Are you sure?

বিজ্ঞান »  ইসলাম ও বিজ্ঞান

কোর'আন অনুযায়ি চাঁদের আলো ধারকৃত হয়া সম্পর্কে আলোচনা

 

 

আল্লাহ তা'য়ালা বলেছেন : _[1]

وجعل فيها سراجا و قمرا منيرا,  وجعل القمر فيهن نورا و الشمس سراجا, جعل الشمس ضياء و القمر نورا 
"এবং তিনি তাতে (আকাশে) সিরাজ সৃষ্টি করেছেন এবং চাদকে (সৃষ্টি করেছেন) মুনির হিসেবে, এবং তিনি তাতে (আকাশে) চাদকে নুর হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এবং সুর্যকে (সৃষ্টি করেছেন) সিরাজ হিসেবে, তিনি সুর্যকে করেছেন দ্বিয়া এবং চাদকে নুর "

এই আয়াতগুলো কে কেন্দ্র করে ড.জাকির নায়েক বলেছেন :

"এই আয়াতগুলোতে সুর্যের ক্ষেত্রে ضياء ও سراج ব্যবহৃত হয়েছে, এরদ্বারা বুঝানো হচ্ছে যে সুর্যের নিজস্ব আলো আছে। এবং চাদের ক্ষেত্রে نور ও منير ব্যবহৃত হয়েছে, এরদ্বারা বুঝানো হচ্ছে যে চাঁদের আলো সুর্য হতে ধার করা, চাঁদের নিজস্ব আলো নেই। আরবিতে ضياء দ্বারা অনেকক্ষেত্রে এমন আলোর উৎসকে (খাসভাবে) বুঝানো হয় যা নিজেই আলো ধারন করে ও নিজে থেকেই আলো প্রকাশ করে। একইভাবে অনেকক্ষেত্রে نور দ্বারা এমন আলোর উৎসকে বুঝানো হয় যা নিজে থেকে আলো ধারন করেনা, বরং অন্যের প্রকাশ করা আলো হতে আলো ধার নেয় অর্থাৎ তার নিজের আলো নেই ফলে তা ধার করা আলো দ্বারা আলোকিত হয়। "

ড. জাকির নায়েকের এই যুক্তিটি আমাদের মুসলিমদের মধ্যে অনেকেই প্রচার করে থাকেন। ইসলামবিরুধিদের দাবি - এইটা নাকি মুসলিমদের করা "অপব্যাখ্যা "!  মুসলিমরা নাকি বিজ্ঞানের সাথে মিলানোর জন্য এই "অপব্যাখ্যা " দাড় করিয়েছে!  আসলে নাকি এই আয়াতে তেমন কিছুই বলা হয়নি!  অনেকেত আবার এটাও বলে দেয় যে ইবন কাসিরের মত কোনো প্রাচিন মুফাসসির নাকি এরকম কিছুই বলেন নি এবং এই যুক্তি নাকি জাকির নায়েকের নিজস্ব আবিস্কার! 

উক্ত যুক্তি সম্পর্কে এইধরনের মন্তব্য করাটা খুবই বড় ধরনের ভুল ও মিথ্যাচার। কেননা অনেক বড় বড় মুফাসসির ও আরবি ভাষাবিদ এই যুক্তির সপক্ষে বলেছেন!  নিম্নে কিছু স্কলারদের বক্তব্য উল্লেখ্য করা হলো :

(১)
----

ফকিহ মুফাসসির, আবুল-হাসান আলি বিন মুহাম্মাদ বিন হাবিব আল-বাসরী আল-মাওরিদী (মৃত্যু-1058 খ্রি) বলেছেন :

وَقَمَراً مُّنِيراً يعني مضيئاً، ولذا جعل الشمس سراجاً والقمر منيراً، لأنه لما اقترن بضياء الشمس [2]

"এবং চাঁদকে করেছেন মুনির, অর্থাৎ আলোদানকারী। অর্থাৎ সুর্যকে করেছেন প্রদীপস্বরুপ এবং চন্দ্রকে মুনির স্বরুপ, কেননা চাঁদ সুর্যের দ্বিয়ার(আলোর) সংস্পর্শে আসে। "

(২)
-----

ফকিহ মুফাসসির মুহাদ্দিস, মুহাম্মাদ বিন সালিহ বিন মুহাম্মাদ বিন সুলাইমান বিন আব্দুর-রহমান আল-উসাইমিন আল-ওয়াহিবি আত-তামিমী (মৃত্যু-2001 খ্রি) বলেছেন :

