Are you sure?

হাদিস »  বিবিধ

হাদিস বর্ণনার দরকার কেন?

১] আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ লোকে বলে, আবূ হুরায়রা রাঃ অধিক হাদীস বর্ণনা করে। (জেনে রাখ), কিতাবে দু’টি আয়াত যদি না থাকত, তবে আমি একটি হাদীসও পেশ করতাম না। অতঃপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ
إن الذين يكتمون ما أنزلنا من البينات والهدى من بعد ما بيناه للناس في الكتاب أولئك يلعنهم الله ويلعنهم اللاعنون . إلا الذين تابوا وأصلحوا وبينوا فأولئك أتوب عليهم وأنا التواب الرحيم

“আমি সেসব স্পষ্ট নিদর্শন ও পথ-নির্দেশ অবতীর্ণ করেছি মানুষের জন্য কিতাবে তা বিস্তারিত বর্ণনার পরও যারা তা গোপন রাখে আল্লাহ তাদেরকে অভিশাপ দেন এবং অভিশাপকারীগণও তাদেরকে অভিশাপ দেয় কিন্তু যারা তাওবাহ করে এবং আর সংশোধন করে এবং প্রকাশ করে দেয় যে, আমি তাদের (ক্ষমার) জন্য ফিরে আসি, আর আমি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” [পবিত্র কুরআন ২:১৫৯-১৬০]। (প্রকৃত ঘটনা এই যে), আমার মুহাজির ভাইয়েরা বাজারে কেনা-বেচায় এবং আমার আনসার ভাইয়েরা জমা-জমির কাজে মশগুল থাকত। আর আবূ হুরায়রা রাঃ (অভুক্ত থেকে) তুষ্ট থেকে আল্লাহর রাসূল ﷺ এর সঙ্গে লেগে থাকত। তাই তারা যখন উপস্থিত থাকত না, তখন সে উপস্থিত থাকত এবং তারা যা আয়ত্ত করত না সে তা আয়ত্ত রাখত।(১১৯, ২০৪৭, ২৩৫০, ৩৬৪৮, ৭৩৫৪ দ্রষ্টব্য) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১১৯)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১১৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

২] আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি বললামঃ ‘হে আল্লাহর রাসূল ﷺ ! আমি আপনার নিকট হতে অনেক হাদীস শুনি কিন্তু ভুলে যাই। তিনি বললেনঃ তোমার চাদর মেলে ধর। আমি তা মেলে ধরলাম। তিনি দু’হাত খাবল করে তাতে কিছু ঢেলে দেয়ার মত করে বললেনঃ এটা তোমার বুকের সাথে লাগাও। আমি তা বুকের সাথে লাগালাম। অতঃপর আমি আর কিছুই ভুলে যাইনি। (১১৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১২০)

ইবরাহীম ইব্‌নুল মুনযির রহঃ.... ইব্‌নু আবূ ফুদায়ক রহঃ সূত্রে একইরূপ হাদীস বর্ণনা করেন এবং তাতে বলেন যে, আল্লাহর রাসূল ﷺ তাঁর হাত দিয়ে সে চাদরের মধ্যে (কিছু) দিলেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১২১)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১১৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

৩] আনাস ইব্‌নু মালিক রাঃ থেকে বর্ণিতঃ একদা মু‘আয রাঃ নবী (ﷺ)-এর পিছনে সওয়ারীতে ছিলেন, তখন তিনি তাকে ডাকলেন, হে মু‘আয ইব্‌নু জাবাল! মু‘আয রাঃ বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল ﷺ আমি আপনার সার্বিক সহযোগিতা ও খেদমতে হাযির আছি। তিনি ডাকলেন, মু‘আয! মু‘আয রাঃ উত্তর দিলেন, আমি হাযির হে আল্লাহর রাসূল ﷺ, ও প্রস্তুত। তিনি আবার ডাকলেন, মু‘আয। তিনি উত্তর দিলেন, ‘আমি হাযির এবং প্রস্তুত’। এরূপ তিনবার করলেন। অতঃপর বললেনঃ যে কোন বান্দা আন্তরিকতার সাথে এ সাক্ষ্য দেবে যে, ‘আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর রাসূল’-তার জন্য আল্লাহ তা’আলা জাহান্নাম হারাম করে দিবেন। মু‘আয বললেন, ‘হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমি কি মানুষকে এ খবর দেব না, যাতে তারা সুসংবাদ পেতে পারে?’ তিনি বললেন, ‘তাহলে তারা এর উপরই ভরসা করবে।’ মু‘আয রাঃ (জীবন ভর এ হাদীসটি বর্ণনা করেননি) মৃত্যুর সময় এ হাদীসটি বর্ণনা করে গেছেন যাতে (ইলম গোপন রাখার) গুনাহ না হয়।
(১২৯; মুসলিম ১/১০, হাঃ ৩২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১২৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৩০)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১২৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

৪] ইব্‌নু শিহাব রহঃ থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, ‘উরওয়াহ হুমরান থেকে বর্ণনা করেন, ‘উসমান রাঃ উযূ করে বললেন, আমি তোমাদের নিকট একটি হাদীস পেশ করব। যদি একটি আয়াতে কারীমা না হত, তবে আমি তোমাদের নিকট এ হাদীস বলতাম না। আমি নবী (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, যে কোন ব্যক্তি সুন্দর করে উযূ করবে এবং সালাত আদায় করবে, পরবর্তী সালাত আদায় করা পর্যন্ত তার মধ্যবর্তী সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। উরওয়াহ (রহঃ) বলেন,
إِنَّ الَّذِينَ يَكْتُمُونَ مَا أَنْزَلْنَا مِنَ الْبَيِّنَاتِ‏
সে আয়াতটি হল : “আমি যে সব স্পষ্ট নিদর্শন অবতীর্ণ করেছি তা যারা গোপন করে...।” [সূরা বাক্বারাহ : ১৫৯]
(১৫৯; মুসলিম ২/৪, হাঃ ২২৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৫৬ শেষাংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৬১ শেষাংশ)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৬০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস