Are you sure?

বিজ্ঞান »  ইসলাম ও বিজ্ঞান

নুতফাহ শব্দ সম্পর্কিত একটি সংশয়ের সমাধান

অভিযোগ: আরবিতে "نُطْفة" শব্দটির দ্বারা নারীর যৌনতরল এবং পুরুষের বির্য বুঝানো হয়। লিসানুল আরবসহ অন্যান্য আরবি অভিধানে এরুপ বলা আছে। কোর'আনে এই শব্দটি ব্যবহার হয়েছে, সুতরাং এদ্বারা প্রমানিত হয় যে, ইসলাম অনুযায়ী মানুষের ভ্রুন গঠিত হয় নারীর যৌনতরল ও পুরুষের বীর্যের মিশ্রনে গঠিত একপ্রকার তরলের মাধ্যমে। অথচ বিজ্ঞান বলছে যে, নারীর ডিম্বানু ও পুরুষের শুক্রানুর মিলনের ফলে ভ্রুন গঠিত হয়। স্পষ্টতই কোর'আনের এই তথ্যটি বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল? 

জবাব: 

আরবি نُطْفة শব্দটি দ্বারা এমন কিছুকে বুঝানো হয় যা থেকে সন্তান হয়। ঠিক যেভাবে "খাদক" বলতে এমন কাউকে বুঝানো হয়, যে আহার করে। এই সংজ্ঞার উপর ভিত্তি করে বলা যায় যে, نُطْفة  শব্দটি এমন যে কোনো জিনিসের জন্যই ব্যবহৃত হতে পারে; যা থেকে সন্তান হয়। এর মূল সংজ্ঞা অনুযায়ী এর অর্থ "শুক্রানু", "ডিম্বানু" ও "জাইগোট" হওয়া সম্ভব।  

নুতফাহ শব্দের এই সংজ্ঞার কিছু প্রমান উল্লেখ্য করা হলো: 

  • (১) আল-খালিল বিন আহমাদ আল-ফারাহিদী রচিত এখন পর্যন্ত পাওয়া আরবি ভাষার সর্বপ্রাচীন অভিধান আল-আইন (7/837)। 
  • (২) একজন বড় আরবি ভাষাবিদ আস-সাহিব বিন আব্বাদ রচিত অভিধান "আল-মুহিত ফিল লুগাহ (2/324)। 
  • (৩) শ্রেষ্ঠ আরবি ভাষাবিদদের একজন ইবন সিদাহ আল-মুরসী রচিত অভিধান আলমুহকাম ওয়াল মুহিতুল আ'যাম (9/186)। 
  • (৪) শ্রেষ্ঠ আরবি ভাষাবিদদের একজন ইবন মানযুর আল-আফ্রিকী রচিত আরবি ভাষার বিখ্যাত অভিধান "লিসানুল আরব (9/336)।
  • (৫) আরবি ভাষাবিদ নাশওয়ান বিন সাইদ আল-হুমাইরি রচিত অভিধান "শামসুল উলুম ওয়া দাওয়াউ কালামিল আরব মিনাল কুলুম (10/6641)।