বাল্যবিবাহ কী?
এ সম্পর্কে ধারণা বেশিদিনের নয়। গত শতাব্দীর ধারণা!
সংজ্ঞামতেঃ অপ্রাপ্তবয়ষ্ক ছেলেমেয়েকে বিবাহ প্রদান হচ্ছে বাল্যবিবাহ। [1]
এখন প্রশ্ন হলো অপ্রাপ্তবয়ষ্ক বলতে কী বুঝিয়েছে?
হাস্যকরভাবে আপনি পরিপক্ক-অপরিপক্ক এইটা আপনার দেশের আইন একটা ধ্রুবক সংখ্যায় বেধে ফেলেছে। বাংলাদেশের আইন অনুসারে আঠারো বছরের নিচে সবাই অপ্রাপ্তবয়স্ক!
"আমি রাত বারোটার অপেক্ষা করছি। রাত ১১ঃ৫৯। আর এক মিনিট পরেই আমার জন্মদিন। আর এক মিনিট পরেই আমি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যাবো!"
এটাই আমাদের দেশের সংবিধানের প্রাপ্তবয়ষ্ক/বিবাহযোগ্য বয়সের সিস্টেম।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বয়স চৌদ্দ বছর হলে কোনো ছেলে মেয়ে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে ইন্টারকোর্স করতে পারবে (অর্থাৎ, ইসলামের ভাষায় যিনা)। কিন্তু ১৪ তে তার বিবাহ নিষেধ!
ব্যাভিচার হালাল, কিন্তু বিয়ে হারাম! [2]
তবে এই আইন স্বীকার করে নিয়েছে, বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা গড়ে ১৪ বছরে ইন্টারকোর্সের জন্য উপযুক্ত! (কিন্তু বিবাহ করে ইন্টারকোর্সের জন্য উপযুক্ত নয়)
ইসলামে বিয়ের বয়স ও যৌক্তিকতা:
ইসলামে বিয়ের বয়সকে কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যায় সংখ্যায়িত করা হয়নি।
- ছেলের ক্ষেত্রেঃ বালেগ হওয়া ও মোহর প্রদানে সামর্থ্যবান হওয়া।
- মেয়ের ক্ষেত্রেঃ কোনো বয়সসীমা নেই। তার পিতা চাইলে যেকোনো সময় বিবাহ দিতে পারবেন। তবে ইন্টারকোর্সের ক্ষেত্রে বালেগা হতে হবে।
বালেগ ও বালেগা হওয়ার শর্ত কী?
ইসলাম কী বলে?
"ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের বালেগ হওয়ার বয়সসীমা ও আলামত শরীয়তের পক্ষ থেকে নির্ধারিত রয়েছে। কোনো ছেলে বা মেয়ের মধ্যে বালেগ হওয়ার নির্দিষ্ট আলামত পাওয়া গেলে বা নির্দিষ্ট বয়সসীমায় পৌঁছলেই তাকে বালেগ গণ্য করা হবে এবং তখন থেকেই শরীয়তের হুকুম-আহকাম তার উপর প্রযোজ্য হবে। ছেলেদের বালেগ হওয়ার আলামত হল: ক) স্বপ্নদোষ হওয়া। খ) বীর্যপাত হওয়া। আর মেয়েদের বালেগ হওয়ার আলামত হল: ক) স্বপ্নদোষ হওয়া। খ) হায়েয (ঋতুস্রাব) আসা। গ) গর্ভধারণ করা(করার সক্ষমতা)। বালেগ হওয়ার উপরোক্ত নির্দিষ্ট আলামত যদি কোনো ছেলে বা মেয়ের মধ্যে পাওয়া না যায় সেক্ষেত্রে উভয়ের বয়স যখন হিজরী বর্ষ হিসাবে পনেরো বছর পূর্ণ হবে তখন প্রত্যেককে বালেগ গণ্য করা হবে এবং পনেরো বছর পূর্ণ হওয়ার পর কোনো আলামত পাওয়া না গেলেও সে বালেগ বলেই বিবেচিত হবে। প্রকাশ থাকে যে, কোনো ছেলে বা মেয়ের সাথে শরয়ী পর্দা করার হুকুম প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার সাথে সীমাবদ্ধ নয়। যেমনটি কেউ কেউ ধারণা করে থাকে। বরং প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পূর্বেই যখন কোনো ছেলের নারী-পুরুষ সম্পর্কের বিষয়ে বোঝার বয়স হয়ে যায় তখন থেকেই তার সাথে পর্দা করতে হবে। আর মেয়েদের পর্দার বয়স শুরুহয় তার শরীরে মেয়েলী বৈশিষ্ট্য প্রকাশ হওয়ার সময় থেকেই। যখন তাকে দেখলে কোনো পুরুষ আকর্ষণ অনুভব করে। পিতা-মাতার কর্তব্য হল এমন বয়সী ছেলেমেয়েদের পর্দার ব্যাপারে সচেতন থাকা।" [3]
