Are you sure?

তুলনামূলক ধর্মতত্ব »  বিবিধ

যীশুর বর্ণিত উক্ত সাহায্যকারীর ৮ ও ৯ নং বৈশিষ্ট্য কার দ্বারা পরিপূর্ণ হয়েছে?খ্রিস্টানদের দাবিকৃত তথাকথিত পবিত্র আত্মা না বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ ?

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম 

১১তম পর্ব 

খ্রিস্টান বনাম মুসলিম সংলাপ:

বিষয়:যীশু তথা ঈসা আঃ কতৃক বিঘোষিত সাহায্যকারী কে?পাক-রুহ নাকি মুহাম্মদ সাঃ?

আলোচনা:-যীশু কতৃক বর্ণিত উক্ত সাহায্যকারীর মধ্যে ৮ ও ৯ নং বৈশিষ্ট্যের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ বাইবেল vs কোরআন থেকে 

\____________________________________/

●আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতাহু প্রিয় ভাই ও বোনেরা। আশা করি অবশ্যই সবাই মহান আল্লাহ্ সুবহানু ওয়াতা'আলার রহমতে ভালো এবং সুস্থ আছেন।আর সম্প্রতি আমরা বাইবেলের আলোকে নবী মুহাম্মদ সাঃ এর ভবিষ্যদ্বাণী গুলোর সিরিজ আলোচনা করছিলাম।তো এখানে পূর্বের লিংকটা যোগ করে দিলাম যেন সবাই ভালো করে বুঝতে পারেন। শর্ত নং ৭ পর্যন্ত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করা হয়েছে অতি উত্তম ভাবে।প্রয়োজন বোধ হলে উক্ত শর্তগুলোর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ এই লিংকে দেখতে পারেন :

 

https://www.facebook.com/104106391067326/posts/238277674316863/

 

যাই হোক মূল আলোচনায় আসা যাক।এখানে শর্ত নং ৮ থেকে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ শুরু হলো:

 

৮ নং বৈশিষ্ট্য:

যীশু তথা ঈসা আঃ না গেলে সেই "সাহায্যকারী আসবে না "(ইউহান্না/যোহন ১৬:৭)

\____________________________________/

●যীশু বলেছেন:-

7. আমি (যীশু) তোমাদের সত্যি বলছি: আমার চলে যাওয়া তোমাদের জন্য ভাল; যদি আমি না যাই, সেই সাহায্যকারী তোমাদের কাছে আসবেন না....।"(যোহন ১৬:৭) 

 

আপনাদের কল্পিত-"পাক-রুহ"-কবে কোথায় এসেছিলেন?"পাক-রুহ"-অর্থাৎ ফেরেশতা জিব্রাইল (আঃ),হযরত ঈসা আঃ এর নবুয়তের সময় তার সঙ্গে  উপস্থিত ছিলেন,তাঁকে সাহায্য করতেন,তাঁকে পরিচালনা করতেন অর্থাৎ দিক-নির্দেশনা দিতেন আল্লাহ্ এর পক্ষ থেকে। যীশুর স্বর্গারোহণের পূর্বে "পাক-রুহ"-বা "ফেরেশতা জিব্রাইল আঃ "-তাঁর কাছে বহুবার এসেছিলেন (দেখুন লুক ৩:২২)

সুতরাং ঈসা আঃ চলে গেলে"পাক-রুহ"-খ্রিস্টানদের কে পথ দেখানোর জন্য -"দুনিয়াতে আসবেন"-একথার কোন অর্থই হয় না ।যীশু তথা ঈসা আঃ শর্ত দিয়ে বলেছেন:-

 

"আমি [যীশু তথা ঈসা আঃ] না গেলে "সেই সাহায্যকারী "Paracletos (প্যারাক্লীতস-গ্রিক শব্দ) দুনিয়াতে আসবেন না। "

 

আর ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে ঈসা আঃ দুনিয়া হতে চলে যাবার পর একমাত্র সত্য ও শেষ নবী ও রাসূল মুহাম্মদ সাঃ ছাড়া আর কোন নবী আসেন নাই ।ঈসা আঃ এর ঊর্ধ্বে আরোহণের ৬০০ শত বছর পরে সেই "সাহায্যকারী "(প্যারাক্লীতস-Paracletos) [মুহাম্মদ সাঃ] দুনিয়াতে আগমন করলেন।সুতরাং ঈসা আঃ যাঁর বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছিলেন তিনি খ্রিস্টানদের দাবিকৃত তথাকথিত "পবিত্র আত্মা বা পাক-রুহ"- নন বরং তিনি "পাক নবী মুহাম্মদ সাঃ।"

