বর্তমান নাস্তিকরা কুরআন থেকে ভুল ধরতে ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে তারা কুরআনে মানবতা-বিরোধী আয়াত খুঁজতে থাকে। কিন্তু নাস্তিকরা এ ক্ষেত্রেও ব্যর্থ হয় কারণ কুরআনে কোন বৈজ্ঞানিক ভুল নেই ও মানবতা-বিরোধী আয়াত নেই। এখন নাস্তিকরা একটি বুলিই আওড়াচ্ছে যে কুরআন নবী মুহাম্মদ (ﷺ) রচনা করেছে। (নাওযুবিল্লাহ)!
জবাব :-
وَإِنَّا لَنَعْلَمُ أَنَّ مِنْكُمْ مُكَذِّبِينَ
আমি জানি যে, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ মিথ্যারোপ করবে।
(সূরাঃ আল হাক্বক্বাহ, আয়াতঃ ৪৯)
এ প্রশ্নের উত্তর সয়ং আল্লাহ নিজেই কুরআনে দিয়ে দিয়েছেন। এসব প্রশ্ন মুহাম্মদ সাঃ কে সেই কুরাইশরাও করেছিলো, এখন নাস্তিকরা করছে।
মুহাম্মদ সাঃ এর উপরে এ অপবাদের জবাব নিয়ে কুরআনে যা বলা হয়েছে -
إِنَّهُ لَقَوْلُ رَسُولٍ كَرِيمٍ
নিশ্চয়ই এই কোরআন একজন সম্মানিত রসূলের আনীত।
(সূরাঃ আল হাক্বক্বাহ, আয়াতঃ ৪০)
وَمَا هُوَ بِقَوْلِ شَاعِرٍ ۚ قَلِيلًا مَا تُؤْمِنُونَ
এবং এটা কোন কবির কালাম নয়; তোমরা কমই বিশ্বাস কর।
(সূরাঃ আল হাক্বক্বাহ, আয়াতঃ ৪১)
وَلَا بِقَوْلِ كَاهِنٍ ۚ قَلِيلًا مَا تَذَكَّرُونَ
এবং এটা কোন অতীন্দ্রিয়বাদীর কথা নয়; তোমরা কমই অনুধাবন কর।
(সূরাঃ আল হাক্বক্বাহ, আয়াতঃ ৪২)
إِذًا لَأَذَقْنَاكَ ضِعْفَ الْحَيَاةِ وَضِعْفَ الْمَمَاتِ ثُمَّ لَا تَجِدُ لَكَ عَلَيْنَا نَصِيرًا
যদি মুহাম্মদ সাঃ কুরআন রচনা করতেন , তখন আমি অবশ্যই আপনাকে ইহজীবনে ও পরজীবনে দ্বিগুণ শাস্তির আস্বাদন করাতাম। এ সময় আপনি আমার মোকাবিলায় কোন সাহায্যকারী পেতেন না।
(সূরাঃ বনী ইসরাঈল, আয়াতঃ ৭৫)
تَنْزِيلٌ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ
(কোরআন)এটা বিশ্বপালনকর্তার কাছ থেকে অবতীর্ণ।
(সূরাঃ আল হাক্বক্বাহ, আয়াতঃ ৪৩)
وَلَوْ تَقَوَّلَ عَلَيْنَا بَعْضَ الْأَقَاوِيلِ
সে যদি আমার নামে কোন কথা রচনা করত,
(সূরাঃ আল হাক্বক্বাহ, আয়াতঃ ৪৪)
لَأَخَذْنَا مِنْهُ بِالْيَمِينِ
তবে আমি তার দক্ষিণ হস্ত ধরে ফেলতাম,
(সূরাঃ আল হাক্বক্বাহ, আয়াতঃ ৪৫)
ثُمَّ لَقَطَعْنَا مِنْهُ الْوَتِينَ
অতঃপর কেটে দিতাম তার জীবন ধমনী।
(সূরাঃ আল হাক্বক্বাহ, আয়াতঃ ৪৬)
فَمَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ عَنْهُ حَاجِزِينَ
তোমাদের কেউ তাকে রক্ষা করতে পারতে না।
(সূরাঃ আল হাক্বক্বাহ, আয়াতঃ ৪৭)
وَإِنَّهُ لَتَذْكِرَةٌ لِلْمُتَّقِينَ
এটা খোদাভীরুদের জন্যে অবশ্যই একটি উপদেশ।
(সূরাঃ আল হাক্বক্বাহ, আয়াতঃ ৪৮)
আমি জানি যে, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ মিথ্যারোপ করবে।
وَإِنَّا لَنَعْلَمُ أَنَّ مِنْكُمْ مُكَذِّبِينَ
