Are you sure?

বিজ্ঞান »  ইসলাম ও বিজ্ঞান

সমসংস্থ বা হোমোলজি


হোমোলজি বিবর্তনবাদীদের জন্য সমস্যা
১৯৭১ সালে রয়েল সোসাইটির ফেলো ও বিবর্তনবাদী বিজ্ঞানী স্যার গ্যাভিন ডা বিয়ার একটি পেপার প্রকাশ করেন, যার শিরোনাম ছিল ‘Homology: an Unsolved Problem’। তিনি অনেক সমসংস্থার ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের ভ্রূণীয় বিকাশের উদাহরণ দিয়েছেন। সে নিজে এই সমস্যার সমাধান দিতে পারেন নি, অন্য কেউও অদ্যাবধি সমাধান করতে পারেন নি।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর গান্টার ওয়াগনার লিখেছেন, “The disturbingly many and deep problems associated with any attempt to identify the biological basis of homology have been presented repeatedly.”
“বিরক্তিকরভাবে, সমসংস্থার জীববৈজ্ঞানিক ভিত্তি অনুসন্ধানের যেকোন প্রচেষ্টা বারবার অনেক গভীর সমস্যা নিয়ে হাজির হচ্ছে”।
গভীর সমুদ্রের অন্ধকারে বসবাসকারী চিংড়ি জাতীয় কিছু প্রাণী আছে; যাদের কিছু ‘লেন্স সিলিন্ডার’, আর কিছু বর্গাকার ‘আয়না ব্যবস্থা’ দ্বারা আলো একবিন্দুতে ফোকাস করে। প্রতিটি চোখে যে সুবিজ্ঞ পদার্থবিদ্যা ও জ্যামিতি ব্যবহৃত হয়েছে, তা ইন্টেলিজেন্স প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। লেন্স সিলিন্ডার ও আয়না ব্যবস্থার তুলনা করতে গিয়ে ল্যান্ড মন্তব্য করেছেন,
“Both are successful and very sophisticated image-forming devices, but I cannot imagine an intermediate form [or common ancestral type] that would work at all.”
“উভয়ই সার্থক এবং অত্যন্ত জটিল চিত্র-গঠন যন্ত্র, তবে আমি অন্তর্বর্তী গঠন [বা সাধারণ পূর্বপুরুষের ধরন] কল্পনা করতে পারছি না, যা একটু হলেও খাপ খাবে”।
মানে, বিবর্তন এখানে ব্যর্থ। উপরের চেয়ে এই কথাগুলো লিখতে মাইকেল ল্যান্ডের অনেক কষ্ট হয়েছে,
“trying not to come to the conclusion that these eyes had been put there by God to confuse scientists.”
“বিজ্ঞানীদের বিভ্রান্ত করার জন্য এই চোখগুলো ঈশ্বর রেখে দিয়েছিল, এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি না”।
বিবর্তনবাদীরা বিভ্রান্ত হতেও পারে, তবে আমাদের মন্তব্য হল, বিজ্ঞানীদের জানানোর জন্য এই চোখগুলো কোন ইন্টেলিজেন্ট এজেন্ট রেখে দিয়েছে।
শুধু বড় বড় অঙ্গ নয়, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঙ্গের ক্ষেত্রেও এমন দেখা যায়, অমেরুদন্ডী প্রাণীদের পর্বে হিমোগ্লোবিন কোন বিন্যাস অনুসরণ না করেই বিক্ষিপ্তভাবে আবির্ভূত হয়। ডিকারসন লিখেছেন, “a puzzling problem. Hemoglobins occur sporadically among the invertebrate phyla [the animals without backbones] in no obvious pattern.”
মেরুদণ্ডী, অ্যানিলিডা, একাইনোডার্মাটা, কিছু মলাস্ক, কিছু আর্থ্রোপড, এমনকি কিছু ব্যাক্টেরিয়ার দেহে হিমোগ্লোবিন আছে। আর সকল ক্ষেত্রে একই রকমের পূর্ণাংগ ও কার্যকর অনু দেখা যায়। ডিকারসন লিখেছেন,
“It is hard to see a common line of descent snaking in so unsystematic a way through so many different phyla....”