 

এটা নিশ্চিত সত্য যে,"পাক-রুহ"-এর আগমন কোন ভবিষ্যৎ ঘটনা নয়।এই "পবিত্র আত্মা "-বা "পাক-রুহ"-কথাটি ঢুকিয়ে দিয়ে যীশু তথা ঈসা আঃ এর পরে আগমনকারী "আর একজন "- নবীর/ভাববাদীর আগমনের প্রকৃত ঘটনাটির পূর্বভাস বিকৃত করা হয়েছে।(মথি ১:১৮)-এর সাথে (লুক ১:২৬-২৭) এবং (মার্ক ১২:৩৬)-কে তুলনা করে অনেক খ্রিস্টান বিশেষজ্ঞই দাবি করেন যে,"পাক-রুহ"-আর কিছুই নয় বরং "ফেরেশতা জিব্রাইল আঃ তথা গাব্রিয়েল"। অতএব যীশু তথা ঈসা আঃ দুনিয়া হতে চলে যাবার পরে "পাক-রুহ"-দুনিয়াতে আসবেন এ কথার কোন অর্থই হয় না এবং যীশুর ভবিষ্যদ্বাণীও মাঠে মারা যায়।

 

[বিঃদ্রঃবিস্তারিত নিচের লিংক থেকে জানতে পারেন ইনশাআললাহ। ক্রমিক নং ৪ থেকে পড়ুন:

 

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=239614640849833&id=104106391067326 ]

 

৯নং বৈশিষ্ট্য:

"সেই সাহায্যকারী "এসে পাপের সম্বন্ধে,ধার্মিকতার সম্বন্ধে এবং বিচারের সম্বন্ধে জগতকে দোষী সাবস্ত্য করবেন। 

\_____________________________________/

●আপনাদের(খ্রিস্টানদের) দাবিকৃত তথাকথিত কল্পিত " পাক -রুহ"- কিসের সম্বন্ধে,কাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন?অথচ সেই পবিত্র আত্মা মুহাম্মদ সাঃ এগুলোর সম্বন্ধেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন:ভালো করে দেখুন এখানে:

 

(ক)পাপের সম্বন্ধে:

১)আদি পিতা আদম আঃ কোন কালে ভুল করে একটি নিষিদ্ধ গাছের ফল খেয়েছিলেন,তাঁর সেই পাপ নাকি খ্রিস্টধর্মে মতে অদ্যাবধিও রক্তের মধ্যে দিয়ে আদমের সমস্ত সন্তানদের মধ্যে সংক্রমিত হয়ে চলছে। ফলে সমস্ত মানুষই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর মহান আল্লাহ্ এর নিকট জন্মগত ও বংশগত ভাবেই  পাপী হয়ে আছে।অর্থাৎ পৌলের মতে,প্রত্যেক শিশুই উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত এই পাপের বোঝা মাথায় নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।পৌল বলেছেন:-

 

"যেমন একজন মানুষ [হযরত আদম আঃ] এর অবাধ্যতার মধ্য দিয়ে অনেকেই পাপী হয়েছিল (রোমীয় ৫:১৯, ১২)।

 

অর্থাৎ এই ভ্রান্ত বিশ্বাসের জন্য পবিত্র আত্মা মুহাম্মদ সাঃ এসে খ্রিস্টান জগতকে তাদের এরকম অধার্মিক কার্যকলাপের জন্য ,এরুপ "পাপের জন্য,দোষী সাব্যস্ত করেছেন।"তিনি এসে কোরআনী আয়াতের মাধ্যমে ঘোষণা করে দিলেন যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর মহান আল্লাহ্ সুবহানু ওয়াতা'আলা বলেছেন,সূরা বনী-ইসরাঈল (الإسرا), আয়াত: ১৫

 

مَّنِ ٱهْتَدَىٰ فَإِنَّمَا يَهْتَدِى لِنَفْسِهِۦ وَمَن ضَلَّ فَإِنَّمَا يَضِلُّ عَلَيْهَا وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَىٰ وَمَا كُنَّا مُعَذِّبِينَ حَتَّىٰ نَبْعَثَ رَسُولًا

 

অর্থঃ যে কেউ সৎপথে চলে, তারা নিজের মঙ্গলের জন্যেই সৎ পথে চলে। আর যে পথভ্রষ্ট হয়, তারা নিজের অমঙ্গলের জন্যেই পথ ভ্রষ্ট হয়। কেউ অপরের পাপের বোঝা বহন করবে না।কোন রাসূল না পাঠানো পর্যন্ত আমি কাউকেই শাস্তি দান করি না।"