(সূরাঃ আল হাক্বক্বাহ, আয়াতঃ ৪৯)
নিশ্চয় এটা কাফেরদের জন্যে অনুতাপের কারণ।
وَإِنَّهُ لَحَسْرَةٌ عَلَى الْكَافِرِينَ
(সূরাঃ আল হাক্বক্বাহ, আয়াতঃ ৫০)
وَإِنَّهُ لَحَقُّ الْيَقِينِ
নিশ্চয় এটা নিশ্চিত সত্য।
(সূরাঃ আল হাক্বক্বাহ, আয়াতঃ ৫১)
فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ
অতএব, আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামের পবিত্রতা বর্ননা করুন।
(সূরাঃ আল হাক্বক্বাহ, আয়াতঃ ৫২)
وَإِنْ كَادُوا لَيَسْتَفِزُّونَكَ مِنَ الْأَرْضِ لِيُخْرِجُوكَ مِنْهَا ۖ وَإِذًا لَا يَلْبَثُونَ خِلَافَكَ إِلَّا قَلِيلًا
তারা তো আপনাকে এ ভুখন্ড থেকে উৎখাত করে দিতে চুড়ান্ত চেষ্টা করেছিল যাতে আপনাকে এখান থেকে বহিস্কার করে দেয়া যায়। তখন তারাও আপনার পর সেখানে অল্প কালই মাত্র টিকে থাকত।
(সূরাঃ বনী ইসরাঈল, আয়াতঃ৭৬)
مَا كَانَ لِبَشَرٍ أَنْ يُؤْتِيَهُ اللَّهُ الْكِتَابَ وَالْحُكْمَ وَالنُّبُوَّةَ ثُمَّ يَقُولَ لِلنَّاسِ كُونُوا عِبَادًا لِي مِنْ دُونِ اللَّهِ وَلَٰكِنْ كُونُوا رَبَّانِيِّينَ بِمَا كُنْتُمْ تُعَلِّمُونَ الْكِتَابَ وَبِمَا كُنْتُمْ تَدْرُسُونَ
কোন মানুষকে আল্লাহ কিতাব, হেকমত ও নবুওয়ত দান করার পর সে বলবে যে, ‘তোমরা আল্লাহকে পরিহার করে আমার বান্দা হয়ে যাও’-এটা সম্ভব নয়। বরং তারা বলবে, ‘তোমরা আল্লাহওয়ালা হয়ে যাও, যেমন, তোমরা কিতাব শিখাতে এবং যেমন তোমরা নিজেরা ও পড়তে।
(সূরাঃ আল ইমরান, আয়াতঃ ৭৯)
وَأَنْذِرْ بِهِ الَّذِينَ يَخَافُونَ أَنْ يُحْشَرُوا إِلَىٰ رَبِّهِمْ ۙ لَيْسَ لَهُمْ مِنْ دُونِهِ وَلِيٌّ وَلَا شَفِيعٌ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ
আপনি এ কোরআন দ্বারা তাদেরকে ভয়-প্রদর্শন করুন, যারা আশঙ্কা করে স্বীয় পালনকর্তার কাছে এমতাবস্থায় একত্রিত হওয়ার যে, তাদের কোন সাহায্যকারী ও সুপারিশকারী হবে না-যাতে তারা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকে।
(সূরাঃ আল আনআম, আয়াতঃ ৫১)
قُلْ لَا أَقُولُ لَكُمْ عِنْدِي خَزَائِنُ اللَّهِ وَلَا أَعْلَمُ الْغَيْبَ وَلَا أَقُولُ لَكُمْ إِنِّي مَلَكٌ ۖ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَىٰ إِلَيَّ ۚ قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الْأَعْمَىٰ وَالْبَصِيرُ ۚ أَفَلَا تَتَفَكَّرُونَ
আপনি বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে। তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয় অবগতও নই। আমি এমন বলি না যে, আমি ফেরেশতা। আমি তো শুধু ঐ ওহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে। আপনি বলে দিনঃ অন্ধ ও চক্ষুমান কি সমান হতে পারে? তোমরা কি চিন্তা কর না ?
