Are you sure?

বিজ্ঞান »  ইসলাম ও বিজ্ঞান

নক্ষত্র কিভাবে ক্ষেপনাস্ত্র হতে পারে?

ইসলাম বিরোধীরা অভিযোগ করে বলে যে, "সুরা মুলকের আয়াত ৫ এ বলা হয়েছে; নক্ষত্র হলো শয়তানের জন্য ক্ষেপনাস্ত্র অর্থাৎ নক্ষত্রকে শয়তানের প্রতি নিক্ষেপ করা হয়। যা কিনা স্পষ্ট বিজ্ঞান ও বাস্তবতা বিরোধী কথা।এর দ্বারা প্রমানিত হয় যে, কোরানের লেখক উল্কা ও নক্ষত্রের মাঝে পার্থক্য বুঝত না।"

 

উক্ত অভিযোগের জবাবে মুফাসসিরগন বলেছেন:

"প্রদীপ সমূহকে (নক্ষত্রসমুহকে) ক্ষেপনাস্ত্র (নিক্ষেপ করার অস্ত্র) বানানোর অর্থ এই নয় যে, নক্ষত্রকেই শয়তানের প্রতি নিক্ষেপ করা হয়। বরং নক্ষত্রগুলো আপন স্থানে যেভাবে থাকার কথা ঠিক সেভাবেই থাকে। নক্ষত্রকে নিক্ষেপ করা হয়না। নিজ অবস্থানে সঠিকভাবে অবস্থানকারী এই নক্ষত্রগুলো হতেই আগুনের গোলা বা আগ্নিশিখা ছুটে গিয়ে শয়তানের উপর পতিত হয়। ইহাই হলো নক্ষত্র সমূহকে ক্ষেপনাস্ত্র করার ব্যাখ্যা।" [1]

 

 

রেফারেন্স:

[1] আলবাহরুল মুহিত ৮/২৯৪, আত-তাসহিল ৪/১৫৬৯, ইরশাদুল আক্বলিস সালিম ৯/৪, তাফসির ইবন আবি যামানিন ৫/১২, আললুবাব ফিউলুমিল কিতাব ১৯/২৩৩, আল'মুহার'রিরুও ওয়াযিয পৃ/১৮৭৭, তাফসির ইবন কাসির ১৪/৭২, তাফসিরুল বাইদ্বাভী ৫/২২৯, আজ্জাওয়াহিরুল হিসান ৫/৪৫৮, লুবাবুত তা'ওইল ৪/৩১৯, মাফাতিহুল গাইব ৩০/৬০, আল-কাশাফ পৃ/১১২৫, তাফসিরুস সা'দী পৃ/৮৭৬, ফাতহুল কাদির পৃ/১৫১১, তাফসিরুল কুরতুবী ২১/১১৮, মাদারিকুত তানজিল ৩/৫১২, ফাতহুল বায়ান ১৪/২৩৪, আত-তাফসিরুল বাসিত ২২/৪৬, আল-কাওছারুল জারি ২/৪০০, মানহাতুল বারী ৬/৩১০, ফাতহুল ক্বারিবুল মুজিব ১২/১৮৮, আত-তাওদ্বিহ লিশারহিল জামিইস সহিহ ৭/১০০, রুহুল মা'আনী ১৭/৭০, আল-কওলুল মুফিদ ১/২২৭, তাফসির হাদাইকুর রুহ ওয়ার রাইহান ৩০/২১, আত-তাফসিরুল ওয়াসিত ১৫/১৩, রুহুল বায়ান ১০/৮১, সফওয়াতুর তাফাসির ৩/৩৯৩, আত-তাফসিরুল মা'মুন ৮/১২৯, তাফসিরুল মারাগী ২৯/৮,আওদ্বাহুত তাফাসির ১/৬৫৮, আত-তাফসিরুও ওয়াসিত লিমাজমায়িল বুহুস ১০/১৫০৫।