"যদি জীবজগত সম্পূর্ণরূপে সম্পর্কহীন এবং ভিন্ন হত, তাহলে বিবর্তনবাদীরা এটিকে বিবর্তনীয় প্রক্রিয়ার অন্ধত্ব ও এলোমেলো প্রকৃতির জন্য হয়েছে বলে দাবি করবে। (কারন, দুটি তুষার কণা কখনও যমজ হতে পারে না)। যদি প্রকৃতিতে এমন কোন প্রাণী না থাকে যা মানুষের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, নাস্তিকরা এটিকে বিবর্তনীয় পরিবর্তনের একটি অন্ধ, উদ্দেশ্যহীন, অচেতন শক্তির সুস্পষ্ট ফলাফল হিসাবে দাবি করত কিংবা সম্ভবত সমস্ত মধ্যবর্তী জীবাশ্মগুলি সময়ের গর্ভে হারিয়ে গিয়েছিল বলে দাবি করত। তারপর তারা উল্টো জিজ্ঞাসা করত যে, "কেন ঈশ্বর এমন এলোমেলো, সম্পর্কহীন, সমন্বয়হীনভাবে জীবনকে সৃষ্টি করলেন?"
ডিএনএ সাদৃৃশ্য
আনবিক সমসংস্থা আসলে হোমোলজির আরেকটি রূপ। হোমোলজির মতই এটাও একটা সার্কুলার লজিক। তাই এসব আর্গুমেন্টের বিরুদ্ধে সময় নষ্ট করার মানে হয় না। তবে সম্প্রতি একটি আলোচনার অংশ ছিল বলে একটু তথ্য পরিবেশন করা উচিত।
নেংটি ইদুর ও ধেড়ে ইদুর (rat) দেখতে প্রায় হুবহু এক হলেও ডিএনএ সাদৃৃশ্য 90%। মানুষ ও শিম্পাঞ্জি দেখতে একরকম না হলেও ডিএনএ সাদৃৃশ্য 95%।
হংকং প্লাসাজোয়ানের সঙ্গে trichoplax adhaerens এর 85% কিছু কম মিল, তবে দেখতে প্রায় হুবহু একই। একইভাবে মানুষ ও mouse (নেংটি ইদুর)-এর ডিএনএ-র মিল 85%+। বিবর্তনবাদীদের যুক্তি অনুযায়ী, তাদের দেখতে অন্তত 85% মিল থাকার কথা ছিল। কিন্তু কোন মিল-ই নেই।
evolutionary biologist Michael Eitel sequenced the genomes of several thousand of them[ trichoplax adhaerens]
Overall, the Hong Kong placozoan genome was about as different from that of T. adhaerens as human DNA is from mouse DNA.
“It was really striking,” Eitel said. “They look the same, and we look completely different from mice.”
Genetically, humans and mice have more in common than the Hong Kong placozoan and the T. adhaerens placozoan because humans and mice are both mammals. But the genetic distance between the placazoans is greater than between “most vertebrate orders.”
[World’s Simplest Animal Reveals Hidden Diversity]
মানুষের ও শিম্পাঞ্জি উভয়ের সঙ্গে নেংটি ইদুরের 3d dna structure -র মিল 70%। কিন্তু কারও সঙ্গেই তার দেখতে 70% মিলও নেই।
(Eres, I. E. and Y. Gilad. A TAD Skeptic: Is 3D Genome Topology Conserved? Trends in Genetics, published online November 14, 2020.]
তবুও যখন আপনি বিবর্তনবাদীদের জিজ্ঞাসা করবেন যে, ইদুরের সঙ্গে 85% মিল কেন? তারা উত্তর দিবে যে, আমাদের এক দূরবর্তী পূর্বপুরুষ ছিল। ডিএনএ-র সাদৃৃশ্য কম হোক বা বেশি হোক, তাতে সাধারণ পূর্বপুরুষ তত্ত্ব falsify হবে না। কাজেই, ডিএনএ সাদৃশ্য বিবর্তন তত্ত্বের প্রমাণ না। কারণ, what evidence can't question, evidence can't support.
এটা শুধু আমার বক্তব্য না। বিবর্তনবাদী বিজ্ঞানী ডেনিস ভেনেমা তা-ই মনে করেন। উল্টো তিনি নকশা তাত্ত্বিকদের এই বলে আক্রমণ করেন যে, % সাদৃৃশ্য দিয়ে মৌলিক প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায় না বলে নকশা তাত্ত্বিকরা কৌশলে বিতর্ক ঘুরিয়ে দিতে এই টপিকের অবতারণা করে। তার ভাষায়-
No one is more interested in the “% genome identity” thing than folks trying to cast doubt on common ancestry. It’s just not a precise value that scientists are interested in, because it doesn’t answer interesting scientific questions in the way other values do…
আমরা ভাল করেই জানি, কারা % সাদৃৃশ্যের কথা প্রথম উল্লেখ করে। শিম্পাঞ্জির সঙ্গে আত্মীয়তা প্রমাণের জন্য 99% সাদৃৃশ্যের দাবিতে কখনও ভাটা পড়ে না।
ডিনোভো জিন
ডিনোভো জিন হল এমন জিন যা কথিত প্রাণবৃৃক্ষে প্রজাতির নিকটবর্তী পূর্বপুরুষের মধ্যে পাওয়া যায় না।
শিম্পাঞ্জি ও মানুষের দেহে এরকম হাজার হাজার জিন আছে। কিন্তু এসব জিনের উদ্ভব নিয়ে নয়া ডারউইনবাদের কোন ব্যাখ্যা নেই। যদি সাদৃশ্য সাধারণ পূর্বপুরুষের প্রমাণ হয়, তাহলে তর্কের খাতিরে ডিনোভো জিন ভিন্ন পূর্বপুরুষের প্রমাণ.