 

কেউ অপরের পাপের বোঝা বহন করবে না।"(পবিত্র কোরআন ১৭:১৫; ৩৫:১৮; ৩৯:৭; ৫৩:৩৮-৩৯) [কোরআনের অন্যত্র এই একই বিষয়ে ইঙ্গিত করা হয়েছে পবিত্র আল কোরআন ৪১:৪৬;  ৪৫:১৫;  ৩০:৪৪;  ৬:১০৪;  ৩৯:৪১; এভাবে কোরআনের বহু জায়গায় বলা হয়েছে কেউই জন্মগত পাপী নয় বরং নিজের পাপের জন্য সে দায়ী কিন্তু অন্যরা নয়)।(আর মহান আল্লাহ্ সুবহানু ওয়াতা'আলা হযরত আদম আঃ এর পাপ ক্ষমা করে দিয়েছলেন,পবিত্র কোরআন ২:৩৭)

 

আর সর্বশ্রেষ্ঠ ঐশীগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআন তো বলেই দিয়েছে কেউই অপরের পাপের বোঝা বহন করবে না।আর কেউ যদি কারো পাপের বোঝা বহন করতে না পারে তাহলে আদম আঃ এর জন্য সবাই পাপী হবে এই প্রশ্নই আসে না।

 

এছাড়া বিদায় হজের দিন তিনি [মুহাম্মদ সাঃ] বললেন:-"একজনের অপরাধের জন্য অন্যকে দন্ড দেওয়া যাবে না।অতঃপর পিতার অপরাধের জন্য পুত্রকে  এবং পুত্রের অপরাধের জন্য পিতাকে দোষী করা যাবে না। "(ইবনে মাজাহ ও তিরমিজী শরীফ)।

 

[বিঃদ্রঃ শিশুরা কী জন্মগত পাপী?না vs হ্যাঁ?পূর্ববর্তী নবীগণ +যীশু vs পৌল?কাকে মানবেন?পূর্ববর্তী নবীগণ +যীশু না পৌলকে?"

https://www.facebook.com/104106391067326/posts/231404925004138/  ]

 

●খ)যীশুর দেবত্ব বা ঈশ্বরত্ব সম্বন্ধে:

২)তিনি [মুহাম্মদ সাঃ] যীশু তথা ঈসা আঃ এর প্রতি দেবত্ব বা ঈশ্বরত্ব আরোপ করার জন্য খ্রিস্টানদের দোষী সাব্যস্ত করেছেন।তিনি [মুহাম্মদ সাঃ] যীশু তথা ঈসা আঃ এর প্রতি দেবত্ব বা ঈশ্বরত্ব আরোপ করার জন্য খ্রিস্টানদের দোষী সাব্যস্ত করেছেন।

 সূরা আল মায়িদাহ (المآئدة), আয়াত: ১৭

 

لَّقَدْ كَفَرَ ٱلَّذِينَ قَالُوٓا۟ إِنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلْمَسِيحُ ٱبْنُ مَرْيَمَ قُلْ فَمَن يَمْلِكُ مِنَ ٱللَّهِ شَيْـًٔا إِنْ أَرَادَ أَن يُهْلِكَ ٱلْمَسِيحَ ٱبْنَ مَرْيَمَ وَأُمَّهُۥ وَمَن فِى ٱلْأَرْضِ جَمِيعًا وَلِلَّهِ مُلْكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا يَخْلُقُ مَا يَشَآءُ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

 

অর্থঃ নিশ্চয় তারা কাফের, যারা বলে, মসীহ ইবনে মরিয়মই আল্লাহ। আপনি [মুহাম্মদ] জিজ্ঞেস করুন, যদি তাই হয়, তবে বল যদি আল্লাহ মসীহ ইবনে মরিয়ম, তাঁর জননী এবং ভূমন্ডলে যারা আছে, তাদের সবাইকে ধ্বংস করতে চান, তবে এমন কারও সাধ্য আছে কি যে আল্লাহর কাছ থেকে তাদেরকে বিন্দুমাত্রও বাঁচাতে পারে? নভোমন্ডল, ভুমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যে যা আছে, সবকিছুর উপর আল্লাহ তা’আলার আধিপত্য। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। আল্লাহ সবকিছুর উপর শক্তিমান।"

 

আবার কোরআনে এরশাদ হয়েছে:-"সূরা আল মায়িদাহ (المآئدة), আয়াত: ৭২

 