(সূরাঃ আল আনআম, আয়াতঃ ৫০)
مَنْ يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ ۖ وَمَنْ تَوَلَّىٰ فَمَا أَرْسَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا
যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ), তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি।
(সূরাঃ আন নিসা, আয়াতঃ ৮০)
أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ ۚ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِنْدِ غَيْرِ اللَّهِ لَوَجَدُوا فِيهِ اخْتِلَافًا كَثِيرًا
এরা কি লক্ষ্য করে না কোরআনের প্রতি? পক্ষান্তরে এটা যদি আল্লাহ ব্যতীত অপর কারও পক্ষ থেকে হত, তবে এতে অবশ্যই বহু বৈপরিত্য দেখতে পেত।
(সূরাঃ আন নিসা, আয়াতঃ ৮২)
إِنْ يَشَأْ يُذْهِبْكُمْ أَيُّهَا النَّاسُ وَيَأْتِ بِآخَرِينَ ۚ وَكَانَ اللَّهُ عَلَىٰ ذَٰلِكَ قَدِيرًا
হে মানবকূল, যদি আল্লাহ তোমাদেরকে সরিয়ে তোমাদের জায়গায় অন্য কাউকে প্রতিষ্ঠিত করেন? বস্তুতঃ আল্লাহর সে ক্ষমতা রয়েছে।
(সূরাঃ আন নিসা, আয়াতঃ ১৩৩)
أَمْ خُلِقُوا مِنْ غَيْرِ شَيْءٍ أَمْ هُمُ الْخَالِقُونَ
তারা কি আপনা-আপনিই সৃজিত হয়ে গেছে, না তারা নিজেরাই স্রষ্টা?
(সূরাঃ আত্ব তূর, আয়াতঃ ৩৫)
أَمْ خَلَقُوا السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۚ بَلْ لَا يُوقِنُونَ
না তারা নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছে? বরং তারা বিশ্বাস করে না।
(সূরাঃ আত্ব তূর, আয়াতঃ ৩৬)
أَمْ عِنْدَهُمْ خَزَائِنُ رَبِّكَ أَمْ هُمُ الْمُصَيْطِرُونَ
তাদের কাছে কি আপনার পালনকর্তার ভান্ডার রয়েছে, না তারাই সবকিছুর তত্ত্বাবধায়ক?
(সূরাঃ আত্ব তূর, আয়াতঃ ৩৭)
أَمْ لَهُمْ سُلَّمٌ يَسْتَمِعُونَ فِيهِ ۖ فَلْيَأْتِ مُسْتَمِعُهُمْ بِسُلْطَانٍ مُبِينٍ
না তাদের কোন সিঁড়ি আছে, যাতে আরোহণ করে তারা শ্রবণ করে? থাকলে তাদের শ্রোতা সুস্পষ্ট প্রমাণ উপস্থিত করুক।
(সূরাঃ আত্ব তূর, আয়াতঃ ৩৮)
أَمْ تَسْأَلُهُمْ أَجْرًا فَهُمْ مِنْ مَغْرَمٍ مُثْقَلُونَ
না আপনি তাদের কাছে পারিশ্রমিক চান যে, তাদের উপর জরিমানার বোঝা চেপে বসে?
(সূরাঃ আত্ব তূর, আয়াতঃ ৪০)
أَمْ عِنْدَهُمُ الْغَيْبُ فَهُمْ يَكْتُبُونَ
না তাদের কাছে অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান আছে যে, তারাই তা লিপিবদ্ধ করে?
(সূরাঃ আত্ব তূর, আয়াতঃ ৪১)
أَمْ يُرِيدُونَ كَيْدًا ۖ فَالَّذِينَ كَفَرُوا هُمُ الْمَكِيدُونَ
না তারা চক্রান্ত করতে চায়? অতএব যারা কাফের, তারই চক্রান্তের শিকার হবে।
(সূরাঃ আত্ব তূর, আয়াতঃ ৪২)
أَمْ لَهُمْ إِلَٰهٌ غَيْرُ اللَّهِ ۚ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ
না তাদের আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত কোন উপাস্য আছে? তারা যাকে শরীক করে, আল্লাহ তা’আলা তা থেকে পবিত্র।
(সূরাঃ আত্ব তূর, আয়াতঃ ৪৩)
تَنْزِيلُ الْكِتَابِ لَا رَيْبَ فِيهِ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ
এ কিতাবের অবতরণ বিশ্বপালনকর্তার নিকট থেকে এতে কোন সন্দেহ নেই।
(সূরাঃ সেজদাহ, আয়াতঃ ২)
