নাস্তিকরা যত ভাবেই ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে বলার চেষ্টা করুক না কেন, সহজ-সরল অর্থে নাস্তিকতা মানে হচ্ছে এই বিশ্বাস ধারণ করা যে, এই মহাবিশ্বের স্রষ্টা বলে কিছু নাই। যে এই বিশ্বাস ধারণ করে না, সে নাস্তিক নয়। কিন্তু এই মহাবিশ্বের যে কোনো স্রষ্টা নাই – তা কারো পক্ষেই এবং কোনো ভাবেই প্রমাণ করা সম্ভব নয়। কেউ যদি এই অতি সহজ-সরল সত্যকে উপলব্ধি করতে সক্ষম না হয় তাহলে বুঝতে হবে তার মস্তিষ্কে সমস্যা আছে।
কাজেই 'নাস্তিকতা' যদি 'বিশ্বাস-নির্ভর' কিছু না হয়ে থাকে তাহলে নাস্তিকতা বলে বাস্তবে কোনো কিছুর অস্তিত্ব নাই বা থাকতে পারে না। অন্যদিকে নাস্তিকতার পক্ষে যেহেতু কোনো লিখিত দলিল-প্রমাণও নাই সেহেতু নাস্তিকতা আসলে মাকাল ফলের মতো কিছু একটা। অথচ নাস্তিকরা দেখা যাচ্ছে বিজ্ঞানের মধ্যে হন্যে হয়ে এই মাকাল ফলেরই সন্ধান করে যাচ্ছে!
শুধু কি তাই, একদিকে তারা বিজ্ঞান দিয়ে তাদের মাকাল ফলকে ডিফেন্ড করার চেষ্টা করছে অন্যদিকে আবার ধর্মে বিশ্বাসীদেরকে সাধারণভাবে এবং ইসলামে বিশ্বাসীদেরকে বিশেষভাবে 'বিজ্ঞান-বিরোধী' তকমা লাগিয়ে নিজেদেরকে 'যুক্তিবাদী', 'বিজ্ঞানমনষ্ক', ইত্যাদি দাবি করে বুক চাপড়াচ্ছে। পুরাই মগের মুল্লুক আরকি।
যাহোক, প্রশ্ন হচ্ছে আপনারা কখনো বৈজ্ঞানিক জার্নাল কিংবা বিজ্ঞানের বই-পুস্তকে নাস্তিকতার পক্ষে কিছু দেখেছেন কি-না? নাস্তিকদের কাছে দেবতুল্য চার্লস ডারউইনের "দ্য অরিজিন অব স্পেসিজ" গ্রন্থেই বা কিছু দেখেছেন কি-না? যদি না দেখে থাকেন তাহলে নাস্তিকরা বিজ্ঞানের মধ্যে কী করে নাস্তিকতা খুঁজে পাচ্ছে! তারা বিজ্ঞানের নামে অসচেতন লোকজনকে প্রতারিত করছে কেন? তারা কি আদৌ বিজ্ঞান ও নাস্তিকতার মধ্যে পার্থক্য বোঝে?
উল্লেখ্য যে, আস্তিকরা চাইলে বিজ্ঞানের মধ্যে আস্তিকতার পক্ষে যুক্তি-প্রমাণ অনুসন্ধান করতে পারে যেহেতু তাদের বিশ্বাসের স্বপক্ষে লিখিত দলিল-প্রমাণ আছে।
কৃতজ্ঞতা: এস. এম. রায়হান ভাই