কুরআনে কি সম্পত্তি বণ্টনের আইনে আদৌ কোনো গাণিতিক ভুল আছে?

🖋️লেখক:- Nebuda Khan

 

◼️নাস্তিক প্রশ্নঃ কুরআনের উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টনে কেনো এমন ভুল থাকবে (কুরআন ৪:১১-১২)? একজন সৃষ্টিকর্তার পক্ষে কি মানুষের মত কোনরূপ ভুল হওয়া আদৌ সম্ভব?

স্ত্রীঃ ১/৮ = ৩/২৪;

ন্যাঃ ২/৩ = ১৬/২৪;

পিতাঃ ১/৬ = ৪/২৪;

মাতাঃ  ১/৬ =  ৪/২৪;

 

মোট=২৭/২৪  = ১.১২৫ (যা ১ এর চেয়েও বেশি)

 

➡ জবাব:-

 

◼️কুরআনে আসলে কি বলা হয়েছে?

 

=> সূরা নিসার ১১ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে কেবল ২ বা ততোধিক কন্যা থাকলে তারা পাবে মোট সম্পত্তির ২/৩ অংশ।আর মৃত ব্যাক্তির পিতা-মাতা প্রত্যেকে পাবে ১/৬ অংশ করে।

 

কন্যাগণ ও পিতা-মাতার অংশ যোগ করলে দাঁড়ায় =[২/৩ + ১/৬ + ১/৬]= ১।

 

সোজা হিসেব মিলে গেলো এবং পূর্ণ সম্পত্তি বন্টিতও হয়ে গেলো।দেখা যাচ্ছে যে,কন্যাগণ ও পিতামাতাকে দিলেই সমস্ত সম্পত্তি শেষ বা বন্টিত হয়ে যাচ্ছে।স্ত্রীর জন্য কিছু বাকি থাকছে না।

মূলত,সূরা নিসার ১১ নাম্বার আয়াতে স্ত্রীর প্রসঙ্গই নেই।এখানে এমন একটি condition বা অবস্থার বিধান বর্ণিত হয়েছে,যখন কেবল মৃত ব্যাক্তির সন্তান ও পিতামাতাই বেঁচে আছে।স্ত্রী নেই।স্ত্রী মৃত বা তালাক হয়ে গেছে।এজন্যই হুবুহু স্ত্রীর অংশটি অর্থাৎ ১/৮ বা ০.১২৫ বাদ দিয়ে কুরআনে গণনা করা হয়েছে এবং কন্যাগণ ও পিতামাতাকে দিলেই সমস্ত সম্পত্তি শেষ বা বন্টিত হয়ে যাচ্ছে। স্ত্রীর অংশ যোগ করলে তখনই কেবল ১.১২৫ এর গড়মিল সৃষ্টি হবে।

 

অর্থাৎ সূরা নিসার ১১ নাম্বার আয়াতে মৃতের শুধু কন্যাগণ ও পিতামাতা আছে,এমন অবস্থার বিধান বর্ণিত হয়েছে।স্ত্রী থাকাকালীন অবস্থার বিধান নয়।

 

◼️স্ত্রী বিদ্যমান থাকলে বিধান কি হবে?

 

=> যদি স্ত্রী বিদ্যমান থাকে,তখন বিধান ভিন্ন হবে।সূরা নিসার ১২ নাম্বার আয়াত অনুযায়ী,স্ত্রী ত্যাজ্য সম্পত্তির ১/৮ অংশ শুধুমাত্র তখনই পাবে,যখন তার সন্তান থাকবে।স্ত্রীর শ্বশুড়-শাশুড়ি থাকার শর্ত ওই আয়াতটিতে যুক্ত করা হয় নি।শুধুমাত্র সন্তান থাকার শর্ত যুক্ত করা হয়েছে।সুতরাং,মৃত ব্যক্তির পিতা-মাতা জীবিত থাকলে অর্থাৎ,স্ত্রীর শ্বশুর-শাশুড়ি যদি জীবিত থাকে তাহলে স্ত্রী ১/৮ অংশ পাবে না।

