Are you sure?

কুরআন »  বিবিধ বিবিধ »  ইসলাম বিদ্বেষীদের অপনোদন দর্শন »  কুযুক্তি

কুরআন হাদীসে তুষারপাত: একটি তাত্বিক বিশ্লেষণ ও কিছু মিথ্যাচারের জবাব !

ইসলাম বিদ্বেষীরা বিভিন্ন সময়ে ইসলাম নিয়ে উদ্ভট কিছু অভিযোগ করে থাকে বাস্তবে যার কোন ভিত্তিই নাই । অতি সম্প্রতি একজন ইসলাম বিদ্বেষী নারীর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে এই জ্ঞানহীন নারী দাবি করেছে, আল্লাহﷻ‎ তুষারপাত সম্পর্কে জানতেন না (نعوذ بالله) , তাই কুরআনে বৃষ্টি, বজ্রপাত, মেঘ এর কথা উল্লেখ্য থাকলেও তুষারপাত এর কথা নেই।

image

 তার দাবি আরবে নাকি তুষারপাত হয় না। তাই তুষারপাত সম্পর্কে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরও জানা ছিল না। তাই কোনো হাদীসেও তুষারপাত এর কথা পাওয়া যায় না৷ (نعوذ بالله) মূলত তার এসব কথা দ্বারা তার ইসলামিক জ্ঞানের স্বল্পতা, ভাষা জ্ঞানের সংকীর্ণতা ও ভৌগলিক জ্ঞানের শুন্যতাই প্রকাশ পেয়েছে।


আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন,
 An-Nur 24:43
أَلَمْ تَرَ أَنَّ ٱللَّهَ يُزْجِى سَحَابًا ثُمَّ يُؤَلِّفُ بَيْنَهُۥ ثُمَّ يَجْعَلُهُۥ رُكَامًا فَتَرَى ٱلْوَدْقَ يَخْرُجُ مِنْ خِلَٰلِهِۦ وَيُنَزِّلُ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مِن جِبَالٍ فِيهَا مِنۢ بَرَدٍ فَيُصِيبُ بِهِۦ مَن يَشَآءُ وَيَصْرِفُهُۥ عَن مَّن يَشَآءُۖ يَكَادُ سَنَا بَرْقِهِۦ يَذْهَبُ بِٱلْأَبْصَٰرِ
 Bengali - Bayaan Foundation
তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহ মেঘমালাকে পরিচালিত করেন, তারপর তিনি সেগুলোকে একত্রে জুড়ে দেন, তারপর সেগুলো স্তুপীকৃত করেন, তারপর তুমি দেখতে পাও তার মধ্য থেকে বৃষ্টির বের হয়। আর তিনি আকাশে স্থিত মেঘমালার পাহাড় থেকে শিলা বর্ষণ করেন। তারপর তা দ্বারা যাকে ইচ্ছা আঘাত করেন। আর যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা সরিয়ে দেন। এর বিদ্যুতের ঝলক দৃষ্টিশক্তি প্রায় কেড়ে নেয়।
 English - Mufti Taqi Usmani
Do you not realize that Allah drives the clouds, then joins them together, then turns them into a heap? Then you see the rain coming out from their midst. He sends down from the sky mountains (of clouds) having hail in them, then He afflicts with it whomsoever He wills and turns it away from whomsoever He wills. The flash of its lightning seems to snatch away the eyes.


