Are you sure?

দর্শন »  নাস্তিক্যবাদ

ইসলাম কী মানুষকে জোরপূর্বক মানুষের দাস বানাতে বলে?


দাস-প্রথা প্রাচীন একটি বর্বর-জঘন্য প্রথা। রোমানরা এটা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছিল। তারা কোন যুদ্ধে জয় লাভ করলে শত্রুপক্ষের নারীদের বন্দী করে গোলাম বা কৃতদাস বানিয়ে রাখতো। রোমানরাই হতো তাদের প্রভু। যারা বন্দী হয় তারা হয় রোমানদের কৃতদাস। রোমানরা যা আদেশ করে তাই সেই নারীদের চোখ বন্ধ করে পালন করতে হতো। নারীদের অমানবিক নির্যাতন ও দাসী সেক্স করা হতো। তাদেরকে সারা জীবনই দাস-দাসী বানিয়ে রাখতো । বর্তমানে এই প্রথার বিলুপ্তি ঘটেছে। কিন্তু ইসলাম এই সম্পর্কে কী বলে আসুন দেখি :- 

আমরা আল্লাহর দাস/গোলাম । কারণ তিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা । তিনি এক ও অদ্বিতীয় সকল প্রশংসা তার ।

কিন্তু আমরা কোন মানুষের দাস নই। আমরা কেবল আল্লাহ তায়ালার দাস ।

ইসলামে মানুষকে দাস-দাসী বা আমার গোলাম এসব বলা কঠোর ভাবে হারাম। 

গ্রন্থঃ আল-আদাবুল মুফরাদ

অধ্যায়ঃ ভদ্র আচার ব্যাবহার

হাদিস নম্বরঃ ২০৯

২০৯। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ যেন আমার দাস, আমার দাসী না বলে। খাদিম ও খাদিমাও যেন আমার প্রভু না বলে। সে(অভিভাবক) বলবে, আমার বালক, আমার বালিকা,আর (মামলুক ও মা মালাকাত আইমানুহুম) বলবে আমার নেতা।তোমাদের প্রত্যেকেই দাস, কেবল মহামহিম আল্লাহই হচ্ছেন রব (প্রভু) (আবু দাউদ, নাসাঈ)।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) [হাদিসটি চেক করুন]

গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)

অধ্যায়ঃ ৪৯/ ক্রীতদাস আযাদ করা (كتاب العتق)

হাদিস নম্বরঃ ২৫৫২

২৫৫২. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন এমন কথা না বলে ‘‘তোমার প্রভুকে আহার করাও’’ ‘‘তোমার প্রভুকে অযু করাও’’ ‘‘তোমার প্রভুকে পান করাও’’।বরং (মামলুক ও মা মালাকাত আইমানুহুম) যেন এরূপ বলে, ‘‘আমার নেতা’’ ‘আমার অভিভাবক’,। তোমাদের কেউ যেন এরূপ না বলে ‘‘আমার দাস,আমার দাস’। বরং বলবে- ‘আমার বালক’ ‘আমার বালিকা’ ‘আমার সেবক/সেবিকা'।

(আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৮৪)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)। [হাদিসটি চেক করুন]

◉ সুতরাং ইসলামে কাউকে দাস-দাসী বা আমার গোলাম ইত্যাদি বলা হারাম। ইসলামে এই অনুমতি নেই। 

 ইসলামে দাস-দাসীদের মুক্ত করতে উৎসাহিত করা হয়েছে-

আপনি জানেন, সে ঘাঁটি কি?

(সূরাঃ আল বালাদ, আয়াতঃ ১২)

তা হচ্ছে দাসমুক্তি

(সূরাঃ আল বালাদ, আয়াতঃ ১৩)

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা ঘোষণা করেছেন যে, কিয়ামতের দিবসে আমি নিজে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাদী হব। এক ব্যক্তি, যে আমার নামে ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করল। আরেক ব্যক্তি, যে কোন আযাদ মানুষকে বিক্রি করে তার মূল্য ভোগ করল। আর এক ব্যক্তি, যে কোন মজুর নিয়োগ করে তার হতে পুরো কাজ আদায় করে এবং তার পারিশ্রমিক দেয় না।

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২২২৭

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস । [হাদিসটি চেক করুন]

◉ ইসলামে দাস-দাসীদের সাথে যেভাবে ব্যবহার করতে বলা হয়েছে :-

২৫৪৫. মারূর ইবনু সুওয়াইদ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি আবূ যার গিফারী (রাঃ)-এর দেখা পেলাম। তার গায়ে তখন এক জোড়া কাপড় আর তার ক্রীতদাসের গায়েও (অনুরূপ) এক জোড়া কাপড় ছিল। তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, একবার এক ব্যক্তিকে আমি গালি দিয়েছিলাম। সে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করল। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, তুমি তার মার প্রতি কটাক্ষ করে তাকে লজ্জা দিলে? তারপর তিনি বললেন, তোমাদের গোলামেরা তোমাদেরই ভাই। আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের অধীনস্থ করেছেন, কাজেই কারো ভাই যদি তার অধীনে থাকে তবে সে যা খায়, তা হতে যেন তাকে খেতে দেয় এবং সে যা পরিধান করে, তা হতে যেন পরিধান করায় এবং তাদের সাধ্যাতীত কোন কাজে বাধ্য না করে। তোমরা যদি তাদের শক্তির ঊর্ধ্বে কোন কাজ তাদের দাও তবে তাদের সহযোগিতা কর। (৩০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৭৭)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) [হাদিসটি চেক করুন]

গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)

অধ্যায়ঃ ৩৬/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب)

হাদিস নম্বরঃ ৫১৫৯

৫১৫৯। আবূ মাস‘ঊদ আল-আনসারী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি আমার এক মামলুককে প্রহার করছিলাম। এ সময় আমার পিছন থেকে একটি শব্দ শুনতে পেলাম, হে আবূ মাস‘ঊদ!জেনে রেখো, আল্লাহ তোমার উপর এর চেয়ে বেশী ক্ষমতাবান যতটুকু তুমি তার উপর ক্ষমতাবান। আমি পিছন থেকে তার এরূপ ডাক দু’ বার শুনতে পেলাম। আমি পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখি তিনি স্বয়ং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম!আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য স্বাধীন। (অর্থাৎ,আমি তাকে মুক্ত করে দিলাম)। তিনি (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তুমি যদি তাকে মুক্ত করে না দিতে তাহলে জাহান্নামের আগুন তোমাকে গ্রাস করতো।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Shaih) [হাদিসটি চেক করুন]

২৩৫১। আহমদ ইবনু ইউনুস (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ কোন মুসলিম গোলাম আযাদ করলে আল্লাহ সেই গোলামের প্রত্যেক অঙ্গের বিনিময়ে তার একেকটি অঙ্গ (জাহান্নামের) আগুন থেকে মুক্ত করবেন। সাঈদ ইবনু মারজানা (রাঃ) বলেন, এ হাদীসটি আমি আলী ইবনু হুসায়নের খিদমতে পেশ করলাম। তখন আলী ইবনু হুসায়ন (রাঃ) তার এক গোলামের কাছে উঠে গেলেন যার বিনিময়ে আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফার (রাঃ) তাকে দশ হাজার দিরহাম কিংবা এক হাজার দ্বীনার দিতে চেয়েছিলেন এবং তিনি তাকে আযাদ করে দিলেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) [হাদিসটি চেক করুন]

গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)

অধ্যায়ঃ ৩৬/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب)

হাদিস নম্বরঃ ৫১৬৮

৫১৬৮। যাজান (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি ইবনু উমার (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। তিনি তার মামলুককে মুক্ত করে দিলেন। অতঃপর তিনি মাটি থেকে এক টুকরা কাঠ বা অন্য কিছু উঠিয়ে বললেন, একে মুক্ত করায় আমার এর সমানও নেকি নেই। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি তার মামলুককে চড় মারবে বা মারধর করবে,এর কাফফারাহ হলো তাকে মুক্ত করে দেয়া।

সহীহ।

[1]. মুসলিম, আহমাদ।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) [হাদিসটি চেক করুন]

গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)

অধ্যায়ঃ ৩৬/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب)

হাদিস নম্বরঃ ৫১৬৬

৫১৬৬। হিলাল ইবনু ইয়াসাফ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা সুয়াইদ ইবনু মুকাররিন (রাঃ)-এর বাড়িতে থাকতাম। আমাদের সঙ্গে একজন কড়া মেজাজী বৃদ্ধ ছিলেন এবং তার সঙ্গে একজন খাদিমা (সেবিকা) ছিলো। তিনি তার চেহারায় চড় মারলেন। এ কারণে সুয়াইদ (রাঃ) এতটা উত্তেজিত হয়েছিলেন যে, আমরা তাকে এমন উত্তেজিত হতে আর দেখিনি। তিনি বলেন, একে আযাদ করা ব্যতীত তোমার জন্য অন্য কোনো পথ নেই। তুমি দেখছো যে, আমাদেরকে মুকাররিনের সাতটি সন্তান। আমাদের মাত্র একজন খাদেম ছিলো। আমাদের কনিষ্ঠ জন তার মুখে চড় মেরেছিল বিধায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে তাকে আযাদ করার নির্দেশ দিলেন।[1]

সহীহ।

[1]. মুসলিম, আহমাদ।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) [

হাদিসটি চেক করুন

 হাদিস পড়ার পর তো বুঝা যায়, যে ইসলামে সবার অধিকার সমান । আপনি যেই হোন না কেন সবার সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে সেটা আপনার বাড়ির কাজের লোক হলেও । একইভাবে যখন দাস প্রথা ছিলো তখন ইসলামে দাসদের সাথে ভালো ব্যবহার করা হয়েছে। তাদের ন্যায্য অধিকার দেয়া হয়েছে। 

