ্ঞিরে । ছন্দাংসি জজ্ঞিরে তস্মাদ্যজুস্তস্মাদজায়ৎ।।

 

অর্থ:-

সেই সৰ্ব্ব হোমসম্বলিত যজ্ঞ হইতে ঋক্ ও সামসমূহ উৎপন্ন হইল, ছন্দ সকল তথা হইতে আবির্ভূত হইল, যজুও তাহা হইতে জন্ম গ্রহণ করিল।

 

✔️ এ সকল বর্ণনার পরে প্রশ্ন থেকেই যায়,অথর্ববেদ কি আসলেই মূল বেদের অংশ? নাকি এটা কোনো উপবেদ জাতীয় কিছু?যেমন: আয়ুর্বেদ,ধনুর্বেদ,গন্ধর্ববেদ ইত্যাদি।

 

◾বেদের ১১৩১ টি ভার্সন!

 

আজকে সারাবিশ্বে ৪ বেদকে মোটামুটি আন্তর্জাতিকভাবে একটি নির্দিষ্ট রূপ দেয়া হয়েছে।প্রাচীনকালে কিন্তু তেমনটি ছিলো না।ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলভেদে বেদগুলো বিভিন্ন রকম হতো।যেমন দেখা যায়,উত্তর ভারতীয়রা যে সামবেদ পাঠ করতো,দক্ষিণ ভারতীয়দের সামবেদ তার চেয়ে কিছুটা আলাদা ছিলো।উত্তরভারতীয় কৌথুম ও রণায়নীয় শাখার সামবেদে মন্ত্রের সংখ্যা ১৮৭৫ টি।অপরদিকে জৈমিনীয় শাখার সামবেদে মন্ত্রের সংখ্যা ১৬৮৭ টি। বেদের এরকম আলাদা আলাদা ভার্সন ভারতের ১১৩১ জায়গায় প্রচলিত ছিলো!এই ভার্সনগুলোকে হিন্দুধর্মীয় ভাষায় "শাখা" বলা হয়,আর শাখার অনুসারীদেরকে "শাখী" বলা হতো।

 

বর্তমানে আন্তর্জাতিকভাবে যে স্ট্যান্ডার্ড ৪ বেদ চলছে,এগুলোও কোনো না কোনো শাখা বেদ।এগুলো সর্বভারতীয় বেদ কখনোই ছিলো না।

 

পতঞ্জলির 'মহাভাষ্য' অনুসারে, ঋগ্বেদের 21টি শাখা, অথর্ববেদের 9টি, যজুর্বেদের 101টি (কৃষ্ণ যজুর্বেদের 86টি এবং শুক্ল যজুর্বেদের 15টি, পরবর্তী কর্তৃপক্ষের মতে) এবং সামবেদের 1000টি শাখা ছিলো।এই সবগুলি যোগ করে ১১৩১ টি শাখা হয়।এই সমস্ত শাখাগুলিকে বেদ বলে মনে করা হয়।

 

যাই হোক,এই ১১৩১ শাখার মধ্যে অধিকাংশ কালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।প্রাচীন লেখনীসমূহ থেকেই কেবল তাদের সম্বন্ধে জানা যায়।বর্তমানে ১১-১৩ টির মতো শাখা বা ভার্সন অবশিষ্ট রয়েছে।

 

★ ঋগ্বেদের শাখাগুলির মধ্যে শাকাল ও বাষ্কল শাখাদুটিই এখন প্রচলিত আছে।শাকাল ঋষিকে বর্তমান ঋগ্বেদের সংগ্রাহক বলা হয়। তার অনেক ছাত্র ছিলো, যারা পরে অনেক মতবাদ প্রকাশ করেছিল এবং ঋগ্বেদের নিজস্ব সংস্করণ সংকলন করেছিলেন।প্রায় ২১টি পর্যন্ত । ঋগ্বেদের শাকাল এবং বাষ্কল সংহিতার মধ্যে বড় পার্থক্য রয়েছে। শাকাল রিসেনশনে 1,017টি নিয়মিত স্তোত্র রয়েছে,যেখানে বাষ্কল সংহিতায় মোট 1025টি স্তোত্র রয়েছে। এইভাবে, প্রায় 50টি মন্ত্র শাকাল সংহিতায় অনুপস্থিত।এমনকি মোট মন্ত্রের সংখ্যা নিয়েও পার্থক্য রয়েছে। 

