নাস্তিকরা ফেসবুকের গ্রুপে গ্রুপে কমেন্টে কমেন্টে গিয়ে স্প্যামিং করছে যে বিবর্তন নাকি প্রমাণ হয়ে গেছে, এজন্য নাকি নোবেল দেয়া হয়েছে! অবশ্য বঙ্গের অশিক্ষিত বিজ্ঞানবাদীরা হেডলাইন পড়েই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে তা বুঝি। কিন্তু বাস্তবতা হল, ডাঃ পাবো মূলত নিয়ান্ডারথালের জিনোম সিকুয়েন্স করেছেন। এরকম কাজ আসলেই খুব হাই প্রোফাইলের। বাংলাদেশের মাকসুদুল আলম দেশি পাটের জিন সিকুয়েন্স করেই যে আলোড়ন তুলেছেন সেখানে বিলুপ্ত নিয়ান্ডারথালের জিন সিকুয়েন্স করলে সেটা প্রশংসার অপেক্ষা রাখে না।
কিন্তু প্রশ্ন হল, এখান থেকে যদি ডাঃ পাবো বিবর্তন প্রমাণ করে ফেলে, তাহলে তো মাকসুদুল আলম তা বহু আগেই করেছে, তাই না? কারণ এমন তো না যে, বিবর্তন শুধু মানুষের হয়েছে, বিবর্তনবাদীদের দাবি অনুযায়ী , তা পাটেরও হয়েছে। যাই হোক, ড. পাবো থেকে বিবর্তন তত্ত্ব বিতর্ক সম্পর্কে ২টি প্রশ্নের জবাব জেনে নেয়া যাক।
কিন্তু প্রশ্ন হল, এখান থেকে যদি ডাঃ পাবো বিবর্তন প্রমাণ করে ফেলে, তাহলে তো মাকসুদুল আলম তা বহু আগেই করেছে, তাই না? কারণ এমন তো না যে, বিবর্তন শুধু মানুষের হয়েছে, বিবর্তনবাদীদের দাবি অনুযায়ী , তা পাটেরও হয়েছে। যাই হোক, ড. পাবো থেকে বিবর্তন তত্ত্ব বিতর্ক সম্পর্কে ২টি প্রশ্নের জবাব জেনে নেয়া যাক।
- শিম্পাঞ্জি ও মানুষের ডিএনএ-র সাদৃৃশ্য সুনির্দিষ্টভাবে নির্ণয় করা কি সম্ভব?
জবাবে ডা: পাবো বলেছেন যে, "আমি মনে করি না যে, সংখ্যা গণনা করার কোনও উপায় আছে।" "শেষ পর্যন্ত, আমরা কীভাবে আমাদের পার্থক্যগুলি দেখি তা একটি 'রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক' বিষয়।"
Could researchers combine all of what’s known and come up with a precise percentage difference between humans and chimpanzees? “I don’t think there’s any way to calculate a number,” says geneticist Svante Pääbo, a chimp consortium member based at the Max Planck Institute for Evolutionary Anthropology in Leipzig, Germany. “In the end, it’s a political and social and cultural thing about how we see our differences.” [লিংক]
- আমরা প্রায়ই বিবর্তনবাদী ব্যাখ্যার বিপরীতে যাই এবং সিউডোসাইন্টিস্ট ট্যাগ খাই। এখন জেনে নেয়া যাক, একই ফসিলের একাধিক ব্যাখ্যা থাকা কি সম্ভব?
I’m often rather surprised about how much scientists fight in paleontology. And I am thinking about why that is the case. Why do we have less vicious fights in molecular biology, for example? I suppose the reason is that paleontology is a rather data-poor science. There are probably more paleontologists than there are important fossils in the world. To make a name for yourself is to find a new interpretation for those fossils that are extant. This always goes against some earlier person’s interpretation, who will not like it very much. There are many other areas of science where we can agree to disagree, but at least we often generally agree on what data we need to go out and collect to resolve the issue and no one wants to come out too strongly on one side or the other because the data could, in a year or two, prove you are wrong. But in paleontology you can’t decide what you will find. You cannot in most cases go out and test your hypothesis in a directed way. It’s almost like social anthropology or politics — you can only win by somehow yelling louder than the other person or sounding more convincing.
জীবাশ্মবিদ্যায় বিজ্ঞানীরা কতটা লড়াই করেন তা নিয়ে আমি প্রায়শই অবাক হই। আর আমি ভাবছি কেন এমন হল। উদাহরণস্বরূপ, আণবিক জীববিজ্ঞানে কেন আমাদের কম-ই পৈশাচিক মারামারি হয়? আমি মনে করি, এর পিছনের কারণটি হল জীবাশ্মবিদ্যা একটি তথ্য অপ্রতুল বিজ্ঞান। বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ জীবাশ্মের চেয়ে জীবাশ্মবিদ বেশি। নিজের খ্যাতিলাভের একমাত্র উপায় হল, জীবাশ্মগুলির একটি নতুন ব্যাখ্যা খুঁজে বের করা, যদিও ইতিমধ্যেই কোন না কোন ব্যাখ্যা বিদ্যমান রয়েছে। এটি সর্বদা পূর্ববর্তী ব্যক্তিদের ব্যাখ্যার বিরুদ্ধে যায়, যারা এই কাজ খুব বেশি পছন্দ করবে না। বিজ্ঞানের আরও অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে আমরা দ্বিমত পোষণ করেও একমত হতে পারি, তবে সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের কোন ডেটা সংগ্রহ করি এবং অন্ততপক্ষে আমরা প্রায়শই একমত হই এবং কেউই একদিকে বা অন্য দিকে খুব জোরালোভাবে বেরিয়ে আসতে চায় না। কারণ তথ্য এক বা দুই বছরের মধ্যে প্রমাণ করতে পারে আপনি ভুল। কিন্তু প্যালিওন্টোলজিতে আপনি কী পাবেন তা নির্ধারণ করতে পারবেন না। আপনি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাইরে যেতে এবং নির্দেশিত উপায়ে আপনার অনুমান পরীক্ষা করতে পারবেন না। এটা কিছুটা 'সামাজিক নৃবিজ্ঞান বা রাজনীতির' মতো - আপনি কেবলমাত্র অন্য ব্যক্তির চেয়ে উচ্চস্বরে চিৎকার করে বা আরও বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা করে জয়লাভ করতে পারেন। [লিংক]