নাস্তিক্যবাদ একটি ধর্মের নাম

আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো একটি নতুন ধর্ম নিয়ে। যার নাম নাস্তিক্য ধর্ম। আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করবো নাস্তিক্য ধর্মে স্রষ্টা সম্পর্কে এবং কিভাবে সেই স্রষ্টাকে উপাসনা করতে হয়। সাথে পরিষ্কার করে দেবো নাস্তিক্য ধর্মের অবতারেরা কিভাবে তাদের ধর্মের প্রচার ও সামাজিক-রাষ্ট্রীয় ভাবে পরিচালনা করেছে।

নাস্তিকদের এটা স্বীকার করতে তাদের কষ্ট হয় যে, নাস্তিকতাও একটা ধর্ম। নাস্তিকেরা যেন এই কথাটা স্বীকারই করতে চায় না। কারণ এটা স্বীকার করলে তাদের ধর্মের গোপন ও ভয়ংকর কিছু রূপ বের হয়ে আসে। যা নিয়ে স্বয়ং নাস্তিকেরাই লজ্জিত। তাই এবার আমরা প্রমাণ করবো যে, নাস্তিকতা একটি ধর্মের নাম। ধর্ম শব্দের শাব্দিক অর্থ ধারণ করা। যদি কেউ কিছু ধারণ করে তবে সেই ব্যক্তি সেই ধারণের উপর অধিষ্ঠিত থাকা ধর্ম হিসেবে সাব্যস্ত হবে। এই কথাটি অভিজিৎ রায়ের কিতাব থেকে দেখে আসি।

সে এখানে ধারণ করার ছক কষে নাস্তিকতাকে ধর্ম হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে। ঠিক একইভাবে নাস্তিকেরা অনেক কিছুই ধারণ করে। যেমনঃ নাস্তিকেরা ধারণ করে তাদের সৃষ্টিকর্তা নাই।
আরো ধারণ করে পৃথিবীতে আস্তিকদের ধর্ম মিথ্যা। এছাড়া ধারণ করে বিবর্তনবাদ সত্য, সমকামিতা ভালো। এরকম অনেক কিছুই ধারণ করে। সুতরাং এতকিছু ধারণ করে বলেই নাস্তিকতা একটি ধর্ম। ধর্ম বলতে যদি আমরা কোন নিয়ম ধরি। সে হিসেবেও নাস্তিকতা একটি ধর্মের নাম। নাস্তিকেরা আস্তিকদের ধর্মের বিভিন্ন নিয়মের ভুল ধরে এবং একটি নতুন নিয়মের কথা বলে। যেমনঃ বিবাহ প্রথার বিরোধিতা করে এবং বিবাহ প্রথার বাহিরে বের হয়ে এসে নতুন নিয়ম দিতে চায়। আর সেটা হচ্ছে পশুদের মতো জীবন-যাপন করা। হয়তো আমার কথা বিশ্বাস করবেন না। তাই সত্যকে সামনে আনতে তাসলিমা নাসরিন এর লেখনী যা বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রকাশকৃত লিংক দিয়ে দিলাম এখানে পড়ুন

নাস্তিকেরা এই নিয়মগুলো শুধু দাবি করে না বরং তারা প্রচারও করে এবং মানুষকে তাদের এই ধর্মের দিকে দাওয়াত দেয়। তারা আমলও করে তাদের এই নিয়মগুলোর উপরে। এখানে পড়ুন

https://www.vice.com/en_us/article/qbwqem/john-gray-interview-atheism

 

এই যে নাস্তিকেরা নতুন নিয়মের দিকে আমাদেরকে নিতে চাচ্ছে। এতেও কি প্রমাণ হয় না যে নাস্তিকতা একটি ধর্মের নাম? এতটুকুই যথেষ্ট ছিল নাস্তিকতাকে ধর্ম হিসেবে সাব্যস্ত করার জন্য। কিন্তু আমরা সমাপ্ত করতে চাইছি না। নাস্তিকদের লিখিত কিতাব থেকে নাস্তিক্য ধর্মের সমর্থনে আরো কিছু রেফারেন্স উল্লেখ করবো এবং প্রমাণ করে দেখাবো নাস্তিক লেখকেরাও স্বীকার করেছে যে, নাস্তিকতা একটা ধর্ম। এমনকি তারা এটাও স্বীকার করেছে যে নাস্তিক্য ধর্মে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব না থাকলেও স্রষ্টা আছে বা প্রভু আছে।

