Are you sure?

কুরআন »  বিবিধ

সূর্য নোরাং জলাশয়ে অস্তমিত যায় এ কথাটি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দৃষ্টিভংগি নয় সম্পূর্ণ জুলকারনাইনের দৃষ্টিভংগি তার প্রমান

আসসালামু আলাইকুম,নাস্তিকদের একটি মিথ্যা অভিযোগ যে যেতে যেতে জুলকারনাইন সূর্যকে একটি নোরাং জলাশয়ে অস্তমিত হতে দেখলেন এই বিষয়টি কুরআন মাজিদে এসেছে আপনি কিভাবে প্রমান করবেন যে এটা শুধুমাত্র জুলকারনাইনের দৃষ্টিভংগি আল্লাহর দৃষ্টিভংগি নয়।

 

প্রমান:এখানে পবিত্র কুরআন মাজিদে পরপর ২ টি ঘটনা উল্লেখ আছে।একটি ঘটনা হচ্ছে সুরাহ কাহফের ৮৬ নম্বর আয়াত যেখানে বলা হয়েছে যেতে যেতে জুলকারনাইন সূর্যকে একটি নোংরা জলাশয়ে অস্তমিত হতে দেখলেন।আরেকটি ঘটনা যেটা কিনা ঠিক এই আয়াতের আগের ঘটনা যেখানে মূসা(আ:) ও খিজির (আ:) এর ঘটনা রয়েছে (সুরাহ কাহফ আয়াত ৬৬)।জুলকারনাইন যখন সূর্যকে নোংরা জলাশয়ে অস্তমিত হতে দেখলেন তখন দেখতে পাওয়ার স্থলে ওয়াও-জিম-দাল রুট লেটার ব্যবহৃত হয়েছে।মজার ব্যাপার হচ্ছে তার ঠিক আগের ঘটনা যেটি কিনা মূসা(আ:) ও খিজির (আ:) এর ঘটনা সেখানেও

 

 

ওয়াও-জিম-দাল রুট লেটারটি ব্যবহৃত হয়েছে।মূসা(আ:) খিজির(আ:) কে বলেছিলেন আল্লাহ যদি চান তাহলে আপনি আমাকে ধৈর্য্যশীল দেখতে পাবেন।(সুরাহ কাহফ আয়াত ৬৯)।এখানে এই আয়াতে দেখতে পাওয়ার স্থলে ওয়াও-জিম-দাল রুট লেটারটি ব্যবহৃত হয়েছে।কিন্তু লক্ষ্য করেন আপনি যদি তার পরের আয়াতগুলো পড়েন তাহলে দেখবেন মূসা(আ:) ঐ ঘটনায় ধৈর্য ধারন করতে পারেন নাই।কারন মূসা(আ:) খিজির (আ:) কে বারবার প্রশ্ন করতে ছিলেন আর খিজির (আ:) বলেছিলেন
আমি বলেছিলাম না আপনি আমার সাথে ধৈর্যধারণ করতে পারবেন না।(সুরাহ কাহফ আয়াত ৭২)।আপনারা লক্ষ্য করেন মূসা(আ:) ভেবেছিল তিনি ধৈর্য ধারণ করতে পারবেন তাই তিনি বলেছিলেন আল্লাহ যদি চান আপনি আমাকে ধৈর্য্যশীল দেখতে পাবেন(ওয়াও-জিম-দাল)।মূসা(আ:) যেটা ভেবেছিল সেটা সঠিক হয় নাই তাহলে জুলকারনাইন যেটা ভেবেছিল সেটা সঠিক হয় কিভাবে?যেখানে পরপর ২ টি ঘটনা এবং ২ টি ঘটনার ক্ষেত্রেই একই রুট লেটার।মূসা(আ:) ভেবেছিল নৌকা ফুটো করে দেওয়া অন্যায় কিন্তু আসলে সেটা অন্যায় ছিল না।মূসা(আ:) ভেবেছিল বালক হত্যা করা ঠিক হয় নাই কিন্তু তার ভাবা সঠিক ছিল না।মূসা(আ:) ভেবেছিল প্রাচীর তৈরীর জন্য পারিশ্রমিক নেওয়া যেতে পারতো কিন্তু আসলে সেই ভাবাও সঠিক ছিল না তাহলে তার ঠিক পরের ঘটনা জুলকারনাইন  যেতে যেতে সূর্যকে নোংরা জলাশয়ে অস্তমিত হতে দেখলেন তার সেই ধারনা সঠিক হয় কিভাবে?সুতরাং কুরআন মাজিদের ভাবপ্রকাশ ভংগিতে বুঝা যায় এটা সম্পূর্ণ জুলকারনাইনের দৃষ্টিভংগি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দৃষ্টিভংগি নয়