পিতার দ্বারা নাবালিকা মেয়ে বিয়ে দেওয়া:
-নাবালিকার বিবাহ তার অভিভাবক দিতে পারে। হযরত আয়েশা (রা.) এর বিবাহ হয়েছিল ৬ বছর বয়সে(নাবালিকা বিয়ে) এবং বিবাহ-বাসর হয়েছিল ৯ বছর বয়সে(ইন্টারকোর্স ধরা যেতে পারে, বালেগা বয়স)। [4] সম্মতি না নিয়ে অভিভাবক অপাত্র, ফাসেক, শারাবী, ব্যভিচারী, বিদআতী বা কোন অযোগ্য পুরুষের হাতে তুলে দিলে মহিলা সাবালিকা হওয়ার পর নিজে কাজীর নিকট অভিযোগ করতে পারে। ইচ্ছা করলে বিবাহ অটুট রেখে ঐ স্বামীর সাথেই সংসার করতে পারে, নচেৎ বাতিল করাতেও পারে। [5]
এখানে অভিভাবকের দায়িত্ব ও বিবেচনাবোধ এখানে সবচেয়ে বেশি দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ অল্পবয়ষ্কা ছেলেমেয়ের বিবাহ শুধুমাত্র "সুস্পষ্ট কল্যাণ নিহিত আছে" এই শর্তের অধীন।
ছেলেদের ন্যুনতম বয়স; ছেলেরা নাবালক অবস্থায় বিয়ে করতে পারবে?
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
ﻳَﺎﻣَﻌْﺸَﺮَ ﺍﻟﺸَّﺒَﺎﺏِ ﻣَﻦِ ﺍﺳْﺘَﻄَﺎﻉَ ﻣِﻨْﻜُﻢُ ﺍﻟْﺒَﺎﺀَﺓَ ﻓَﻠْﻴَﺘَﺰَﻭَّﺝْ، ﻓَﺈِﻧَّﻪُﺃَﻏَﺾُّ ﻟِﻠْﺒَﺼَﺮِ ﻭَﺃَﺣْﺼَﻦُ ﻟِﻠْﻔَﺮْﺝِ ﻭَﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﻌَﻠَﻴْﻪِﺑِﺎﻟﺼَّﻮْﻡِ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻟَﻪُ ﻭِﺟَﺎﺀٌ
হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহের সামর্থ্য রাখে, তাদের বিবাহ করা কর্তব্য। কেননা বিবাহ হয় দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণকারী, যৌনাঙ্গের পবিত্রতা রক্ষাকারী। আর যার সামর্থ্য নেই সে যেন রোজা পালন করে। কেননা রোজা হচ্ছে যৌবনকে দমন করার মাধ্যম। [6]
এখানে নাবালকের ক্ষেত্রে দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ, যৌনাঙ্গের হিফাজত এই টার্মগুলো আসার কথা নয়। আবার, ছেলেদের বিবাহের ক্ষেত্রে যেহেতু অভিভাবক লাগেনা, তাই নিজেকেই বালেগ হতে হবে।
এখানে ছেলেদের বিয়ে নিয়ে তেমন আলোচনা করবো না। কারণ অভিযোগটা মূলত মেয়েদের বিয়ে নির্ভর, তাই বাকিটুকু এর উপর ভিত্তি করেই লিখবো।
বালেগা বিবাহ:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
ﻣﻦ ﻭُﻟِﺪَ ﻟَﻪُ ﻭَﻟَﺪٌ ﻓَﻠْﻴُﺤِْ
ِ ﺍﺳْﻤَﻪُ ﻭَﺃَﺩَﺑَﻪُ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻎَ ﻓَﻠْﻴُﺰَﻭِّﺟْﻪُ ﻓَﺈِﻥْ ﺑَﻠَﻎَ ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﺰَﻭِّﺟْﻪُ ﻓَﺄَﺻَﺎﺏَ ﺇِﺛْﻤًﺎ ﻓَﺈِﻧَّﻤَﺎ ﺇﺛﻤﻪ ﻋﻠﻰ ﺃَﺑِﻴ