 

অনুভাকানুক্রমণির মতে ঋগ্বেদে 10,580টি মন্ত্র রয়েছে।

গায়ত্রী পরিবার অনুসারে ঋগ্বেদে 10,552টি মন্ত্র রয়েছে।

সায়ন আচার্যের মতে ঋগ্বেদে 10,000টি মন্ত্র রয়েছে।

স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর মতে ঋগ্বেদে 10,589টি মন্ত্র রয়েছে।

 

এই তথ্য মোতাবেক,ঋগেদের প্রায় ৫০০ টির মতো মন্ত্র সন্দেহযুক্তের তালিকায় থেকেই যাচ্ছে।

 

★ এছাড়া বর্তমানে প্রচলিত বেদগুলোর মূল সংস্কৃতেও বিশাল পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।কোনো কোনো ভার্সনে শব্দের আংশিক পরিবর্তন হয়েছে,কোনো কোনোটিতে নতুন শব্দ সংযোজিত হয়েছে,আবার কোনো কোনো জায়গায় গোটা কয়েক শব্দই গায়েব হয়ে গেছে।

 

 

 

গায়ত্রী পরিবার ও আর্য সমাজের ছাপানো বেদের মূল সংস্কৃত তুলনা করে দেখুন : যযুর্বেদ ১৩/৫৮,৯/২০,২৬/২৬,৩৯/৫,অথর্ববেদ ২০/১২৭/৩ !!! কার বেদ সত্য?

 

★ যযুর্বেদের শাখাগুলির মধ্যে মাত্র পাঁচটিই এখন রয়েছে; আর একটি রয়েছে আংশিকভাবে।এই শাখাগুলি হলো: বাজসনেয়ী-মধ্যণ্ডিন, কান্ব, তৈত্তিরীয়, মৈত্রেয়ানি, চরক-কঠ ও কপিষ্ঠল-কঠ।

 

★ সামবেদের টিকে থাকা শাখাগুলো হলো : জৈমিনীয়,রাণায়নীয় ও কৌথুম শাখা।

 

★ অথর্ববেদের ৯টি শাখা ছিলো। এগুলি হলো: পৈপ্পলাদ,অলাদ,তৌড়, মৌড়, শৌনকীয়, জজল, ব্রহ্মবাদ, দেবদর্শ ও চরণ-বৈদ্য। এগুলির মধ্যে শৌনকীয় ও পৈপ্পলাদ শাখা দুটিই টিকে আছে।

 

এই শাখা বা ভার্সনগুলোর মন্ডল,সুক্ত,প্রপাঠক,অনুবাক,মন্ত্রসংখ্যা ইত্যাদি অনেককিছুতেই অমিল দেখা যায়।বর্তমান উত্তরভারতীয়রা নির্দিষ্ট শাখার বেদগুলোকেই আসল বেদ নামে বিশ্ববাজারে চালাচ্ছে।দক্ষিণ ভারতীয়দেরকে নানাভাবে বঞ্চিত করছে।বেদের সংকলন ও সংহিতাকরণের পর ব্রাহ্মণ গোষ্ঠীর মধ্যে বিভিন্ন পাণ্ডুলিপি লিপিবদ্ধতা লাভ করে।প্রতিটি পাণ্ডুলিপিতে মন্ত্রের সংখ্যা পরিবর্তন হতে থাকে।

 

◾ এত বিকৃতি সত্ত্বেও যখন হিন্দুরা বেদকে 'অবিকৃত' ও মুসলিমদের অভিযোগ থেকে নিজেদের পিঠ বাঁচাতে পুরাণ,স্মৃতিশাস্ত্রগুলোকে বিকৃত দাবি করে,তখন বড়ই হাসি পায়।

 

{ সম্পাদনা ও অনুবাদ: নেবুদা }

মূল: https://vedkabhed.com/