 এই আয়াতে যে برد শব্দটি রয়েছে, সেটির ইংরেজি হলো Hail, এই Hail শব্দটি আবার snow এর synonym । আরেকটু ভালোভাবে খেয়াল করুন, برد শব্দের পূর্বে রয়েছে من جبال অর্থ পাহাড়-পর্বত থেকে, সুতরাং এই আয়াতে برد শব্দটি মূলত তুষারপাতকেই indicate করে। কিন্তু বাংলাদেশ এর ছাপাকৃত বঙ্গানুবাদগুলিতে برد এর অর্থ করা হয়েছে শিলাবৃষ্টি কারণ বাংলাদেশীদের জন্যে "শিলাবৃষ্টি " শব্দটি বুঝা সহজ।imageimageimage

 Al-Anbiya 21:69-69
قُلْنَا يَٰنَارُ كُونِى بَرْدًا وَسَلَٰمًا عَلَىٰٓ إِبْرَٰهِيمَ
 Bengali - Bayaan Foundation
আমি বললাম, ‘হে আগুন, তুমি শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও ইবরাহীমের জন্য’ ।
 English - Mufti Taqi Usmani
We said, “O fire, be cold and safe for Ibrāhīm.”
 

এই আয়াতে بردا শব্দের অর্থ হলো তুষারের ন্যায় শীতল, سلاما শান্তিদায়ক। সুতরাং বুঝা ই যাচ্ছে, কাফিররা যখন ইবরাহিম আঃ কে আগুনে নিক্ষেপ করে তখন আসমান থেকে তুষারপাত হয় গায়েবিভাবে অথবা আগুন তুষারে পরিণত হয়।

 An-Naba' 78:24
لَّا يَذُوقُونَ فِيهَا بَرْدًا وَلَا شَرَابًا
 Bengali - Bayaan Foundation
সেখানে তারা কোন শীতলতা আস্বাদন করবে না এবং না কোন পানীয়।
 English - Mufti Taqi Usmani
They will taste nothing cool in it, nor a drink,


 এই আয়াতে জাহান্নামিয় উত্তপ্ততার বর্ণনা করতে গিয়ে, এই অংশটুকু আনা হয়েছে ৷ অর্থাৎ সেখানে কোনো তুষারপাত হবে না, যাতে করে জাহান্নামের অগ্নি নিভে যাবে, অথবা শীতল কোনো পানিয়ও পান করানো হবে না৷


 Al-Waqi'ah 56:42-44
(42) فِى سَمُومٍ وَحَمِيمٍ (43) وَظِلٍّ مِّن يَحْمُومٍ (44) لَّا بَارِدٍ وَلَا كَرِيمٍ
 Bengali - Bayaan Foundation
(42) তারা থাকবে তীব্র গরম হাওয়া এবং প্রচন্ড উত্তপ্ত পানিতে,(43) আর প্রচন্ড কালো ধোঁয়ার ছায়ায়,(44) যা শীতলও নয়, সুখকরও নয়।
 English - Mufti Taqi Usmani
(42) (They will be) in scorching wind and boiling water, (43) and in a shade of black smoke, (44) neither cool nor graceful.

 এখানে ৫৬:৪৪ নং আয়াতে ব্যাবহৃত আরবী بردا ও بارد এই শব্দ গুলি ও মূলত برد শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ তুষার অথবা বরফের ন্যায় শীতল।
 image

image

image

Aal-e-Imran 3:117
مَثَلُ مَا يُنفِقُونَ فِى هَٰذِهِ ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا كَمَثَلِ رِيحٍ فِيهَا صِرٌّ أَصَابَتْ حَرْثَ قَوْمٍ ظَلَمُوٓا۟ أَنفُسَهُمْ فَأَهْلَكَتْهُۚ وَمَا ظَلَمَهُمُ ٱللَّهُ وَلَٰكِنْ أَنفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ
 তারা দুনিয়ার জীবনে যা ব্যয় করে, তার উপমা সেই বাতাসের ন্যায়, যাতে রয়েছে প্রচন্ড ঠান্ডা, যা পৌঁছে এমন কওমের শস্যক্ষেতে, যারা নিজদের উপর যুলম করেছিল। অতঃপর তা শস্যক্ষেতকে ধ্বংস করে দেয়। আর আল্লাহ তাদের উপর যুলম করেননি, বরং তারা নিজেরাই নিজদের উপর যুলম করে।
 English - Mufti Taqi Usmani
The example of what they spend in this worldly life is just like a wind that, having chilly( forst) within, struck the tillage of those who wronged themselves, and destroyed it. Allah has not wronged them; rather, they did wrong to themselves.