وسُمِّيَتْ سِراجًا والْقَمَر مُنِيرًا؛ لِأَنَّ الشَّمْسَ نورها ذاتيّ وحارّ،والْقَمَر نوره مكتسَب مِنَ الشَّمْس، فليسَ بنفسِه سِراجًا، وإنَّما هو مُنيرٌ أو نورٌ، لَكِنَّ نورَه مكتسَب [3]

"সুর্যকে প্রদীপ (সিরাজ) ও চন্দ্রকে মুনির নামকরন করা হয়েছে। কেননা সুর্যের আলো হলো তার নিজস্ব ও শক্তিশালী, এবং চন্দ্রের আলো হলো সুর্যের নিকট হতে ধারকৃত। চাঁদ নিজেই আলো ধারনকারী সিরাজ নয়, চাঁদ আলো দানকারী বা আলো তা ঠিক, কিন্ত চাঁদ আলোটা ধারকৃত"

(উল্লেখ্য : শায়খ উসাইমিন রহ. কোনো বিজ্ঞানপন্থি আলেম ছিলেন না, তিনি বিজ্ঞান নিয়ে ঠিকমত জানতেনই না কিছু, তিনার অনেক অবৈজ্ঞানিক ফতুয়াও আছে। কাজেই উনার ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে বলা যায় যে তিনি এটা বিজ্ঞান হতে দেখে বা জেনে বলেন নি।) 

(৩)
-----

মুহাদ্দিস মুফাসসির, আবু-আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ বিন আহমাদ বিন আবি-বকর বিন ফারাহ আল-কুরতুবী আল-আন্দালুসী আল-মালেকী (মৃত্যু-1272 খ্রি) বলেছেন :

قَوْلُهُ تَعَالَى: (هُوَ الَّذِي جَعَلَ الشَّمْسَ ضِياءً) مَفْعُولَانِ، أَيْ مُضِيئَةً، وَلَمْ يُؤَنَّثْ لِأَنَّهُ مَصْدَرُ، أَوْ ذَاتُ ضِيَاءٍ (وَالْقَمَرَ نُوراً) عَطْفٌ، أَيْ مُنِيرًا، أَوْ ذَا نُورٍ، فَالضِّيَاءُ ما يضئ الْأَشْيَاءَ، وَالنُّورُ مَا يَبِينُ فَيَخْفَی [4]

"আল্লাহর বক্তব্য (এবং তিনিই সে সত্তা যিনি সুর্যকে করেছেন দ্বিয়া), এখানে দুইটা মাফউল। অর্থাৎ আলোদানকারী, স্ত্রীবাচক হয়নি কেননা এটা এখানে মাসদার অথবা 'দ্বিয়ার অধিকারী '। এবং (চন্দ্রকে করেছেন মুনির) এটা আতফ, অর্থাৎ মুনির বা নুরের অধিকারি। এই দ্বিয়া মানে হলো যা বিভিন্ন জিনিসে আলো দেয়, এবং নুর মানে হলো যা (দ্বিয়া হতে) বিচ্ছিন্ন হয়ে নির্গত হয় ও দুর্বল হয় "

(৪)
----

নাহবিদ ভাষাবিদ ফকিহ মুফাসসির, শিহাবুদ্দিন আবুল-আব্বাস আহমাদ বিন ইউসুফ বিন আব্দিদ-দাইম আস-সামিন আল-হালবী আন-নাহওই আশ-শিহাব (মৃত্যু-1355 খ্রি) বলেছেন :

وجعل فيها سراجًا وقمرًا منيرًا . فأخبر أن الشمس بمنزلة السراج؛ والقمر بمنزلة النور المقتبس منه. وعليه: جعل الشمس ضياءً والقمر نورًا، لأن الضياء أقوى من النور، [5]

এবং তিনি তাতে সিরাজ (সুর্য) সৃষ্টি করেছেন ও চাঁদ সৃষ্টি করেছেন মুনির স্বরুপ। আল্লাহ জানিয়ে দিচ্ছেন যে সুর্যের অবস্থান হলো সিরাজ (প্রদীপ) এবং চাদের অবস্থান হলো  তা সুর্য হতে ধার করা আলো পায়। এবং সম্পর্কেই আরো বলা হয়েছে : 'তিনি সুর্যকে করেছেন দ্বিয়া ও চাদ-কে করেছেন নুর ' কেননা দ্বিয়া হলো সুর্য অপেক্ষা অধিক শক্তিশালি 