لَقَدْ كَفَرَ ٱلَّذِينَ قَالُوٓا۟ إِنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلْمَسِيحُ ٱبْنُ مَرْيَمَ وَقَالَ ٱلْمَسِيحُ يَٰبَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ ٱعْبُدُوا۟ ٱللَّهَ رَبِّى وَرَبَّكُمْ إِنَّهُۥ مَن يُشْرِكْ بِٱللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ ٱللَّهُ عَلَيْهِ ٱلْجَنَّةَ وَمَأْوَىٰهُ ٱلنَّارُ وَمَا لِلظَّٰلِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ

 

অর্থঃ তারা কাফের, যারা বলে যে, মরিময়-তনয় মসীহ-ই আল্লাহ; অথচ মসীহ বলেন, হে বণী-ইসরাঈল, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর, যিনি আমার পালন কর্তা এবং তোমাদেরও পালনকর্তা। নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থির করে, আল্লাহ তার জন্যে জান্নাত হারাম করে দেন। এবং তার বাসস্থান হয় জাহান্নাম। অত্যাচারীদের কোন সাহায্যকারী নেই।"

 

গ)ত্রিত্ববাদ সম্পর্কে:

●৩)তিনি [নবী মুহাম্মদ সাঃ] আল্লাহ্ এর একত্বকে খন্ডন করে ত্রিত্ববাদের জন্ম দেওয়ার জন্য খ্রিস্টানদের দোষী সাব্যস্ত করেছেন। কোরআনে এরশাদ হয়েছে:-"সূরা আল মায়িদাহ (المآئدة), আয়াত: ৭৩

 

لَّقَدْ كَفَرَ ٱلَّذِينَ قَالُوٓا۟ إِنَّ ٱللَّهَ ثَالِثُ ثَلَٰثَةٍ وَمَا مِنْ إِلَٰهٍ إِلَّآ إِلَٰهٌ وَٰحِدٌ وَإِن لَّمْ يَنتَهُوا۟ عَمَّا يَقُولُونَ لَيَمَسَّنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ مِنْهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ

 

অর্থঃ নিশ্চয় তারা কাফের, যারা বলেঃ আল্লাহ তিনের এক; অথচ এক উপাস্য ছাড়া কোন উপাস্য নেই। যদি তারা স্বীয় উক্তি থেকে নিবৃত্ত না হয়, তবে তাদের মধ্যে যারা কুফরে অটল থাকবে, তাদের উপর যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি পতিত হবে।"

 

ঘ)যীশুর পুত্রত্ব সম্পর্কে:

●৪))তিনি [মুহাম্মদ সাঃ] যীশু তথা ঈসা আঃ এর প্রতি পুত্রত্ব আরোপ করার জন্য খ্রিস্টানদের দোষী সাব্যস্ত করেছেন।"পৌল ভিন্ন ভিন্ন মজলিস খানায় এই কথা প্রচার করতে লাগলেন যে,ঈসা-ই খোদার পুত্র। " (প্রেরিত ৯:২০)(নাঊযুবিল্লাহ)।মহান আল্লাহ্ তাঁর নবী মুহাম্মদ সাঃ এর মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন যে:-"সূরা আস ছাফ্‌ফাত (الصّافات), আয়াত: ১৫১-১৫২

 

 أَلَآ إِنَّهُم مِّنْ إِفْكِهِمْ لَيَقُولُونَوَلَدَ ٱللَّهُ وَإِنَّهُمْ لَكَٰذِبُونَ

 

অর্থঃ দেখ, তারা [খ্রিস্টানরা] মনগড়া উক্তি করে যে,আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী।"

 

ঙ)সর্বশক্তিমান ঈশ্বর মহান আল্লাহর সন্তান গ্রহণ সম্পর্কে:

●৫)ইহুদি-খ্রিস্টানরা বলে মহান আল্লাহর সন্তান আছে এবং কী তারা মহান আল্লাহর সন্তান (নাঊযুবিল্লাহ)।মহানবী মুহাম্মদ সাঃ তাদের এই ভুল ধারনাগুলোর অবসান ঘটিয়েছেন পবিত্র আল কোরআন মাজীদের মাধ্যমে যাতে মহান আল্লাহ এরশাদ করেছেন সূরা মারইয়াম (مريم), আয়াত: ৩৫

 

مَا كَانَ لِلَّهِ أَن يَتَّخِذَ مِن وَلَدٍ سُبْحَٰنَهُۥٓ إِذَا قَضَىٰٓ أَمْرًا فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُۥ كُن فَيَكُونُ

