Are you sure?

হাদিস »  বিবিধ

রাসুল (সা) এর কিবলামুখি হয়ে মুত্রত্যাগ করার হাদিস সম্পর্কে আলোচনা

 

অভিযোগ :

কিবলার দিকে মুখ করে প্রস্রাব করতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরে, নবী নিজেই কিবলার দিকে মুখ করে প্রস্রাব করেছিলেন। 

গ্রন্থের নামঃ সূনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
অধ্যায়ঃ ১/ পবিত্রতা রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে
পরিচ্ছেদঃ ৭. উল্লিখিত ব্যাপারে অনুমতি সম্পর্কে
৯। জাবির ইবনু আবদিল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলাকে সামনে রেখে মলত্যাগ বা পেশাব করতে নিষেধ করেছেন। আমি তাঁর মৃত্যুর এক বছর আগে তাকে কিবলার দিকে মুখ করে মলত্যাগ বা পেশাব করতে দেখেছি। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৩২৫)।
এ অনুচ্ছেদে আবু কাতাদা, আয়িশাহ ও আম্মার (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে। আবু ঈসা বলেন, এ অনুচ্ছেদে জাবিরের হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ

জবাব :

প্রথমত, হাদিসটির সকল সুত্র মুহাম্মদ বিন ইসহাক পর্যন্ত এসে মিলিত হয়েছে [1]। হাদিস বর্ননার ক্ষেত্রে মুহাম্মদ বিন ইসহাকের অবস্থা সম্পর্কে মুহাদ্দিসদের মাঝে বিতর্ক রয়েছে অর্থাৎ তিনি একজন বিতর্কিত রাবি।এবং উক্ত হাদিসের গ্রহনযোগ্যতা বিতর্কিত।

আল-বুখারী, ইবন খুযায়মাহ, ইবন হিব্বান, আল-হাকেম, ইবনুস-সাকান, ইবনুল মুলাক্কিন ও আল-আইনী বলেছেন যে হাদিসটি সহিহ।[2]

আত-তিরমিযী, আল-বাযযার, আন-নওওই, ইবন-সাইয়িদিন্নাস, ইবন হাজার, আল-আলবানী, আদ-দারাকুতনী ও ইবন-দাকিক আল-আইদ বলেছেন যে হাদিসটি হাসান[2]

ইমাম আহমদ, ইবন মুফাওওইজ, ইবন-আব্দিল-বার, ইবন হাযম, ইবন-আব্দিল-হাক্ক ও ইবনুল কাইয়ুম বলেছেন যে হাদিসটি যইফ। [2]

দ্বিতীয়ত, রাসুল (সা) কিবলার দিকে মুখ করা নিষেধ বলতে কি বুঝিয়েছেন, তা ইবনে উমার (রা) এর এই ঘটনাটি হতে বুঝা যায় :

عن مروانَ الأصفر، قال رأيتُ ابنَ عمر أناخَ راحِلَتَه مُستَقبِلَ القِبلة، ثمَّ جلسَ يبولُ إليها، فقلتُ: يا أبا عبدِ الرحمن، أليس قد نُهِيَ عن هذا؟ قال: بلى، إنَّما نُهِيَ عن ذلك في الفَضَاء، فإذا كانَ بينَكَ وبينَ القِبلةِ شيءٌ يَستُرُكَ فلا بأس[3]

মারওয়ান আল-আসফার হতে বর্নিত, তিনি বলেছেন 'আমি ইবন উমর (রা) কে দেখলাম যে তিনি তার বাহন উটকে কিবলার দিকে বসালেন, তারপর তার দিকে মুখ করে বসে মুত্রত্যাগ করলেন। আমি (মারওয়ান) বললাম : হে আবু-আব্দুর-রহমান, এমনটা করতে কি নিষেধ করা হয়নি? তিনি বলেন : হ্যা অবশ্যই, তবে সেটাত খোলামেলা অবস্থায় নিষেধ করা হয়েছে, যদি তোমার ও কিবলার মাঝে অন্যকিছু অন্তর্ভুক্ত থাকে, তাহলে কোনো সমস্যা নেই।

এই হাদিসটিকে একদল মুহাদ্দিস ও মুহাক্কিক হাসান/সহিহ বলেছেন।

ইবন হাজার আল-আসকালানী এই হাদিসটি সম্পর্কে বলেন :
"رواه أبو داود والحاكم بسند لا بأس به"[4]
"আবু-দাউদ ও আল-হাকেম হাদিসটি এমন সনদে বর্ননা করেছেন যাতে কোনো সমস্যা নেই "