“উৎপত্তির সাধারণ পথ অনেক পর্বে নীতি বহির্ভূত পথে অগ্রসর হয়েছে, যা দেখতে পাওয়া খুব কঠিন”।
সুতরাং, বিবর্তনবাদ, যা কিনা সকল প্রশ্নের সমাধান পাওয়ার আশায় প্রবর্তন করা হয়েছিল, আজ তা কালসাপ হয়ে জীববিজ্ঞানকে জাপটে ধরেছে।
সমসংস্থা আর সমগঠন
একই গঠনের অঙ্গ যদি একই পূর্বপুরুষ না থাকা সত্ত্বেও প্রাপ্ত হয়, তাহলে তাকে হোমোপ্লাসি বলে। ভাল উদাহরণ হল, ‘ক্যামেরা-আই’, যা কিনা মানুষ ও অক্টোপাস উভয়ের আছে। মাইকেল ল্যান্ড মন্তব্য করেছেন যে, মেরুদন্ডী প্রানীর চোখ সেফালোপড মলাস্কের চোখের সাথে অনুরূপ ডিজাইন ভাগাভাগি করেছে , বিবর্তন নয়। ডারউইনের বহু আগে থেকেই বিজ্ঞানীরা সমসংস্থা নিয়ে অবগত ছিলেন, কিন্তু তখন সেগুলোকে কমন ডিজাইন বলা হত।
কিন্তু যেহেতু মানুষ ও অক্টোপাসের, সেহেতু সাধারণ পূর্বপুরুষ নেই, তাই সমসংস্থা বলার কোন উপায় থাকল না। বিবর্তনবাদীরা এবার বাচ্চাদের মগজ ধোলাইয়ের জন্য নতুন পরিভাষা আবিষ্কার করল, সেটা হল সমগঠন বা হোমোপ্লাসি। আর এধরনের বিবর্তনকে নাম দেয়া হল ‘অভিসারী বিবর্তন’। তেমন কিছুই না, শুধু বিবর্তন শব্দের সামনে ‘অভিসারী’ শব্দ যোগ করে দিয়ে, অবুঝ শিশুদের সাথে ‘মাইন্ড গেম’ খেলেছে তারা।
ব্রিটিশ যাদুঘরের সিনিয়র জীবাশ্মবিদ কলিন প্যাটারসন বিবর্তনকে anti-knowledge উৎপাদনকারী anti-theory বলে অভিহিত করে সারা দুনিয়াকে স্তব্ধ করে দিয়েছেলেন। তার মতে, anti-knowledge হল এমন ধারণা তা প্রচুর ব্যাখ্যামূলক পারিভাষিক শব্দে পূর্ণ, অথচ তা ব্যাখ্যা তো দূর করেই না, উল্টো সত্যের উপর মিথ্যাকে অঙ্কন করে দেয়।
হোমোপ্লাসির উদাহরণের শেষ নেই। যেমনঃ বাদুড় ও ডলফিন উভয়ের একোলোকেশন [শব্দ অবস্থান] ব্যবস্থা আছে। কিছু মাছ বিদ্যুত উৎপন্ন করতে পারে, বলা হয়ে থাকে, এই ক্ষমতাটি স্বাধীনভাবে ৬ বার বিবর্তিত হয়েছে। টুনা মাছ হাঙরের মত তাদের লেজ শক্তিশালী লাল পেশী দ্বারা সঞ্চালন করে থাকে। চোখ স্বাধীনভাবে ৬০ বার বিবর্তিত হয়েছে। এদিকে স্টিফেন গোল্ড লিখেছেন যে, যদি বিবর্তন এক হাজার বার ঘটানো হতো, তবুও মানব মস্তিষ্ক একবার তৈরি করা হয়তো সম্ভব হত না। অনেক উদ্ভিদের দেহে C4 সালোকসংশ্লেষণ হয়। এই প্রকারের সালোকসংশ্লেষণ স্বাধীনভাবে ৩০বার বিবর্তিত হয়েছে। সালোকসংশ্লেষণের মত জটিল প্রক্রিয়া বিবর্তনের দ্বারা একবার অর্জন করার ঘটনা যেখানে চমকে দেয়ার মত, সেখানে ৩০ বার ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে কিভাবে তা অর্জিত হতে পারে, যদি তা অনিয়ন্ত্রিত [undirected] হয়? বলাবাহুল্য, এরকম কথায় বিশ্বাস স্থাপনের জন্য ব্যাপক পরিমাণ অন্ধবিশ্বাস থাকা আবশ্যক।
মোট কথা, বিবর্তনবাদীদের নিকট একই রকমের অঙ্গ সাধারণ পূর্বপুরুষের প্রমাণ হিসাবে গৃহীত হয়, আবার সাধারণ পূর্বপুরুষ ছাড়া সমরূপতা প্রাপ্ত হলে, সেটাকেও বিবর্তনের [অভিসারী বিবর্তন] প্রমাণ হিসাবে অভিহিত করা হয়। যেকোন সমরূপতা পাওয়া গেলে-ই হল, সেটাই বিবর্তনের প্রমাণ। হোমোপ্লাসির ধারণা অন্ধ বিশ্বাস থেকে এসেছে, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ থেকে আসে নি।
 
