Are you sure?

বিবিধ »  বিবিধ

মুহাম্মদ সাঃ সম্পর্কে হিন্দুধর্মের বেদে ভবিষ্যৎবাণী

বেদে সংস্কৃতিসহ নবী (স) এর আগমনবার্তাঃ-

আল্লাহ বলেনঃ

وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا كَافَّةً لِلنَّاسِ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ

বাংলা অনুবাদঃ আমি আপনাকে সমগ্র মানবজাতির জন্যে সুসংবাদাতা ও সতর্ককারী রূপে পাঠিয়েছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না। (সূরাঃ সাবা, আয়াতঃ ২৮)

এই না জানা কারন তারা তাদের ঐশ্বরিক কিতাব ব্যাপারে অজ্ঞ,ধর্মগুরু নির্ভর। বাপ-দাদার ধর্ম টিকিয়ে রাখতে ধর্মগুরুরা নবী(স)এর আগমনবার্তা  গোপন করে।

> আরবদের মুশরিক ইন্ডিয়ান পৌত্তলিকদের প্রতিচ্ছবি -

এজন্য আল্লাহ বলেনঃ

 وَلَمَّا جَاءَهُمْ رَسُولٌ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ مُصَدِّقٌ لِمَا مَعَهُمْ نَبَذَ فَرِيقٌ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ كِتَابَ اللَّهِ وَرَاءَ ظُهُورِهِمْ كَأَنَّهُمْ لَا يَعْلَمُونَ

বাংলা অনুবাদঃ

যখন তাদের (পৌত্তলিকগণ, ইহুদি খৃস্টানদের) কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন রসূল আগমন করলেন তথা রসুল(স)-যিনি ঐসব কিতাবের সত্যায়ন করেন, যা তাদের কাছে আছে, তখন ইহুদিখৃস্টানদের একটি দল আল্লাহর গ্রন্থকে পশ্চাতে নিক্ষেপ করল-যেন তারা  কিছুই জানেই না। (সূরাঃ আল বাকারা, আয়াতঃ ১০১)

এখনো ইহুদি খৃস্টানরা তাই করে বাদ পড়েনি অন্যান্য পৌত্তলিকদের একই স্বভাব।

ইন্ডিয়ান পৌত্তলিক ধর্মে ঈশ্বরপ্রেরিত মহাপুরুষ তথা নবীকে ঋষি বলা হয়,যারা ধ্যানে ঈশ্বরে দেয়া জ্ঞান লাভ করে থাকেন।বেদেও নবী(স)ঋষি বলা হয়েছে

> ঋগ্বেদ বলা আছেঃ

नराशंसमिह प्रियमस्मिन्यज्ञ उप ह्वये । मधुजिह्वं हविष्कृतम्॥३॥

English:-

Dear Narasangsa, sweet of tongue, presenter of oblations, I Invoke to this our sacrifice.

> বাংলাঃ প্রিয় নারাশাংসা(नराशंसमिह), মিষ্টি বচন,নৈবেদ্য প্রদানকারী,আমি আহবান করছি আমাদের নৈবেদ্য। [১/১৩/৩, সামবেদ উত্তরাচিকা-১১/১/৩]

> টিকাঃ রামকৃষ্ণ মিশন সমর্থিত রামেশদত্ত অনুবাদে নারাশাংসা(नराशंसमिह)অনুবাদে বলা হয়েছে,যে নরের প্রশংসা করা হয়,, প্রশংসিত মানব/মানবপ্রশংসিত।যাকে আরবিতে অনুবাদ করলে দাড়ায় মোহাম্মাদ(مُحَمَّدٌ)।

উক্ত শ্লোকে বলা হয়েছে মিষ্টি বচন(ভাষী)।আমরা জানি নবী(স)মিষ্টি ভাষী।পরম শত্রুরাও তার কথায় তৃপ্ত পেত।

এছাড়াও ঋগ্বেদে আরো বলা হয়েছে -

यज्ञं पृच्छाम्यवमं स तद्दूतो वि वोचति । क्व ऋतं पूर्व्यं गतं कस्तद्बिभर्ति नूतनो वित्तं मे अस्य रोदसी॥४॥

English :- I ask the last of sacrifice. As envoy he shall tell it forth. Where is the ancient law divine? Who is its new diffuser now? Mark this my woe, ye Earth and Heaven.

বাংলাঃ আমি শেষ  নৈবেদ্য জিজ্ঞেস করি,দুত(envoy,prophet)

হিসেবে সে জোরে বলবে-কোথায় সেই ঐশ্বরিক প্রাচীন বিধান?কে ইহা নবায়ন করবে?ইহাই আমার দুঃখ,আপনি তো পৃথিবী ও স্বর্গ [ঋগ্বেদ ১/১০৫/৪]

অতএব এখানে বুঝা যাচ্ছে বেদ বিকৃত,বেদের মৌলিক শিক্ষা তথা একত্ববাদকে নবায়ন করতে হবে।নবায়নে দায়িত্ব দিয়ে ঋষিকে[নবী(স)] লক্ষ্য করে বলা হলো-

সামবেদে - 

कविमग्निमुप स्तुहि सत्यधर्माणमध्वरे । देवममीवचातनम्॥१२॥

English :-12. Praise Agni in the sacrifice, the Sage whose holy laws are true. The God who driveth grief away

বাংলাঃ-নৈবেদ্যে অগ্নি(ঈশ্বরের গুনবাচক নাম-অগ্নি)এর প্রশংসা করি,সেই ঋষি  যার পবিত্র বিধান সত্য। ঈশ্বর যিনি দুঃখ দুর করেন।[সামবেদ পুর্বাচিকা, অগ্নিপর্ব ৩/১২]

ঠিক একই কথা কোরানে বলা আছেঃ

نَزَّلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَأَنْزَلَ التَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ

বাংলা অনুবাদঃ তিনি (ঈশ্বর) আপনার প্রতি কিতাব(কোরান-"বিধান") নাযিল করেছেন সত্যের সাথে; যা সত্যায়ন করে পূর্ববর্তী কিতাবসমুহের। (সূরাঃ আল ইমরান, আয়াতঃ ৩)

নবী(স)এর বংশমর্যাদাঃ-

সামবেদে বলা আছে -

परि प्रिया दिवः कविर्वयाँसि नप्त्योर्हितः । स्वानैर्याति कविक्रतुः॥१॥

English:-1. The Sage of heaven whose heart is wise, when laid between both hands, with roars, Gives us delightful powers of life

বাংলা: 1. স্বর্গের ঋষি,যারা চিত্ত বুদ্ধিমান,যখন বিশেষ সম্মানিত তার উভয় হস্তদ্বয় আহবান করে,আমাদের জীবনকে আনন্দদায়ক ক্ষমতা দেয়।

स सूनुर्मातरा शुचिर्जातो जाते अरोचयत् । महान्मही ऋतावृधा॥२॥

English:-

2. He, the bright son, when born, illumed his parents who had sprung to life, Great Son, great strengtheners of Law.

বাংলা :- 2.তিনি উজ্জ্বল পুত্র,যখন জন্মগ্রহণ করেন,তার পিতামাতাকে আলোকিত করে যাহাদের থেকে জীবন সুচনা,মহান পুত্র,বিধানে মহান শক্তিশালীধর।

प्रप्र क्षयाय पन्यसे जनाय जुष्टो अद्रुहः । वीत्यर्ष पनिष्टये॥३॥

English :-3. On, onward to a glorious home, free from all guile and dear to. men, Flow with enjoyment to our praise!

