Are you sure?

তুলনামূলক ধর্মতত্ব »  বিবিধ

যীশু খ্রিস্ট কি নবী? কোরআন এবং বাইবেলের আলোকে প্রমাণ?

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতাহু প্রিয় ভাই ও বোনেরা। আশা করি অবশ্যই সবাই মহান আল্লাহ্ সুবাহানাহু ওয়াতা'আলার অশেষ রহমত ও দয়ায় ভালো এবং সুস্থ আছেন। আজকে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহু তা'আলা। আর সেটা হলো যীশু খ্রিস্ট তথা হযরত ঈসা মাসীহ্ আঃ এর বিষয়ে, তিনি কি আসলে একজন নবী নাকি? এর উত্তরে আমরা বলব, নিঃসন্দিগ্ধ ভাবে যীশু খ্রিস্ট একজন নবী তথা ভাববাদী। আর সেটা আমি মহামহিমান্বিত ঐশীগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআন মাজীদ এবং বর্তমান ত্রিত্ববাদী খ্রিস্টানদের বাইবেল থেকেই প্রমাণ করে দেখাব ইনশাআল্লাহু তা'আলা। আর হ্যাঁ, তার আগে সমগ্র ত্রিত্ববাদী খ্রিস্টানদের চ্যালেঞ্জ করলাম আমার অকাট্য দালিলিক যুক্তি প্রমাণ খন্ডন করতে যদি আমি মিথ্যা বলে থাকি।

ঈসা আঃ সম্পর্কে মুসলিমদের দৃষ্টিভঙ্গি: আমরা মুসলিমরাই একমাত্র অখ্রিস্টান জাতি, যারা কিনা মারিয়াম পুত্র ঈসা মাসীহ্ আঃ কে মনে প্রাণে অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করি এবং সম্মান করে থাকি। তাঁর বিরুদ্ধে কেউ কোন নেগেটিভ কমেন্টস করলে আমরা মুসলিমরাই তাঁর পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ করি, পাল্টা জবাব দেই যা কিনা খ্রিস্টানরাও পর্যন্ত দেয় না। তো মুসলিমরা তাঁকে কেন মানে? কারণ তিনি মুসলিমদেরও সম্মানিত একজন নবী। ইসলামে তাঁর প্রতি ইমান আনা বাধ্যতামূলক। আমরা তাঁকে একজন নবী হিসেবে বিশ্বাস করি এবং তাঁর প্রতি মহান আল্লাহ্ পবিত্র ইঞ্জিল কিতাব নাযিল করেছিলেন। এটাই একজন মুসলিম হিসেবে সঠিক বিশ্বাস।

ঈসা আঃ সম্পর্কে খ্রিস্টানদের দৃষ্টিভঙ্গি: খ্রিস্টানদের মধ্যে একেক দলের একেক রকম বিশ্বাস রয়েছে ঈসা আঃ সম্পর্কে। ত্রিত্ববাদী খ্রিস্টান তথা প্রোটেস্টাইনদের বিশ্বাস হচ্ছে:

  • ঈসা আঃ বা যীশু খ্রিস্ট একজন ঈশ্বর;
  • তিনি আবার ঈশ্বরের পুত্র বা সন্তান;
  • আবার চাপে পড়লে তাঁকে নবী পর্যন্তও স্বীকার করে। 

আর ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের বিশ্বাস অনুযায়ী, তিনি হচ্ছেন ঈশ্বর প্রেরিত একজন নবী। কিন্তু তারা আবার তাঁকে ঈশ্বর হিসেবে বিশ্বাস করে না।

ঈশ্বর এবং নবীর মধ্যে পার্থক্য:

ঈশ্বর: ঈশ্বর তথা মহান আল্লাহ হলেন এক ও অদ্বিতীয়, যার জন্ম- মৃত্যু নেই অর্থাৎ তিনি চিরঞ্জীব সত্ত্বা। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও কেউ জন্ম দেয়নি। তাঁর স্ত্রী-পুত্র তথা পরিবার নেই। তিনি সকল কিছুর ঊর্ধ্বে এবং মহাপবিত্র। তাঁর তুলনীয় কিছুই নেই। এই কয়েকটি মৌলিক বৈশিষ্ট্যের কথা পৃথিবীর সকল ধর্মেই রয়েছে।

নবী/রাসূল: নবী-রাসূলগণ আল্লাহর মনোনীত ব্যক্তি যাঁরা সাধারণত আমাদের মতোই মানুষ। আল্লাহ্ মানুষের হেদায়েতের জন্য এসব ব্যক্তিদের মনোনীত করেন সঠিক পথ প্রদর্শনের জন্য। তাঁরাও আমাদের মতো অন্যান্য সকল কিছুর উপর নির্ভরশীল।