নাস্তিক্য ধর্মে স্রষ্টাঃ সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব না থাকলেও স্রষ্টা কিভাবে আছে এই প্রশ্ন যে আপনি করবেন তা বুঝতে বেগ পেতে হবে না। হ্যাঁ, নাস্তিক্য ধর্ম এমন এক ধর্ম; যার সৃষ্টিকর্তা না থাকলেও স্রষ্টা আছে। এবার কিতাব খুলে দিলামঃ


মাতাল তরুণী, ৬৭ পৃষ্ঠাতে হুমায়ুন আজাদ নিজেই এখানে স্পষ্ট স্বীকার করেছেন।

"প্রচলিত ধর্মের স্রষ্টাতে বিশ্বাস না করলেও একান্ত স্রষ্টায় বিশ্বাসী" এই কথাটার একটু গভীরে বিশ্লেষণ করি চলুন।

বিশ্লেষণঃ মূল কথা হচ্ছে প্রত্যেক মানুষের মনের গভীরে একটা জিনিস বসবাস করে। সেটা হচ্ছে আমিত্ব। মনের ভেতরে যে আমিত্ব থাকে মূলত সেটাকেই বোঝাচ্ছেন হুমায়ুন আজাদ। তিনি সেই আমিত্বকেই স্রষ্টা হিসেবে মেনে নিয়েছেন। এটাই হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা ছাড়া স্রষ্টার অস্তিত্ব। যেই স্রষ্টাকে সকল নাস্তিক ধার্মিকই মনেপ্রাণে লালন করে। শুধু তাই নয় মানুষের আমিত্ব যে প্রভু সেটা বার্ট্রান্ড রাসেল সাহেবো বলেছেন,এবং মানুষ কে প্রভু হিসেবে মেনে নিয়েছেন

এবার আসুন সেই স্রষ্টা সম্পর্কে কিছু আলোচনা করি। নাস্তিকেরা একটা দাবি করে যে, মানুষই সৃষ্টি করেছে স্রষ্টাকে। স্রষ্টা মানুষকে সৃষ্টি করেনি।

এই দাবিটা হুমায়ুন আজাদ সাহেবের কিতাব থেকেই দেখাই। রেফারেন্স গুলি চেক করে নিবেন।
হুমায়ুন আজাদ ‘আমার অবিশ্বাস’ কিতাব

এই কিতাব গুলোতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে মানুষই সৃষ্টি করেছে স্রষ্টাকে। এই কথাটা নাস্তিক্য ধর্মানুসারে সঠিক একটি কথা। কারণ নাস্তিক্য ধর্মে যে স্রষ্টা রয়েছে সেটা হচ্ছে আমিত্ব স্রষ্টা। যা মানুষই সৃষ্টি করেছে। আমি যখন ছোটবেলায় ভাবতাম যে, নাস্তিকেরা কেন বলে স্রষ্টা মানুষেরই সৃষ্টি। তখন আমি বুঝিনি।পরবর্তীতে যখন নাস্তিক্য ধর্ম ব্যবসায়ীদের কিতাব পড়লাম৷ তখনই মূলত আমার বুঝে এসেছে। হ্যাঁ, এই কথা তো সঠিকই। একজন নাস্তিক যেহেতু আমিত্ব স্রষ্টাতে বিশ্বাস করে। সেহেতু আমিত্বকে তো মানুষকেই সৃষ্টি করতে হয়। এবার চলুন বিশ্লেষণ করি তারা কিভাবে আমিত্ব স্রষ্টাকে পূজা করে।

আমিত্ব স্রষ্টার পূজাঃ হিন্দুধর্মের স্রষ্টাকে উপাসনা করলে সে স্রষ্টা খুশি হয়। ঠিক তেমনই একজন নাস্তিক তার আমিত্ব স্রষ্টা যা বলে তাই করলে নাস্তিকটি খুশি হয় এবং তার আমিত্ব স্রষ্টা আনন্দ অনুভব করে। এছাড়াও নাস্তিকতায় আরো পূজার সিস্টেম আছে। আছে তাদের গির্জা। এমনকি তারা ভিন্ন ভিন্ন কায়দায় পুজা করে।

 

 

এই ধর্ম কোন দেশে ছিলো?