 বাংলাঃ- 3.গৌরবময় এক গৃহে আসলেন,সকল প্রতারনা থেকে মুক্ত এবং মানুষের কাছে প্রিয় হলেন,উপভোগ্য সহিত বহমান আমাদের প্রশংসা[তার প্রতি] [সামবেদ-উত্তরাচিকা ৫/৬/১-৩]

টিকা :- এখানে ১নং মন্ত্রে  আমরা জানি নবী(স)মেরাজে বুরাক বাহনে স্বর্গরোহন করেছিলেন,তাকে স্বর্গের ঋষি বলা অধিক যুক্তিযুক্ত।

২নং মন্ত্রে বলা আছে আলোকিত পুত্র/উজ্জ্বল পুত্র, নবী(স)তাই ছিলেন তার চেহারা  থেকে যেন দ্যুতি ছড়ায়,তার সৎ স্বভাব ও কর্মের কারনে পিতামাতা আলোকিত হয়,তিনি মহান পুত্র, ৩নং মন্ত্রে বলছে তিনি গৌরবময় এক গৃহে আসলেন,আমরা জানি নবী(স)মক্কা কুরাইশ বংশে থাকা একটি পরিবার থেকে এসেছেন।আরো বলা হচ্ছে তিনি সকল প্রতারনা থেকে মুক্ত, নবী(স) ছোটোবেলা থেকে সবার বিশ্বস্ত ও সত্যবাদি, সবাই তাকে আল-আমিন(সত্যবাদী)নামে ডাকতো। কারো সাথে প্রতারনা করেননি,তার এসব গুনাবলি  কারনে তার  প্রশংসা লোকদের মুখে মক্কায় সর্বত্রে ছড়িয়ে পড়ে।

> নবী(সা:) এর জিহাদি জীবন :-

সামবেদে বলা আছে -

एष कविरभिष्टुतः पवित्रे अधि तोशते । पुनानो घ्नन्नप द्विष:॥१॥

English-1. This Sage, exalted by our lands, flows to the purifying sieve, Scattering foes as he is cleansed

বাংলাঃ- 1. এই ঋষি আমাদের ভুমিসমুহকে করেছে মহিমান্বিত,বহমান তার শুদ্ধতার ছাকনি,ছড়িয়ে থাকা শত্রুদের, তিনি বিনাশকারী। [সামবেদ-উত্তরাচিকা,১০/৫/১]

টিকাঃ বিশুদ্ধ  বৈদিক তথা একত্ববাদ, একেশ্বরধর্মকে পদানত চেষ্টা চালায় আরবে পৌত্তলিকরা,এছাড়াও এই ষড়যন্ত্রে  ইহুদি-খৃস্টানরাও ছাড় নাই।শান্তিচুক্তি ভংগ করাতে কাফেরদের ইন্ধনে যুদ্ধ সংগঠিত হয়।যেমনঃওহুদ,বদর ইত্যাদি যুদ্ধে শত্রুরা নির্মম পরাজিত ও বিনাশ হয় আল্লাহর দয়ায় নবী(স)কর্তৃক।

মক্কার বিজয় পর নবী(স)এর হাত ধরে,তার নির্দেশে আরবে ইসলামের দাওয়াত আরো সার্থক গোড়াপত্তন হয় এবং অনারবদের মাঝে ইসলামের দাওয়াত পৌছে দেয়া সাহাবিদের কাফেলা নিযুক্ত করে।তার দিকনির্দেশনায় অনারব ভুমিসমুহ ইসলামের আলোয় মহিমান্বিত হয়,বিজয় লাভ করে।তিনি কুফরি বিনাশক,শুদ্ধতার  প্রতীক।

এজন্য আল্লাহ কোরানে বলেন -

وَإِنَّكَ لَعَلَىٰ خُلُقٍ عَظِيمٍ

বাংলা অনুবাদঃ (হে নবি!)আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী। (সূরাঃ আল কলম, আয়াতঃ ৪)

لَقَدۡ کَانَ لَکُمۡ  فِیۡ رَسُوۡلِ اللّٰہِ  اُسۡوَۃٌ حَسَنَۃٌ  لِّمَنۡ کَانَ یَرۡجُوا اللّٰہَ وَ الۡیَوۡمَ  الۡاٰخِرَ  وَ ذَکَرَ  اللّٰہَ  کَثِیۡرًا ﴿ؕ۲۱﴾

বাংলাঃ তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে তাদের জন্য রাসূলের অনুসরণের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।(সূরা আহযাব ৩৩/২১)

এছাড়াও অর্থববেদে বলা আছেঃ-

इदं जना उप श्रुत नराशंस स्तविष्यते । षष्टिं सहस्रा नवतिं च कौरम आ रुशमेषु दद्महे ॥१॥

English :-1. Listen to this, ye men, a laud of glorious bounty shall be sung. Thousands sixty, and ninety we, O Kaurama, among the Rusamas have received.