তাহলে প্রেরণকারী হচ্ছেন মহান আল্লাহ্। আর নবীগণ হচ্ছে প্রেরিত। অর্থাৎ প্রেরণকারী ≠ প্রেরিত। তাহলে ত্রিত্ববাদী খ্রিস্টানগণ কিভাবে একজন প্রেরিতকে প্রেরণকারী তথা ঈশ্বর বলে? প্রেরিত কখনোই ঈশ্বর হতে পারেন না বরং যিনি প্রেরিত তিনি নবী, আর যিনি প্রেরণকারী তিনি ঈশ্বর। তাহলে ঈশ্বর আবার কিভাবে নবী হয় এবং নবী কিভাবে ঈশ্বর হয়? এটা অযৌক্তিক ভিত্তিহীন কথা। আবার চিন্তা করেন, যে ঈশ্বর সেই আবার ঈশ্বরের পুত্র। আচ্ছা কখনো কি এটা সম্ভব যে, বাবা নিজেই নিজের পুত্র হতে পারে/পুত্র নিজেই নিজের বাবা হতে পারে অথবা আপনি নিজেই আপনার পুত্র? কথাটা কিন্তু অতিরিক্ত হাস্যকর এবং ভিত্তিহীন কথা; যার কোন বাস্তবিক অর্থে যুক্তি নেই।

তো যাইহোক আমাদের মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন মাজীদ যীশু খ্রিস্টের সম্পর্কে স্পষ্ট বলে দিয়েছে, "তিনি ছিলেন মহান আল্লাহর নবী কিন্তু আল্লাহ নন। এটাই ফাইনাল ডিসিশন। তো পবিত্র কোরআন তার দাবিতে স্থির। এখন বাইবেলের মধ্যে কি পবিত্র কোরআনের এই দাবির সত্যতা রয়েছে? অবশ্যই। বাইবেলের আলোকেও যীশু খ্রিস্ট যে নবী ছিলেন তা প্রমাণ দিব ইনশাআল্লাহু তাআলা। তো যাইহোক যীশু খ্রিস্ট নবী কিনা এই সম্পর্কে জানার জন্য প্রথমে সর্বশেষ আসমানি গ্রন্থ পবিত্র কোরআন মাজীদের আলোকেই দেখা যাক।

পবিত্র কোরআনের আলোকে যীশুর নবীত্ব:
মহামহিমান্বিত আল্লাহ্ তা'আলা পবিত্র কোরআনে যীশু খ্রিস্ট/হযরত ঈসা মাসীহ্ আঃ এর সম্পর্কে আহলে কিতাবীদের স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য এরশাদ করেছেন যেখানে বলা হয়েছে:

As-Saf 61:6
وَإِذْ قَالَ عِيسَى ٱبْنُ مَرْيَمَ يَٰبَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ إِنِّى رَسُولُ ٱللَّهِ إِلَيْكُم مُّصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَىَّ مِنَ ٱلتَّوْرَىٰةِ وَمُبَشِّرًۢا بِرَسُولٍ يَأْتِى مِنۢ بَعْدِى ٱسْمُهُۥٓ أَحْمَدُۖ فَلَمَّا جَآءَهُم بِٱلْبَيِّنَٰتِ قَالُوا۟ هَٰذَا سِحْرٌ مُّبِينٌ

Bengali - Mujibur Rahman
স্মরণ কর, মারইয়াম তনয় ঈসা বললঃ হে বনী ইসরাঈল! আমি তোমাদের নিকট আল্লাহর রাসূল এবং আমার পূর্ব হতে তোমাদের নিকট যে তাওরাত রয়েছে আমি উহার সমর্থক এবং আমার পরে আহমাদ নামে যে রাসূল আসবেন আমি তাঁর সুসংবাদদাতা। পরে সে যখন স্পষ্ট নিদর্শনসহ তাদের নিকট এলো তখন তারা বলতে লাগলঃ এটাতো এক স্পষ্ট যাদু।" [1]

▪︎ এখানে ঈসা আঃ এর পূর্ববর্তী কিতাব সম্পর্কে তাঁর নিজের সাক্ষ্য হলো:- "আমার পূর্বে যা ছিল তাওরাতের সত্যায়নকারী/مُّصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَىَّ مِنَ ٱلتَّوْرَىٰةِ/confirming what was before me of the Torah." এর সঙ্গে বাইবেলের মথির ৫:১৭-১৯ অনুচ্ছেদের তুলনা করে দেখুন যেখানে যীশু খ্রিস্ট বলেছেন:

মথি ৫:১৭
17. মনে করিও না যে, আমি ব্যবস্থা কি ভাববাদী গ্রন্থ লোপ করিতে আসিয়াছি; আমি তাহা লোপ করিতে আসি নাই, কিন্তু পূর্ণ করিতে আসিয়াছি।" [2]

▪︎ অর্থাৎ ঈসা আঃ তাঁর পূর্বে অবতীর্ণ কিতাব তাওরাত লোপ নয় বরং তা সত্যায়ন করেছেন যা কিনা বাইবেলের এই ভার্সেও উল্লেখ করা হয়েছে। আবার পবিত্র কোরআনের অনেক জায়গায় বলা হয়েছে, "ঈসা আঃ ছিলেন তাওরাতের সত্যায়ন-কারী" [3]

আবার উল্লেখ্য যে, পবিত্র কোরআনের ৬১:৬ নং আয়াতের মধ্যে ঈসা আঃ এর উক্তি হলো "إِنِّى رَسُولُ ٱللَّهِ إِلَيْكُم" (উচ্চারণ: ইন্না রাসূলুল্লা-হি ইলাইকুম) যার অর্থ "আমি তোমাদের নিকট আল্লাহর রাসূল।" আর ইংরেজি অনুবাদে বলা হয়েছে:- "I am the messenger of Allah." [4]