তোমাদের মাঝে যার কোনো (পুত্র বা কন্যা) সন্তান জন্ম হয় সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব কায়দা শিক্ষা দেয়; যখন সে বালেগ অর্থাৎ সাবালক/সাবালিকা হয়, তখন যেন তার বিয়ে দেয়; যদি সে বালেগ হয় এবং তার বিয়ে না দেয় তাহলে, সে কোনো পাপ করলে উক্ত পাপের দায়ভার তার পিতার উপর বর্তাবে। (বাইহাকি ৮১৪৫, বিঃদ্র: সনদ দুর্বল বা যঈফ)
এ দুর্বল হাদিসটি দিয়ে বালেগা হওয়ার পরেই মেয়ে বিয়ে দিতে হবে, এর আগে দেওয়া যাবে না, এটা প্রমাণ হয় না। কারণ, এর সনদ যঈফ।
বালেগা বিবাহ আলাদা পয়েন্টে এনেছি কারণ হালকা পার্থক্য আছে।
- বালেগা মেয়ের সম্মতি ছাড়া তার বিবাহ দেওয়া যাবে না। অপরদিকে, নাবালিকা মেয়ের বিবাহ তার সম্মতি ছাড়াই তার পিতা দিতে পারবে, সে বালেগ হলে সেই বিবাহ চাইলে রাখতেও পারে, ভেঙেও দিতে পারে।
- বালেগা মেয়ে বিবাহের পরেই ইন্টারকোর্স করতে পারবে। নাবালিকা মেয়ের বালেগ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
বালেগা হওয়ার গড় বয়স:
" যৌনবৃত্তির উপর আরহাওয়ার প্রভাব আলোচনা করিয়া দেখা গিয়াছে যে, গ্রীষ্মপ্ৰধান দেশে গড়ে বালিকাদের ১১ হইতে ১৪ বৎসর বয়সে, নাতিশীতোষ্ণ প্রদেশে ১৩ হইতে ১৬ বৎসর বয়সে, এবং শীতপ্রধান দেশে ১৫ হইতে ১৮ বৎসর বয়সে ঋতুস্রাব আরম্ভ হয়। অর্থাৎ যে দেশের আবহাওয়া যত উষ্ণ, সেই দেশের নারীরা তত অল্প বয়সে যৌবনপ্রাপ্ত হইয়া থাকে।
জার্মানীর প্লস ও বাটেল্স (Ploss and Bartels) বিভিন্ন দেশের নারীজাতি সম্বন্ধে অনুসন্ধান করিয়া যে তালিকা প্ৰস্তুত করিয়াছেন, তাহা তে কোন্ দেশে কত বৎসর বয়সে মেয়েদের ঋতু আরম্ভ হয়, তাহা দেখা যায় :
গ্রীষ্মপ্ৰধান দেশ আদ্য ঋতুর বয়স:
- আলজিরিয়ায় – ৯-১০।
- প্যালেস্টাইনে – ১০।
- সিরিয়ায় – ১২।
- পারস্যে – ১০-১৪।
- ভারতবর্ষে – ১২-১৩।
- কলিকাতায় – ১২.৫।
শীতপ্রধান দেশ আদ্য ঋতুর বয়স:
- ইংলণ্ডে – ১৫।
- ফ্রান্সে – ১৬।
- জার্মানিতে – ১৫।
- ল্যাপ্ল্যাণ্ডে – ১৮।
- কোপেনহেগে – ১৬।
- জাপানে – ১৩-১৪" [7]
এতো গেলো কয়েক দশক আগের আগের জরিপ। একটু দ্বেড় হাজার বছর আগে যায়।
আয়েশা (রা.) বলেন, “মেয়ে যখন নয় বছরে উপনীত হয়ে যায়, তখন সে মহিলা হয়ে যায়।” [8]
প্রশ্ন হতে পারে, আয়িশা (রা.) কি নয় বছরে বালেগা হয়েছিলেন। উত্তরে বলবো, স্পষ্ট কোথাও বলা হয় নি, তবে বালেগা হওয়ার আগে ইন্টারকোর্সের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে, সে হিসেবে বালেগা হয়েছিলেন বলা যেতে পারে। প্রায় সকল আলিম এবিষয়ে একমত।
আমেরিকার কোন কোন অঙ্গরাজ্যতে বিয়ের বয়স ১৩ বছর আবার কোন কোনটিতে ১৪ বছর। কারণ তারা শীতপ্রধান দেশ হিসেবে বায়োলজি বুঝে।
"বাল্যবিবাহের" দাবি করা কুফল ও ইসলাম:
১. ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণঃ এখানে সংক্ষেপে বলছি, গর্ভধারণ না করলেই তো হয় তাড়াতাড়ি। সেক্ষেত্রে আজল করতে পারেন, প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।