আল-হাকেম আন-নিসাপুরী এই হাদিসটি সম্পর্কে বলেন :

"هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ عَلَى شَرْطِ الْبُخَارِيِّ، فَقَدِ احْتَجَّ بِالْحَسَنِ بْنِ ذَكْوَانَ، وَلَمْ يُخَرِّجَاهُ» . وَلَهُ شَاهِدٌ عَنْ جَابِرٍ" [5]
"এই হাদিসটি সহিহ, বুখারির শর্তে উত্তির্ন, আল-বুখারি 'আল-হাসান বিন যাকওয়ান' দ্বারা দলিল পেশ করেছেন, এবং হাদিসটি বুখারি মুসলিম বর্ননা করেন নি। জাবির (রা) হতে হাদিসটির শাহেদ রয়েছে "

শামসুদ্দিন আয-যাহাবী এই হাদিসটি সম্পর্কে বলেন :
"على شرط البخاري" [5]
"বুখারির শর্তে সহিহ "

ইমাম আন-নববী এই হাদিসটি সম্পর্কে বলেন :
"وأما حديث مروان الأصفر عن ابن عمر فحديث حسنٌ"[6]
"মারওয়ান আল-আসফার হতে ইবনে উমার (রা) এর বর্নিত হাদিসটি হাসান হাদিস "

আল-হাযিমী এই হাদিসটি সম্পর্কে বলেন :
"هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ" [7]
"এটি একটি হাসান হাদিস"

আদ-দারাকুতনী এই হাদিসটি সম্পর্কে বলেন :
"هَذَا صَحِيحٌ كُلُّهُمْ ثِقَاتٌ"[8]
"এটি সহিহ, এর সকল রাবি নির্ভরযোগ্য "

নাসিরুদ্দিন আল-আলবানী এই হাদিসটি সম্পর্কে বলেন :

قلت: إسناده حسن، ورجاله رجال "الصحيح". وقد حسنه الحازمي، والحافظ في "الفتح"، وصححه الدارقطني والحاكم والذهبي[9]

আমি(আল-আলবানী) বলব : এর সনদ হাসান, এবং এর রাবিরা "সহিহ" গ্রন্থের রাবি। হাদিসটিকে হাসান বলেছেন আল-হাযিমী, আল-হাফেয "আল-ফাতহ" তে, এবং হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন আদ-দারাকুতনী, আল-হাকেম ও আয-যাহাবী

ইবন খুযায়মাহ এই হাদিসটিকে উনার "সহিহ" গ্রন্থে বর্ননা করেছেন, যার অর্থ হলো উনার নিকট হাদিসটি "সহিহ বা হাসান"। [10]

ইবনুল জারুদ হাদিসটিকে "আল-মুন্তাকা" গ্রন্থে উল্লেখ্য করেছেন। যার অর্থ উনার নিকট হাদিসটি সহিহ বা হাসান [11]

জামালুদ্দিন আয-যাইলাঈ এই হাদিসটি সম্পর্কে বলেছেন :

وَهَذَا رَوَاهُ ابْنُ خُزَيْمَةَ فِي "صَحِيحِهِ". وَالْحَاكِمُ فِي "الْمُسْتَدْرَكِ"، وَقَالَ: عَلَى شَرْطِ الْبُخَارِيِّ، وَفِي نُسْخَةٍ: عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ ذَكْوَانَ، وَإِنْ كَانَ أَخْرَجَ لَهُ الْبُخَارِيُّ، فَقَدْ تَكَلَّمَ فِيهِ غَيْرُ وَاحِدٍ، فَكَذَلِكَ قَالَ الْحَازِمِيُّ: هُوَ حَدِيثٌ حَسَنٌ، انْتَهَى. [12]

হাদিসটিকে ইবন খুযায়মাহ তার "সহিহ" গ্রন্থে উল্লেখ্য করেছেন। এবং আল-হাকেম "আল-মুস্তাদরাক " এ, এবং বলেছেন : বুখারির শর্তে উত্তির্ন, এবং আরেক নুসখায় আছে 'মুসলিমের শর্তে উত্তির্ন'। এবং আল-হাসান বিন যাকওয়ান, যদিও আল-বুখারি তার হাদিস বর্ননা করেছেন, কিন্ত একাধিক (ইমাম) তার সমালোচনা করেছেন। একারনে আল-হাযিমী বলেছেন : এই হাদিসটি হাসান।

আশ-শাওকানী এই হাদিসটি সম্পর্কে বলেছেন :