কুরআনে বিভিন্ন পরিস্থিতির জন্য কন্যা,পিতা-মাতা ও স্ত্রীর অংশ নির্ধারণ করা আছে,কিন্তু ২ কন্যা, পিতা-মাতা ও স্ত্রী একসাথে বিদ্যমান থাকলে বিধান কি হবে তা কুরআনে উল্লেখ নেই।সাহাবিগণ ইজতিহাদের মাধ্যমে এরূপ পরিস্থিতির বিধান নির্ধারণ করেছেন।রাসুল(স) এর যুগে এরূপ পরিস্থিতি দৃশ্যমান হয় নি।তাই সুন্নাহতে এর কোনো দৃষ্টান্ত নেই।প্রথম খলিফা আবু বকর(রা) এর স্বল্প শাসনামলেও এরূপ পরিস্থিতি দৃশ্যমান হয় নি।একারণে তখনও এ বিষয়ে ইজতিহাদের প্রয়োজন হয় নি।এরূপ পরিস্থিতি দৃশ্যমান হয় ২য় খলিফা হযরত উমর(রা) এর যুগে এসে।তখন বিজ্ঞ সাহাবি হযরত যায়েদ বিন সাবিত(রা) ইজতিহাদের মাধ্যমে এর ফতোয়া প্রদান করেন [আল মুহাল্লা বিল আসার,খন্ড:০৮,পৃ:২৭৮ ; মুসনাদ আল ফারুক,খন্ড:০১,পৃ:৩৮১]।

 

রাসুলুল্লাহ(স) বলেছেন,আমার উম্মতের মাঝে ফারায়েজ শাস্ত্রে সর্বাধিক জ্ঞানী হলো যায়েদ বিন সাবিত(রা) [সুনানে ইবনে মাজাহ/১৫৪, তিরমিযি/৩৭৯০-৩৭৯১]।

 

এছাড়া হযরত আলী(রা)ও একদা জুমুআর নামাজের খুতবা দেয়ার সময় যায়েদ বিন সাবিত(রা) এর মতেরই অনুরূপ ফতোয়া প্রদান করেন [ইবনু শু'বাহ,খন্ড:০৩,পৃ:১৯,রেওয়ায়েত নং-৩৪]।

আমীরুল মুমিনীন উমর(রা)সহ প্রায় সকল সাহাবিই তাঁদের ইজতিহাদটি সমর্থন করেন এবং সাহাবাগণের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ইজতিহাদটি ইজমা হিসেবে সাব্যস্ত হয়ে যায় [আহকামুল কুরআন লি ইবনুল আরাবি,খন্ড:০১,পৃ:৪৫৭]

 

এটি ফারায়েজ শাস্ত্রে "আঊল নীতি" নামে প্রসিদ্ধ।

 

◼️২ কন্যা,পিতা-মাতা ও স্ত্রী একসাথে বিদ্যমান থাকলে আঊল নীতির মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির ত্যাজ্য সম্পত্তির জন্য নির্ণীত বিধান:

 

স্ত্রী পাবে = ৩/২৭ অংশ

পিতা পাবে = ৪/২৭ অংশ

মাতা পাবে = ৪/২৭ অংশ

কন্যাগণ একত্রে পাবে = ১৬/২৭ অংশ

 

অংশগুলোর যোগফল কখনোই ১ এর বেশি হবে না।

প্রমাণ = (৩/২৭+৪/২৭+৪/২৭+১৬/২৭) = ২৭/২৭ = ১।

 

অর্থাৎ সকল সম্পত্তিই পূর্ণরূপে বণ্টিত হয়ে যায়।

 