 এই আয়াতেও صِرٌّ দ্বারা তুষারপাতে জমে যাওয়া বুঝায়৷image

Ar-Rum 30:48-48
(48) ٱللَّهُ ٱلَّذِى يُرْسِلُ ٱلرِّيَٰحَ فَتُثِيرُ سَحَابًا فَيَبْسُطُهُۥ فِى ٱلسَّمَآءِ كَيْفَ يَشَآءُ وَيَجْعَلُهُۥ كِسَفًا فَتَرَى ٱلْوَدْقَ يَخْرُجُ مِنْ خِلَٰلِهِۦۖ فَإِذَآ أَصَابَ بِهِۦ مَن يَشَآءُ مِنْ عِبَادِهِۦٓ إِذَا هُمْ يَسْتَبْشِرُونَ
 Bengali - Bayaan Foundation
আল্লাহ, যিনি বাতাস প্রেরণ করেন ফলে তা মেঘমালাকে ধাওয়া করে; অতঃপর তিনি মেঘমালাকে যেমন ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং তাকে খন্ড- বিখন্ড করে দেন, ফলে তুমি দেখতে পাও, তার মধ্য থেকে নির্গত হয় বারিধারা। অতঃপর যখন তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদের উপর ইচ্ছা বারি বর্ষণ করেন, তখন তারা হয় আনন্দিত।
 English - Mufti Taqi Usmani
Allah is the One who sends the winds, so they stir up a cloud, then He spreads it in the sky however he wills, and makes it (split) into pieces. Then you see the rain coming out from its midst. So, once He makes it reach those whom He wills from His slaves, they start rejoicing,

 আমরা সকলে জানি মূলত মেঘমালা খন্ডবিখন্ড হয়েই বারিধারা, তুষারপাত, শিলাবৃষ্টির সৃষ্টি হয়৷ এই আয়াতে মেঘমালা খন্ডবিখন্ড হয়ে ودق সৃষ্টি হওয়ার কথা বলা হয়েছে যে শব্দটি বারিধারা, তুষারধারা এই বিষয়গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে৷ আল্লাহ তার কুদরতে যেখানে বারিধারা প্রয়োজন সেখানে বারিধারা এবং যেখানে তুষারধারা প্রয়োজন সেখানে তুষারধারা দান করেন৷ কেননা আমরা জানি আরবিতে বৃষ্টিকে বলা مطر ।কিন্তু আয়াতে যে শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে, সেটি হলো ودق ।
হাদীসে এসেছে,image


 সহীহ বুখারী হাদীস নং -৫৯৩৫عن عاءشة رضى الله عنها كان رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول اللهم اغسل خطاياي بماء الثلج والبرد হযরত আয়িশা রাঃ থেকে বর্ণিত নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই বলে দুআ করতেন,হে আল্লাহ, আমার ভুলসমূহ বরফ এবং ঠান্ডা শীতল পানি দ্বারা ধুয়ে দিন।