প্রাণরাসায়নিক সমসংস্থা
বিবর্তনবাদীদের দাবি, জীব তার রাসায়নিক গঠনে একই রকমের, আর এটা ডারউইনবাদকে সমর্থন করে। কিন্তু একটু চিন্তা করলেই বুঝা যায় যে, সকল প্রাণের বেঁচে থাকার জন্য একই প্রকারের অজৈব যৌগ ও জৈব অনু প্রয়োজন; ফলশ্রুতিতে একই প্রকারের বিপাকীয় পথ থাকা জরুরি। আর তাই এধরনের সমরূপতা দেখা যায়। বিবর্তনবাদীদের ব্যাখ্যা করতে হবে যে, কেন বিলিয়ন বিলিয়ন বছরের বিবর্তন সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্য পার্থক্য সৃষ্টি হয় নি?
সকল জীব একই প্রকারের শর্করা ও লিপিড, মাত্র ২০ প্রকারের অ্যামিনো এসিড, প্রায় ১৪ প্রকারের ভিটামিন এবং একই মৌলিক জেনেটিক কোড বহন করে। কিন্তু কেন? ব্যাক্টেরিয়ার রাইবোসোম মানুষের দেহেও কাজ করে। কেন? বিবর্তনের সমস্যা হল, শত শত মিলিয়ন বছরের ভূতাত্ত্বিক সময় ব্যবধান সত্ত্বেও কেন প্রাক-কেন্দ্রিক ও সুকেন্দ্রিক কোষের এতটা মিল?
নিপুণ নকশা তত্ত্ব এর ভাল ব্যাখ্যা দেয়। তাদের মতে, বাস্তুসংস্থানের ভারসম্য বজায় রাখতে এর বিকল্প নেই। আর প্রাকৃতিক নির্বাচনের মত অনিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়া বাস্তুসংস্থানের ঐকতান ধরে রাখতে পারে না, এর পিছনে অবশ্যই বুদ্ধিমান হেতু রয়েছে ।
মাইকেল ডেন্টন সমসংস্থার প্রাকৃতিক ব্যাখ্যার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন। আনবিক সমসংস্থা বিবর্তনবাদীদের মাঝে মতবিরোধের জন্ম দিয়েছে। জীবাশ্ম থেকে বংশধারার যে চিত্র পাওয়া যায়, ডিএনএ থেকে প্রাপ্ত তথ্য দ্বারা অনুমিত বিবর্তনীয় বৃক্ষের সাথে মিলে না। বিস্তারিত আলোচনার পরে, মাইকেল ডেন্টন লিখেছেন, The difficulties associated with attempting to explain how a family of homologous proteins could have evolved at constant rates has created chaos in evolutionary thought. The evolutionary community has divided into two camps—those still adhering to the selectionist position, and those rejecting it in favor of the neutralist. The devastating aspect of this controversy is that neither side can adequately account for the constancy of the rate of molecular evolution; yet each side fatally weakens the other. The selectionists wound the neutralists’ position by pointing to the disparity in the rates of mutation per unit time, while the neutralists destroy the selectionists’ position by showing how ludicrous it is to believe that selection would have caused equal rates of divergence in ‘‘junk’’ proteins or along phylogenetic lines so dissimilar as those of man and carp. Both sides win valid points, but in the process the credibility of the molecular clock hypothesis is severely strained and with it the whole paradigm of evolution itself is endangered (emphasis added).
