রাসুল ﷺ খাটের নিচে একটি কাঠের পাত্র রাখতেন, ও সেই পাত্রে রাত্রে তিনি পেশাব করতেন। এইমর্মে একটি হাদিস আছে :
عن حكيمة بنت أميمة بنت رقيقة، عن أمها، أنها قالت:«كان للنبي صَلى الله عَليه وسَلم قدح من عيدان، تحت سريره، يبول فيه بالليل»[1]
হুকাইমাহ বিনতু উমাইমাহ বিনতু রুক্বাইক্বাহ তাঁর মা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, নবী ﷺ-এর একটি কাঠের পাত্র ছিল। সেটি তাঁর খাটের নিচে থাকত। রাতের বেলায় তিনি তাতে পেশাব করতেন।
এই হাদিসটি একটি "যইফ" হাদিস। এটি সহিহ নয়। যইফ হাদিস দলিল হিসেবে উপস্থাপনের যোগ্য নয়। সুতরাং এই হাদিসের উপর ভিত্তি করে দাবি করা যাবেনা যে তিনি ﷺ আসলেই এমনটা করতেন। এর বিস্তারিত তাহকিক উপস্থাপন করা হলো :
হাদিসটির বর্ননাধারা নিম্নরুপ : …[1]
আবু-দাউদ → মুহাম্মাদ বিন ঈসা
আন-নাসাঈ → আইয়ুব বিন মুহাম্মাদ আল-ওয়াযযান
ইবন হিববান → আহমাদ ইবনুল হাসান বিন আব্দিলজাব্বার আস-সুফী →ইয়াহইয়া বিন মুয়াইন
আল-হাসান ইবন শাযান → আহমাদ → ইয়াহইয়া (বিন মুয়াইন)
আল-বায়হাকী → মুহাম্মাদ বিন আব্দিল্লাহ আল-হাফেয → আবু বকর ইসমাইল বিন মুহাম্মাদ বিন ইসমাইল আল-ফাকিহ → মুহাম্মাদ ইবনুল ফারাজ আল-আযরাক্ব
আবু-মুহাম্মাদ আল-বাগভী → উমার বিন আব্দিল-আযিয আল-ফাশানী → আশ-শারিফ আবু উমার আল-কাসিম বিন জা'ফার আল-হাশেমী → আবু-আলি আল-লু'লুওই → আবু-দাউদ → মুহাম্মাদ বিন ঈসা
আল-হাকেম → আবু-বকর ইসমাইল বিন মুহামাদ বিন ইসমাইল আল-ফাকিহ → মুহাম্মাদ ইবনুল ফারাজ আল-আযরাক্ব
এই পর্যন্ত সনদগুলো এই চারজন পর্যন্ত পৌছেছে ;
(১)মুহাম্মাদ বিন ঈসা
(২)আইয়ুব বিন মুহাম্মাদ
(৩)ইয়াহইয়া বিন মুয়াইন
(৪)মুহাম্মাদ ইবনুল ফারাজ
এবার এই ৪ জন → হাজ্জাজ বিন মুহাম্মাদ → ইবন জুরাইজ → হুকাইমাহ বিনত উমাইমাহ বিনত রুকাইকাহ → তার মা (উমাইমাহ বিনত রুকাইকাহ)
এই হাদিসটির সকল সুত্রই কোনো না কোনোভাবে এসে "হুকাইমাহ বিনত উমাইমাহ " পর্যন্ত মিলিত হয়েছে।
সনদের "হুকাইমাহ বিনত উমাইমাহ বিনত রুকাইকাহ " নামক রাবিটি "মাজহুল" (অজ্ঞাত)।
হুকাইমাহর অজ্ঞাত হয়ার ব্যাপারে মুহাদ্দিসদের বক্তব্য উল্লেখ্য করা হলো :
শামসুদ্দিন আয-যাহাবী বলেছেন : "সে অজ্ঞাত"[2]
ইবন হাজার আল-আসকালানী বলেছেন : "সে অজ্ঞাত" [3]
ইবনুল-কাত্তান আল-ফাসী : তাকে অজ্ঞাত হিসেবে গন্য করেছেন [4]
ইবনুল-মুলাক্কিন বলেছেন : "অবশ্যই তার অবস্থা জানা যায়না"[5]
আবু-ইসহাক আল-হুয়াইনী বলেছেন : "তার পরিচয় জানা যায়না"[6]
বাশার আওয়াদ মারুফ বলেছেন : "সে অজ্ঞাত"[7]
শুয়াইব আল-আরনাওওত বলেছেন : "সে অজ্ঞাত"[7]
খালিল আহমদ আস-সাহারফুরী বলেছেন : "সে অজ্ঞাত"[8]
আব্দুল-মুহসিন আল-আব্বাদ বলেছেন : "সে অজ্ঞাত"[9]
সনদে মাজহুল রাবি থাকলে হাদিস যইফ হয়, সুতরাং এই হাদিসটি যইফ।
যদি বলা হয় : ইবন হিব্বান হুকাইমাহকে ছিকাহ বলেছেন, সুতরাং হুকাইমাহ একজন ছিকাহ রাবি আর এই সনদটি সহিহ।
তাহলে উত্তরে বলব :
ইবন হিব্বান তাওছিকের ক্ষেত্রে ঢিলেমি করতেন, তিনি ঢিলেমি করে বহু মাজহুল রাবিকে ছিকাহ বলে উল্লেখ্য করতেন।
আল-আলবানী বলেন :
"تساهل ابن حبان في توثيق المجهولين معروف مشهور عند أهل العلم" [10]
"ইবন হিববানের মাজহুল রাবিদের ছিকাহ সাব্যস্ত করার ক্ষেত্রে ইবন হিববানের ঢিলেমির বিষয়টা আহলুল ইলমদের নিকট জানা ও প্রসিদ্ধ "
তিনি আরো বলেন :
"وأن توثيق ابن حبان فيه تساهل كثير"[11]
"ইবন হিববানের তাওছিকে প্রচুর ঢিলেমি আছে "
কাজেই, ইবন হিব্বানের একার তাওছিক নির্ভরযোগ্য বা গ্রহনযোগ্য নয়।
আল-আলবানি বলেন :
"بل هي تدل على أنه لا يعتد بتوثيق ابن حبان للمجهولين؛ وهذا هو الصواب الذي جرى عليه النقاد كالذهبي والعسقلاني وغيرهما "[12]
"বরং এটা ইংগিত দিচ্ছে যে মাজহুলদের বেলায় ইবনে হিববানের তাওছিক বিবেচনার অযোগ্য। এবং এটাই সঠিক, আয-যাহাবি, আল-আসকালানি ও অন্যান্য নাকিদ মুহাদ্দিসরা এই মুলনিতীতেই অগ্রসর হয়েছেন "
আব্দুল মুহসিন আল-আববাদ বলেন :
لأن توثيق ابن حبان وحده لا يعتبر ولا يعول عليه[13]
"কেননা ইবন হিব্বানের একার তাওছিকের উপর নির্ভর করা যাবেনা ও তা বিবেচনায় আনা যাবেনা "
সুতরাং হুকাইমাহর বেলাতেও ইবন হিব্বানের উক্ত তাওছিকটি গ্রহনযোগ্য নয়।
শায়খ আবু-ইসহাক আল-হুয়াইনী (হুকাইমাহকে মাজহুল বলার পর) বলেছেন :
"ولا اعتداد بذكر ابن حبان لها في الثقات"[6][14]
"ইবন হিব্বানের তাকে আছ-ছিকাত এ উল্লেখ্য করার ব্যাপারটিকে বিবেচনায় আনা যাবেনা "
যদি ধরে নেই যে হুকাইমাহ একজন ছিকাহ রাবি, সেক্ষেত্রে তিনি হবেন একজন মাজহুলুল আইন।
হুকাইমাহ থেকে শুধুমাত্র ইবন জুরাইজ হাদিস বর্ননা করেছেন। তিনি ব্যাতিত আর কেও হুকাইমাহ থেকে বর্ননা করেন নি।
আয-যাহাবী হুকাইমাহ সম্পর্কে বলেছেন :
"تفرد عنها ابن جريج"[15]
"তার নিকট হতে শুধুমাত্র ইবন জুরাইজ হাদিস বর্ননা করেছেন "
জালালুদ্দিন আস-সুয়ুতী হুকাইমাহ সম্পর্কে বলেছেন :
"ولم يرو عنها غير ابن جريج"[16]