এইভাবে পবিত্র কোরআনের বহু জায়গায় ঈসা আঃ এর ঈশ্বরত্ব বাতিল বলে তাঁর নবী হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। অনুরূপ ভাবে বাইবেলের আলোকেও ঈসা আঃ তথা যীশু খ্রিস্টের ঈশ্বরত্ব বাতিল অর্থাৎ কোন ভাবেই তাঁর ঈশ্বরত্ব প্রমাণ করা সম্ভব নয়। বরং বাইবেল থেকেই অকাট্য দালিলিক যুক্তি প্রমাণ দিয়ে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, তিনি ঈশ্বর ছিলেন না বরং তাঁর যে ঈশ্বরত্ব দাবি করা হয় তা কোরআন এবং বাইবেলের আলোকে খন্ডন করা হয়েছে।" [5]

বাইবেলের আলোকে যীশুর নবীত্ব প্রমাণ:
আমরা যদি নিরপেক্ষভাবে সঠিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাইবেলের কথাগুলোকে তুলনামূলক ভাবে পর্যালোচনা করি তাহলে যীশুর ঈশ্বরত্বের পক্ষে ত্রিত্ববাদী খ্রিস্টানগণ যে দাবি উপস্থাপন করে, তা নিতান্তই অযৌক্তিক এবং বাস্তবতা বিরোধী; এবং সেই সাথে সাংঘার্ষিক। বরং অকাট্য দলিল প্রমাণের আলোকে যীশুর ঈশ্বরত্বের দাবি বাতিল বলে প্রমাণিত হয়; সেই সাথে তিনি যে একজন ভাব্বাদী তথা নবী ছিলেন তার সত্যতা মিলে খোদ বাইবেল থেকেই। আসুন এ সম্পর্কে বাইবেল কি বলে তা দেখা যাক।

বর্তমান প্রচলিত ইঞ্জিলের (যেটা আসল ইঞ্জিল নয়) মধ্যে দেখা যায় যে, "যীশুর আবির্ভাবের পূর্বে ইহুদিরা যীশু খ্রিস্ট তথা ঈসা মসিহ্ আঃ সহ এলিয় তথা যোহন দ্য ব্যপ্টাইজ (হযরত ইয়াহিয়া আঃ) এবং বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টে উল্লেখিত মুসা আঃ এর ভবিষ্যদ্বাণীকৃত (দ্বিতীয় বিবরণ ১৮:১৫, ১৮-১৯) পদে "সেই ভাব্বাদী/নবী (That's prophet)" থেকে ইহুদিরা ভালোভাবেই জানত যে, পরবর্তী কালে জগতে একজন মহানবীর আগমন ঘটবে/আবির্ভাব হবে। অর্থাৎ ইহুদিরা মোট তিনজন নবীর আগমনের জন্য প্রতীক্ষা করেছিল।

ইহুদিরা এটাও ভালভাবে জানত যে, "সেই ভাব্বাদী/নবী" যোহন দ্য ব্যপ্টাইজ (ইয়াহহিয়া আঃ) এবং যীশু খ্রিস্টের পরে দুনিয়াতে আবির্ভাব হবেন। বলা বাহুল্য, ইহুদি জাতি অদ্যাবধিও "সেই নবীর" আগমন প্রতীক্ষায় আছে। ঈসা আঃ এর আবির্ভাব কালে ইনিই "সেই নবী" কিনা অনুসন্ধান করার জন্য ইহুদি নেতারা জেরুজালেম থেকে এক প্রতিনিধির দল প্রেরণ করেছিল। এখানে ইহুদি প্রতিনিধি দলের জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনাটি যোহন লিখিত গসপেল থেকে তুলে ধরছি।ভালো করে লক্ষ্য করুন:

ক) যোহন ১:১৯-২১
19. এখন যোহনের সাক্ষ্য হল, যখন ইহূদি নেতারা কয়েক জন যাজক ও লেবীয়কে যিরূশালেম থেকে যোহনের কাছে এই কথা জিজ্ঞাসা করতে পাঠাল, আপনি কে?
20. তিনি অস্বীকার না করে স্পষ্ট কথায় উত্তর দিলেন, “আমি সেই খ্রীষ্ট নই।” অর্থাৎ যোহন দ্য ব্যপ্টাইজ খ্রিস্ট নন।
21. আর তারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, “তবে আপনি কে? আপনি কি এলিয় (হযরত ইলিয়াস আঃ)?” তিনি বললেন," না”। তারা বলল, “আপনি কি সেই ভাববাদী?” তিনি উত্তরে বললেন, “না"। [6]

▪︎ এখানে আমরা উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জানতে পারলাম যে, "ইহুদিরা তিনজন নবীর আগমন সম্পর্কে যোহন দ্য ব্যপ্টাইজকে জিজ্ঞেস করেছে যাঁদের মধ্যে যোহন নিজেসহ খ্রিস্টও অন্যতম অর্থাৎ পূর্বে থেকেই ইহুদি পন্ডিতদের বিশ্বাস ছিল খ্রিস্টও একজন নবী। এখন যীশু খ্রিস্ট যদি নবী না হতেন তাহলে ইহুদিরাও তাঁর আগমন সম্পর্কে জানতে চাইতেন না। এর মানে পূর্ব থেকেই ইহুদিরা যীশুর সম্পর্কে অবগত ছিল। এখান থেকেও প্রমাণিত যীশু খ্রিস্ট হলেন একজন নবী। আর একজন নবী কখনোই একইসঙ্গে প্রেরণকারী এবং প্রেরিত হতে পারেন না, যা পরস্পর বিরোধী + অযৌক্তিক ভিত্তিহীন কথা।

নোট: উল্লেখ্য যে, বাইবেল অনুযায়ী যোহন দ্য ব্যপ্টাইজ পূর্বে এসেছিলেন, যিনি স্বশরীরে স্বর্গে প্রবেশ করেছিলেন। আর এই যোহন-ই হলেন এলীয় নবী, যিনি নিজেই জানেন না কিন্তু যীশু এই সম্পর্কে সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, "যোহন-ই হচ্ছে এলীয় অথচ যোহন দ্য ব্যপ্টাইজ তাঁর এলীয় হওয়া সম্পর্কে এইখানে অস্বীকার করেছেন। যাইহোক এটা আসলে বাইবেল লিপিকারদের অসতর্কতাবশত ভুল যেটা তারা ধরতে পারেনি যা অনেক যুক্তি তর্কের ব্যপার। আর এলীয় নবীকে আমরা মুসলিমরা জানি হযরত ইলিয়াস আঃ হিসেবে, যাঁর জীবিত অবস্থায় জান্নাতে গমন সম্পর্কে অনেকেই গল্প হিসেবে শুনেছি।

এছাড়া মথির ১৩ অধ্যায়ে "যীশু নিজের শহরে অগ্রাহ্য হন" শিরোনামে যেখানে "যীশু একটা গল্প শেষ করার পরে সেখান থেকে চলে যান এবং তিনি নিজের দেশে এসে বিভিন্ন উপদেশ শিক্ষা দিতে লাগলেন এবং লোকেরাও তখন অসহ্য হয়ে যীশুর সম্পর্কে বিভিন্ন মন্তব্য করেছিল ,আর এমন সময় যীশু মুখ খুললেন:

খ) মথি ১৩:৫৭-৫৮
57. কিন্তু যীশু তাদের বললেন,''নিজের দেশে ও নিজের শহরেই কেবল ভাববাদী সম্মান পান না/ But Jesus said unto them, A prophet (গ্রিক শব্দ- προφήτης/একজন নবী) is not without honour, save in his own country, and in his own town." [7]

▪︎ উপরোল্লিখিত বক্তব্য থেকেও প্রমাণিত যে, "যীশু নিজের দেশে অগ্রাহ্য হন অর্থাৎ তিনি সম্মান পাননি যার জন্য তিনি বলেছেন, "কোন নবীকে নিজ দেশে মর্যাদা দেওয়া হয় না।" আর যীশুকেও তাঁর দেশে মর্যাদা দেওয়া হয়নি অর্থাৎ তিনি নিজেকে নবী দাবি করেছেন যা কিনা স্পষ্ট।

ইহুদিরাও যীশু খ্রিস্টকে নবী হিসেবে বলাবলি করত। প্রমাণ দেখুন:

গ) মথি ২১:১১ SBCL
11. লোকেরা বলল, “উনি গালীলের নাসরত গ্রামের নবী (προφήτης-prophet) যীশু।” [8]

▪︎ এছাড়া বাইবেলের নিউ টেস্টামেন্টে মথির ২১ অধ্যায়ের ৩৩-৪৬ নং ভার্সে "আঙ্গুর ক্ষেতের চাষীদের গল্প অথবা "আঙ্গুর ক্ষেতের মালিক ও কৃষকদের দৃষ্টান্ত (উদাহরণ)" শিরোনামে যীশু খ্রিস্ট ধর্মীয় নেতাদের ছোট্ট একটা গল্প শোনালো। তো এই গল্পটা তারা বুঝতে পেরেছিল যে, আসলে যীশু তাদের ইঙ্গিত করেই বলতেছেন। বাইবেলের ভাষায়:

ঘ) মথি ২১:৪৫-৪৬ SBCL
45. প্রধান পুরোহিতেরা এবং ফরীশীরা যীশুর শিক্ষা-ভরা গল্পগুলো শুনে বুঝতে পারলেন তিনি তাঁদের কথাই বলছেন।
46. তখন তাঁরা যীশুকে ধরতে চাইলেন, কিন্তু লোকদের ভয়ে তা করলেন না, কারণ লোকে তাঁকে নবী (গ্রিক: προφήτην- prophētēn Prophet) বলে মনে করত।" [9]

▪︎ এছাড়া বাইবেলের অন্যত্রে যোহনের ৪র্থ অধ্যায়ের ১-২৬ পদে দেখা যায়, যীশু যিহুদিয়া প্রদেশ থেকে গালীলে চলে আসেন, শমরীয় শহরের মধ্যে দিয়ে গালীলে যেতে হলো। তিনি শুখর নামক একটি গ্রামে চলে আসলেন এবং হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে পড়লো ও সেখানে একটি কুপের কাছে বসলেন যেটা যাকোব তথা ইয়াকুব আঃ এর কূপ ছিল। তখন বেলা দুপুর ছিল বিধায় ঐ কুপ থেকে পানি নেওয়ার উদ্দেশ্যে এক শমরীয় স্ত্রীলোক আসে। যীশু তখন ঐ শমরীয় স্ত্রীলোকের থেকে পিপাসার্ত হয়ে পানি চেয়েছিল। কিন্তু উক্ত মহিলাটি শমরীয়গণের অন্তর্ভুক্ত হওয়াতে যীশু এবং ঐ মহিলার মধ্যে কথোপকথন চলে পর্যায়ক্রমে। আর এরুপ কথোপকথনের এক পর্যায়ে:

ঙ) যোহন ৪:১৯ SBCL
19. তখন স্ত্রীলোকটি যীশুকে বলল, “আমি এখন বুঝতে পারলাম আপনি একজন নবী।" [10]

▪︎ এইখানেও উক্ত স্ত্রীলোক যীশুকে নবী হিসেবে স্বীকৃতি দিল এবং যীশুও তা শুনলেন অর্থাৎ সম্মত হলেন। যীশু যদি নবী না হতো তাহলে তখনই তিনি বলে দিতেন যে, "না! আমি নবী নই।" কিন্তু যীশু এই জাতীয় কথা না বলে বরং উক্ত মহিলার সাথে কথোপকথন চালিয়ে গেছেন সুন্দরভাবে। এমন-ই এক পর্যায়ে

চ) যোহন ৪:২৫-২৬ SBCL
25. তখন সেই স্ত্রীলোকটি বলল, “আমি জানি, মসীহ্, যাঁকে খ্রীষ্ট বলা হয়, তিনি আসছেন। তিনি যখন আসবেন তখন সবই আমাদের জানাবেন।”
26. যীশু তাকে বললেন, “আমিই তিনি, যিনি তোমার সংগে কথা বলছেন।” [11]

▪︎ আর আমরা জানি যে, ইহুদিরা মসীহ্ অর্থাৎ খ্রিস্ট নামে একজন নবীরও অপেক্ষায় ছিল (যোহন ১:১৯-২৭), যিনি ঈশ্বরের প্রেরিত একজন নবী হবেন। এরপরে উক্ত মহিলার কথা শুনে, যীশু তাকে নিশ্চয়তা দিয়ে বললেন যাঁর আসবার কথা ছিলো এবং যাঁর সম্পর্কে বলছো, আমিই তিনি (খ্রিস্ট) যে তোমার সঙ্গে কথা বলছে।" আর এটা থেকেই প্রমাণিত হলো যে যীশু খ্রিস্ট একজন নবী ছিলেন।

ছ) যোহন ৬:১৪ SBCL
14. যীশুর এই আশ্চর্য কাজ দেখে লোকেরা বলতে লাগল, “জগতে যে নবীর আসবার কথা আছে ইনি সত্যিই সেই নবী।” [12] 

▪︎ অর্থাৎ খ্রিস্ট হিসেবে যাঁর আগমনের কথা ছিল ইনিই সেই নবী।

জ) যোহন ৯:১৭ SBCL
17. তখন তাঁরা সেই লোকটিকে (অন্ধ লোক) আবার জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি তার সম্বন্ধে কি বল? কারণ সে তো তোমারই চোখ খুলে দিয়েছে।” লোকটি বলল, “তিনি একজন নবী।” [13]

▪︎ এইখানে যীশু খ্রিস্ট একজন অন্ধ লোকের চোখ ঠিক করে দেওয়ায় তার প্রতিবেশীরা তা জানার জন্য প্রশ্ন করায় বৃদ্ধ লোকটি যীশুকে একজন নবী হিসেবে সাক্ষ্য দেন।

যীশু একটা বিধবার ছেলেকে বাঁচিয়ে তোলার পর:

ঝ) লূক ৭:১৬ SBCL
16. এতে সকলের অন্তর ভক্তি ও ভয়ে পূর্ণ হল। তারা ঈশ্বরের গৌরব করে বলতে লাগল, “আমাদের মধ্যে একজন মহান নবী উপস্থিত হয়েছেন। ঈশ্বর দয়া করে তাঁর লোকদের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন।” [14]

▪︎ বাইবেলে লুকের ৭ অধ্যায়ের ১১-১৭ নং ভার্সে "যীশু খ্রিস্ট একটা বিধবার ছেলেকে বাঁচিয়ে তুললেন। যার ফলে সকল লোকেরা তা দেখে মহান ঈশ্বরের গৌরব করে যীশু খ্রিস্টের নবীত্ব সম্পর্কে সাক্ষ্য দিয়েছেন অর্থাৎ যীশু খ্রিস্ট একজন নবী ছিলেন।

ঞ) লুক ৭:৩৬-৫০ SBCL
এছাড়া বাইবেলের মধ্যে "অনুতাপিনী স্ত্রীর প্রতি যীশুর দয়া" শিরোনামে একটা ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে যেখানে, একজন ফরিশীর বাড়িতে যীশু ভোজনে যায়। আর সেই শহরে একজন পাপিষ্ঠ স্ত্রী (বেশ্যা) লোক ছিল, যে কিনা যীশুর উপস্থিত সম্পর্কে অবগত হয়ে একটি শ্বেত পাথরে সুগন্ধি তেল নিয়ে যীশুর পায়ের কাছে দাঁড়িয়ে কেঁদে কেঁদে চোখের জলে পা ভেজাতে থাকল, মাথার চুল দিয়ে পা মুছিয়ে দিয়েছিল এবং তাঁর পায়ে চুমু দিয়ে সেই সুগন্ধি তেলে অভিষেক করতে লাগল। আর পাপিষ্ঠ মহিলার এসব দেখে উক্ত ফরিসী যে কিনা যীশুকে ভোজনে নিমন্ত্রণ করেছিল, সে সে মনে মনে বলল, এ (যীশু) যদি নবী/Prophet হত, তবে নিশ্চয় জানতে পারত, একে যে স্পর্শ করছে, সে কে এবং কি ধরনের স্ত্রীলোক, কারণ সে পাপী।" আর এরপরে যীশু উত্তরে শিমোন তথা পিতরকে বিভিন্ন কথা বলেছিলেন উক্ত মহিলার প্রসঙ্গে এবং ঈশ্বর মহিলাটির পাপ ক্ষমা করেছেন এমন ঘোষণা দেয়। সর্বশেষে যীশু এই বলে মন্তব্য করেছেন উক্ত মহিলার প্রতি “তোমার বিশ্বাস তোমাকে উদ্ধার করেছে। এখন শান্তিতে চলে যাও।" [15]

▪︎ এখানে কিন্তু উক্ত নিমন্ত্রণদাতা ফরিশী, পাপী মহিলার কর্মকাণ্ড দেখে মনে মনে ভেবেছিল, "যীশু যদি সত্যিই একজন নবী হন তাহলে নিশ্চয়ই জানতে পারবে যীশুকে কেমন চরিত্রের স্ত্রী লোক স্পর্শ করেছে?" আর আমরা এটাও পরে দেখেছি যে, যীশু পরে এই স্ত্রী লোকের সম্পর্কে অবগত ছিল যার জন্য তিনি মহিলার পাপ ক্ষমা করার কথা বলেন। আর এ থেকেও প্রমাণিত যে যীশু একজন নবী। কেননা তিনি যদি নবী না হতেন তাহলে কেমন চরিত্রের মহিলা যীশুকে স্পর্শ করেছিল তা জানত না।

ট) লূক ২৪:১৯ SBCL
19. যীশু তাঁদের বললেন, “কি কি ঘটেছে?” তাঁরা বললেন, “নাসরত গ্রামের যীশুকে নিয়ে যা যা ঘটেছে। তিনি নবী ছিলেন। তিনি কাজে ও কথায় ঈশ্বর ও সমস্ত লোকের চোখে শক্তিশালী ছিলেন।"[16]

▪︎ এইখানেও দেখা যাচ্ছে যে, যীশু লোকদের কাছে জানতে চাইলে তাঁর বিষয়েই তাঁকে বলে যে, "তিনি একজন নবী ছিলেন।" উল্লেখ্য যে, এসব লোকেরা যীশু খ্রিস্টকে তখন চিনছিল না।

ঠ) যোহন ৭:৪০-৪১ SBCL
40. এই সব কথা শুনে লোকদের মধ্যে কয়েকজন বলল, “সত্যি ইনিই সেই নবী।”
41. অন্যেরা বলল, “ইনিই মশীহ।” কিন্তু কেউ কেউ বলল, “মশীহ কি গালীল প্রদেশ থেকে আসবেন?" [17]

▪︎ এখানে আসলে যীশুর সম্পর্কে ইহুদিদের মধ্যে কথোপকথন হচ্ছিল। কেননা যোহন ১:১৯-২১ পদ থেকে জানা যায় যে, ইহুদিরা মূলত তিনজন নবীর আগমনের প্রতীক্ষায় ছিল যাঁরা হলেন যোহন দ্য ব্যপ্টাইজ, যীশু খ্রিস্ট/মসীহ্ এবং তৃতীয়জন হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ নবী। আর এই নবীর আলোচনা ইহুদিদের মধ্যে এতটাই প্রসিদ্ধ ছিল যে, তাঁর নামও পর্যন্ত বলতে হতো না বরং "সেই নবী/That's prophet" বললেই তারা বুঝে যেত। তো এইখানে ইহুদিরা যীশুকে নিয়েই আলোচনা করছিলেন যে, আসলে যীশু কে? তিনি কি খ্রিস্ট তথা মসিহ নাকি সেই নবী? এর মানে ইহুদিরাও যীশুকে একজন নবী হিসেবেই জানত তাওরাতের মাধ্যমে।

ড) মার্ক ৮:২৭-৩০ SBCL
27. তারপর যীশু ও তাঁর শিষ্যেরা কৈসরিয়া-ফিলিপি শহরের আশেপাশের গ্রামে গেলেন। যাবার পথে তিনি শিষ্যদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কে, এই বিষয়ে লোকে কি বলে?”
28. শিষ্যেরা বললেন, “কেউ কেউ বলে আপনি বাপ্তিস্মদাতা যোহন; কেউ কেউ বলে এলিয়; আবার কেউ কেউ বলে আপনি নবীদের মধ্যে একজন।”
29. তখন যীশু বললেন, “কিন্তু তোমরা কি বল, আমি কে?” পিতর উত্তর দিলেন, “আপনি সেই মশীহ।”
30. যীশু তাঁদের সাবধান করে দিলেন যেন তাঁরা তাঁর সম্বন্ধে কাউকে কিছু না বলেন।" [18]

▪︎ এইখান থেকেও সুস্পষ্ট ভাবে বোঝা যায় যে, "যীশু হলেন ইহুদিদের প্রতীক্ষিত তিনজন নবীদের একজন, যিনি হলেন খ্রিস্ট তথা ঈসা মসীহ্ (আঃ)। আর যীশু যে নবী তথা খ্রিস্ট এই কথা তিনি কারো কাছে বলতে নিষেধ করলেন।

ঢ) Acts 2:22 KJV
22. Ye men of Israel, hear these words; Jesus of Nazareth, a man approved of God among you by miracles and wonders and signs, which God did by him in the midst of you, as ye yourselves also know." [19]

▪︎ অর্থাৎ এখানে বলা হয়েছে, "হে ইস্রায়েলের লোকের, এসব কথা শুনো, নাসরতের যীশু ঈশ্বর প্রেরিত একজন মানুষ যে তোমাদের মধ্যে দিয়ে অলৌকিক ও আশ্চর্যকাজ এবং নিদর্শন দেখাবে যা তাঁর দ্বারা করানো হবে; যেন তোমরা জানতে পারো।" এর মানে যীশু খ্রিস্ট ঈশ্বর নয় বরং একজন প্রেরিত নবী, যাঁকে দিয়ে মহান ঈশ্বর অলৌকিক কাজ করাবেন মানুষের সামনে।

সিদ্ধান্ত: আমরা মুসলিমরা ঈসা আঃ এর সম্পর্কে যে বিশ্বাসে স্থির দাবি করি তা হলো তিনি একজন নবী ছিলেন। আর এর-ই পক্ষে বাইবেলের আলোকেও প্রমাণ করা হয়েছে যে, "তিনি আসলে নবী ছিলেন। এখন ত্রিত্ববাদী খ্রিস্টান মিশনারিদের গতিমতি, স্বভাব ভাল না। তারা সাধারণত যীশু খ্রিস্টকে কখনোই একজন নবী হিসেবে স্বীকার করতে চায় না। তাদের যখনই জিজ্ঞেস করি, যীশু খ্রিস্ট ঈশ্বর নাকি নবী? এটার জবাবে অধিকাংশ খ্রিস্টান মিশনারিদের উত্তর থাকে, "তিনি ঈশ্বর।" যদি বলি, তিনি কি একজন নবী ছিলেন? ডাইরেক্ট জবাব দেয়, "না"। কিন্তু যখন বাইবেল থেকেই এটা প্রমাণ দেখাই যে, আসলেই তিনি নবী ছিলেন তখনও আমতা আমতা করে বলে, হ্যাঁ, তিনি নবীও ছিলেন আবার ঈশ্বরও ছিলেন। চিন্তা করেন কথার লেভেলটা কেমন। তাও মন থেকে তাঁকে নবী হিসেবে মেনে নিবে না। এইখানে তারা জেনে বুঝেও ইচ্ছেকৃত ভাবে অজ্ঞতার পরিচয় দেয়।

উল্লেখ্য যে, হাজার হাজার বছর ধরে ইহুদিদের ইতিহাসে মানুষ ঈশ্বরের বিশ্বাস ছিল না। ইব্রাহিম আঃ থেকে শুরু করে ঈসা আঃ নিজেও পর্যন্ত মানুষ ঈশ্বরের বিশ্বাস প্রচার করেননি। বারংবার তিনি নিজেকে ঈশ্বর নয় বরং ঈশ্বর প্রেরিত একজন নবী হিসেবে দাবি করে গেছেন যার প্রমাণ আমরা কোরআন এবং বাইবেলের আলোকে দিয়েছি।

সর্বোপরি একটাই দোআ করি, মহান আল্লাহ্ যেন সবাইকে সঠিক বোঝার এবং তা মেনে নেওয়ার তাওফিক দান করুক এবং হেদায়েত নসীবে রাখুক। আমীন 

তথ্যসূত্রঃ-
➤[01] আস-সফ | As-Saff | سورة الصف ৬১:৬
"আর যখন মারইয়াম পুত্র ঈসা বলেছিল, ‘হে বনী ইসরাঈল, নিশ্চয় আমি তোমাদের নিকট আল্লাহর রাসূল।"
https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=5169
➤[02] মথি ৫:১৭ "আমি পূর্ববর্তী কিতাব তাওরাতের সত্যায়নকারী"
https://bible.com/bible/1791/mat.5.17.ROVU
➤[03] আল-মায়েদা | Al-Ma'ida | سورة المائدة ৫:৪৬"ঈসা আঃ ছিলেন তাওরাতের সত্যায়নকারী"
https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=715
"ঈসা আঃ তাওরাত, ইঞ্জিল, হিকমা শিক্ষা দিয়েছিলেন"
https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=779
➤[04] পবিত্র কোরআন অনুযায়ী সুস্পষ্ট ভাষায় দ্ব্যর্থহীন ভাবে বলা হয়েছে," ঈসা আঃ ছিলেন কেবলমাত্র একজন নবী" (পবিত্র কোরআন ২: ৮৭, ১৩৬,২৫৩; ৩:৪৫,৫৯,৮৪; ৪:১৫৭,১৬৩,১৭১; ৫:৪৬,১১০,১১৬; ৬:৮৫; ৩৩:৭; ৪২:১৩; ৫৭:২৭ আয়াত দ্রষ্টব্য। এছাড়া পবিত্র কোরআনের আরো জায়গায় ঈসা আঃ এর নবী হওয়ার বিষয়টি বলে দেওয়া হয়েছে। তাহলে আমরা পবিত্র কোরআনের আলোকে দেখতে পাই যে,"যীশু খ্রিস্ট ছিলেন একজন নবী।"
➤[05] কোরআন এবং বাইবেলের আলোকে যীশুর ঈশ্বরত্ব খন্ডন
https://islamicauthors.com/article/343
➤[06] যোহন ১:১৯-৩১; ইহুদিদের সঙ্গে যোহনের কথোপকথন https://bible.com/bible/155/jhn.1.19-31.SBCL
ইহুদিরা তিনজন নবীর আগমনের প্রতীক্ষায় ছিল যাঁরা হলেন এলীয় (যোহন দ্য ব্যপ্টাইজ), যীশু খ্রিস্ট এবং "সেই নবী" যিনি সমগ্র মানবজাতির উদ্দেশ্যে প্রেরিত হবেন। এখন এই তৃতীয়জন হলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ, যা হওয়ার সম্পর্কে অকাট্য যুক্তি প্রমাণ রয়েছে আমাদের মুসলিমদের কাছে। ইনশাআল্লাহু তাআলা এসম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন কোন এক সময়।
➤[07] মথি ১৩:৫৭-৫৮, যীশু বললেন,"নবীরা কোথাও সম্মান পান না"।
https://bible.com/bible/155/mat.13.57-58.SBCL
Matthew 13:57-58 KJV, jusus said, "A prophet is not without honour, save in his own country, and in his own house."
https://bible.com/bible/1/mat.13.57-58.KJV
গ্রিক টেক্সট পড়তে ক্লিক করুন:
https://biblehub.com/interlinear/matthew/13-57.htm
এই একই কথা বলা হয়েছে মার্কের ৬:১-৬ পদে "যীশুর দেশীয়রা তাঁকে অস্বীকার করে" শিরোনামে https://bible.com/bible/155/mrk.6.1-4.SBCL
যীশুর নবীত্ব সম্পর্কে লুকেও বলা হয়েছে ৪:২৪ পদেhttps://bible.com/bible/1/luk.4.24.KJV
যোহন ৪:৪৩ https://bible.com/bible/155/jhn.4.19-44.SBCL
➤[08] মথি ২১:১১, ইহুদিদের সাক্ষ্য, "যীশু নাসরতের নবী।"
https://bible.com/bible/155/mat.21.11.SBCL
➤[09] মথি ২১:৩৩-৪৬; পারলে এই অধ্যায় সম্পূর্ণ পড়বেন। "লোকে যীশুকে নবী (গ্রিক: προφήτην- prophētēn Prophet) বলে মনে করত।" 

https://bible.com/bible/155/mat.21.33-46.SBCL
➤[10] যোহন ৪:১৯, শমরীয় স্ত্রীলোকের সাক্ষ্য, "যীশু একজন নবী।"
https://bible.com/bible/155/jhn.4.19.SBCL
➤[11] যোহন ৪:২৫-২৬, মহিলার বিশ্বাস সম্পর্কে যীশুর সাক্ষ্য
https://bible.com/bible/155/jhn.4.25-26.SBCL
পুরো ঘটনা পড়তে চাইলে ক্লিক করুন: শমরীয় স্ত্রীলোক এবং যীশু
https://bible.com/bible/155/jhn.4.1-42.SBCL
➤[12] যোহন ৬:১৪ SBCL, লোকদের মতে, "যীশু খ্রিস্ট একজন নবী।"
https://bible.com/bible/155/jhn.6.14.SBCL
➤[13] যোহন ৯:১৭, লোকটির সাক্ষ্য, "যীশু একজন নবী।"
https://bible.com/bible/155/jhn.9.17.SBCL
➤[14] লূক ৭:১৬ SBCL
https://bible.com/bible/155/luk.7.16.SBCL
➤[15] লুক ৭:৩৬-৫০ SBCL
https://bible.com/bible/155/luk.7.36-50.SBCL
➤[16] লূক ২৪:১৯ SBCL
https://bible.com/bible/155/luk.24.19.SBCL
➤[17] যোহন ৭:৪০-৪১ SBCL
https://bible.com/bible/155/jhn.7.40-41.SBCL
➤[18] মার্ক ৮:২৭-৩০ SBCL, মসীহ্ হলো যীশু খ্রিস্ট যে একজন নবী
https://bible.com/bible/155/mrk.8.27-30.SBCL
➤[19] Acts 2:22 KJV, Greek text
https://biblehub.com/interlinear/acts/2-22.htm