২. নিরক্ষরতা ও দারিদ্র্যঃ হাস্যকর সংযোগ। কারণ ইসলামি নিয়মে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই ইলম অর্জন ফরজ। নিরক্ষর থাকে কীভবে? আর দারিদ্র্যের সাথে প্রকৃতই কোনো সম্পর্ক দেখিনা।
৩. পারিবারিক সহিংসতাঃ এর সাথে ইসলামি সিস্টেমে চলা পরিবারের সম্পর্ক নেই।
৪. নারী অধিকার খর্বঃ ইসলামিক সিস্টেম সবার সুষম (সমান বলিনি, ক্ষেত্রবিশেষে কমবেশি) অধিকার নিশ্চিত করে।
৫. নারী উন্নয়ন ও ক্যারিয়ারে বাধাঃ এটা জাস্ট একটা মিথ। এই বিষয়ে ডাঃ শামসুল আরেফীনের লেখা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ২ পড়ুন। আলোচনা বাড়াচ্ছিনা।
বর্তমান সময়ে তাড়াতাড়ি ও সঠিক সময়ে বিয়ের প্রয়োজনীয়তা:
যেহেতু ইসলামে বাল্যবিবাহ বলতে কিছু নেই। তাই তাড়াতাড়ি বিবাহ বলছি। যৌনতা, মানুষের ৫টি ব্যাসিক ডিমান্ডের পাশাপাশি আরেকটি ডিমান্ড দাবি করা হচ্ছে ইদানিং। সংবিধানে না থাকলেও বালেগমাত্রই বুঝতে পারবেন। বিয়ে মানুষের লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে, ব্যাভিচারের হাত থেকে বাঁচায়। অথচ এদেশ জেনাকে করেছে সহজ, বিয়েকে করেছে কঠিন। যুক্তরাজ্যের মতো শীতের দেশেও মেয়েরা আগে আগে বয়ঃপ্রাপ্ত হচ্ছে। [9] সেই লজিকে বাংলাদেশেও সেইম অবস্থা হওয়ার কথা! বাংলাদেশের পুরুষ গড়ে ৩০ এ বিয়ে করে (বাধ্য হয়), মেয়েরা ২৫ এর পর করে। অথচ তার ব্যাসিক নিড শুরু হয়েছে সেই কবেই। সে কি ব্যাভিচারে জড়াবে না? সে কি পর্নোগ্রাফি ও নিজের প্রতি জুলুমের মাধ্যমে নিজের চাহিদা মিটিয়ে নেবে না? ধর্ষণের রেট বেড়ে যাবে না? নিজেকে সংযত রাখা কি কঠিন হবে না? তাই বিবাহের সময় হলেই দেরি করা উচিৎ নয়। ঈমান বাঁচানোর জন্য বিয়ে খুব জরুরি! পরিশেষে, আইন ১৪ বছরে ইন্টারকোর্সের অনুমতি দিয়েছে বিবাহ ছাড়া, বিবাহ করতে গেলে ১৮/২১ হতে হবে। এর নিচে বিবাহ করলে অপরাধ। নাগরিকদের তাদের বায়োলজির বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করছে। এভাবে প্রোমোট হচ্ছে হারাম।
ইসলামে মেয়েদের বিয়ের সঠিক বয়স নেই (পিতার বিবেচনার উপর নির্ভরশীল), কথিত বাল্যবিবাহের কোনো অপকারিতাই প্রযোজ্য নয় এই দ্বীনে। ছেলেদের সামর্থ্যবান হতে হবে। আল্লাহ জানেন কোনটা বান্দার জন্য ঠিক।
রেফারেন্স:
(1) https://bn.m.wikipedia.org/wiki/বাল্যবিবাহ
(2) BD penal code, Chap 20
(3) -আল ইনায়া শারহুল হেদায়া ৮/২০১; আদ্দুররুল মুখতার ৬/১৫৩; তাফসীরে কুরতুবী ১২/১৫১
(4) (মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহ ২১২৯নং)
(5) (আবু দাঊদ, মিশকাতুল মাসাবীহ ৩১৩৬নং)
(6) বুখারী ৫০৬৫
(7) বয়স স্থান কালভেদে যৌনবোধের পার্থক্য, যৌনবিজ্ঞান, ডাঃ আবুল হাসনাৎ
(8) তিরমিজির কিতাবুল নিকা - অধ্যায় দেখুন