Are you sure?

বিবিধ »  ইসলাম বিদ্বেষীদের অপনোদন

যুদ্ধে সাধারন মানুষদের হত্যা করা প্রসংগে উমার ইবনুল খাত্তাব (রা)

 

উমার (রা) হতে "সহিহ" সনদে প্রমানিত আছে যে যুদ্ধে শুধু তাদেরই হত্যা করা যাবে যারা যোদ্ধা।

আবু উবাইদ আল-কাসিম বিন সাল্লাম "আল-আমওয়াল"(হা/93) এ উমার ইবনুল খাত্তাব (রা.) সম্পর্কে বর্ননা করেন:

 حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ السَّخْتِيَانِيُّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ أَسْلَمَ، مَوْلَى عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ كَتَبَ إِلَى أُمَرَاءِ الْأَجْنَادِ: " أَنْ يُقَاتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا يُقَاتِلُوا إِلَّا مَنْ قَاتَلَهُمْ، وَلَا يَقْتُلُوا النِّسَاءَ وَلَا الصِّبْيَانَ، وَلَا يَقْتُلُوا إِلَّا مَنْ جَرَتْ عَلَيْهِ الْمُوسَى، وَكَتَبَ إِلَى أُمَرَاءِ الْأَجْنَادِ: أَنْ يَضْرِبُوا الْجِزْيَةَ، وَلَا يَضْرِبُوهَا عَلَى النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ وَلَا يَضْرِبُوهَا إِلَّا عَلَى مَنْ جَرَتْ عَلَيْهِ الْمُوسَى 

উমার (রা) এর ঘনিষ্ঠ ব্যাক্তি আসলাম (রহ.) হতে বর্নিত, যে উমার (রা.) সৈন্যদলগুলোর সেনাপতিদের প্রতি লিখিত চিঠিতে বলেন  "তারা (মুজাহিদরা) যেন আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে, এবং শুধুমাত্র তাদেরই হত্যা করে যারা তাদের (মুজাহিদদের) সাথে যুদ্ধ করবে, এবং তারা (মুজাহিদরা) যেন নারীদের ও শিশুদের হত্যা না করে। এমন কাউকে হত্যা না করে যার মধ্যে বালেগ হওয়ার আলামত নেই।" তিনি সৈন্যদল গুলোর সেনাপতিদের প্রতি আরো লিখে বলেন: "তারা যেন জিয়িয়া প্রয়োগ করে, এবং নারী, শিশুদের উপর যেন জিযিয়া প্রয়োগ না করা হয়। এমন কারো উপরই যেন প্রয়োগ না করা হয় যাদের বালেগ হয়ার আলামত প্রকাশ পায়নি।" 

বর্ননাটির সনদের তাহকিক :

উক্ত বর্নমাটির সনদ নিম্নরুপ, 

আবু উবাইদ আল-কাসিম →ইসমাইল বিন ইব্রাহিম → আইয়ুব আস-সাজাস্তানী → নাফে (মাওলা ইবন উমার) → আসলাম মাওলা উমার →উমার ইবনুল খাত্তাব (রা)

"আবু-উবাইদ আল-কাসিম" তিনি "ছিকাহ " [আত-তাকরিব (রাবি/5462)]

"ইসমাইল বিন ইব্রাহিম " তিনি "ছিকাহ" [আত-তাকরিব (রাবি/416)]

"আইয়ুব আস-সাজাস্তানী " তিনি "ছিকাহ" [আত-তাকরিব (রাবি/605)]

"নাফে " তিনি "ছিকাহ" [আত-তাকরিব (রাবি/7086)]

"আসলাম " তিনি "ছিকাহ " [আত-তাকরিব (রাবি/406)]

সুতরাং সনদটি "সহিহ "। এই সনদটি সম্পর্কে নাসিরুদ্দিন আল-আলবানী "ইরওয়াউল গালিল"(5/96) এ বলেন "এই সনদটি শায়খায়নদের শর্তে সহিহ"। সুহাইব আব্দুল জাব্বার এই হাদিসটিকে "আল-জামিউস সহিহ"(37/216) এ উল্লেখ্য করে সহিহ হিসেবে বিবেচনা করেছেন।