উক্ত ইজতিহাদটি আন্দাজে করা হয় নি।বরং এমনভাবে করা হয়েছে,যাতে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ওয়ারীসগণের প্রাপ্য অংশ কুরআন যা নির্ধারণ করে দিয়েছে,নতুন পরিস্থিতিতে আঊল নীতি প্রয়োগেও ওয়ারীসগণের প্রাপ্য অংশ তার কাছাকাছি থাকে এবং যোগফল ১ হয়।সেইসাথে পরস্পরের সাপেক্ষে প্রাপ্ত অংশের অনুপাতও যাতে একই থাকে।

 

◼️আঊল নীতি প্রয়োগে কি কুরআনে গাণিতিক ভুল আছে সাব্যস্ত হয়?

 

=> আঊল নীতি প্রয়োগে কুরআনের বিধানও লঙ্ঘিত হয় না,কুরআনে গাণিতিক ভুল আছে এটাও সাব্যস্ত হয় না।কারণ ২ কন্যা, পিতা-মাতা ও স্ত্রী একসাথে বিদ্যমান থাকলে বিধান কি হবে তা কুরআনে উল্লেখ নেই।সাহাবিগণ আঊল নীতির মাধ্যমে বিধান নির্ধারণ করেছেন।এটাকে কুরআনের ভুল বলা চলে না।কুরআন যা বলেইনি,তা ভিন্ন পরিস্থিতির আয়াত থেকে জোড়াতালি মেরে কুরআনের উপর চাপিয়ে দিয়ে তথাকথিত 'ভুল' বের করা সত্যিই হাস্যকর। যেমন: কুরআনে সালাত,যাকাত,রোযা ইত্যাদি বিধান পালন করতে বলা হয়েছে,কিন্তু এগুলো পালনের নিয়ম বিস্তারিতভাবে বলা হয় নি।রাসুল(স) সুন্নাহর মাধ্যমে বিস্তারিত নিয়ম শিখিয়েছেন।এগুলোকে কুরআনের 'ভুল' বা 'গাণিতিক ভুল' দাবি করার কোনোই সুযোগ নেই।মানুষের পাঠোপযোগী হওয়ার জন্য যেকোনো গ্রন্থে সংক্ষিপ্ততা থাকা আবশ্যক।ফলে গ্রন্থটি ছোট হবে এবং মানুষ পড়তে পারবে।নয়তো পৃথিবীর সকল বিষয় বিস্তারিত লিপিবদ্ধ করতে গেলে সাত সমুদ্র তেরো নদী পরিমাণ কালি দ্বারাও তা শেষ হবে না এবং গ্রন্থটির আকার আকাশ ছুঁয়ে যাবে।পৃথিবীর সকল বিষয় বাদ দিলাম,এক উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রেই কি কি পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে ও কি কি বিধান হবে তা নিয়ে আস্ত আস্ত বইই রচনা করা সম্ভব।কিন্তু কুরআনের মুখ্য উদ্দেশ্য তো তা নয়।কুরআনের মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা।তাই কুরআনে উত্তরাধিকার সম্পর্কিত ইহজাগতিক বিষয়াবলি বিস্তারিতভাবে আসে নি।কুরআন সংক্ষিপ্ত শব্দে ব্যাপক অর্থ প্রকাশ করে থাকে।ইসলামে যেসব ক্ষেত্রে কুরআনের কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা নেই,যেসব ক্ষেত্রে ইজতিহাদের দ্বার উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।কুরআন এগুলোর মাধ্যমেই পূর্ণতাপ্রাপ্ত।

 

ইমাম আবু হানিফা(রহ.) বলেনঃ 

 

আমি কুরআনের উপর নির্ভর করি।কুরআনে যা পাই না,তার জন্য রাসুলুল্লাহ(স) এর সুন্নাতের উপর নির্ভর করি।যদি কোনো বিষয় কুরআন ও সুন্নাহতেও না পাই,তাহলে আমি সাহাবিগণের মতামত ও শিক্ষার উপরে নির্ভর করি।তাঁদের মতামত ও শিক্ষার বাইরে যাই না।"

 

[আল ইন্তেকা'-ইবনে আব্দুল বারর,পৃ: ১৪২-১৪৩]

 

এছাড়া খোদ কুরআনেই সাহাবাগণের ইজমাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে ও তাঁদের সম্পর্কে প্রশংসা করা হয়েছে [কুরআন ৪২/৩৮, ৯/১০০, ৫৭/১০, ৪৯/৭, ৪৮/১৮, ৫৯/১০ ইত্যাদি ]।

 

অর্থাৎ, সাহাবিগণের আদর্শ অনুসরণ করাও কুরআনেরই নির্দেশ।যেহেতু সাহাবিগণ আউল নীতির উপর ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন,তাই আউল নীতিতে সম্পত্তি বণ্টন করলে প্রকৃতপক্ষে কুরআনের আইন মোতাবেকই সম্পত্তি বন্টন করা হয়। কুরআনের বাইরে যাওয়া হয় না।

 

◼️সিদ্ধান্ত: মৃত ব্যক্তির স্ত্রী,পিতা-মাতা ও ২ বা ততোধিক কন্যা একসাথে বিদ্যমান থাকলে বিধান কি হবে তা কুরআনে সরাসরি উল্লেখ নেই। ইসলামবিদ্বেষীরা জোড়াতালি দিয়ে ও নিজেদের মনমতো অপব্যাখা করে তথাকথিত ভুল বের করে থাকে। নিঃসন্দেহে আল্লাহর কিতাব সকল প্রকার ভুল-ভ্রান্তির ঊর্ধ্বে। সাহাবিগণের ইজমা অনুসরণ করে আউল নীতিতে সম্পত্তি বণ্টন করলে প্রকৃতপক্ষে কুরআনের আইন মোতাবেকই সম্পত্তি বন্টন করা হয়। 

Share this:

More articles

মুহাম্মাদ ﷺ ইসমাইল (আ.) এর বংশধর হওয়া প্রসঙ্গে একটি যৌক্তিক পর্যালোচনা: প্রথমেই জানিয়ে রাখা ভালো, মুহাম্মাদ (স) ইসমাইলের বংশধর হওয়ার নতুন কোনো দাবি নিয়ে হাজির হননি, বরং তৎকালীন সমাজের সবাই জানতো কুরাইশগণ হযরত ইব্রাহিম (আ) এর বংশধর। কুরাইশরা নিজেরাও এ নিয়ে গর্ব করতো [আর রাহিকুল মাখতুম,পৃষ্ঠা ৬২]।মুহাম্মাদ (স) যেহেতু কুরাইশ বংশের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, সুতরাং, তিনিও স্বাভাবিক ভাবেই ইসমাইল (আ) এর বংশধর। মুহাম্মাদ (স) সত্যিই ইসমাইল (আ) এর বংশধর কিনা ধর্মীয় ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে আসুন যাচাই করে দেখি।....
30 Min read
Read more
অজ্ঞতা : ইসলামে তালাকের অধিকার শুধু পুরুষদের দেয়া হয়েছে। নারীকে তালাক দেয়ার অধিকার দেয়া হয়নি।নারীর ইচ্ছা অনিচ্ছার কোন মূল্য নাই এই ধর্মে। অজ্ঞতার জবাব: ইসলামে নারীরা ও তালাক দিতে পারে: তালাক শব্দের অর্থ হচ্ছে বিয়ে বিচ্ছেদ। আর ইসলামি শরিয়তে তালাক নিকৃষ্ট কাজ বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসূল সা: এক হাদিসে বলেন , “তালাক হচ্ছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হালাল কাজ।” [১] ইসলামে তালাক দেওয়ার ক্ষমতা শর্ত সাপেক্ষে নারী পুরুষ উভয়কে দেওয়া হয়েছে। তবে নারী ও পুরুষের তালাকের মধ্য কিছুটা পার্থক্য আছে । নারী পুরুষের তালাক দে....
5 Min read
Read more
অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ফেনোটাইপ পেতে একাধিক মিউটেশন যুগপৎ সংগঠিত হতে হয়।বিহি ও স্নোক প্রমাণ করেছিলেন যে, যদি দুটি প্রোটিনের মধ্যে একটি কার্যকরী বন্ধন তৈরি করার জন্য একাধিক মিউটেশনের প্রয়োজন হয়, তবে "শুধু জিনের অনুলিপি এবং পয়েন্ট মিউটেশনের প্রক্রিয়া অপ্রতুল হয়ে যাবে।কারণ খুব অল্প কিছু বহুকোষী প্রজাতি প্রয়োজনীয় জনসংখ্যার আকারে পৌঁছায়।" (Michael Behe and David Snoke, “Simulating Evolution by Gene Duplication of Protein Features That Require Multiple Amino Acid Residues,” Protein Science 13 (20....
5 Min read
Read more
মুসলিমরা যখন পুরাণ,রামায়ণ,মহাভারত, স্মৃতিশাস্ত্র ইত্যাদি থেকে হিন্দুধর্মের অসাড়তার রেফারেন্স প্রদান করে,তখন হিন্দুরা এগুলোর জবাব দিতে না পেরে শাস্ত্রগুলোকেই অস্বীকার করে বসে,যেই শাস্ত্রগুলো দীর্ঘদিন ধরে হিন্দুসমাজে চর্চিত হয়ে আসছে।অভিযোগের মুখ থেকে নিজেদের পিঠ বাঁচাতে এখন হিন্দুরা দাবি করা শুরু করেছে বেদই একমাত্র সঠিক ও অবিকৃত গ্রন্থ।বাকি সব বিকৃত।কিন্তু অনুসন্ধান করলে দেখা যায় হিন্দুধর্মের প্রধান গ্রন্থ বেদও একটি বিকৃত গ্রন্থ। হিন্দুরা মানতে চাক বা না চাক,এই পোস্টে তা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হয়....
10 Min read
Read more
নাস্তিকসহ কিছু মডারেট মুসলিমদেরকেও বলতে শুনা যায় যে, ইসলামে গান-বাজনা কেন নিষিদ্ধ! গান-বাজনা শুনতে সমস্যা কোথায়! এই লেখাটিতে গান-বাজনার ক্ষতিকর দিক, ইসলামে গান-বাজনা হারাম হওয়ার রেফারেন্স এবং কেন গান-বাজনা হারাম তা তুলে ধরা হয়েছে।  আল-কোরআনে গান-বাজনা হারাম  ● মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا ۚ أُولَٰئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُهِينٌ একশ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ কর....
17 Min read
Read more
ইসলামের মূল ভিত্তি পাঁচটি। তন্মধ্যে একটি হলো হজ্ব।কাবা-ঘরে গিয়ে হজ্ব করে আসার আর্থিক ও শারীরিক সামর্থ্য আছে এমন পুরুষ কিংবা মহিলার উপর জীবনে অন্তত একবার হজ্ব করা ফরজ অর্থাৎ অবশ্য কর্তব্য। হজ্বকে নিয়ে খ্রিস্টান মিশনারিদের তথ্য বিকৃতি ও ঠাট্টা তামাশার শেষ নেই। উক্ত পোস্টে প্রমাণ করা হবে যে, বাইবেল হজ্বের স্বীকৃতি দেয় এবং ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মেও হজ্বের সংস্কৃতি মিশে আছে। মূলত খ্রিস্টান মিশনারিরা ইসলামের বিরুদ্ধে যেই অভিযোগগুলো করে, সেগুলোর প্রায় সবকিছুই সত্য হয়ে উলটো তাদের ধর্মের দিকেই ফিরে যায়! ....
14 Min read
Read more