Are you sure?

তুলনামূলক ধর্মতত্ব »  নাস্তিক্যধর্ম

বিজ্ঞানবাদ ও শিশুবলি


প্রাচীনকালে পৌত্তলিকরা দেবতাদের জন্য নিজেদের সন্তান বলি দিত। আজকের বিজ্ঞানবাদীরাও তাদের উপাস্য বিজ্ঞানের জন্য এই কাজ করে থাকে। ডারউইনবাদীরা ছাড়া আর কারা এই কাজে অধিক অগ্রগামী হতে পারে? নাৎসিদের ডারউইনপ্রীতির উদাহরণ দিলে আবার ইতিহাস বিকৃতি অভিযোগ শুনতে হয়। তাই বর্তমানের ঘটনাই বলি-

ফ্রান্সিস কলিন্সকে দেখুন, তিনি national institute of health এর পরিচালক। তার তত্ত্বাবধানে বহু বছর ধরে নবজাতক শিশুদের উপর বিভিন্ন পরীক্ষণ চালিয়েছে, যেমন : নিম্ন অক্সিজেন উপস্থিতিতে শিশুকে শ্বাসরোধ করা বা উচ্চ অক্সিজেনে শিশুর চোখ নষ্ট করা।
বিজ্ঞানবাদের একনিষ্ঠ ধর্মানুরাগী পিতামাতারা দলিল স্বাক্ষরের সময় জানতই না যে, তাদের পীর সাহেব বিজ্ঞানের নামে তাদের সন্তানদের উপর এসব বর্বর কর্মকাণ্ড চালাবে।
মাদ্রাসার হুজুরদের কেউ পায়ুকামে ধরা পড়লে অপরাধ বোধ করে। কিন্তু বিজ্ঞানবাদী এই প্রতিষ্ঠান উল্টো এরূপ নির্দয় পরীক্ষার পক্ষে সাফাই গেয়ে নিবন্ধ লিখেছেন যে, গবেষকরা নাকি বুঝতে পারেন নি যে, বাচ্চাদের এরকম ক্ষতি হবে!
এই নব্য cult-এর বিভিন্ন বীভৎস দিক আছে। কিছু নারীবাদী বিজ্ঞানবাদের দিকে যাওয়া যাক। নারীবাদীদের অনেকেই প্রতিপালক বিজ্ঞানের জন্য নিজেদের ভ্রূণ পর্যন্ত সপে দেয়। তারা বিশ্বব্যাপী health care এর নামে গর্ভপাতে উৎসাহ দেয়। তারপর সেগুলো গবেষণায় পাঠায়। 42 সপ্তাহ বয়সী ভ্রূণের দেহ খণ্ড (হাত-পা) নিয়ে হাতেনাতে ধরাও পড়েছে
এখানেও কলিন্সের সহযোগী বিজ্ঞানবাদীরা জড়িত। তারা এসব দেহখণ্ড দিয়ে ইদুর-মানব বানানোর চেষ্টা করেছে। এসব ভ্রূনের বয়স ছিল 18-20 সপ্তাহ, মানে তারা মায়ের গর্ভে বাইরের শব্দের প্রতি সাড়া দিত, তাদের হৃদস্পন্দন ছিল!

এরাই আবার প্রতি বছর ঈদুল আযহা-র সময় মায়াকান্না জুড়ে দেয়।