أَخْرَجَهُ وَسَكَتَ عَنْهُ، وَقَدْ صَحَّ عَنْهُ أَنَّهُ لَا يَسْكُتُ إلَّا عَمَّا هُوَ صَالِحٌ لِلِاحْتِجَاجِ، وَكَذَلِكَ سَكَتَ عَنْهُ الْمُنْذِرِيُّ وَلَمْ يَتَكَلَّمْ عَلَيْهِ فِي تَخْرِيج السُّنَن. وَذَكَره الْحَافِظُ ابْنُ حَجَرٍ فِي التَّلْخِيص وَلَمْ يَتَكَلَّمْ عَلَيْهِ بِشَيْءٍ، وَذَكَرَهُ فِي الْفَتْح أَنَّهُ أَخْرَجَهُ أَبُو دَاوُد وَالْحَاكِمُ بِإِسْنَادِ حَسَن [13]

(আবু-দাউদ) হাদিসটি বর্ননা করে এর সম্পর্কে চুপ থেকেছেন। এবং এটা প্রমানিত আছে যে তিনি (আবু-দাউদ) শুধুমাত্র সেসব হাদিসের ক্ষেত্রেই চুপ থাকেন যা উনার দৃষ্টিতে দলিল হিসেবে ব্যবহারের উপযুক্ত। একইভাবে আল-মুনযিরিও এই হাদিসটি সম্পর্কে চুপ থেকেছেন, এবং এর ব্যাপারে তাখরিজুস সুনানে কোনো সমালোচনা করেন নি। হাদিসটিকে ইবন হাজার আত-তালখিস এ উল্লেখ্য করেছেন ও তা সম্পর্কে কোনোকিছু দ্বারাই সমালোচনা করেননি।এবং হাদিসটিকে আল-ফাতাহ তে উল্লেখ্য করেন যে এটাকে আবু-দাউদ ও আল-হাকেম হাসান সনদে বর্ননা করেছেন। 

আব্দুর-রহমান আল-মোবারকপুরী এই হাদিসটি সম্পর্কে বলেন :
"وَإِسْنَادُهُ حَسَنٌ"[14]
"এবং এর সনদ হাসান "

 


মুহাক্কিক সামির বিন আমিন আয-যুহাইরী এই হাদিসটিকে "হাসান" বলেছেন। [15]

মুহাক্কিক আবু-আব্দুল্লাহ হুসাইন বিন উকাশাহ এর হাসান/সহিহ হয়ার সমর্থন দিয়েছেন [23]

জাকারিয়া বিন গোলাম কাদির আল-বাকিস্তানী এই হাদিসটিকে "সহিহ" বলেছেন [16]

মুহাক্কিক আবু আব্দুল-বারি রিযা বুওশামাহ আল-জাযাইরী এই হাদিস সম্পর্কে বলেন:

"وله شواهد تقويه"[17]
"এর বহু শাহেদ আছে, যা একে শক্তিশালী করে "

তবে এই হাদিসটির গ্রহনযোগ্যতাও আলোচ্য হাদিসটির মতো বিতর্কিত। এই হাসিটির সনদে একজন রাবি হলেন "আল-হাসান বিন যাকওয়ান", তার বর্নিত হাদিসের নির্ভরযোগ্যতা বিতর্কিত।

ইবন হাজার, আয-যাহাবী,আল-হাকেম, আন-নববী, আল-হাযিমী, আদ-দারাকুতনী,আল-আলবানী, ইবন খুযায়মাহ, ইবনুল-জারুদ,আয-যাঈলাঈ, আশ-শাওকানী,আবু-দাউদ,
আল-মোবারকপুরী ; এনারা আল-হাসান বিন যাকওয়ানের সুত্র ধরে বর্নিত হয়ে আসা এই হাদিসের সনদের ব্যাপারে যা বলেছেন, তা দ্বারা স্পষ্ট হয় যে এনাদের নিকট আল-হাসান বিন যাকওয়ানের বর্নিত হাদিস নির্ভরযোগ্য। তাছারা আল-বুখারী, ইবন আদী, আল-মাকদিসী, ইবন হিব্বান ও আল-বাযযার ; এনাদের নিকটও আল-হাসানের বর্নিত হাদিস নির্ভরযোগ্য[5][9][18][19][20][21][22]