বাংলা : শ্রবন করো ইহা,হে মানবেরা!মহিমান্বিত অনুগ্রহের প্রশংসা গেয়ে থাকবে।এক হাজার ষাট ও নব্বই জনে আমরা,হে কাওরামা(শান্তির রাজপুত্র) রুশমাসে মধ্যে আপনাকে পেয়েছি

उष्ट्रा यस्य प्रवाहणो वधूमन्तो द्विर्दश । वर्ष्मा रथस्य नि जिहीडते दिव ईषमाणा उपस्पृशः ॥२॥

English :-2. Camels  that draw the car, with twice-ten females by their side, he gave. Fain would the chariot's top bow down escaping from the stroke of heaven

বাংলাঃ 2. উটদের প্রবাহিত তার বাহন, ১২জন স্ত্রী সহিত তিনি দেন,সানন্দে রথের শীর্ষ নত হয়,উন্মুক্ত হয় স্বর্গের পথ

एष इषाय मामहे शतं निष्कान् दश स्रजः । त्रीणि शतान्यर्वतां सहस्रा दश गोनाम् ॥३॥

English:-3. A hundred chains of gold, ten wreaths, upon thee Rishi he bestowed, And thrice-a-hundred mettled steeds, ten-times-a-thousand cows he gave.

বাংলাঃ-সোনার একশত স্বর্নশিকল,দশটি গহনা,ঋষি তোমার প্রতি,তিনি অর্পিত করবেন এবং তিনশত তেজস্বী ঘোড়া ও দশহাজার গরু তিনি দিবেন [অর্থববেদ ২০/১২৭/২-৩]

টিকা ২নং মন্ত্রে সেই ঋষিকে দেয়া হবে উটসমুহ।মনুসংহিতা ১১/২০১মতে একজন ঋষি উটে পিঠে চড়তে পারবে না।

সুতরাং এই ঋষি সাধারন কোনো ঋষি নয়,ইনি ঋষিদের রাজা, শেষ ঋষি মোহাম্মদ (স),উট কেবল আরবেই পাওয়া যায়, বৈদিক কালে আর্যভুমিতে উট পরিচর্যা নেই,এমনকি আর্যভুমি ভারত রাজস্থানে মরুভুমিতেও উট ছিলনা।যদি থাকত তাহলে ঋষি রাজর্ষি হতেন।এরপর বলা হয়েছে  তাকে ১২জন স্ত্রী দেয়া হবে  আমরা জানি নবী(স)এর ১২জন স্ত্রী ছিলো। এরপর বলা হয়েছে স্বর্গের রথ তথা বুরাকের শীর্ষদেশ তার কাছে নত হবে,তারপর স্বর্গের রাস্তা উন্মুক্ত হবে অর্থাৎ মেরাজ গমন/স্বর্গদর্শন।