"এবং তার নিকট হতে ইবন জুরাইজ ব্যাতিত আর কেওই বর্ননা করেন নি "
যেই রাবি থেকে শুধুমাত্র অপর একজন রাবি হাদিস বর্ননা বর্ননা সেই রাবিকে বলা হয় "মাজহুলুল আইন" [17]। হুকাইমাহ থেকে শুধুমাত্র ইবন জুরাইজ হাদিস বর্ননা করেছেন, সুতরাং হুকাইমাহ মাজহুলুল আইন।
আবু-ইসহাক আল-হাওইনি বলেন :
"قال الذهبي تفرد عنها ابن جريج وهذا يدلُّ على أنها مجهولةُ العين" [18]
"আয-যাহাবি বলেছেন 'তার (হুকাইমাহর) নিকট হতে শুধুমাত্র ইবন জুরাইজ বর্ননা করেছেন '। এবং এটা ইংগিত দিচ্ছে যে হুকাইমাহ মাজহুলুল আইন "
মুহাক্কিক মুহাম্মাদ ইসহাক মুহাম্মাদ ইব্রাহিম বলেন :
وفي الإسناد حكيمة بنت أميمة قال عنها الذهبي في "الميزان" : تفرد عنها ابن جريج وهذا يدل على أنها مجهولة العين[19]
"এবং সনদে হুকাইমাহ বিনত উমাইমাহ আছেন, তার সম্পর্কে আয-যাহাবি বলেছেন : 'তার নিকট হতে শুধুমাত্র ইবন জুরাইজ বর্ননা করেছেন ', এবং এটা ইংগিত দিচ্ছে যে হুকাইমাহ মাজহুলুল আইন "
আর মাজহুলুল আইন রাবিদের ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ মত হলো এই যে তাদের বর্নিত হাদিস নির্ভরযোগ্য নয় যইফ [20]। সুতরাং যদি হুকাইমাহর জন্য তাওছিক থেকেও থাকে, তবুও হাদিসটি যইফ হবে কেননা হুকাইমাহ মাজহুলুল আইন।
মোদ্দাকথা : হাদিসটি যইফ কেননা এর সনদে হুকাইমাহ নামের একজন মাজহুল রাবি আছে যাকে কেও ছিকাহ বলেন নি, যদি তাকে কেও ছিকাহ বলেও থাকে তবুও হাদিসটি যইফই হবে কেননা হুকাইমাহ মাজহুলুল আইন। এর যইফ না হয়ার কোনো উপায়ই নেই।
হাদিসটির যইফ হয়ার ব্যাপারে মুহাক্কিকদের অবস্থান :
শুয়াইব আল-আরনাওত বলেছেন :
إسناده ضعيف، حكيمة بنت أميمة لم يرو عنها غيرُ ابن جريج، ولم يوثقها غير ابن حبان، وجهَّلها الذهبي وابن حجر.[21]
"হাদিসটির সনদ যইফ, হুকাইমাহ বিনত উমাইমাহ এর নিকট হতে ইবন জুরাইজ ব্যাতিত আর কেওই বর্ননা করেন নি। এবং হুকাইমাহকে ইবন হিব্বান ব্যাতিত আর কেওই ছিকাহ বলেন নি। এবং আয-যাহাবী ও ইবন হাজার তাকে মাজহুল বলেছেন। "
আব্দুল-আযিয বিন আব্দুল্লাহ আর-রাজিহী বলেছেন :
"أميمة صحابية، لكن حكيمة مجهولة، وعلى هذا فالحديث ضعيف فلا يحتج به." [22]
"উমাইমাহ সাহাবি, কিন্ত হুকাইমাহ মাজহুল, এবং এই হিসেবে হাদিসটি যইফ ও এরদ্বারা দলিল দেয়া যাবেনা "
আদনান বিন মুহাম্মাদ আল-আর'আওর বলেছেন :
إسناده ضعيف، وضعفه ابن القطان[23]
"হাদিসটির সনদ যইফ। এবং ইবনুল কাত্তান হাদিসটিকে যইফ বলেছেন "