أَمْ يَقُولُونَ افْتَرَاهُ ۚ بَلْ هُوَ الْحَقُّ مِنْ رَبِّكَ لِتُنْذِرَ قَوْمًا مَا أَتَاهُمْ مِنْ نَذِيرٍ مِنْ قَبْلِكَ لَعَلَّهُمْ يَهْتَدُونَ
তারা কি বলে, এটা সে মিথ্যা রচনা করেছে? বরং এটা আপনার পালনকর্তার তরফ থেকে সত্য, যাতে আপনি এমন এক সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন, যাদের কাছে আপনার পূর্বে কোন সতর্ককারী আসেনি। সম্ভবতঃ এরা সুপথ প্রাপ্ত হবে।
(সূরাঃ সেজদাহ, আয়াতঃ ৩)
খ্রিস্টানদের বাইবেল, হিন্দুধর্ম এসব ধর্মে অসংখ্য ভুল রয়েছে। বাইবেলে ও হিন্দুদের ধর্ম গ্রন্থে অসংখ্য অবৈজ্ঞানিক কথা আছে। তাদের ধর্ম গ্রন্থে রয়েছে অসংখ্য মানবতা-বিরোধী কথা। বাইবেলে রয়েছে অসংখ্য পরস্পর বিরোধী কথা।
কিন্তু কোরআন !কোরআন এমনই এক ধর্ম গ্রন্থ যার মধ্যে কোন অবৈজ্ঞানিক কথা তো দূরে কোন মানবতা-বিরোধী কথাও নেই। এই পৃথিবীতে একমাত্র আমরা মুসলিমরাই কেবল দাবি করতে পারি যে, আমাদের ধর্মীয় গ্রন্থে কোন ভুল নেই কোন পরস্পর বিরোধী বৈপরিত্ব নেই।
>>আপনার যদি মনে হয়! না কুরআন নবী মুহাম্মদ সাঃ রচনা করেছে তবে আপনি নিচে দেয়া কোরআনের এই চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করুন -
وَإِنْ كُنْتُمْ فِي رَيْبٍ مِمَّا نَزَّلْنَا عَلَى عَبْدِنَا فَأْتُوا بِسُورَةٍ مِنْ مِثْلِهِ وَادْعُوا شُهَدَاءَكُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ (23
"আমি আমার বান্দার (মোহাম্মাদের) প্রতি যা অবতীর্ণ করেছি তাতে তোমাদের কোন সন্দেহ থাকলে তোমরা তার মত অনুরূপ কোন সূরা আনো। আর যদি সত্যবাদী হও তাহলে এ কাজের জন্য আল্লাহ ছাড়া তোমাদের সব সাক্ষীকে আহ্বান কর।" (২:২৩)
فَإِنْ لَمْ تَفْعَلُوا وَلَنْ تَفْعَلُوا فَاتَّقُوا النَّارَ الَّتِي وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ أُعِدَّتْ لِلْكَافِرِينَ (24
"আর যদি তা না পার-অবশ্য তা তোমরা কখনও পারবে না, তাহলে সেই আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর, যার জ্বালানি হবে মানুষ ও পাথর। যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফেরদের জন্য।" (২-২৪)
أَمْ يَقُولُونَ تَقَوَّلَهُ ۚ بَلْ لَا يُؤْمِنُونَ
তারা বলেঃ এই কোরআন সে নিজে রচনা করেছে? বরং তারা অবিশ্বাসী।
(সূরাঃ আত্ব তূর, আয়াতঃ ৩৩)
فَلْيَأْتُوا بِحَدِيثٍ مِثْلِهِ إِنْ كَانُوا صَادِقِينَ
যদি তারা সত্যবাদী হয়ে থাকে, তবে এর অনুরূপ কোন রচনা উপস্থিত করুক।
(সূরাঃ আত্ব তূর, আয়াতঃ ৩৪)
قُلْ لَئِنِ اجْتَمَعَتِ الْإِنْسُ وَالْجِنُّ عَلَىٰ أَنْ يَأْتُوا بِمِثْلِ هَٰذَا الْقُرْآنِ لَا يَأْتُونَ بِمِثْلِهِ وَلَوْ كَانَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ ظَهِيرًا
বলুনঃ যদি মানব ও জ্বিন এই কোরআনের অনুরূপ রচনা করে আনয়নের জন্যে জড়ো হয়, এবং তারা পরস্পরের সাহায্যকারী হয়; তবুও তারা কখনও এর অনুরূপ রচনা করে আনতে পারবে না।
(সূরাঃ বনী ইসরাঈল, আয়াতঃ ৮৮)
أَمْ يَقُولُونَ افْتَرَاهُ ۖ قُلْ فَأْتُوا بِعَشْرِ سُوَرٍ مِثْلِهِ مُفْتَرَيَاتٍ وَادْعُوا مَنِ اسْتَطَعْتُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ
তারা কি বলে? কোরআন তুমি তৈরী করেছ? তুমি বল, তবে তোমরাও অনুরূপ দশটি সূরা তৈরী করে নিয়ে আসো এবং আল্লাহকে ছাড়া যাকে পার ডেকে নাও, যদি তোমাদের কথা সত্য হয়ে থাকে।
(সূরাঃ হুদ, আয়াতঃ ১৩)
أَمْ يَقُولُونَ افْتَرَاهُ ۖ قُلْ فَأْتُوا بِسُورَةٍ مِثْلِهِ وَادْعُوا مَنِ اسْتَطَعْتُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ
মানুষ কি বলে যে, এটি তুমি বানিয়ে এনেছ? বলে দাও, তোমরা নিয়ে এসো একটিই সূরা, আর ডেকে নাও, যাদেরকে নিতে সক্ষম হও আল্লাহ ব্যতীত, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক।
(সূরাঃ ইউনুস, আয়াতঃ ৩৮)
কোরআন নাযিল হওয়ার প্রায় ১৪০০ বছর ধরে আজ পর্যন্ত কেউই এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে কোরআনের মতো সূরা অনুরূপ লিখতে পারেনি। কারণ এ অসম্ভব কোন দিনই সম্ভব না। যুগে-যুগে অনেক অমুসলিমই চেষ্টা করে আসছে কিন্তু কেউই কোন দিন সফল হতে পারেনি। কারণ কোরআন এক অলৌকিক মোজেজা।
অলৌকিক কোরআন - (চাঁদ)
تَبَارَكَ الَّذِي جَعَلَ فِي السَّمَاءِ بُرُوجًا وَجَعَلَ فِيهَا سِرَاجًا وَقَمَرًا مُنِيرًا
কল্যাণময় তিনি, যিনি নভোমন্ডলে রাশিচক্র সৃষ্টি করেছেন এবং তাতে রেখেছেন সূর্য ও দীপ্তিময় চন্দ্র।
(সূরাঃ আল-ফুরকান, আয়াতঃ ৬১)
> ১৪০০ বছর আগে কোরআন বলছে চাঁদের আলো প্রতিফলিত আলো। কোরআন স্রষ্টার বাণী না হলে কেউ কী করে মরুভূমিতে বসবাস করে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ সম্পর্কে বলতে পারে?
অলৌকিক কোরআন - (গুহাবাসী)
أَمْ حَسِبْتَ أَنَّ أَصْحَابَ الْكَهْفِ وَالرَّقِيمِ كَانُوا مِنْ آيَاتِنَا عَجَبًا
আপনি কি ধারণা করেন যে, গুহা ও গর্তের অধিবাসীরা আমার নিদর্শনাবলীর মধ্যে বিস্ময়কর ছিল ?
(সূরাঃ কাহফ, আয়াতঃ ৯)
إِذْ أَوَى الْفِتْيَةُ إِلَى الْكَهْفِ فَقَالُوا رَبَّنَا آتِنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا
যখন যুবকরা পাহাড়ের গুহায় আশ্রয়গ্রহণ করে তখন দোআ করেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্যে আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন।
(সূরাঃ কাহফ, আয়াতঃ ১০)
فَضَرَبْنَا عَلَىٰ آذَانِهِمْ فِي الْكَهْفِ سِنِينَ عَدَدًا
তখন আমি কয়েক বছরের জন্যে গুহায় তাদের কানের উপর নিদ্রার পর্দা ফেলে দেই।
(সূরাঃ কাহফ, আয়াতঃ ১১)
ثُمَّ بَعَثْنَاهُمْ لِنَعْلَمَ أَيُّ الْحِزْبَيْنِ أَحْصَىٰ لِمَا لَبِثُوا أَمَدًا
অতঃপর আমি তাদেরকে পুনরত্থিত করি, একথা জানার জন্যে যে, দুই দলের মধ্যে কোন দল তাদের অবস্থানকাল সম্পর্কে অধিক নির্ণয় করতে পারে।
(সূরাঃ কাহফ, আয়াতঃ ১২)
نَحْنُ نَقُصُّ عَلَيْكَ نَبَأَهُمْ بِالْحَقِّ ۚ إِنَّهُمْ فِتْيَةٌ آمَنُوا بِرَبِّهِمْ وَزِدْنَاهُمْ هُدًى
আপনার কাছে তাদের ইতিবৃত্তান্ত সঠিকভাবে বর্ণনা করছি। তারা ছিল কয়েকজন যুবক। তারা তাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল এবং আমি তাদের সৎপথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলাম।
(সূরাঃ কাহফ, আয়াতঃ ১৩)