এরবিপরীতে ইবন-আবিদ-দুনিয়াহ, আল-উকাইলী, আবু-হাতেম আর-রাযী,আবু-যুর'আহ আর-রাযী, ইমাম আহমদ, আন-নাসাঈ, যাকারিয়া আস-সাজী, আলি ইবনুল-মাদিনী, ইয়াহইয়া আল-কাত্তান, ইয়াহইয়া বিন মুয়াইন ; এনাদের নিকট আল-হাসান বিন যাকওয়ানের হাদিস নির্ভরযোগ্য নয় [22]

যেহেতু মুল আলোচ্য হাদিসটা নিজেই বিতর্কিত, সেহেতু এই বিতর্কিত হাদিস সম্পর্কে আলোচনার ক্ষেত্রে অপর একটি বিতর্কিত  হাদিস রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ্য করাতে আমি কোনো সমস্যা দেখছিনা।

তৃতীয়ত, রাসুল (সা) কেবলার দিকে মুখ করে পশ্রাব করার অর্থ এইনা যে তিনি স্ববিরুধি কাজ করেছেন। বরং খোলামেলা স্থানে কেবলামুখি হয়ে পশ্রাব পায়খানা করাটাকে তিনি নিষেধ করেছেন, আবদ্ধ ঘড়ে বা সামনে কোনোকিছু থাকলে কেবলার দিকে মুখ করে পশ্রাব পায়খানা করাতে কোনো সমস্যা নেই। যদি জাবির (রা) রাসুল (সা) কে কেবলামুখি হয়ে পশ্রাব পায়খানা করতে দেখে থাকেন, তবে এর অর্থ হলো তিনি কোনো আবদ্ধ টয়লেটে বা কোনোকিছুকে সামনে রেখে এমনটা করেছিলেন, এটা স্ববিরুধি কাজ নয়।

ইমাম আন-নববী বলেছেন :

"هذا ظاهره أن جابرًا يعتقد نسخ النهي، وليس هو منسوخًا، بل النهي محمولٌ على الصحراء، وهذا الفعل كان في البنيان؛ كما صرّح به في حديث ابن عمر"[23]

"এটা সুস্পষ্ট যে জাবির (রা) এই নিষিদ্ধ হয়াকে রহিত হয়ার দাবি করেছেন, কিন্ত এটা রহিত হয়নি, বরং এই নিষেধটি খোলা মরুভুমিতে প্রযোজ্য, এবং রাসুল (সা) এর এই কাজটি কোনো আবদ্ধ স্থানে হয়েছিল, যেমনটা ইবন উমার (রা) এর হাদিসে সুস্পষ্ট করা হয়েছে "

ইবন রাসালান বলেছেন :

"الحقُّ أنه ليس بناسخ لحديث النهي خلافًا لمن زعمهُ؛ بل هو محمول على أنه رآه في بناء ونحوه، أو يحمل على أنهُ فعَل ذلك لعُذر؛ وبهذين الاحتمالين يضعف الاحتجاج به" [24]

"বাস্তবতা হলো এটি নিষিদ্ধ হয়ার হাদিসের রহিতকারি নয়, যারা এর নিষিদ্ধ হয়ার কথা বলে তাদের বিরুধি নয়। বরং হতে পারে জাবির (রা) উনাকে কোনো স্থাপনায় বা এইধনের কোনো জায়গায় দেখেছেন, অথবা হতে পারে যে এই কাজটি কোনো ওযরবশত হয়েছিল। এদুইটি সম্ভাবনার কারনে উক্ত হাদিস দ্বারা রহিত হয়ার দলিল পেশ করার বিষয়টি দুর্বল সাব্যস্ত হয় "

ইবন হাজার আল-আসকালানী বলেছেন :

"وَالْحَقُّ أَنَّهُ لَيْسَ بِنَاسِخٍ لِحَدِيثِ النَّهْيِ خِلَافًا لِمَنْ زَعَمَهُ بَلْ هُوَ مَحْمُولٌ عَلَى أَنَّهُ رَآهُ فِي بِنَاءٍ أَوْ نَحْوِهِ"[25]

"এবং বাস্তবতা হলো এই হাদিসটি কিবলার দিকে মুখ করে পশ্রাব পায়খানা করা নিষিদ্ধ হয়াকে রহিত করেনা, যারা এর নিষিদ্ধ হয়ার দাবি করে তাদের বিরুদ্ধে যায়না। বরং এটার সম্ভাবনা আছে যে জাবির (রা) উনাকে কোনো স্থাপনা বা এই ধরনের জায়গায় দেখেছিলেন "

মুহাম্মাদ আয-যুরক্বানী বলেছেন :