এখানে ৩নং মন্ত্রের পরের অংশে বলা হয়েছে, তাকে প্রদান করা হবে, ১০০ স্বর্নশিকল ১০ টী গলার হার, ৩০০ ঘোড়া, ১০ হাজার গরু। পন্ডিত বেদ প্রকাশ উপোধ্যায় এর মতে এখানে স্বর্নমুদ্রা, হার, অশ্ব ও গাভী- এইগুলি পার্থিব অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে না । কারণ এই সকল পার্থিব বস্তু লাভের দ্বারা কোন ঋষির মাহাত্ন প্রকাশ পায় না, বরং তাহার পার্থিব-কলুষতাই প্রকাশ করে প্রকৃতপক্ষে এইগুলি অলংকারিক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে যে বিষয়ে প্রায় সকল স্কলাররাই একমত। তুলসীরাম এই মন্ত্রগুলোকে Mystical বলে আখ্যায়িত করেছে। আচার্য্য শ্রী রাম শর্মা এই সুক্তের কমেন্টারিতে লিখেছেন, এই কুন্তাপ সুক্তটি ও এর সম্বন্ধিত শব্দগুলোর অর্থ আক্ষরিক নয় বরং সাংকেতিক। যা বেদ প্রকাশ উপোধ্যায় তার বইয়েও উল্লেখ করেছেন, ১০০ স্বর্নমুদ্রা নির্দেশ করে অবিসিনিয়ায় হিজরতরত নবিজীর ১০০ সাহাবীকে, যাদের বলা হত ‘আসহাবে সুফফা’ । কারন এই একশ সাহাবী ছিল সেইসময় নবিজির নিকট স্বর্নমুদ্রার মত মূল্যবান। ১০ টি গলার হার, গলার হার বলা হয় রুপকভাবে অতিপ্রিয় কোন জিনিস বা ব্যাক্তিকে। নবিজির এরকম গলার হারস্বরুপ প্রিয় দশজন সাহাবী ছিল, যাদের বলা হত ‘আশরা ই মুব্বাশ্বরাহ’ বা জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত। ৩০০ ঘোড়া, যেটি নির্দেশ করে বদর যুদ্ধের ৩০০ মুসলিম বিজেতার। কাফেরদের হাজার সৈন্যের বিপক্ষে মুসলিমরা ছিল মাত্র ৩১৩ জন।এরপরো মুসলিমরা জয়ী হয় ও যুদ্ধে ১৩ জন মুসলিম শহীদ হয় ও বাকি ৩০০ জন ফিরে আসেন। এইজন্য উক্ত তিনশত জনকে ধর্মের ক্ষেত্রে ‘অশ্ব’ উপাধি দান করা হয় । যাহারা ইতিহাসে ‘বদর সাহাবা’ নামি খ্যাত আছেন। ১০ হাজার গরু, নির্দেশ করে অষ্টম হিজরিতে মক্কাবিমুখে রওনা দেয়া নবিজির ১০ হাজার সাহাবীকে ।মক্কাবাসীগণকে সামান্য প্রতিরোধ করার পর নিঃশর্ত আত্নসমর্পন করে। হযরত মোহাম্মদ সা: তাহাদের প্রতি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রদর্শন করলে তাহার দশহাজার শিষ্য-সৈন্যগণও সকলের প্রতি উদার ব্যবহার করেন। এইজন্য তাহাদিগকে গাভীর ন্যায় কল্যাণের প্রতীকরূপে চিহ্নিত করা হইয়াছে।

আর সাহাবীদের নিরীহ বৈশিষ্ট্যের সাথে গরুর তুলনা এমনকি হাদিসেও রয়েছে, Sahih Al-Bukhari, Vol. 9, number 159 and an additional deatil in Sahih Muslim: Sharh an-Nawawee, Vol. 8.“Abu Musa related that the Prophet (pbuh) said, “I saw in a dream that I was migrating from Makkah to a land where there were date palm trees. I thought that it might be the al-Yamamah or Hajar, but it turned out to be Yathrib (Medina). And I saw cows (being slaughtered, as quoted in Sahih Muslim) there – and what is with Allah is better. Eventually, the cows proved to symbolize the believers (who were killed) on the day (of the battle) of Uhud,  

৫ নাম্বার মন্ত্রটি গ্রিফিন্থ এভাবে অনুবাদ করেছে,

प्र रेभासो मनीषा वृषा गाव इवेरते । अमोतपुत्रका एषाममोत गा इवासते ॥५॥

English:- 5. Quickly and willingly like kine forth come the singers and their hymns: Their little maidens are at home, at home they wait upon the cows. 