وَرَبَطْنَا عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ إِذْ قَامُوا فَقَالُوا رَبُّنَا رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَنْ نَدْعُوَ مِنْ دُونِهِ إِلَٰهًا ۖ لَقَدْ قُلْنَا إِذًا شَطَطًا
আমি তাদের মন দৃঢ় করেছিলাম, যখন তারা উঠে দাঁড়িয়েছিল। অতঃপর তারা বললঃ আমাদের পালনকর্তা আসমান ও যমীনের পালনকর্তা আমরা কখনও তার পরিবর্তে অন্য কোন উপাস্যকে আহবান করব না। যদি করি, তবে তা অত্যন্ত গর্হিত কাজ হবে।
(সূরাঃ কাহফ, আয়াতঃ ১৪)
> গুহাবাসীর এই ইতিহাস প্রাচীন লিপিবদ্ধ ইতিহাস দ্বারা প্রমাণিত। তারা ৩০০ বছর ঘুমিয়ে ছিলো। সেই ইতিহাসের কথাও কোরআনে আছে। এই গুহাবাসীদের অলৌকিকতার কারণেই ঈসা আঃ এর অনুসারীরা আরো সংখ্যা গরিষ্ঠ হয়। পরে খ্রিস্টান ধর্ম নামকরণ করা হয়। Wikipedia
অলৌকিক কোরআন-(যুলকারনাইন)
وَيَسْأَلُونَكَ عَنْ ذِي الْقَرْنَيْنِ ۖ قُلْ سَأَتْلُو عَلَيْكُمْ مِنْهُ ذِكْرًا
তারা আপনাকে যুলকারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুনঃ আমি তোমাদের কাছে তাঁর কিছু অবস্থা বর্ণনা করব।
(সূরাঃ কাহফ, আয়াতঃ ৮৩)
حَتَّىٰ إِذَا بَلَغَ مَغْرِبَ الشَّمْسِ وَجَدَهَا تَغْرُبُ فِي عَيْنٍ حَمِئَةٍ وَوَجَدَ عِنْدَهَا قَوْمًا ۗ قُلْنَا يَا ذَا الْقَرْنَيْنِ إِمَّا أَنْ تُعَذِّبَ وَإِمَّا أَنْ تَتَّخِذَ فِيهِمْ حُسْنًا
অবশেষে তিনি যখন সুর্যের অস্তাচলে পৌছলেন; তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন। আমি বললাম, হে যুলকারনাইন! আপনি তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন অথবা তাদেরকে সদয়ভাবে গ্রহণ করতে পারেন।
(সূরাঃ কাহফ, আয়াতঃ ৮৬)
قَالُوا يَا ذَا الْقَرْنَيْنِ إِنَّ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ مُفْسِدُونَ فِي الْأَرْضِ فَهَلْ نَجْعَلُ لَكَ خَرْجًا عَلَىٰ أَنْ تَجْعَلَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ سَدًّا
তারা বললঃ হে যুলকারনাইন, ইয়াজুজ ও মাজুজ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করেছে। আপনি বললে আমরা আপনার জন্যে কিছু কর ধার্য করব এই শর্তে যে, আপনি আমাদের ও তাদের মধ্যে একটি প্রাচীর নির্মাণ করে দেবেন।
(সূরাঃ কাহফ, আয়াতঃ ৯৪)
قَالَ هَٰذَا رَحْمَةٌ مِنْ رَبِّي ۖ فَإِذَا جَاءَ وَعْدُ رَبِّي جَعَلَهُ دَكَّاءَ ۖ وَكَانَ وَعْدُ رَبِّي حَقًّا
যুলকারনাইন বললেনঃ এটা আমার পালনকর্তার অনুগ্রহ। যখন আমার পালনকর্তার প্রতিশ্রুত সময় আসবে, তখন তিনি একে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেবেন এবং আমার পালনকর্তার প্রতিশ্রুতি সত্য।
(সূরাঃ কাহফ, আয়াতঃ ৯৮)
> যুলকারনাইন বা রাজা সাইরাস দ্য গ্রেট পারস্যের রাজা ছিলেন। বাইবেলে উনার সম্পর্কে উল্লেখ আছে। আমার প্রশ্ন! কোরআন যদি নবী মুহাম্মদ সাঃ এর রচিত হয় তবে তিনি কী করে মরুভূমিতে বসে থেকে যুলকারনাইন মানে সাইরাস দ্র গ্রেট সম্পর্কে জানলেন? সাইরাস ও মুহাম্মদ সাঃ এর মধ্যে সালের দুরত্ব ছিল বিশাল। ইয়াজুজ-মাজুজ নিয়ে বাইবেলেও বর্ণিত আছে। কিন্তু মহানবী সাঃ তো নিরক্ষর ছিলেন। তিনি লিখতে জানতেন না। তো এসব কোথা থেকে আসলো ?