ইবনুল-কাত্তান আল-ফাসী বলেছেন :
وَلَا فِي حكيمة بتعديل وَلَا تجريح فَالْحَدِيث الْمَذْكُور، مُتَوَقف الصِّحَّة على الْعلم بِحَال حكيمة الْمَذْكُورَة[4]
"হুকাইমাহ সম্পর্কে কোনো জারাহ নেই, কোনো তা'দিল নেই। সুতরাং উল্লেখিত হাদিসটির বিশুদ্ধ হয়া হুকাইমাহর অবস্থার কারনে স্থগিত হয়ে আছে "
আবু-উবায়দাহ মাশহুর বিন হাসান বলেছেন :
وإسناده ضعيف، فيه حُكيمة لا تعرف[24]
"এবং এর সনদ যইফ, এর সনদে হুকাইমাহ আছে যিনি অজ্ঞাত"
আবু-ইসহাক আল-হুয়াইনী বলেছেন :
"إسناده ضعيف"[28]
"এর সনদ যইফ "
যদি কেও বলে : হাদিসটিকে আল-হাকেম, আয-যাহাবী, ইবন হিব্বান, আদ-দারাকুতনী, আল-হারাওই,আল-আলবানী, আস-সুয়ুতী সহিহ হিসেবে গন্য করেছেন। আন-নববী হাদিসটিকে হাসান বলেছেন। এছাড়াও আরো বহু উলামাগন উক্ত হাদিসটিকে সহিহ ও হাসান বলেছেন, সুতরাং হাদিসটি সহিহই।
তাহলে তাকে উত্তরে বলব :
এই হাদিসটিকে আল-হাকেম ও আয-যাহাবীর সহিহ হিসেবে গন্য করাকে আবু-ইসহাক আল-হুয়াইনি তাদের ঢিলেমি দরুন সংঘটিত বিষয় হিসেবে উল্লেখ্য করেছেন [14]।ইবন হিব্বান তাওছিকের ক্ষেত্রে ঢিলেমি করতেন এব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা গত হয়েছে।
আবার ইবনুল-কাত্তান আল-ফাসী বলেছেন যে উক্ত হাদিসের ক্ষেত্রে আদ-দারাকুতনি ও আল-হারাওইর দৃষ্টিভংগি হুকাইমাহর তাওছিক সাব্যস্তের জন্য যথেস্ট নয় [4]।
আল-আলবানী হাদিসকে সহিহ বলার ক্ষেত্রে অনেকসময় ভুল করতেন যা উনার বিরোধিগন ও সমর্থকগন, সকলের নিকটই স্বিকৃত একটি বিষয়।
ইমাম আন-নববীর উক্ত হাদিসটিকে হাসান বলার ব্যাপারে আন-নববীর "আল-ইযায" গ্রন্থের মুহাক্কিক আবু-উবায়দাহ মাশহুর বলেছেন :
وله شاهد من حديث عائشة بسند صحيح عند النسائي وابن خزيمة وغيرهما. ولذا حسَّن المصنف الحديث هنا وفي خلاصة الأحكام رقم [24]
"এবং এর জন্য আয়েশাহর (রা) হাদিস হতে সহিহ সনদের শাহেদ আছে, যা আন-নাসাঈ, ইবন খুযায়মাহ ও অন্যান্যরা বর্ননা করেছেন এবং একারনেই লেখক (আন-নববী) হাদিসটিকে এখানে (আল-ইযায গ্রন্থে) ও খালাসাতুল আহকামে হাসান বলেছে "
অর্থাৎ ইমাম নববি এই সনদটিকে একারনে হাসান বলেন নি যে উনার নিকট সনদটিকে যাচাই বাছাইয়ের পর হাসান মনে হয়েছে, বরং তিনি সনদটিকে হাসান বলেছেন কেননা এর শাহেদ আছে।
আস-সুয়ুতী হাদিসকে সহিহ বলার ক্ষেত্রে প্রচুর ঢিলেমি করতেন [25]।