 

অর্থঃ আল্লাহ এমন নন যে, সন্তান গ্রহণ করবেন, তিনি পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, তিনি যখন কোন কাজ করা সিদ্ধান্ত করেন, তখন একথাই বলেনঃ হও এবং তা হয়ে যায়।"

 

আবার অন্যত্র বলা হয়েছে সূরা আত-তাওবাহ্‌ (التوبة), আয়াত: ৩০

 

وَقَالَتِ ٱلْيَهُودُ عُزَيْرٌ ٱبْنُ ٱللَّهِ وَقَالَتِ ٱلنَّصَٰرَى ٱلْمَسِيحُ ٱبْنُ ٱللَّهِ ذَٰلِكَ قَوْلُهُم بِأَفْوَٰهِهِمْ يُضَٰهِـُٔونَ قَوْلَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ مِن قَبْلُ قَٰتَلَهُمُ ٱللَّهُ أَنَّىٰ يُؤْفَكُونَ

 

অর্থঃ ইহুদীরা বলে ওযাইর আল্লাহর পুত্র এবং নাসারারা বলে ‘মসীহ আল্লাহর পুত্র’। এ হচ্ছে তাদের মুখের কথা। এরা পূর্ববর্তী কাফেরদের মত কথা বলে। আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন, এরা কোন উল্টা পথে চলে যাচ্ছে।"

 

আবার সূরা আল জ্বিন (الجنّ), আয়াত: ৩ এ বলা হয়েছে:-

 

وَأَنَّهُۥ تَعَٰلَىٰ جَدُّ رَبِّنَا مَا ٱتَّخَذَ صَٰحِبَةً وَلَا وَلَدًا

 

অর্থঃ এবং আরও বিশ্বাস করি যে,আমাদের পালনকর্তার মহান মর্যাদা সবার উর্ধ্বে। তিনি কোন পত্নী গ্রহণ করেননি এবং তাঁর কোন সন্তান নেই।"

আরো বলা হয়েছে সূরা মারইয়াম (مريم), আয়াত: ৮৮-৯৩ তে 

 

وَقَالُوا۟ ٱتَّخَذَ ٱلرَّحْمَٰنُ وَلَدًا

لَّقَدْ جِئْتُمْ شَيْـًٔا إِدًّا

تَكَادُ ٱلسَّمَٰوَٰتُ يَتَفَطَّرْنَ مِنْهُ وَتَنشَقُّ ٱلْأَرْضُ وَتَخِرُّ ٱلْجِبَالُ هَدًّا

أَن دَعَوْا۟ لِلرَّحْمَٰنِ وَلَدًا

وَمَا يَنۢبَغِى لِلرَّحْمَٰنِ أَن يَتَّخِذَ وَلَدًا

إِن كُلُّ مَن فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ إِلَّآ ءَاتِى ٱلرَّحْمَٰنِ عَبْدًا

 

অর্থঃ তারা বলে: দয়াময় আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন।নিশ্চয় তোমরা তো এক অদ্ভুত কান্ড করেছ।হয় তো এর কারণেই এখনই নভোমন্ডল ফেটে পড়বে, পৃথিবী খন্ড-বিখন্ড হবে এবং পর্বতমালা চূর্ণ-বিচুর্ণ হবে। এ কারণে যে, তারা দয়াময় আল্লাহর জন্যে সন্তান আহবান করে।অথচ সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের জন্য শোভনীয় নয়।নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলে কেউ নেই যে, দয়াময় আল্লাহর কাছে দাস হয়ে উপস্থিত হবে না।"

 

আরো বলা হয়েছে সূরা আল মু'মিনূন (المؤمنون), আয়াত: ৯১

 

مَا ٱتَّخَذَ ٱللَّهُ مِن وَلَدٍ وَمَا كَانَ مَعَهُۥ مِنْ إِلَٰهٍ إِذًا لَّذَهَبَ كُلُّ إِلَٰهٍۭ بِمَا خَلَقَ وَلَعَلَا بَعْضُهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ سُبْحَٰنَ ٱللَّهِ عَمَّا يَصِفُونَ

 

অর্থঃ আল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করেননি এবং তাঁর সাথে কোন মাবুদ নেই। থাকলে প্রত্যেক মাবুদ নিজ নিজ সৃষ্টি নিয়ে চলে যেত এবং একজন অন্যজনের উপর প্রবল হয়ে যেত। তারা যা বলে, তা থেকে আল্লাহ পবিত্র।