Are you sure?

তুলনামূলক ধর্মতত্ব »  বিবিধ

আর্য সমাজদের বেদের অনুবাদে জালিয়াতি ২


অনেকদিন আগে আমি একটি লেখা লিখে ছিলাম যেখানে প্রমাণ করেছি যে আর্যরা কিভাবে বেদের মনগড়া ভাষ্য, অনুবাদ করে তা মানুষের মাঝে প্রচার করে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে।তারই ধারাবাহিতায় আজকের দ্বিতীয় প্রমাণ।

পূর্বের লেখায় অনেক আর্যবিদ্বানগণের ভাষ্য ও অনুবাদ ভুল প্রমাণিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন দেবীচাঁদ, তুলশিরাম শর্মা, আচার্য ধর্মদেব, সত্য প্রকাশ সরস্বতী,বৈদ্যনাথ শাস্ত্রী। একই সাথে আমরা তাদের থেকে ১৮ শতকের ইংরেজ অনুবাদক Ralph T.H Griffith স্যারের অনুবাদ যে কতটা সঠিক এবং প্রামাণিক তা তুলে ধরেছি। এবার থাকছে রমেশচন্দ্র দত্তের সঠিক অনুবাদ করার প্রমাণ। একইসাথে যাদের ভাষ্য ও অনুবাদ ভুল প্রমাণিত হবে তারা হলেন:

১. হরিশরণ সিদ্ধালংকার।
২. জয়দেব শর্মা।
৩. দয়ানন্দ স্বরস্বতী।
৪. তুলশিরাম শর্মা।

হরিশরণ সিদ্ধালংকার:

(ঋগবেদ ১:৬১:৭)
अस्येदु मातुः सवनेषु सद्यो महः पितुं पपिवाञ्चारर्वन्ना | मुषायद विष्णुः पचतं सहीयान विध्यद वराहन्तिरो अद्रिमस्ता ||
এই বজ্রের স্রষ্টা, তাঁর হৃদয়ে ঈশ্বরের আলো দেখার জন্য, ঈশ্বরের উৎপাদনের জন্য, শীঘ্রই (অনুভূতি) দীপ্তির রক্ষক সোমকে পান করার চেষ্টা করেন। নিজেকে এই দেহে সংরক্ষিত এই সোমই জ্ঞানের আগুনের জ্বালানী হয়ে ওঠেন। 2 এই 'ত্রিবিক্রম' জীব, শারীরিক, মানসিক এবং বুদ্ধিগতভাবে ব্যাপক উন্নতি করে এবং এইভাবে তিনটি ধাপ রেখে, এই 'ত্রিবিক্রম' আত্মা সুন্দর সাত্ত্বিক শস্য থেকে পরিপক্ক বীর্যের সম্পদ অপহরণ করে।ক্রুদ্ধ শত্রুদের আধিক্যই পরাজিত হতে পারে। প্রভু বীর্য লুকিয়ে রেখেছেন দানার মধ্যে। এই দানাগুলি থেকে অন্ত্র রস নেয়, সেই রস পাকলে রক্ত, তার পাকা মাংস থেকে, একইভাবে সেই ধাতুর পরিপক্কতা, অস্থিমজ্জা এবং অবশেষে বীর্য তৈরি হয়। এই বীর্য একটি পরিপক্ক ধাতু। এটাকে এখানে 'পচাত' পরিণত অর্থ বলা হয়। ব্যাপক উন্নতির আকাঙ্খিত একটি জীব সুন্দর খাদ্যশস্য থেকে এটি চুরি করার চেষ্টা করে এবং বীর্য হয়ে শত্রুদের পরাজিত করতে চলেছে। 3. এটি ভারাহকে বিদ্ধ করে। নিঘন্টুতে (1.10) বরাহ মানে মেঘ। মেঘ সূর্যকে আবৃত করে এবং আলোকে বিলুপ্ত করে, একইভাবে আধ্যাত্মিকতায় লালসা জ্ঞানকে আবৃত করে তাই এর নাম হয়েছে 'বৃত্র'। মেঘের নামেও বৃত্র শব্দটি এসেছে এবং বরাহ ও বৃত্র সমার্থক শব্দ। বিষ্ণু হতে হলে এই বৃত্র ও বরাহকে বিদ্ধ করতে হবে। 4. বৃত্র ও বরাহকে ভেদ করে এই বিষ্ণু অবিদ্যা পর্বত (তিরাস) দূরবর্তী সাত সমুদ্র পার অঞ্চলে নিক্ষেপ করেন, অর্থাৎ তিনিই তাঁর অজ্ঞতা দূর করেন।                 

