Are you sure?

বিজ্ঞান »  ইসলাম ও বিজ্ঞান

ইবনে খালদুন বনাম ডারউইন

আল-মুকাদ্দিমা বই থেকে

আল-মুকাদ্দিমা বই থেকে

 

আমাদের জবাবঃ ইবনে খালদুন ইসলামে বিশ্বাস করতেন এবং তার লেখা অনুযায়ী আদম হচ্ছেন প্রথম মানব। তাছাড়া ইবনে খালদুন বিবর্তনের বিষয়ে কথা বলছিলেন না, বরং সৃষ্টির ক্রমের প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক ধারণার পুনরাবৃত্তি করছিলেন। নিচের ছবি অনুযায়ী তার দৃষ্টিকোণ হচ্ছে, মানুষের উপরে ফেরেশতাদের অবস্থান এবং শ্বেতাঙ্গদের অবস্থান কৃষ্ণাঙ্গদের উপরে। এসব গ্রীকদের বানানো ক্রমবিন্যাস, যা তিনি তার বইয়ে উল্লেখ করেছেন মাত্র। তবে গ্রীকদের এই শ্রেণিভাগ ইসলামের বিপরীত। কারন, মানুষের মর্যাদা তার গাত্রবর্ণ নয়, বরং দ্বীনদারি, তাক্বওয়া, এবং ভাল কাজের উপর নির্ভর করে।

এখানে তিনি বিভিন্ন সৃষ্টির কোনটি কোনটি থেকে উত্তম, তা বলেছেন; শারীরিক বিবর্তন নিয়ে কিছু বলেন নি। এখানে আরবি শব্দ ‘উফুক’-এর অনুবাদ করা হয়েছে ‘ধাপ’, অথচ সঠিক অনুবাদ হল ‘দিগন্ত’ বা ‘নক্ষত্রের কিনারা’। তিনি প্রতিদিন নক্ষত্রের উদয়াচলের পরিবর্তনের সাথে জীবজগতের স্তর তুলনা করেছেন। মধ্যযুগের দার্শনিকরা এমন অস্পষ্ট কিন্তু বোধগম্য উপমা দিতেন।

প্রাণের ধারা [Chain of Being]: পরিভাষাটি দ্বারা মহাবিশ্বের ৩টি বৈশিষ্ট্যের কথা বুঝানো হয়- প্রাচুর্য, ধারাবাহিকতা ও ক্রমবিন্যাস। প্রাচুর্য মানে হল, অস্তিত্বশীল সকল প্রকার সর্বোচ্চ বৈচিত্র্যে থাকবে, পরস্পরবিরোধী নয় এমন সবকিছু সম্ভব। ধারাবাহিকতা মানে হল, মহাবিশ্ব অসীম বস্তু ধারন করে, প্রত্যেক বস্তুর আরেকটির সাথে কমপক্ষে একটি সাধারণ সাদৃশ্য থাকে। ক্রমবিন্যাস দ্বারা, সরবনিম্ন সৃষ্টি থেকে ঈশ্বর পর্যন্ত ধাপে ধাপে সাজানোকে বুঝানো হয়।