وَالْحَقُّ أَنَّهُ لَيْسَ بِنَاسِخٍ لِحَدِيثِ النَّهْيِ خِلَافًا لِزَاعِمِهِ، بَلْ مَحْمُولٌ عَلَى أَنَّهُ رَآهُ فِي بِنَاءٍ أَوْ نَحْوِهِ؛ [26]

"এবং বাস্তবতা হলো এই হাদিসটি কিবলার দিকে মুখ করে পশ্রাব পায়খানা করা নিষিদ্ধ হয়াকে রহিত করেনা, যারা এর নিষিদ্ধ হয়ার দাবি করে তাদের বিরুদ্ধে যায়না। বরং এটার সম্ভাবনা আছে যে জাবির (রা) উনাকে কোনো স্থাপনা বা এই ধরনের জায়গায় দেখেছিলেন "

চতুর্থত, যদি ধরে নেই যে রাসুল (সা) প্রথমে নিষেধ করে পরবর্তিতে নিজেই এই কাজ করেছিলেন ; তবুও এতে উনার চরিত্র, নবুওয়ত কিছুই প্রশ্নবিদ্ধ হয়না। কেননা রাসুল (সা) এর প্রথমে একটা আদেশ দিয়ে পরবর্তিতে তার বিরুধি আদেশ দেয়া বা কাজ করার সহজ অর্থ হলো এটাই যে পুর্ববর্তি বিধানটি রহিত হয়ে গিয়েছে।

প্রমানসমুহ :

[1]আল-মুসনাদুল জামে (3/412);আল-মুসনাদুল মুসান্নাফুল মু'আল্লাল (5/24)

[2]আদনান, দিওয়ানুস সুন্নাহ ক্বিসমুত তাহারাহ (6/126)

[3]আল-মুসনাদুল জামে (হা/7194) ; আল-মুসনাদুল মুসান্নাফুল মুয়াল্লাল (14/46)

[4]ইবন হাজার, ফাতহুল বারী (1/247)

[5]মুস্তাদরাকুল হাকেম- (আল-ইলমিয়াহ, 1/256)

[6]আন-নববী,আল-ইযায (পৃ/121)

[7]আল-হাযিমী,আল-ই'তিবার (পৃ/38)

[8]সুনানুদ দারাকুতনী (161)

[9]আল-আলবানী,সহিহ সুনান আবি দাউদ(1/33)

[10]সহিহ ইবন খুযায়মাহ (60)

[11]ইবনুল-জারুদ,আল-মুন্তাকা (32)

[12]আয-যাইলাঈ,নাসবুর রাইয়াহ (1/208)

[13]আশ-শাওকানী,নাইলুল আওতার (1/110)

[14]আল-মোবারকপুরী, তুহফাতুল আহওয়াযী (1/48)

[15]তাহকিক উমদাতিল আহকামিল কুবরা (1/29,টিকা-5)

[16]তাহকিক আস-সুনান ওয়াল আহকাম লিদ্দ্বিয়া (1/50,টিকা-9,10,11)

[17]মা সাহহা মিন আছারিস সাহাবাহ (1/43)

[18]ইমাম আল-বুখারি উনার "সহিহ"(হা/6198) গ্রন্থে "আল-হাসান বিন যাকওয়ান" এর হাদিস নিয়েছেন, যার অর্থ উনার নিকট সে গ্রহনযোগ্য।

[19]আল-মাকদেসী উনার "আল-আহাদিসুল মুখতারাহ" (2/157-158) তে "আল-হাসান বিন যাকওয়ান" এর হাদিস নিয়েছেন, যার অর্থ উনার নিকট সে গ্রহনযোগ্য।

[20]ইবন হিববান উনার "সহিহ"(হা/189,2797) গ্রন্থে "আল-হাসান বিন যাকওয়ান" এর হাদিস নিয়েছেন, যার অর্থ উনার নিকট সে গ্রহনযোগ্য।

[21]ইবন আদী, আল-কামিল (3/160)

[22]http://hadith.islam-db.com/narrators/1264/%D8%AD%D8%B3%D9%86-%D8%A8%D9%86-%D8%B0%D9%83%D9%88%D8%A7%D9%86

[23] আন-নববী, আল-ইযায (পৃ/128) & আল-মাজমুউ (2/82-83) & শারহু সহিহ মুসলিম (3/198-199)

[24]ইবন রাসলান, শারহু সুনানে আবি-দাউদ (1/346)

[25]ইবন হাজার, ফাতহুল বারী (1/245)

[26]শারহুয যুরক্বানী আলাল মুয়াত্তা (1/661)