(অথর্ববেদ ২০:৩৫:৭)
अ॒स्ये॑दु॑ मा॒तुः सव॑नेषु स॒द्यो म॒हः पि॒तुं प॑पि॒वां चार्वन्ना॑ । मु॑षा॒यद्विष्णु पच॒तं सहया॒न्विध्य॑द्वरा॒हं ति॒रो अद्रि॒मस्ता॑ 

এই সংকল্পে, গতামন্ত্র অনুসারে, যিনি বজ্র নির্মাণ করেন তার উৎপাদনের জন্য, অর্থাৎ ভগবানের দর্শনের জন্য (প্রথমে পরাক্রমশালী, তারপর জ্ঞানী এবং অবশেষে করুণাময় রূপ হিসাবে) শীঘ্রই। সোমের এই উপাসক, দীপ্তির রক্ষক, একজন মদ্যপানকারী। শরীরে সুরক্ষিত সোমার আগুন জ্বালিয়ে সে ভগবানের দর্শন পাবে। এই সোম রক্ষার জন্য এই উপাসক সুন্দর সাত্ত্বিক খাদ্যশস্য গ্রহণ করেন। এই উপাসক, যিনি সোম-রক্ষার মাধ্যমে ব্যাপক উন্নতি সাধন করেন, যিনি 'দেহ-মন-মস্তিষ্ক' তিনটিকে উন্নীত করেন, তিনি শত্রুদের প্রতি অত্যন্ত গর্বিত এবং 'অন্ন থেকে রস, রস থেকে রক্ত, রক্ত ​​থেকে মাংস, মাংস থেকে মেদ, অস্থি থেকে মাদাস, হাড় থেকে হাড়। শুক্র এইভাবে মজ্জা এবং মজ্জা থেকে এই পরিপক্ক বীর্য চুরি করে। ভগবান লুকিয়ে রেখেছেন অন্নে, এই বিষ্ণু অপহরণ করে। ইনি (মেঘ ব্রতরাম, ভারম বরম আহন্তি) যিনি অবিদ্যা পর্বতকে দূরের সাত সমুদ্রের ওপারে নিক্ষেপ করেন, সেই লালসা ভেদ করেন যা জ্ঞান দ্বারা আচ্ছাদিত ভাল জিনিসগুলিকে ধ্বংস করে।

একই মন্ত্রের ভিন্ন ভাষ্য। বোঝাই যাচ্ছে যে নিজেদের মনগড়া ভাষ্য কিভাবে তারা তৈরি করছে।

জয়দেব শর্মা:

(ঋগ্বেদ ৮:১৪:১৩)
अपां फेनेन नमुचेः शिर इन्द्रोदवर्तयः |
विश्वा यदजयः सप्रधः ||
আপাম ফেনেনা নমুচেঃ শ্রী ইন্দ্রোদবর্তয়ঃ।  বিশ্ব যদজয় স্প্রধাঃ।
হে (ইন্দ্র) শত্রুহন্ত! জ্ঞানের দ্রষ্টা! যখন (বিশ্ব:)। (অজয়ঃ) সমস্ত প্রতিযোগীতা, দ্বাপস এবং বাসনাকে জয় করেন, তারপর আপনি (আপন) প্রাণশক্তির দ্বারা (ফেনেন) মাথার দিকে (নমুচেঃ) ঘুরে যান যাকে ছেড়ে যায় না (উত্ত আবর্তয়ঃ) উর্ধ্বম।