> নিচে উল্লিখিত মন্ত্রের আচার্য্য শ্রী রাম শর্মার অনুবাদ বাংলা করলে দাড়ায়ঃ- 

শিকারী-দেখিয়া যেমন শিকারগণ বলশালী বৃষবৎ করিয়া পলায়ন ।। গৃহেতে থাকে তাহাদের কেবল বৎসগণ অপেক্ষা করিয়া থাকে গাভীদের জন্য ।। 

সুতরাং এর আগের মন্ত্রে গরু যে আক্ষরিক নয় তা এই মন্ত্রেই প্রমানিত হয়। গাভীদের জন্য তাদের বৎসগণ অধীর আগ্রহে বাড়িতে অপেক্ষা করছে, এটা খুব স্পষ্টভাবে কুরাইশদের অত্যাচারে হিজরতকারী সাহাবীদের পরিজনদের কথা বলেছে, যারা গৃহে বসে তাদের ফিরে আসার অপেক্ষা করছিল।অষ্টম হিজরিতে মক্কা বিজয়ের পর সাহাবীরা পুনরায় নিজ মাতৃভুমিতে এসে ফেলে আসা সন্তান সন্ততি ও পরিবার পরিজনদের সাথে মিলিত হবার সুযোগ পায়।

এরপর ৬ নম্বর মন্ত্রেঃ

प्र रेभ धीं भरस्व गोविदं वसुविदम् । देवत्रेमां वाचं स्रीणीहीषुर्नावीरस्तारम् ॥६॥

English:-

6. O Singer, bring thou forth the hymn that findeth cattle, findeth: wealth. Even as an archer aims his shaft address this prayer unto the Gods.

বাংলাঃ- রেভ ঋষিকে জ্ঞানময় স্তোত্র (প্রভুর প্রশংসাগীতি) ধারণ করিয়া মানুষের মধ্যে তীরন্দাজের ন্যায় সুনিপূণ ভাবে প্রচার করিতে আদেশ করা হইয়াছে। 

আচার্য্য শ্রী রাম শর্মা    অপরদিকে, হযরত মোহাম্মদের উপর অবতীর্ণ কোরআনকে ‘হাকিম’ জ্ঞানময় গ্রন্হ বলা হইয়াছে । আর আশ্চর্য বিষয় যে, কোরআনের প্রথম সূরাটিও প্রভূর প্রশংসা দ্বারা আরম্ভ হইয়াছেঃ” সমস্ত সৃষ্টি জগতের সৃষ্টিকর্তা প্রভূ আল্লাহর সকল প্রশংসা, যিনি অনন্ত করূণাময় পরম দয়ালু ।” (সূরা-ফাতিহা) এরপর ৭ নাম্বার মন্ত্রে তাকে বলা হয়েছে যে, তিনি হবেন মানুষের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট। আচার্য্য শ্রী রাম শর্মার অনুবাদ,    আর মুসলিম পন্ডিত তো বটেই, অমুসলিম পন্ডিতরাও হযরত মুহাম্মদ সঃ কে 

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মানব বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। মাইকেল এইচ হার্ট তার ১০০ মনিষির জীবনী গ্রন্থে, মুহাম্মদ সঃ কে সবার প্রথমে রেখেছেন। একিভাবে মরুভুমিতে বসবাসকারী এই অন্তিম ঋষি, মামহ ঋষি, নারাশাংসার বা সর্বশ্রেষ্ট মানবের বর্ননা রয়েছে ঋগবেদ ১/১৩/৩, ১/১৮/৯, ১/১০৬/৪, ১/১৪২/৩, ২/৩/২, ৩/২৯/১১, ৫/৫/২, ৭/২/২, ১০/৬৪/৩ সহ আরো 

বিভিন্ন জায়গায় যা সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সঃ এর আলেখ্য। 

পরিশেষে কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতা দিয়ে লেখাটা শেষ করিঃ-, 

যে সিদ্দিক আর আমীনে খুঁজিছে বাইবেল আর ঈশা,  তাওরাত দিল বারে বারে যেই মোহাম্মদের দিশা,  পাপিয়া কন্ঠ দাউদ গাহিল যার অনাগত গীতি,  যে মোহাম্মদ অথর্ব্ববেদ-গান খুঁজিতেছে নিতি,  সে অতিথি এল কতকাল ওরে আজি কতকাল পরে  ধেয়ানের মণি নয়নে আসিল বিশ্ব উঠিল ভরে”

 সূত্রঃ

1) বেদ। 

2) মরু ভাস্কর (নওকাবা)-কবি কাজী নজরুল ইসলাম