অলৌকিক কোরআন-(পৃথিবী সৃষ্টি)
বিগ ব্যাং থিওরি -
أَوَلَمْ يَرَ الَّذِينَ كَفَرُوا أَنَّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ كَانَتَا رَتْقًا فَفَتَقْنَاهُمَا ۖ وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاءِ كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ ۖ أَفَلَا يُؤْمِنُونَ
কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না?
(সূরাঃ আম্বিয়া, আয়াতঃ ৩০)
يَوْمَ نَطْوِي السَّمَاءَ كَطَيِّ السِّجِلِّ لِلْكُتُبِ ۚ كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيدُهُ ۚ وَعْدًا عَلَيْنَا ۚ إِنَّا كُنَّا فَاعِلِينَ
সেদিন আমি আকাশকে গুটিয়ে নেব, যেমন গুটানো হয় লিখিত কাগজপত্র। যেভাবে আমি প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম, সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব। আমার ওয়াদা নিশ্চিত, আমাকে তা পূর্ণ করতেই হবে।
(সূরাঃ আম্বিয়া, আয়াতঃ ১০৪)
> আয়াতটি আমাদেরকে একেবারে পরিস্কারভাবে বলছে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ-নক্ষত্রেরা একসময় একজায়গায় পুঞ্জিভুত ছিল। এবং একটা নির্দিষ্ট সময়ে এদের জন্ম হয়। আর আজকের বিজ্ঞান কি বলে এ সম্বন্ধে? ষ্টিফেন হকিং এর বিগ ব্যাং থিওরী
আজ সর্বময় স্বীকৃত। এ থিওরী অনুযায়ীমহাবিশ্বের সকল দৃশ্য অদৃশ্য গ্রহ নক্ষত্র সৃষ্টির
শুরুতে একটি বিন্দুতে পুঞ্জিভুত ছিল। এবং একটা বিশাল বিষ্ফোরণের মাধ্যমে এরা চারিদেকে ছড়িয়ে যেতে থাকে। কিভাবে মরুভুমির বুকে সংকলিত দেড় হাজার বছর আগের একটি বই এ এই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাটা ধারণ করতে পারল? ড:মিলার বলেছেন, এই আয়াতটি নিয়ে চিন্তা-গবেষণার পর কোরআন যে ঐশী গ্রন্থ তা মেনে নিতে বাধ্য হই। যারা প্রচার চালাচ্ছে কোরআন হযরত মুহাম্মদ
(সঃ) এর নিজস্ব বক্তব্য তাদের দাবি ভুল করার জন্য এই একটি আয়াতই যথেষ্ট। ড:মিলার
বলেছেন, দেড় হাজার বছর আগে ইসলামের নবীর পক্ষে কিভাবে মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য নিয়ে কথা বলা সম্ভব? যিনি কোন দিন কোন স্কুলে পড়ালেখা করেননি। কারণ এটি এমন এক বৈজ্ঞানিক বিষয়, যা সম্পর্কে তত্ত্ব আবিষ্কার করে মাত্র কয়েক বছর আগে ১৯৭৩ সালে নোবেল পুরুস্কার পেয়েছেন এক বিজ্ঞানী। মিলারের মতে এই আয়াতে সেই বিগ ব্যাং এর কথাই বলা হয়েছে যার মাধ্যমে পৃথিবী, আকাশমন্ডলী ও তারকারাজি সৃষ্টি হয়েছে। এই বিগ ব্যাং থিওরীর একটা অনুসিদ্ধান্ত হল “অনবরত দূরে সরে যাওয়া গ্রহ নক্ষত্রগুলো একসময় আবার কাছাকাছি আসা শুরু করবে কেন্দ্রবিমুখী বল শুন্য হয়ে যাওয়ার ফলে এবং সময়ের ব্যাবধানে সব গ্রহ নক্ষত্র আবার একত্রে মিলিত হয়ে একটা পিন্ডে পরিনত হবে”।
فَلَا أُقْسِمُ بِمَوَاقِعِ النُّجُومِঅতএব, আমি তারকারাজির অস্তাচলের শপথ করছি,
(সূরাঃ আল ওয়াক্বিয়া, আয়াতঃ ৭৫)وَإِنَّهُ لَقَسَمٌ لَوْ تَعْلَمُونَ عَظِيمٌ
নিশ্চয় এটা এক মহা শপথ-যদি তোমরা জানতে।(সূরাঃ আল ওয়াক্বিয়া, আয়াতঃ ৭৬)فِي كِتَابٍ مَكْنُونٍ
যা আছে এক গোপন কিতাবে,(সূরাঃ আল ওয়াক্বিয়া, আয়াতঃ ৭৮)
“আমি শপথ করছি সেই জায়গার যেখানে তারকারাজি পতিত হয়। নিশ্চই এটা একটা মহাসত্য, যদি তোমরা তা জানতে।” (সূরা ওয়াক্বিয়া : ৭৫, ৭৬) ৭৫ নং আয়াতটি স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে, মহাবিশ্বে এমন জায়গা আছে, যেখানে তারকা পতিত হয়। ঠিক পরের আয়াতেই এটাকে, মহাসত্য বলে দাবি করা হয়েছে। মহাকাশে এরকম স্থান আছে,এটা মাত্র কিছুদিন আগে আবিষ্কার করা হয়েছে। এই জায়গাগুলোর নাম দেয়া হয়েছে ব্যাকহোলস। এগুলোতে শুধু নক্ষত্র নয়, যে কোন কিছুই এর কাছাকাছি এলে, এখানে পতিত হতে বাধ্য।
মানুষ কি মনে করে যে আমি তার হাড়গোড় একত্রিত করব না?
(সূরাঃ আল ক্বেয়ামাহ, আয়াতঃ ৩)بَلَىٰ قَادِرِينَ عَلَىٰ أَنْ نُسَوِّيَ بَنَانَهُ
পরন্ত আমি তার আঙুলের অগ্রভাগ পর্যন্ত সঠিকভাবে সন্নিবেশিত করতে সক্ষম।(সূরাঃ আল ক্বেয়ামাহ, আয়াতঃ ৪)
وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَهَا ۚ ذَٰلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِসূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ।(সূরাঃ ইয়াসীন, আয়াতঃ ৩৮)هُوَ الَّذِي جَعَلَ الشَّمْسَ ضِيَاءً وَالْقَمَرَ نُورًا وَقَدَّرَهُ مَنَازِلَ لِتَعْلَمُوا عَدَدَ السِّنِينَ وَالْحِسَابَ ۚ مَا خَلَقَ اللَّهُ ذَٰلِكَ إِلَّا بِالْحَقِّ ۚ يُفَصِّلُ الْآيَاتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَতিনিই সে মহান সত্তা, যিনি বানিয়েছেন সুর্যকে উজ্জল আলোকময়, আর চন্দ্রকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারীরূপে এবং অতঃপর নির্ধারিত করেছেন এর জন্য মনযিল সমূহ, যাতে করে তোমরা চিনতে পার বছরগুলোর সংখ্যা ও হিসাব। আল্লাহ এই সমস্ত কিছু এমনিতেই সৃষ্টি করেননি, কিন্তু যথার্থতার সাথে। তিনি প্রকাশ করেন লক্ষণসমূহ সে সমস্ত লোকের জন্য যাদের জ্ঞান আছে।(সূরাঃ ইউনুস, আয়াতঃ ৫)
أَفَلَمْ يَنْظُرُوا إِلَى السَّمَاءِ فَوْقَهُمْ كَيْفَ بَنَيْنَاهَا وَزَيَّنَّاهَا وَمَا لَهَا مِنْ فُرُوجٍতারা কি তাদের উপরস্থিত আকাশের পানে দৃষ্টিপাত করে না আমি কিভাবে তা নির্মাণ করেছি এবং সুশোভিত করেছি? তাতে কোন ছিদ্রও নেই।(সূরাঃ ক্বাফ, আয়াতঃ ৬)الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ فِرَاشًا وَالسَّمَاءَ بِنَاءً وَأَنْزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَخْرَجَ بِهِ مِنَ الثَّمَرَاتِ رِزْقًا لَكُمْ ۖ فَلَا تَجْعَلُوا لِلَّهِ أَنْدَادًا وَأَنْتُمْ تَعْلَمُونَ
যে পবিত্রসত্তা তোমাদের জন্য ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন, আর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তোমাদের জন্য ফল-ফসল উৎপাদন করেছেন তোমাদের খাদ্য হিসাবে। অতএব, আল্লাহর সাথে তোমরা অন্য কাকেও সমকক্ষ করো না। বস্তুতঃ এসব তোমরা জান।(সূরাঃ আল বাকারা, আয়াতঃ ২২)
إِنَّا زَيَّنَّا السَّمَاءَ الدُّنْيَا بِزِينَةٍ الْكَوَاكِبِনিশ্চয় আমি নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজির দ্বারা সুশোভিত করেছি।(সূরাঃ আস-সাফফাত, আয়াতঃ ৬)
وَالسَّمَاءَ بَنَيْنَاهَا بِأَيْدٍ وَإِنَّا لَمُوسِعُونَ“আমি আকাশ নির্মান করিয়াছি আমার
ক্ষমতাবলে এবং আমি অবশ্যই মহা-
সম্প্রসারণকারী” (সূরা জারিয়াত : ৪৭)
পিছুপা হব না"।