 খুব মনোযোগ এর সহিত লক্ষ্য করুন, এই হাদীসে ثلج শব্দটি রয়েছে। আমি দর্শকদের বুঝার সুবিধার্থে নামিদামি আরবি অভিধান গুলির রেফারেন্স দেইনি। শুধুমাত্র গুগলে "তুষার" লিখে এই শব্দটিকে আরবিতে গুগল ট্রান্সলেট করুন। অতিসহজেই যে আরবি শব্দটি চলে আসবে, সেটি হলো ثلج । একটি হাদীস উদাহরণ হিসেবে পেশ করলাম, এই হাদীসটিতে ثلج শব্দটি রয়েছে। বাংলাদেশ এর হাদীস এর বঙ্গানুবাদগুলিতে এর অনুবাদ করা হয় "ঠান্ডা শীতল পানি" অথচ এই শব্দের মূল অর্থ হচ্ছে তুষারপাত বা বরফ এর পানি।
সুতরাং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিভাবে জানলেন ثلج সম্পর্কে? ইসলাম বিদ্বেষী জ্ঞানহীন নারী দাবি করলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাকি তুষারপাত কখনো দেখেন নি অথবা এ সম্পর্কে তার জ্ঞান ছিল না। তাহলে হাদীসে ثلج শব্দটি এলো কোথা থেকে?
অথচ ইসলাম বিদ্বেষী জ্ঞানহীন নারী দাবি করলেন, হাদীসে কোথাও নাকি "তুষার বা তুষারপাত " এর কথা নেই।
স্ক্রিনশটগুলি দেখুন, বুঝতে সহজ হবে৷

imageimage


দর্শকদের বুঝার সুবিধার্থে ড.মুহাম্মদ ফজলুর রহমান এর আল মু'জামুল ওয়াফী প্রসিদ্ধ এই আরবি - বাংলা অভিধানটির ৩৪৬ এবং ৩৪৭ নং পৃষ্ঠা দেখার অনুরোধ করছি৷ যেখানে ثلج এবং এর বহুবচন ثلوج এর অর্থ তোলা হয়েছে বরফ, তুষার, হিমানী, নীহার ইত্যাদি৷ এবং ثلج এর ফে'ল হিসেবে অর্থ তোলা হয়েছে তুষারবর্ষণ। এমনকি গুগল ট্রান্সলেটে 'তুষারপাত' শব্দটি লিখে সার্চ দিলে 'تساقط الثلوج ' শব্দটি আসবে। এছাড়াও আপনি আপনার পছন্দনুযায়ী যে কোনো অভিধান চেক করতে পারেন৷ এমনকি আল মু'জামুল ওয়াফী আরবি- বাংলা অভিধান এর ২১৩ নং পৃষ্ঠা খুললেই পাবেন, যেখানে برد শব্দের অর্থ তোলা হয়েছে শিল, শিলা, হিমশিলা, করকা ইত্যাদি। এবং ফেয়েল তথা ক্রিয়া হিসেবে برد এর অর্থ তোলা হয়েছে শিলা পড়া৷
নিম্নে আরো কয়েকটি হাদীস পেশ করছি, যাতে برد ও ثلج শব্দটি রয়েছে।
যেমন নিচের হাদিসটি,