(যজুর্বেদ ১৯:৭১)
अपां फेनेन नमुचेः शिर इन्द्रोदवर्तयः |
विश्वा यदजयः सप्रधः ||
আপাম ফেনেনা নমুচেঃ শ্রী ইন্দ্রোদবর্তয়ঃ।  বিশ্ব যদজয় স্প্রধাঃ।

হে (ইন্দ্র) ঐশ্বর্য! শত্রুদের ! সাহসী সেনাপতিরা! রাজন ! / (যত্) যখন তুমি (বিশ্ব) সমস্ত (স্পৃধা) যুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শত্রুসেনাদের (অজয়ঃ) জয় দান কর, তখন (আপন ফেন) সূর্য, বায়ু বা বিদ্যুত্‍ বর্ষণ-যোগ্য জলকে বাড়িয়ে (নামুচেহ) করে।

ইনিও ওই একই গোয়ালের গরু। এক মন্ত্রেও ভিন্ন ভাষ্য। কিন্তু আর্যরা যার অনুবাদ সহ্য করতে পারে না সেই রমেশচন্দ্র কি অনুবাদ করেছে চলুন একটু দেখে আসা যাক।

রমেশচন্দ্র দত্ত:

  (ঋগ্বেদ ৮:১৪:১৩)
হে ইন্দ্ৰ ! তুমি জলের ফেনাদ্বারা নমচির মস্তক ছিন্ন করেছিলে ও সমস্ত শত্রুগণকে জয় করেছিলে।

(যজুর্বেদ ১৯:৭১)
হে ইন্দ্ৰ, যখন তুমি সকল সংগ্রাম জয় করেছিলে, তখন জলের ফেনা বারা নমচি অনুরের মস্তক ছিন্ন করেছিলে।

রমেশচন্দ্র তার অনুবাদ দুই জায়গাতেই একই রেখেছে।

দয়ানন্দ স্বরস্বতী:

(ঋগবেদ ১:১২৭:১)
अग्निं होतारं मन्ये दास्वन्तं वसुं सूनुं सहसो जातवेदसं विप्रं न जातवेदसम्। य ऊर्ध्वया स्वध्वरो देवी देवाच्या कृपा। घृतस्य विभ्राष्टिमनु वष्टि शोचिषाजुह्वानस्य सर्पिषः ॥

পদার্থ :- (অগ্নিম) অগ্নিবদরত্তমনম (হোতরম) গ্রহিতরাম (মনে) জানিয়ম (দশবন্তম) দাতারম (বসুম) ব্রহ্মচার্যেন কৃতবিদ্যানিবাসম (সুনুম) পুত্রম (সহস) বাল্বতাহ (জাতবেদসম) প্রকাদবিদ্যাম (বিভিনধম) ) উৎক্ষতয়া বা বিদ্যা (স্বধ্বরঃ) সুথুযজ্ঞস্যऽনুষ্টতা কামনিয়াহ (দেবাচ্য) বা দেবানচতি তয়া (অনুগ্রহ) কল্পতে সম্রাট্যতি য়া তয়া (ঘৃতস্য) অজয়স্য (বিভ্রাষ্টীম) বৈরিতলি ভার্জন্তি পরিপচন্তি য়েন তম (অন্নু) (বষ্টিতেশমর্শ্যাদশ্যমর্শ্যনাত্মর্শষ্য)

(যজুর্বেদ:১৫:৪৭)
अग्निः होतारं मन्ये दास्वन्तं वसु सूनु सहसो जातवेदसं विप्रं न जातवेदसम्। यऽऊर्ध्वया स्वध्वरो देवो देवाच्या कृपा। घृतस्य विभ्राष्टिमनु वष्टि शोचिषा ऽऽजुह्वानस्य सर्पिषः ।।।।