আল-হুয়াইনী [28]ও আন-নববীসহ একদল উলামা উক্ত হাদিসকে সহিহ/হাসান বলেছেন এই কারনে যে উক্ত হাদিসটির জন্য আয়েশাহ (রা) হতে বর্নিত একটি সহিহ সনদের শাহেদ আছে, এই কারনে নয় যে হাদিসটির সনদকে উনাদের নিকট হাসান/সহিহ মনে হয়েছে[26]। যদি এটা মেনে নেই, তাহলে এটাও মানতে হবে যে আলোচ্য হাদিসটি রাসুল (সা) এর মৃত্যুর নিকটবর্তি সময়ের প্রেক্ষাপটে বর্নিত হয়েছে অর্থাৎ রাসুল (সা) মৃত্যুর পুর্বে যখন অসুস্থ ছিলেন তখনের প্রেক্ষাপটে বর্নিত হয়েছে। কেননা যেই শাহেদ হাদিসের উপর ভিত্তি করে বলা হচ্ছে যে হাদিসটি সহিহ/হাসান সেই শাহেদ হাদিসটি রাসুল (সা) এর মৃত্যু সংঘটিত হয়ার কাছকাছি সময়ের প্রেক্ষাপটে বর্নিত হয়েছে।
পরিশিষ্ট :
সহিহ সনদে প্রমানিত আছে যে রাসুল (সা) মৃত্যুর নিকটবর্তি সময়গুলোতে যখন খুবই অসুস্থ ছিলেন তখন পাত্রে পশ্রাব করতেন [27](আর এটার উপর ভিত্তি করেই অনেক উলামাগন আলোচ্য হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন)। আর একজন অসুস্থ ব্যাক্তির জন্য এমনটা করা সম্পুর্ন স্বাভাবিক।
আত-তাবারানী বর্ননা করেছেন :
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ قَالَ: نا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْبَغَوِيُّ قَالَ: نا يَحْيَى بْنُ عَبَّادٍ أَبُو عَبَّادٍ قَالَ: نا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ مَاعِزٍ قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ يُحَدِّثُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يُنْقَعُ بَوْلٌ فِي طَسْتِ فِي الْبَيْتِ، فَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ لَا تَدْخُلُ بَيْتًا فِيهِ بَوْلٌ يُنْقَعُ، وَلَا تَبُولَنَّ فِي مُغْتَسَلِكَ [29]
"আমাদের আহমাদ বর্ননা করে বলেছেন : আমাদের ইসহাক বিন ইব্রাহিম আল-বাগাওই বর্ননা করে বলেছেন : আমাদের ইয়াহইয়া বিন আববাদ আবু-আববাদ বর্ননা করে বলেছেন : আমাদের ইউনুস বিন আবি-ইসহাক বর্ননা করেছেন বাকার বিন মায়িয হতে যে তিনি বলেছেন : আমি আব্দুল্লাহ বিন ইয়াযিদকে নবি ﷺ হতে বর্ননা করতে শুনেছি যে তিনি ﷺ বলেছেন : "বাড়িতে পাত্রের মধ্যে মুত্র জমা করে রাখা যাবেনা, অবশ্যই ফেরেশতারা এমন বাড়িতে প্রবেশ করেনা যাতে জমা করা মুত্র আছে, এবং তোমরা গোসল করার স্থানে পেশাব করবেনা "
বর্ননাটির সনদের তাহকিক : [29]
আহমাদ → ছিকাহ, ইমাম, হুজ্জাহ
ইসহাক বিন ইব্রাহিম আল-বাগাওই → ছিকাহ
ইয়াহইয়া বিন আববাদ আবু-আববাদ → হাসানুল হাদিস
ইউনুস বিন আবি-ইসহাক → হাসানুল হাদিস