 রিয়াযুস স্বা-লিহীন,হাদিস নম্বরঃ ৯৪০
وَعَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ - رضي الله عنه - قَالَ: صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - عَلَى جَنَازَةٍ، فَحَفِظْتُ مِنْ دُعَائِهِ: «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ، وَارْحَمْهُ وَعَافِهِ، وَاعْفُ عَنْهُ، وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ، وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ، وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ، وَنَقِّهِ مِنَ الخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الْأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ، وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِنْ دَارِهِ، وَأَهْلًا خَيْرًا مِنْ أَهْلِهِ، وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ، وَقِهِ فِتْنَةَ الْقَبْرِ وَعَذَابَ النَّارِ» رَوَاهُ مُسْلِمٌ
 ‘আউফ্ বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি জানাযার সলাত আদায় করছিলেন; আমি তাঁর এ দুআটি মুখস্থ করে নিলাম। উচ্চারণঃ আল্লাহুম-মাগফির লাহূ ওয়ারহামহু, ওয়া ‘আফিহি, ওয়া’ফু আন্‌হু, ওয়া আক্‌রিম নুযুলাহূ, ওয়া ওয়াস্‌সি মাদ-খালাহূ, ওয়াগসিলহু বিলমা’ই ওয়াস সাল্‌জি ওয়াল বারাদি, ওয়া নাক্কিহী মিনাল খাতাইয়া কামা নাক্কায়তাস সাউবাল আবইয়াযা মিনাদ দানাসি, ওয়া আবদিলহু দারান খায়রান মিন দারিহি, ওয়া আহলান খায়রান মিন আহলিহী, ওয়া যাওজান খায়রান মিন যাওজিহি, ওয়া আদ্‌খিলহুল জান্নাতা, ওয়াকিহী ফিতনাতাল কাবরি ওয়া ‘আযাবান নার] অর্থঃ ইয়া আল্লাহ, তাকে ক্ষমা করে দাও, তার উপর করুণা কর, তাকে শক্তি দাও এবং তাকে রেহাই দাও। তার উপর সহৃদয় হও এবং তার প্রবেশদ্বার প্রশস্ত করে দাও এবং তাকে পানি, বরফ ও তুষার দ্বারা ধৌত করে দাও। তার গুনাহসমূহ পরিস্কার করে দাও, সাদা কাপড় যে ভাবে দাগমুক্ত করে ধৌত করা হয়। সে যে ধরণের আবাসের সঙ্গে পরিচিত তার থেকে তাকে উত্তম আবাস দাও এবং যে ধরণের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত তার থেকে উত্তম পরিবার দাও এবং তার স্ত্রী হতে উত্তম স্ত্রী দাও। তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং কবরের ফিতনা হতে আর জাহা্ন্নামের আগুন হতে তাকে রক্ষা কর। [৬০৩]
ফুটনোটঃ
[৬০৩] মুসলিম ৯৬৩, তিরমিযী ১০২৫, নাসায়ী ১৯৮৩, ১৯৮৪, মুসলিমের বর্ণনায় আরো রয়েছে, আওফ (রাঃ) বলেনঃ [আরবী] মৃত ব্যক্তির উপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উক্ত দু‘য়ার কারণে আমি কামনা করেছিলাম যদি আমি সেই মৃত ব্যক্তিটি হতাম!

 


حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عُثْمَانُ بْنُ الْحَكَمِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ الْجَوَائِحُ كُلُّ ظَاهِرٍ مُفْسِدٍ مِنْ مَطَرٍ أَوْ بَرْدٍ أَوْ جَرَادٍ أَوْ رِيحٍ أَوْ حَرِيقٍ ‏.‏
আত্বা (রহঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, ‘জায়িহাহ’ বলা হয় এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগকে যাতে প্রকাশ্য ক্ষতিসাধন হয়ে থাকে। যেমন অতিবৃষ্টি, তুষারপাত, পঙ্গপালের আক্রমন, ঝড়, অগ্নিকান্ড ইত্যাদি।
[ মুসলিম ৯৬৩, তিরমিযী ১০২৫, নাসায়ী ১৯৮৩, ১৯৮৪, ইবনু মাজাহ ১৫০০, আহমাদ ২৩৪৫৫, ২৩৪৮০]

 সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৩৪৭১
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ اغْسِلْنِي مِنْ خَطَايَايَ بِالثَّلْجِ وَالْمَاءِ وَالْبَرَدِ»
 আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ (আরবি) “হে আল্লাহ্‌! আমার পাপসমূহ তুষার, পানি এবং মেঘের পানি দ্বারা ধুয়ে ফেল।”

 


 সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩৩৪
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مَنْصُورٍ أَبُو عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ الأَعْوَرُ، بِالْمَصِّيصَةِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا جُحَيْفَةَ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْهَاجِرَةِ إِلَى الْبَطْحَاءِ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ صَلَّى الظُّهْرَ رَكْعَتَيْنِ، وَالْعَصْرَ رَكْعَتَيْنِ، وَبَيْنَ يَدَيْهِ عَنَزَةٌ‏.‏ ‏{‏قَالَ شُعْبَةُ‏}‏ وَزَادَ فِيهِ عَوْنٌ عَنْ أَبِيهِ أَبِي جُحَيْفَةَ قَالَ كَانَ يَمُرُّ مِنْ وَرَائِهَا الْمَرْأَةُ، وَقَامَ النَّاسُ فَجَعَلُوا يَأْخُذُونَ يَدَيْهِ، فَيَمْسَحُونَ بِهَا وُجُوهَهُمْ، قَالَ فَأَخَذْتُ بِيَدِهِ، فَوَضَعْتُهَا عَلَى وَجْهِي، فَإِذَا هِيَ أَبْرَدُ مِنَ الثَّلْجِ، وَأَطْيَبُ رَائِحَةً مِنَ الْمِسْكِ‏.‏
 হাকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, আমি আবূ জুহাইফাহ (রাঃ) -কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, একদিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুপুর বেলায় বাতহার দিকে বেরোলেন। সে স্থানে উযূ করে যুহরের দু’রাকআত ও আসরের দু’ রাক’আত সালাত আদায় করেন। তাঁর সামনে একটি বর্শা পোঁতা ছিল। বর্শার বাহির দিয়ে নারীরা যাতায়াত করছিল। সালাত শেষে লোকজন দাঁড়িয়ে গেল এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দু’ হাত ধরে তারা নিজেদের মাথা ও মুখমণ্ডলে বুলাতে লাগলেন। আমিও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর হাত ধরে আমার মুখমণ্ডলে বুলাতে লাগলাম। তাঁর হাত তুষারের থেকেও স্নিগ্ধ শীতল ও কস্তুরীর থেকেও বেশি সুগন্ধিময় ছিল।

 


 সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৫৫৩
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، جَمِيعًا عَنْ مَرْوَانَ الْفَزَارِيِّ، - قَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، - عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، سَعْدِ بْنِ طَارِقٍ عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِنَّ حَوْضِي أَبْعَدُ مِنْ أ��يْلَةَ مِنْ عَدَنٍ لَهُوَ أَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ الثَّلْجِ وَأَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ بِاللَّبَنِ وَلآنِيَتُهُ أَكْثَرُ مِنْ عَدَدِ النُّجُومِ وَإِنِّي لأَصُدُّ النَّاسَ عَنْهُ كَمَا يَصُدُّ الرَّجُلُ إِبِلَ النَّاسِ عَنْ حَوْضِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَعْرِفُنَا يَوْمَئِذٍ قَالَ ‏"‏ نَعَمْ لَكُمْ سِيمَا لَيْسَتْ لأَحَدٍ مِنَ الأُمَمِ تَرِدُونَ عَلَىَّ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنْ أَثَرِ الْوُضُوءِ ‏"‏ ‏.‏
 আবূ হুরাইরাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমার হাওযে কাওসার হবে ‘আদান (ইয়ামানের বন্দর নগরী) থেকে আইলা (আরবের উত্তরাঞ্চলীয় শহর)-এর যত দূরত্ব তার থেকেও বেশি দীর্ঘ। আর তা হবে তুষারের থেকেও সাদা এবং দুধ মধু থেকে মিষ্টি। আর তার পাত্রের সংখ্যা হবে তারকারাজির চেয়েও অধিক। আমি কিছু সংখ্যক লোককে তা থেকে ফিরিয়ে দিতে থাকবো যেমনিভাবে লোকে তার হাওয থেকে অন্যের উট ফিরিয়ে দেয়। সহাবায়ে কিরাম আরয করলেন, “ইয়া রসূলাল্লাহ! সেদিন কি আপনি আমাদেরকে চিনতে পারবেন? তিনি বললেন, “হ্যাঁ, তোমাদের এমন চিহ্ন হবে যা অন্য কোন উম্মাতের হবে না। ওযূর বিনিময়ে তোমাদের মুখমন্ডল জ্যোতির্ময় ও হাত-পা দীপ্তিমান অবস্থায় তোমরা আমার কাছে আসবে”। (ই.ফা. ৪৭২, ই.সে. ৪৮৮)


 এই হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাত মুবারককে শুভ্র তুষারের ন্যায় শীতল হিসেবে তুলনা করা হয়েছে৷ সাহাবী রাযিঃ, তারা যদি তুষার এবং তুষারপাত সম্পর্কে অজ্ঞ হতেন, তাহলে রাসূল সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাত মুবারককে তারা কেন শুভ্র - শীতল তুষারের সাথে তুলনা করলেন?


 জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৩৬১
 সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৪৩৩৪)
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الْكَوْثَرُ نَهْرٌ فِي الْجَنَّةِ حَافَّتَاهُ مِنْ ذَهَبٍ وَمَجْرَاهُ عَلَى الدُّرِّ وَالْيَاقُوتِ تُرْبَتُهُ أَطْيَبُ مِنَ الْمِسْكِ وَمَاؤُهُ أَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ وَأَبْيَضُ مِنَ الثَّلْجِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.
 আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জান্নাতের একটি প্রস্রবণের নাম কাওসার, যার প্রত্যেক তীর সোনার এবং যার পানি মুক্তা ও ইয়াকূতের উপর দিয়ে প্রবাহমান। এর যমীন কস্তুরীর তুলনায় অধিক সুগন্ধসম্পন্ন, এর পানি মধুর তুলনায় অধিক মিষ্ট এবং তুষারের তুলনায় অধিক সাদা।
ফুটনোটঃ
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।


এই হাদীসেও হাওযে কাওসার তথা এর পানিকে রাসূল বলেছেন তুষার থেকে শুভ্র এবং সাদা। তিনি যদি "তুষার" সম্পর্কে অজ্ঞ হতেন, তাহলে বড়জোর বলতেন "এটা হবে দুধের মতো সাদা "। অনুরুপ ভাবে নিচে আরো কিছু হাদীসের উল্লেখ করা হলো,


 সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৪৬৯
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذْ أَقْبَلَ فِتْيَةٌ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ فَلَمَّا رَآهُمُ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ اغْرَوْرَقَتْ عَيْنَاهُ وَتَغَيَّرَ لَوْنُهُ قَالَ فَقُلْتُ مَا نَزَالُ نَرَى فِي وَجْهِكَ شَيْئًا نَكْرَهُهُ ‏.‏ فَقَالَ ‏ "‏ إِنَّا أَهْلُ بَيْتٍ اخْتَارَ اللَّهُ لَنَا الآخِرَةَ عَلَى الدُّنْيَا وَإِنَّ أَهْلَ بَيْتِي سَيَلْقَوْنَ بَعْدِي بَلاَءً وَتَشْرِيدًا وَتَطْرِيدًا حَتَّى يَأْتِيَ قَوْمٌ مِنْ قِبَلِ الْمَشْرِقِ مَعَهُمْ رَايَاتٌ سُودٌ فَيَسْأَلُونَ الْخَيْرَ فَلاَ يُعْطَوْنَهُ فَيُقَاتِلُونَ فَيُنْصَرُونَ فَيُعْطَوْنَ مَا سَأَلُوا فَلاَ يَقْبَلُونَهُ حَتَّى يَدْفَعُوهَا إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي فَيَمْلَؤُهَا قِسْطًا كَمَا مَلَؤُوهَا جَوْرًا فَمَنْ أَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْكُمْ فَلْيَأْتِهِمْ وَلَوْ حَبْوًا عَلَى الثَّلْجِ ‏"‏ ‏.‏
 আবদুল্লাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, একদা আমরা যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকটে বসা ছিলাম, তখন হাশিম বংশীয় কতক যুবক তাঁর নিকট উপস্থিত হলো। তাদের দেখতে পেয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর চক্ষুদ্বয় অশ্রুসিক্ত হলো এবং তাঁর চেহারা বিবর্ণ হয়ে গ���লো। রাবী বলেন, আমি বললাম, আমরা সবসময় আপনার চেহারায় দুশ্চিন্তার ছাপ লক্ষ্য করি। তিনি বলেনঃ আমাদের আহলে বাইতের জন্য আল্লাহ তা’আলা পার্থিব জীবনে পরিবর্তে আখিরাতের জীবনকে পছন্দ করেছেন। আমার আহলে বাইত আমার পরে অচিরেই কঠিন বিপদে লিপ্ত হবে, কষ্ট-কাঠিন্যের শিকার হবে এবং দেশান্তরিত হবে। প্রাচ্যদেশ থেকে কালো পতাকাধারী কতক লোক তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসবে। তারা কল্যাণ(গুপ্তধন) কামনা করবে, কিন্তু তা তাদের দেওয়া হবে না। তারা লড়াই করবে এবং বিজয়ী হবে। শেষে তাদেরকে তা দেয়া হবে, যা তারা চেয়েছিল। কিন্তু তারা তা গ্রহণ করবে না। অবশেষে আমার আহলে বাইতের একজন লোকের নিকট তা সোপর্দ করা হবে। সে পৃ্থিবীকে ইনসাফে পরিপূর্ণ করবে, যেমনিভাবে লোকেরা একে যুলুমে পূর্ণ করেছিল। তোমাদের মধ্যে যারা সে যুগ পাবে, তারা যেন বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাদের নিকট চলে যায়। [৩৪১৪]
ফুটনোটঃ
[৩৪১৪] [ হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। রাওদুন নাদীর ৬৪৭।


এই হাদীসে বরফের উপর হামাগুড়ি দেওয়া বলতে তুষারের দেশগুলি পাড়ি দিয়ে অথবা প্রচুর তুষারবৃষ্টি অতিক্রম করতে হলেও তাদের সাথে যোগদান করার ইঙ্গিত প্রদান করে এর গুরুত্ব বুঝানো হয়েছে। কেননা হাদীসের সর্বশেষ শব্দটি হলো ثلج৷


সর্বশেষে তার আরেকটি দাবি খন্ডন করে বলতে চাই, তিনি বলেছেন আরবরা নাকি তখন শীতপ্রধান দেশ সম্পর্কে অজ্ঞ ছিল, অথচ কুরআনে সূরা কুরাইশে বর্ণিত হয়েছে -
 

Quraish 106:2
إِۦلَٰفِهِمْ رِحْلَةَ ٱلشِّتَآءِ وَٱلصَّيْفِ
 Bengali - Bayaan Foundation
শীত ও গ্রীষ্মের সফরে তারা অভ্যস্ত হওয়ায়।
 English - Mufti Taqi Usmani
that is, their familiarity with the trips of winter and summer,

 কুরাইশরা যদি শীতের সফরে অভ্যস্থ হয়, তবে তো শীতপ্রধান দেশ ও তুষারপাত সম্পর্কে অবশ্যই অবগত ছিলেন৷
আরো মজার ব্যাপার হলো এই জ্ঞানহীন ইসলাম বিদ্বেষী নারী জানেই না সৌদিআরবেও যে তুষারপাত হয় অর্থাৎ তার দাবি সৌদি আরবে নাকি তুষারপাত হয় না, যা সম্পূর্ণ ভূল ।
নিচে ছবিতে দেখুন সৌদিআরবে তুষার পাতের দৃশ্য ।‌

image

image

আপনারা Snowfall in Saudia Arabia লিখে গুগল এবং ইউটিউবে সার্চ করলে বহু ভিডিও এবং ডকুমেন্টারি পাবেন। দুটি লিংক এখানেও দেওয়া হলো।


১. https://www.tourzable.com/Saudi-travel-blog/the-best-places-to-see-snowfall-in-saudi-arabia
২. https://youtu.be/nTHD-IFGXOs
 লিখেছেন : Md. Younus
  সম্পাদনা: Abdullah Al Asif