Author:- SM SAMRAT BABU
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
নাস্তিকরা দাবি করে কুরআনের না কি
আসমান এবং যমীনকে স্থির রাখার কথা বলা হয়েছে।
আসলেই কি কুরআনে ঐ কথা লেখা আছে?
চলুন দেখে আসি।
Sura 35. Fatir
Verse No. 41
اِنَّ اللّٰہَ یُمۡسِکُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ اَنۡ تَزُوۡلَا ۬ۚ وَ لَئِنۡ زَالَتَاۤ اِنۡ اَمۡسَکَہُمَا مِنۡ اَحَدٍ مِّنۡۢ بَعۡدِہٖ ؕ اِنَّہٗ کَانَ حَلِیۡمًا غَفُوۡرًا ﴿۴۱﴾
English – Sahih International
Indeed, Allah holds the heavens and the earth, lest they cease. And if they should cease, no one could hold them [in place] after Him. Indeed, He is Forbearing and Forgiving.
সূরা ৩৫. ফাতির
আয়াত নং ৪১
Advertisements
REPORT THIS AD
অনুবাদঃ
নিশ্চয় আল্লাহ আসমানসমূহ ও যমীনকে ধরে রাখেন যাতে এগুলো স্থানচ্যুত না হয়। আর যদি এগুলো স্থানচ্যুত হয়, তাহলে তিনি ছাড়া আর কে আছে, যে এগুলোকে ধরে রাখবে? নিশ্চয় তিনি পরম সহনশীল, অতিশয় ক্ষমাপরায়ণ। -(আল-বায়ান)
এখানে দেওয়া আছে holds অর্থ ধরে রাখা, ঝুলিয়ে রাখা ইত্যাদি
holds অর্থ মোটেও স্থির রাখা নয়
[তাফসীরে আহসানুল-বায়ান]
[1] كراهة أن تزولا، لئلا تزولا এটি আল্লাহ তা’আলার অসীম ক্ষমতা ও সৃষ্টিনৈপুণ্যের বর্ণনা। অনেকে বলেন, উদ্দেশ্য এই যে, আল্লাহর সাথে শিরক করা এত বড় অপরাধ যে, তার ফলে আকাশ ও পৃথিবী নিজ নিজ অবস্থাতে টিঁকে থাকতে পারে না; বরং তা যেন ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। যেমন অন্যত্র বলেছেন, (تَكَادُ السَّمَاوَاتُ يَتَفَطَّرْنَ مِنْهُ وَتَنْشَقُّ الْأَرْضُ وَتَخِرُّ الْجِبَالُ هَدًّا * أَنْ دَعَوْا لِلرَّحْمَنِ وَلَدًا) অর্থাৎ, এতে যেন আকাশসমূহ বিদীর্ণ হয়ে যাবে, পৃথিবী খন্ড-বিখন্ড হবে এবং পর্বতসমূহ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে আপতিত হবে। যেহেতু তারা পরম দয়াময়ের প্রতি সন্তান আরোপ করে। (সূরা মারয়্যাম ৯০-৯১ আয়াত)
[2] অর্থাৎ, এটা আল্লাহ তাআলার অসীম ক্ষমতার সাথে সাথে তাঁর অসীম দয়া এই যে, তিনি আকাশ ও পৃথিবীকে ধারণ করে রেখেছেন এবং তা আপন স্থান হতে নড়াচড়া করতে ও হিলতে দেন না; নচেৎ চোখের পলকে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। কারণ তিনি যদি তাকে ধারণ না করেন ও তার স্থান থেকে নড়াচড়া করতে দেন, তাহলে তিনি আল্লাহ ছাড়া এমন কোন শক্তি নেই, যে তাকে ধারণ করে রাখবে। إن أمسكهما শব্দটিতে إن নাফিয়াহ (নেতিবাচক)। আল্লাহ তাআলা তাঁর উক্ত অনুগ্রহ ও নিদর্শনের বর্ণনা অন্য স্থানেও দিয়েছেন। যেমন (وَيُمْسِكُ السَّمَاءَ أَنْ تَقَعَ عَلَى الْأَرْضِ إِلَّا بِإِذْنِهِ) অর্থাৎ, তিনিই আকাশ স্থির রাখেন, যাতে তাঁর আদেশ ব্যতীত ভূপৃষ্ঠে পতিত না হয়। (সূরা হজ্জ ৬৫) (وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ تَقُومَ السَّمَاءُ وَالْأَرْضُ بِأَمْرِه) অর্থাৎ, তাঁর অন্যতম নিদর্শন এই যে, তাঁরই আদেশে আকাশ ও পৃথিবী প্রতিষ্ঠিত আছে।’’ (সূরা রূম ২৫)
[3] অসীম ক্ষমতার অধিকারী হয়েও তিনি বড় সহনশীল। নিজ বান্দাদেরকে কুফরী, শিরক ও পাপ করতে দেখেও তিনি তাদেরকে পাকড়াও করার জন্য তাড়াতাড়ি করেন না; বরং আরো ঢিল দেন। তিনি বড় ক্ষমাশীলও। যখন কেউ তওবা করে তাঁর দরবারে ফিরে আসে এবং লজ্জিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনার সাথে অনুতাপ প্রকাশ করে, তখন তিনি তাকে ক্ষমা করে দেন
[তাফসীরে আহসানুল-বায়ান]
সূরা ২১. আল-আম্বিয়া
আয়াত নং ৩৩ এ আছে
وَ ہُوَ الَّذِیۡ خَلَقَ الَّیۡلَ وَ النَّہَارَ وَ الشَّمۡسَ وَ الۡقَمَرَ ؕ کُلٌّ فِیۡ فَلَکٍ یَّسۡبَحُوۡنَ ﴿۳۳﴾
English – Sahih International
And it is He who created the night and the day and the sun and the moon; all [heavenly bodies] in an orbit are swimming.
অনুবাদঃ
আর তিনিই রাত ও দিন এবং সূর্য ও চাঁদ সৃষ্টি করেছেন; সবাই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করে। -(আল-বায়ান)
এই আয়াত দিয়ে প্রমান করা যায় এই দাবিটা মিথ্যা।