১)আদিপুস্তক ১ম অধ্যায়ের ১৬ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে:-"তখন ঈশ্বর দুটি মহাজ্যোতি বানালেন।ঈশ্বর বড়টি (সূর্য)বানালেন দিনের বেলা রাজত্ব করার জন্য আর ছোটটি (চাঁদ)বানালেন রাত্রিবেলা রাজত্ব করার জন্য।"
এর সঠিক অনুবাদ অর্থাৎ হিব্রু বাইবেলের মধ্যে বলা হয়েছে "প্রদীপ "הַמְּאֹרֹ֖ת যা নিজে থেকে আলো বিকিরণ করে অর্থাৎ আলোর উৎস।এক কথায় যার নিজের আলো আছে।
আরো ভালোভাবে বোঝা যাবে যদি আদিপুস্তক ১ম অধ্যায়ের ১৬ ও ১৭ নং একত্রে বুঝে পড়া হয়।১৭ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে:-
"পৃথিবীকে আলো দেওয়ার জন্য ঈশ্বর এই আলোগুলোকে (সূর্য ও চাঁদ) আকাশে স্থাপন করলেন।"এখানে "পৃথিবীকে আলো দেওয়ার জন্য অর্থাৎ সূর্য ও চাঁদের নিজস্ব আলো আছে বোঝানো হয়েছে।কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান বলে চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই অর্থাৎ বাইবেলের উল্লেখিত তথ্য আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
২)এবার পৃথিবীর ধ্বংস সম্পর্কে বলা যাক।থার্মোডাইনামিক্সের সূত্রের মাধ্যমে অনেক বিজ্ঞানী প্রমাণ করেছেন যে পৃথিবী চিরস্থায়ী নয় বরং কোন এক কালে ধ্বংস হয়ে যাবে।তবে এটা কেবলমাত্র একটি অনুমান অর্থাৎ একটা থিওরি। তবে ধরে নেই পৃথিবী হয়ত চিরকাল থাকবে অথবা কোন এক কালে ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু কখনোই একসাথে দুইটা ঘটবে না অর্থাৎ পৃথিবী ধ্বংস হলে চিরকাল থাকার প্রশ্নই আসে না। আর পৃথিবী চিরকাল থাকতে হলে ধ্বংস হবারও প্রশ্ন আসে না। এক কথায় বলা যায় পৃথিবী চিরকাল থেকে ধ্বংস হবে না বা ধ্বংস হয়ে চিরকাল থাকবে না।আর বাইবেলেও ঠিক এমনটাই অবৈজ্ঞানিক কথা আছে।বুক অব হিব্রু ১ম অধ্যায়ের ১০-১১ নং অনুচ্ছেদ এবং শামসঙ্গীত ১০২ অধ্যায়ের ২৫-২৬ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে:-"সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। এগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। "আবার বাইবেলে ঠিক এর উল্টো/বিপরীত কথাও বলা হয়েছে।😁:"পৃথিবী ধ্বংস হয়ে আবার চিরকাল থাকবে"সামসঙ্গীত (১০২:২৬),সামসঙ্গীত (৭৮:৬৯),হিব্রুদের কাছে পত্র (১:১০-১১) উপদেশক (১:৪)[ বিজ্ঞানের পল্টি বুঝলেন😂]এখানে যে কোন একটা অবশ্যই বৈজ্ঞানিক ভুল। পৃথিবী চিরকাল থাকবে অথবা পৃথিবী ধ্বংস হবে। কিন্তু কখনোই একসাথে দুইটা সত্য হবে না পৃথিবী চিরকাল থেকে আবার ধ্বংস হবে।
৩)যোবের ২৬ নং অধ্যায়ের ১১ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে:-"ভূগর্ভস্থ থামগুলি আকাশকে ধারণ করে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।"মহিমান্বিত ঐশীগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআনে সূরা লোক্মান (لقمان), আয়াত: ১০-এ বলা হয়েছে :-
خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ بِغَيْرِ عَمَدٍ تَرَوْنَهَا وَأَلْقَىٰ فِى ٱلْأَرْضِ رَوَٰسِىَ أَن تَمِيدَ بِكُمْ وَبَثَّ فِيهَا مِن كُلِّ دَآبَّةٍ وَأَنزَلْنَا مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءً فَأَنۢبَتْنَا فِيهَا مِن كُلِّ زَوْجٍ كَرِيمٍ
অর্থঃ তিনি খুঁটি ব্যতীত আকাশমন্ডলী সৃষ্টি করেছেন; তোমরা তা দেখছ.....!
আপনারা কেউ কী আকাশের কোন স্তম্ভ বা খুঁটি দেখেছেন জীবনে?অথবা কোন বৈজ্ঞানিক থিওরি তে কী বলা আছে?কোন শীর্ষ চাপাবাজও বলতে পারবে না যে আকাশের খুঁটি/স্তম্ভ আছে 😅🤣😂 কিন্তু বাইবেল বলছে আকাশের খুঁটি আছে অর্থাৎ এটা একটা বৈজ্ঞানিক ভুল।
৪)শুধু আকাশের স্তম্ভ আছে তা নয়,বাইবেল বলছে পৃথিবীরও স্তম্ভ/ভীত/খুঁটি আছে (যোব ৯:৬; ১ শ্যামুয়েল ২:৮; সামসংগীত ৭৫:৩)
বাইবেলের এসব তথ্য বৈজ্ঞানিক ভুল।