সেভিয়ত ইউনিয়নে নাস্তিক্য ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। চলুন এবার উইকিপিডিয়া থেকে স্কিনসর্ট দেখিঃ

 

গোলাম মোস্তফার কিতাবঃ

এই কিতাব থেকে প্রমানিত হলো নাস্তিকতা একটা ধর্ম এবং এই ধর্মকে সেভিয়ত ইউনিয়নের ধর্ম হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল।
এই সকল তথ্য দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট প্রমাণ করে যে, নাস্তিকতা একটি ধর্ম।
এরপরেও কিছু নাস্তিক ধার্মিক আছে; যারা এটা চোখ বন্ধ করে বলে নাস্তিকতা কোন ধর্ম নয়। তারপরেও আমি আজকে তাদের কিছু অভিযোগ এর জবাব দিচ্ছি।

 

অভিযোগ-১ঃ নাস্তিকতা কোন ধর্ম নয়। যদি নাস্তিকতা ধর্ম হয় তাহলে অফ বাটনকে টিভি চ্যানেল বলতে হয়, টাককে বলতে হয় চুলের রঙ , ষ্ট্যাম্প না জমানোকে ছবি বলতে হয়, বাগান না করাও একটি শখ, ক্রিকেট না খেলাও একটি খেলা , মদ সেবন না করাও একটি নেশা বলা হয় আপনি কি মানবেন ?

উত্তর-১ঃ এই অভিযোগ গুলোর জবাব যদি বুঝতে চান। তাহলে আপনাকে আগে বুঝতে হবে যে, আপনাকে যদি কেউ বলে আপনি কি সুন্দর অনুভব করেন? উত্তর হচ্ছে, ধরুন সুন্দর অনুভব করেন না। তার মানে খারাপ অনুভব করেন? উত্তর হচ্ছে, তাও করেন না। আদতে কোন কিছু অনুভব না করলেও কিছু না কিছু আপনি জীবনের সবসময় অনুভব করেন। কিন্তু কেউ যদি বলে আমি কিছুই অনুভব করি না। এটাও একটা অনুভব করা৷ অনুভব এমন একটা জিনিস যেটা থেকে মানুষ বের হয়ে আসতে পারে না। তেমনই ধর্ম এমন একটা জিনিস যা থেকে মানুষ বের হয়ে আসতে পারে না।
কিন্তু খেলার এই উদাহরণ, বা চুল না থাকাও, এই সব উদাহরণ এই বিষয়টার সাথে যায় না।


উত্তর-২ঃ আর যদি ধরেও নেই কেউ ক্রিকেট না খেলাকে খেলা মনে করলো বা বোবা লোককে ভাষাবিদ বললো। তাহলে তো নাস্তিকতা ধর্ম হিসেবেই সাব্যস্ত হবে। তবে উদাহরণ গুলো এমন হবে যে, ক্রিকেট খেলায় যেমন অনন্দ অনুভব হয়। তেমনই কারো কাছে ক্রিকেট না খেলেও এক ধরণের আনন্দ অনুভব কাজ করে খেলা দেখার মাঝে।

উত্তরঃ৩ নাস্তিকতা যদি ধর্ম না হয় অফ বাটনকে বাটন নাই বলতে হবে। টাক মাথাকে মাথা নাই বলতে হবে। বোবা লোককে মুখ নাই বলতে হবে।ক্রিকেট খেলাকে পড়াশোনা বলতে হবে।মদ সেবন করাকে চিকিৎসা নেওয়া বলতে হবে।আপনি কি মানবেন?