বাকার বিন মায়িয → ছিকাহ
আব্দুল্লাহ বিন ইয়াযিদ (রা) → সাহাবী
সুতরাং হাদিসটি হাসান। আল-আলবানী, আল-মুনযিরী,নুরুদ্দিন আল-হাইছামী,আল-হাকেম, ওয়ালিউদ্দিন আল-ইরাকী, আস-সুয়ুতি এই হাদিসটিকে "সহিহ/হাসান/জাইয়েদ" বলেছেন…[30]
[1]আল-মুসনাদুল জামে (19/91), আল-মুসনাদুল মুসান্নাফুল মুয়াল্লাল (36/114), সুনান আবি-দাউদ (হা/24),সুনানুন নাসাঈ (1/31),সুনানুন নাসাঈ আলকুবরা (31),সহিহ ইবন হিববান (1426),জুযয়ুল হাসান বিন শাযান (29), সুনানুল বায়হাকী আল-কুবরা (1/161),
শারহুস সুন্নাহ লিলবাগভী (1/388),মুস্তাদরাকুল হাকেম (1/272)
[2]আয-যাহাবী,মিযানুল ই'তিদাল (1/587)
[3]ইবন হাজার,তাকরিবুত তাহযিব (পৃ/745)
[4]ইবনুল-কাত্তান,বায়ানুও ওয়াহমি ওয়াল ইহাম (5/516)
[5]ইবনুল-মুলাক্কিন,আল-বাদরুল মুনির (1/485)
[6]আবু-উমার ওয়া আহমদ,নাছলুন নাবাল (4/595)
[7]বাশার ওয়া শুয়াইব, তাহরির তাকরিবিত তাহযিব (4/410)
[8]আস-সাহারানফুরী,বাযলুল মাজহুদ (1/250)
[9]https://shamela.ws/book/37052/133
[10]আল-আলবানী,সিলসিলাতুয যয়িফাহ (10/534)
[11]আল-আলবানী,সিলসিলাতুয যয়িফাহ (6/226)
[12]আল-আলবানী,সিলসিলাতুয যয়িফাহ (6/227)
[13]https://shamela.ws/book/37052/13944
[14]আল-হুয়াইনী,বাযলুল ইহসান (1/309)
[15]আয-যাহাবী,মিযানুল ই'তিদাল (4/606)
[16]আস-সুয়ুতী,মিরকাতুস সুয়ুদ (1/53)
[17]ইবন হাজার, নুখবাতুল ফিকার (পৃ/20)
[18]আল-হুয়াইনী,বাযলুল ইহসান (1/309); নাছলুন নাবাল (4/595)।
[19]তাহকিক - কাশফুল মানাহিজ (1/203,টিকা-3)
[20]আল-ইরাকী, শারহুল আলফিয়াহ (1/350); আল-বিরমাওই, আল-ফাওয়াইদুস সুন্নিয়াহ (2/643);আস-সুয়ুতী, তাদরিবুর রাওই (1/373);আল-আবনাসী, আশ-শাযাল ফায়াহ (1/248); ইবন আম্মার, মিফতাহুস সায়িদিয়াহ (পৃ/192); আস-সান'আনী,তাওদ্বিহুল আফকার (2/115); আল-ওয়াযির, আত-তানকিহ (পৃ/198)।
[21]আল-আরনাওওত,তাহকিক সুনান আবি-দাউদ (1/20, টিকা-1)
[22]আর-রাজিহী, শারহু সুনানে আবি দাউদ (2/17 ) - শামেলাহ
[23]আদনান, দিওয়ানুস সুন্নাহ কিসমুত তাহারাহ (5/64) & (6/342)
[24]তাহকিক আল-ইযায ফি শারহে সুনান আবি-দাউদ (পৃ/155,টিকা -1)
[25]আল-আলবানী, সিলসিলাতুয যয়িফাহ (6/430)
[26]আল-মাতালিবুল আলিয়াহ মুহাক্কাকান (15/583)
[27]আল-মুসনাদুল মুসান্নাফুল মুয়াল্লাল (39/306-307)
[28]আল-হুয়াইনী, বাযলুল ইহসান (1/304)
[30]আল-আলবানী,সিলসিলাতুস সহিহাহ (6/53-55)