এখানে আরও কিছু প্রশ্ন চলে আসে যে, বিবর্তনবাদীদের কথা অনুযায়ী যদি জিন তৈরির মাল-মসলা উপস্থিত থাকা সত্বেও কেন সেখান থেকে জিন উদ্ভূত হচ্ছে না? এই প্রশ্নের সহজ জবাব হল, কোন ইঞ্জিনিয়ার এসব এতিম জিন (ডিনোভো জিন) যুক্ত করেছে।
এসব প্রশ্ন প্রমাণ করে যে, বিবর্তনবাদীরা যতটা আত্মবিশ্বাস প্রদর্শন করে, বাস্তবে তারা প্রাণ সম্পর্কে ততটা জানে না, বরং তারা শৈশব কালে রয়েছে।
However, it is yet unclear which is the prevalence and underlying mechanisms of de novo gene emergence. This has resulted in the identification of over five thousand new multiexonic transcriptional events in human and/or chimpanzee that are not observed in the rest of species. these transcripts show little evidence of purifying selection, suggesting that many of them are not functional. data support a model in which frequently-occurring new transcriptional events in the genome provide the raw material. For the past 20 years scientists have puzzled over a strange-yet-ubiquitous genomic phenomenon; in every genome there are sets of genes which are unique to that particular species i.e. lacking homologues in any other species. How have these genes originated? We have found thousands of transcripts that are human and/or chimpanzee-specific and which are likely to have originated de novo We also show that some of the genes encode new functional proteins expressed in brain or testis. https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/26720152/
হোমোলজি
Marsupial ব্যাঙ অন্যান্য ব্যাঙের মতই একই পরিবেশে ও একই সিলেক্টিভ প্রেসারে থাকে, তাদের এনাটমি হুবহু মিল।
কিন্তু ভ্রূণীয় বিকাশ 100% ভিন্ন। এরা ডিম পারে না, বাচ্চা জন্ম দেয়।
আশাকরি বানরবাদীরা যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করবে with facts; may be, could be দিয়ে বিজ্ঞান চলে না; আকাশে বিমান উড়ানো যায় না, মহাকাশে স্যাটেলাইটও may be, could be দিয়ে পাঠানো যায় না।
সাদৃশ্য নি:সন্দেহে নকশা তত্ত্বের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ inference. বর্তমানের পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে খুব সহজেই এই অনুমান করা যায় এবং এর বিপরীত inference নকশা তত্ত্বের মূলনীতির কারণে করা সম্ভব হয় না। কিন্তু বিবর্তন তত্ত্ব unfalsifiable হবার কারণে সকল ব্যাখ্যাই এই তত্ত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। ফিজিসিস্ট & বিজ্ঞানের দার্শনিক ড. দানিয়েল হাকিকাতজু বিষয়টি এভাবে স্পষ্ট করেছেন-
If life appeared completely unrelated and disparate, the atheist would attribute this to the random nature of evolutionary processes. (i.e. snow flakes can't be twin). If there were no animals in nature that resembled humans, atheists would point that out as the obvious result of a blind, purposeless, unconscious force of evolutionary change and perhaps all the intermediary forms were lost to the sands of time. Then they would ask, “Why would God create life in such a random, haphazard, uncoordinated way?”
"যদি জীবজগত সম্পূর্ণরূপে সম্পর্কহীন এবং ভিন্ন হত, তাহলে বিবর্তনবাদীরা এটিকে বিবর্তনীয় প্রক্রিয়ার অন্ধত্ব ও এলোমেলো প্রকৃতির জন্য হয়েছে বলে দাবি করবে। (কারন, দুটি তুষার কণা কখনও যমজ হতে পারে না)। যদি প্রকৃতিতে এমন কোন প্রাণী না থাকে যা মানুষের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, নাস্তিকরা এটিকে বিবর্তনীয় পরিবর্তনের একটি অন্ধ, উদ্দেশ্যহীন, অচেতন শক্তির সুস্পষ্ট ফলাফল হিসাবে দাবি করত কিংবা সম্ভবত সমস্ত মধ্যবর্তী জীবাশ্মগুলি সময়ের গর্ভে হারিয়ে গিয়েছিল বলে দাবি করত। তারপর তারা উল্টো জিজ্ঞাসা করত যে, "কেন ঈশ্বর এমন এলোমেলো, সম্পর্কহীন, সমন্বয়হীনভাবে জীবনকে সৃষ্টি করলেন?"
vestigial organ
আমি চাই, মানবদেহের অপ্রয়োজনীয় অঙ্গগুলো কেটে ফেলে বিবর্তনবাদীরা দৃৃষ্টান্ত স্থাপন করুক। এটা বিজ্ঞানের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার মতই পবিত্র কাজ।
এরকম একটি অপ্রয়োজনীয় অঙ্গ হল কক্সিক্স। এটা কেটে ফেললে তেমন কিছু হয় না। তবে-
- বসতে অসুবিধা হয়
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া
- অন্ত্রের নড়াচড়ার ফলে ব্যথা
ইত্যাদি সমস্যা হয় বলে রোগীরা অভিযোগ করেন