“স্থির হারে হোমোলোগাস প্রোটিন পরিবারের উদ্ভব সংক্রান্ত বিবর্তনীয় ব্যাখ্যার সমস্যা বিবর্তনীয় চিন্তায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছে। বিবর্তনবাদী সম্প্রদায়টি দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়েছে – একদল এখনও নির্বাচনী অবস্থানের পক্ষে এবং একদল নিরপেক্ষ থাকার জন্য এটাকে প্রত্যাখ্যান করছে। এই বিতর্কের ভয়ানক দিকটি হল, কোনও পক্ষ-ই আণবিক বিবর্তনের হারের অপরিবর্তনীয়তার জন্য পর্যাপ্ত জবাব দিতে পারে না; তথাপি প্রত্যকে পক্ষ-ই অপর পক্ষকে দুর্বল করে দিচ্ছে। নির্বাচন পক্ষের লোকেরা একক সময়ে মিউটেশনের হারের তারতম্যকে প্রমাণ হিসাবে নিচ্ছে, আর নিরপেক্ষবাদীরা বিপরীত দলকে দুর্বল করে দিচ্ছে এই বলে যে, ‘নির্বাচন জাংক প্রোটিনে সমান হারের বৈচিত্র্য, বা মানুষ ও পোনামাছের মত জাতিগত সারি বরাবর বৈসাদৃশ্য সৃষ্টি করতে পারে, এটা বিশ্বাস করা হাস্যকর’। উভয়ের যুক্তি সঠিক, কিন্তু এই পন্থায় আনবিক ঘড়ি তত্ত্বের নির্ভরযোগ্যতা ব্যাপক প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে এবং এর সাথে সাথে বিবর্তনের সকল দৃষ্টান্ত বিপদের মুখোমুখি হয়েছে”।
বংশগতিবিদ্যা ও সমসংস্থা
সমসংস্থা কিভাবে পূর্বপুরুষ থেকে বংশধরের দেহে সঞ্চালিত হয়? পাখির ডানার হাড় ডিমের ভিতরে থাকে না। একটি অনুমান হল, অঙ্গ একই রকমের হয়, কারন এর পিছনে একই রকমের জিন কাজ করে। জিনের অনুক্রমের সমরূপতা সাধারণ পূর্বপুরুষ থাকার ইঙ্গিত দেয়, যেহেতু এলোমেলো মিউটেশন থেকে সমসংস্থার উদ্ভব হওয়া অসম্ভব। তাই হোমোলজি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল যে, একই রকমের জিন ক্রম দ্বারা সৃষ্ট অঙ্গ জাতিগতভাবে [ফাইলোজেনেটিক] সমরূপ।
কিন্তু কিছু বিশেষ হোমিওটিক জিনে মিউটেশন করে অঙ্গসংস্থানে ব্যাপক পরিবর্তন আনা যায়। যেমনঃ মাছির এন্টেনার স্থলে পা গজানো যায়। আবার মাছির পাখা সৃষ্টির জন্য দায়ী হোমিওটিক জিন মানুষের শরীরেও আছে। ইঁদুরের চোখের রঙ নিয়ন্ত্রক জিন ইঁদুরের আকার নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু ফলের মাছির চোখের রঙ নিয়ন্ত্রক জিন মাছির আকার নিয়ন্ত্রণ করে না, বরং স্ত্রীলিঙ্গের অঙ্গসংস্থান নিয়ন্ত্রণ করে।
রথ লিখেছেন, ‘that the title of de Beer’ 1971 essay|--|Homology, an unsolved problem|--|remains an accurate description … . The relationships between processes at genetic, developmental, gross phenotypic and evolutionary levels remain a black box’.