পদার্থ :- (অগ্নিম) (হোতরম) সুখদাতরম (মানে) সাতকরোমি (দশবন্তম) দতারম (বসুম) ধনপ্রদম (সুনুম) পুত্রমিভা (সহস) বালিষ্ঠাস্য (জাতবেদসম) সর্বেষু যতেষু সতেষু বিদ্যমানম (বিপ্রম) অপ্তম বেদমৎস (ফাদামৎস) (4:) (উর্ধ্বয়) উপরিগল্য (স্বদ্বরঃ)শোভনকারিত্বাধিষ্ণীয়াঃ (দেবঃ) দিব্যগুণঃ (দেবচ্য) দেবাঞ্চতি তয়া (অনুগ্রহ) সমর্থায় ক্রিয়া (ঘৃতস্য) উদাকস্য (বিভ্রষ্টীম) বিবিধ ভরাষ্টয়ঃ প্রকাশনানি যমস্ মস্তম (অনু) (বষ্টি) প্রকাশতে (অজ্ঞাতজ্জস্য) অজ্ঞাতস্য)
অংলা রেন?

তুলশিরাম শর্মা:

Rigveda 1:127:1
अ॒ग्निं होता॑रं मन्ये॒ दास्व॑न्तं॒ वसु॑ सू॒नुं सह॑सो जा॒तवे॑दसं॒ विप्रं न जा॒तवे॑दसम् । य ऊ॒र्ध्वया॑ स्वध्व॒रो दे॒वो दे॒वाच्या॑ कृ॒पा । घृ॒तस्य॒ विभ्रष्ट॒मनु॑ वष्टिशो॒शो॒चिषा॒ऽऽजुहा॑नस्य स॒र्पिष॑ः ॥१॥

Agnim hotaram manye dasvantam vasum sūnum sahaso jātavedasam vipram na jātavedasam. Ya urdhvayā svadhvaro devā devācyā kṛpā. Ghṛtasya vibhrāṣṭimanu vaṣṭi sociṣā" juhvānasya sarpiṣaḥ.

I worship, serve and meditate on Agni, lord of light and knowledge, spirit of life and heat and inspiration of noble action, yajaka, generous giver, treasure of wealth and universal shelter, inspirer and creator of courage and courageous action like the sun, omniscient lord of all that is born in existence, master

of knowledge as the supreme scholar of the Veda, organiser of yajna with love and non-violence with divine knowledge and awareness, refulgent with heavenly light and power, loving and consuming with flames of fire and light the blaze of the purest and most powerful ghrta offered into the fire of yajna, physical, mental and spiritual all.'

Yajur Veda 15:47  अ॒ग्निहोता॑रं मन्ये॒ दास्व॑न्तं॒ वसु॑सू॒नु॒सह॑सो जा॒तवे॑दसं॒ विद्रं॒ न जा॒तवे॑दसम् । यऽऊ॒र्ध्वया॑ स्वध्व॒रो दे॒वो दे॒वाच्या॑ कृ॒पा । घृ॒तस्य विभ्रष्टमनु॑ वष्टि शो॒शो॒चिषा॒ऽऽजुह्वा॑नस्य स॒र्पष॑ः ॥४७॥

Agnim hotāram manye dāsvantam vasum sūnum sahaso jātavedasaṁ vipram na jātavedasam. Ya^ prime urdhvayā svadhvaro devo devācyā kṛpā. Ghrtasya vibhrāṣṭimanu vasti sociṣā "juhvā nasya sarpiṣaḥ.

I know Agni, lord of yajna, receiver and dispenser of libations, generous, treasure home of wealth and the world, child of omnipotence, existent with all that is. I know It as intimately as I know an inspired sage of all knowledge standing face to face.

I know the kind and brilliant lord of love and yajna who, with high blazing activity worthy of celebration in divine speech, illuminates and disseminates the splendour of ghrta and the fragrance of vapours through the flames arising from oblations into the fire.

এবার আর্যদের মতামত জানতে চাই।