◉ ইসলামে দাস-দাসীদের অধিকার :-

৩৬৬৩-[৩] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা শুনো এবং আনুগত্য করো, যদিও তোমাদের ওপর হাবশী গোলাম শাসক নিযুক্ত করা হয়, যার মাথা কিসমিসের ন্যায়। (বুখারী)[1]

[1] সহীহ : বুখারী ৭১৪২, ইবনু মাজাহ ২৮৬০, আহমাদ ১২১২৬, সহীহ আল জামি‘ ৯৮৫। [হাদিসটি চেক করুন]

৩০. মা‘রূর (রহ.) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেনঃ আমি একবার রাবাযা নামক স্থানে আবূ যর (রাযি.)-এর সঙ্গে দেখা করলাম। তখন তাঁর পরনে ছিল এক জোড়া কাপড় (লুঙ্গি ও চাদর) আর তাঁর ভৃত্যের পরনেও ছিল ঠিক একই ধরনের এক জোড়া কাপড়। আমি তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ একবার আমি জনৈক ব্যক্তিকে গালি দিয়েছিলাম এবং আমি তাকে তার মা সম্পর্কে লজ্জা দিয়েছিলাম। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, আবূ যার! তুমি তাকে তার মা সম্পর্কে লজ্জা দিয়েছ? তুমি তো এমন ব্যক্তি, তোমার মধ্যে এখনো অন্ধকার যুগের স্বভাব বিদ্যমান। জেনে রেখো, তোমাদের দাস-দাসী তোমাদেরই ভাই। আল্লাহ্ তা‘আলা তাদের তোমাদের অধীনস্থ করে দিয়েছেন। তাই যার ভাই তার অধীনে থাকবে, সে যেন তাকে নিজে যা খায় তাকে তা-ই খাওয়ায় এবং নিজে যা পরিধান করে, তাকেও তা-ই পরায়। তাদের উপর এমন কাজ চাপিয়ে দিও না, যা তাদের জন্য অধিক কষ্টদায়ক। যদি এমন কষ্টকর কাজ করতে দাও, তাহলে তোমরাও তাদের সে কাজে সহযোগিতা করবে। (২৫৪৫, ৬০৫০; মুসলিম ২৭/১০ হাঃ ১৬৬১, আহমাদ ২১৪৮৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০)[হাদিসটি চেক করুন]

◉ অর্থাৎ ইসলাম অনুযায়ী কোন দাস যদি শাসক পর্যন্ত নিযুক্ত হয় তবে তার আনুগত্য মেনে নিতে হবে। তার আদেশ নিষেধ মানতে হবে। ইসলামে দাসদের ন্যায অধিকার দেয়া হয়েছে । ইসলামে দাসদের যতটা অধিকার দেয়া হয়েছে ততটা অধিকার অন্যকোন ধর্মে দেয়া নেই।

এবার আসি মূল বিষয়ে :-  

 দুই ধরনের দাস-প্রথা নিয়ে আলোচনা করা হলো:- ১। নিজের ইচ্ছায় নিজেকে কারো কাছে বিক্রি করে দেয়া ।

২। জোরপূর্বক কোন স্বাধীন ব্যাক্তিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিক্রি করে দেয়া।  

 ইসলামে জোরপূর্বক কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে বিক্রি করা কঠোর ভাবে হারাম-

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা ঘোষণা করেছেন যে, কিয়ামতের দিবসে আমি নিজে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাদী হব। এক ব্যক্তি, যে আমার নামে ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করল। আরেক ব্যক্তি, যে কোন আযাদ মানুষকে বিক্রি করে তার মূল্য ভোগ করল। আর এক ব্যক্তি, যে কোন মজুর নিয়োগ করে তার হতে পুরো কাজ আদায় করে এবং তার পারিশ্রমিক দেয় না।

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২২২৭

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস । [হাদিসটি চেক করুন]

সুতরাং হাদিস অনুযায়ী ইসলামে কোন স্বাধীন ব্যাক্তিকে জোরপূর্বক বিক্রি করা হারাম। ইসলাম অনুযায়ী আপনি কাউকে অকারণে বন্ধী করে তাকে দাস হিসেবে বিক্রি করতে পারবেন না । এবার আসি ১ম পয়েন্টে , আপনি যদি নিজেকে বিক্রি করে দিতে চান নিজের ইচ্ছায় সেটা অন্য হিসাব ।সেটা আপনার নিজস্ব ব্যাপার। আপনি নিজেকে নিজের ইচ্ছায় বিক্রি করলেও ইসলাম অনুযায়ী আপনি আপনার মালিককে প্রভু বলে ডাকতে পারবেন না । সেও আপনাকে দাস বলে ডাকতে পারবে না।  সুতরাং এটা প্রমানিত যে হাদিস অনুযায়ী কোন স্বাধীন বক্তিকে আপনি তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বিক্রি করতে পারবেন না । এ মর্মে আরো হাদিস আছে সেগুলো দেখতে পারেন। 

সুতরাং আগের দাস-প্রথা ছিল কোন স্বাধীন ব্যাক্তিকে জোরপূর্বক বিক্রি করা যা ইসলামে হারাম।