“ডি বিয়ারের ১৯৭১ সালের প্রবন্ধ সঠিক বিবরণ হয়েই থাকছে... জিনগত, ক্রমবিকাশগত, ফেনোটাইপ, বিবর্তনীয় সীমা এখনও অন্ধকার বাক্স”। আনবিক পর্যায়ের গবেষণা থেকেও সমসংস্থার সমর্থন পাওয়া যায় নি।
অঙ্গসংস্থানগত বিবর্তনের সাথে মিউটেশন ভিত্তিক বিবর্তনের কোন মিল নেই। যেমনঃ মানুষ ও শিম্পাঞ্জির জিনগত সাদৃশ্য থাকলেও অঙ্গসংস্থানগত মিল নেই।
কেউ কেউ শিম্পাঞ্জি ও মানুষের ৯৮% ডিএনএ সমরূপ দাবি করে বিবর্তনের জাহাজ ডুবে যাওয়া হাত থেকে রক্ষার চেষ্টায় লিপ্ত হতে পারেন। সেকথা বলতে গিয়ে একটা নিবন্ধের কথা মনে পড়ল। ২০০৬ সালের এপ্রিলে ডিস্কভারে ‘২% পার্থক্য’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়, যাতে বিবর্তনের প্রশংসা ও নিপুণ নকশা তত্ত্বের কুৎসা বর্ণনা করা হয়েছিল। কিন্তু স্বীকার করতে বাধ্য হয় যে, দুই দশক আগে-ই নিপুণ নকশা তাত্ত্বিকরা মূল প্রমাণ ব্যাখ্যা করে গেছে। সে বলেছে, “Regulation is everything”, “নিয়ন্ত্রণ-ই সবকিছু”। মসজিদের মেহরাব আর বারান্দা উভয়-ই একই ইটের তৈরি। কিন্তু ইটগুলো সাজানো হয়েছে ভিন্নভাবে। নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে যে, মানুষ ও শিম্পাঞ্জির মস্তিষ্কের গাঠনিক উপাদান একই, কিন্তু উভয়ের কার্যফল আলাদা। মানুষ ও শিম্পাঞ্জির মস্তিষ্কের এই ব্যাপক গুণগত তফাৎ, মূলত মাত্র অল্প কিছু জিনের নিয়ন্ত্রণের দ্বারা সম্ভব হয়েছে। একজন পাগলের মস্তিষ্ক ও একজন সুস্থ মানুষের মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষের সংখ্যা একই। তাই গাঠনিক উপাদানের সংখ্যার উপরে নয়, বরং সেগুলো কিভাবে যুক্ত আছে, সেটার উপর মস্তিষ্কের কার্যকারিতা নির্ভর করে।
মাত্র ২% পার্থক্যের কারনে ৬০ মিলিয়ন কোড অক্ষরের [AGCT] পার্থক্য সৃষ্টি হতে পারে। নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে,
“There are likely to be nucleotide differences in every single gene.”
অর্থাৎ, সম্ভবত, প্রতিটি জিনে-ই নিউক্লিওটাইডের পার্থক্য রয়েছে”।
একথা নিপুণ নকশা তাত্ত্বিকরা বহু আগেই চিহ্নিত করেছে। মানুষের দেহে শিম্পাঞ্জির ২২তম ক্রোমোসোমের অনুমিত অনুরূপ হল ২১ তম ক্রোমোসোম। উভয়ের মাঝে পার্থক্য হল মাত্র ১.৫%, কিন্তু এই সামান্য পার্থক্য সত্ত্বেও, নিজেদের উৎপাদিত প্রোটিনের মাঝে ৮০%-এর মত পার্থক্যের জন্ম দিয়েছে।
সংক্ষেপেঃ
“ … in general the homology of structures such as organs or modules cannot be ascribed to inheritance of homologous genes or sets of genes. Consequently, organ homology cannot be reduced to gene homology. Van Valen recognizes this too and therefore suggests, as an alternative, to reduce homology to a continuity of [developmental] information. Information is not the same as genotypic nucleic acid. But what it is exactly, and how it is continuous, is still an unsolved problem.”
“সমসংস্থার জন্য হোমোলোগাস জিনের উত্তরাধিকারকে দায়ী করা যায় না। ফলস্বরূপ, অঙ্গের সমসংস্থা জিনের সমসংস্থার প্রমাণ নয়। ভ্যান ভ্যালেন সমস্যাটি বুঝতে পেরেছিলেন, এবং বিকল্প ধারণা দিয়েছেন যে, সমসংস্থা তথ্যের ধারাবাহিকতার কারনে হতে পারে। কিন্তু তথ্য কি, এটা কিভাবে ধারাবাহিক হয়, এসব আজও অজানা”।