অনেক নাস্তিক একটা দাবি করে নাস্তিকতা হচ্ছে প্রমানের অভাবে স্রষ্টায় অবিশ্বাস জাস্ট এতোটুকুই।সুতরাং নাস্তিকতা ধর্ম না।তার মানে আপনি আর নাস্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন করতে পারবেন না।এই যুক্তির প্রেক্ষিতে আমরা একটি দাবি করি তাদের মতো করেই।আস্তিকতা হচ্ছে প্রমানের অভাবে সৃষ্টি কর্তা নাই এই কথায় অবিশ্বাস। বা প্রমানের অভাবে নাস্তিকতায় অবিশ্বাস। তাহলে নাস্তিকেরা কি আজ থেকে, আস্তিক ধর্মের নিয়ম গুলি, ভুল ধরতে পারবে?উত্তর হচ্ছে কখনো না।এবং এর থেকে এটাও প্রমাণ হলো নাস্তিকতা যদি ধর্ম না হয় তাহলে আস্তিকতাও ধর্ম না। যার প্রেক্ষিতে আস্তিকতা ধর্ম হবে, ঠিক একি যুক্তির ভিত্তিতে, নাস্তিকতাও ধর্ম হবে।


কিছু নাস্তিক্য ধর্মের অন্ধ বিশ্বাসীদের প্রতি আমার প্রশ্নঃ

নাস্তিকেরা প্রকৃতপক্ষে ধর্ম বলতে কি বোঝে এবং সেটা কে নির্ণয় করবে? ধর্মের সংগা যে নির্ণয় করবে, সে কি কোন মহামানব? যাকে সবাই বিশ্বাস করবে? ধর্মের সংগা আস্তিকের কাছ থেকে নেবে না কি নাস্তিকের কাছ থেকে নেবে? নাস্তিকেরা যদি এটা নির্ণয় না করতে পারে। তাহলে তারা কিসের ভিত্তিতে নাস্তিকতাকে ধর্ম হিসেবে স্বীকার করে না? যদি তারা নাস্তিকতাকে ধর্ম না মানে তাহলে আস্তিক ধর্মের আইনগুলো কি তারা সব ডিনাই করবে? যদি নাস্তিকতাকে ধর্ম না মানে এবং নাস্তিকতাকে ধর্মের বিপরীত মনে করে তাহলে আরো প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে যে, আস্তিকদের ধর্মে কুকুর খাওয়া হারাম। তাহলে বিপরীত হওয়ার কারণে নাস্তিক্য ধর্মে কি কুকুর খাওয়া জায়েজ হবে? আস্তিকদের ধর্মে মল-মূত্র খাওয়া হারাম। তাহলে কি নাস্তিক্য ধর্মে তা জায়েজ হবে? আস্তিকদের ধর্মে গালিগালাজ করা হারাম। তাহলে নাস্তিক্য ধর্মে কি গালি দেওয়া করা হারাম হবে? এরকম অসংখ্য প্রশ্ন যা আমাদের নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী করতে বলেছেন। প্রশ্নের পাথরে বিক্ষত হতে বলেছেন। এরকম অসংখ্য প্রশ্ন থাকবে। যার উত্তর কখনো পাবো কি না জানি না। তবে মানুষকে জানিয়ে দিতে চাই আমার প্রশ্ন।

 

 

Share this:

More articles

নাস্তিকসহ কিছু মডারেট মুসলিমদেরকেও বলতে শুনা যায় যে, ইসলামে গান-বাজনা কেন নিষিদ্ধ! গান-বাজনা শুনতে সমস্যা কোথায়! এই লেখাটিতে গান-বাজনার ক্ষতিকর দিক, ইসলামে গান-বাজনা হারাম হওয়ার রেফারেন্স এবং কেন গান-বাজনা হারাম তা তুলে ধরা হয়েছে।  আল-কোরআনে গান-বাজনা হারাম  ● মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا ۚ أُولَٰئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُهِينٌ একশ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ কর....
17 Min read
Read more
বর্তমান নাস্তিক- ইসলাম বিদ্বেষীদের একটি প্রশ্ন যে, স্রষ্টা যদি থেকেই থাকেন তবে তিনি কেন মানুষকে এতো দুঃখ, কষ্ট ও বিপদ দেন? স্রষ্টা যদি থাকতেন তবে তার সৃষ্টিকে সাহায্য করতেন! এ ভাবে বিপদের মধ্যে তাকে রাখতেন না? জবাব :-  এই প্রশ্নের উত্তর স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা নিজেই কুরআনে দিয়েছেন।  وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ بِشَيْءٍ مِنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنْفُسِ وَالثَّمَرَاتِ ۗ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ  এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-....
13 Min read
Read more
ফসিল রেকর্ড ও মানুষের উদ্ভব বনের বিবর্তন ডাইনোসর আগে নাকি মুরগি আগে? উচ্চতর জীবে জিনের আকার বৃদ্ধি হল কিভাবে?   ফসিল রেকর্ড ও মানুষের উদ্ভব প্রাপ্ত ফসিলগুলোর কোনটিই মানুষের বিবর্তন সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণে সক্ষম নয়। - বাণীতে বিবর্তনবাদী[১] অবশ্য যতই বিজ্ঞানের সঙ্গে বিবর্তন তত্ত্ব অসামঞ্জস্যপূর্ণ হোক না কেন, এটা নি:সন্দেহে প্রত্যাখ্যান করা হবে না বনের বিবর্তন বিবর্তনবাদীদের মতে, প্রথম বন সৃৃষ্টি হয়েছিল এক প্রকারের উদ্ভিদ দিয়ে। Think for a minute about ‘early’ life on land. Complexity is probably n....
3 Min read
Read more
প্রাকৃতিক নির্বাচন এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোন প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো জনগোষ্ঠীতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। এটি ডারউইনীয় বিবর্তনের অন্যতম চালিকাশক্তি। দৈব ঘটনার সম্ভাবনা চেপে যাওয়া জেনেটিক ড্রিফট প্রাকৃতিক নির্বাচনকে গণিতের মত নির্দিষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয় যে, শক্তিশালী জীব টিকে থাকবে। কিন্তু এখানে আকস্মিক ঘটনাকে উপেক্ষা করা হয়। যেমন : হঠাৎ কোন দুরারোগ্য মহামারীর আগমন, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে দীর্ঘ শীতকালীন শৈত্যপ্রবাহ কিংবা বর্ষায় সুবিস্স্তৃৃত ভয়ানক প্লাবন যা সেসব জ....
4 Min read
Read more
অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ফেনোটাইপ পেতে একাধিক মিউটেশন যুগপৎ সংগঠিত হতে হয়।বিহি ও স্নোক প্রমাণ করেছিলেন যে, যদি দুটি প্রোটিনের মধ্যে একটি কার্যকরী বন্ধন তৈরি করার জন্য একাধিক মিউটেশনের প্রয়োজন হয়, তবে "শুধু জিনের অনুলিপি এবং পয়েন্ট মিউটেশনের প্রক্রিয়া অপ্রতুল হয়ে যাবে।কারণ খুব অল্প কিছু বহুকোষী প্রজাতি প্রয়োজনীয় জনসংখ্যার আকারে পৌঁছায়।" (Michael Behe and David Snoke, “Simulating Evolution by Gene Duplication of Protein Features That Require Multiple Amino Acid Residues,” Protein Science 13 (20....
5 Min read
Read more
ভুমিকাঃ আমরা আজকে জানতে চেষ্টা করবো, নাস্তিক্য ধর্মে নৈতিকতা কাকে বলে? কিভাবে নৈতিকতা হয়? বিশ্বাস ছাড়া নৈতিকতা অচল কেন? নৈতিকতাই কেন স্রষ্টাকে দাবি করে? নাস্তিক্য ধর্মে নৈতিকতা না থাকাতে তারা হতাশ কেন? নাস্তিক্য ধর্মে নৈতিকতা না থাকায় তারাই কেন সন্ত্রাসী? আশাবাদী এই পূর্ণ লেখাটি পড়লে আপনার চিন্তার জগতকে নতুন আলোয় অবলোকন করাবে এবং আপনাকে ভাবুক করে তুলবে। সম্মানিত পাঠক, নাস্তিক্য ধর্মের আলোকে আমরা জানতে পারি যে প্রথমে মানুষের প্রাণের উৎপত্তি হয়। তারপর মানুষ জীবনকে টিকিয়ে রাখতে খাবার খেতে শেখে, চল....
9 Min read
Read more