(৫)
----

ক্বারী মুফাসসির, তাজুল কুরা'আ বুরহানুদ্দিন আবুল-কাসিম মাহমুদ বিন হামযাহ বিন নাসর আল-কিরামানী (মৃত্যু-1110 খ্রি) বলেছেন :

وقال بعضهم: لا نورَ في جرم القمر. والقَمرَآء شعاعُ الشمس انعكسَ عن القمر .[6]

"আলেমদের অনেকে বলেছেন : চাঁদের দেহে কোনো আলো নেই, চাঁদের হলো হলো সুর্যের প্রতিফলিত আলো "

(৬)
----

ফকিহ মুহাদ্দিস, আবুল-ফাইদ্ব আবুল-জাওদ আবুল-ওয়াকত মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ বিন আব্দুর-রাযযাক ইবন আহমাদ বিন ঈসা বিন যাইদ বিন আলি বিন আলহুসাইন বিন আলি বিন আবি তালিব আস-সাইয়েদ আল-মুরতদ্বা আল-হুসাইনি আয-যুবাইদি আল-ইয়ামানী আল-ওয়াসেতী আল-ইরাকী আল-হানাফি (মৃত্যু-1790 খ্রি) বলেছেন :

قَالَ تَعَالَى: جَعَلَ الشمسَ ضِياءً والقمرَ نُوراً.وَقيل: الضِّياءُ ذاتِيٌّ، والنُّورُ عَرَضِيٌّ، كَمَا حقَّقه الفَناريّ فِي حَوَاشِي التَّلْويح…[7]

"আল্লাহ তা'আলা বলেছেন : তিনি সুর্যকে করেছেন দ্বিয়া ও চাঁদকে নুর, এবং বলা হয় যে দ্বিয়া হলো যা নিজস্ব আলো এবং নুর হলো তা ধারকৃত আলো, অনুরুপ বিষয়টি আল-ফানারী 'হাওয়াশিউত তালওইহ ' তে সত্যয়ন করেছেন

(৭)
----

আরবি ভাষাবিদ সাহিত্যিক কবি, আবু-হিলাল আল-হাসান বিন আব্দুল্লাহ বিন সাহল বিন সাইদ বিন ইয়াহ-ইয়া বিন মাহরান আল-আসকারী (মৃত্যু-1005 খ্রি) বলেছেন :

الفرق بين الضياء والنور : هما مترادفان لغة.وقد يفرق بينهما بأن الضوء: ما كان من ذات الشئ المضئ، والنور: ما كان.مستفادا من غيره.وعليه جرى قوله تعالى: " هو الذي جعل الشمس ضياء والقمر نورا…[8]

দ্বিয়া ও নুরের মাঝে পার্থক্য : এদুইটি শব্দ ভাষাগতভাবে একে অপরের সমার্থক, কিন্ত এদের মাঝে পার্থক্য করা হয় এই বলে যে :দ্বউয়ুন মানে হলো এমন আলোকিত কোনোকিছু যার নিজস্ব আলো আছে এবং নুর মানে হলো যা অন্যের সাহায্যে আলো পায়, এবং এবিষয়টা অনুযায়ী আল্লাহর বক্তব্য এসেছে 'তিনিই সেই সত্তা যিনি সুর্যকে করেছেন দ্বিয়া ও চাঁদকে করেছেন নুর '।

(৮)
-----

মুফাসসির, নিযামুদ্দিন হাসান বিন মুহাম্মাদ বিন হুসাইন আল-কুম্মী আন-নিসাপুরী (মৃত্যু-1328 খ্রি) উল্লেখিত আয়াতগুলোর তাফসিরে বলেছেন : 

والضياء أقوى من النور. ولا خلاف بين العقلاء أن ضوء الشمس كيفية قائمة بها لذاتها، وأما نور القمر فقد ذهب جمهور الحكماء إلى أنه مستفاد من الشمس…[9]

দ্বিয়া হলো নুর অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী। চিন্তাবিদদের মধ্যে এব্যাপারে কোনো বিরুধ নেই যে  সুর্যের আলোর বৈশিষ্ট হলো তা স্বনির্ভরশীল, তা নিজেই নিজের ধারক। অপরদিকে চাঁদের নুরের ক্ষেত্রে জুমহুর বিজ্ঞানিরা বলেছেন যে তা সুর্য হতে ধারকৃত।

(৯)
-----

ফকিহ উসুলবিদ চিন্তাবীদ মুহাদ্দিস মুফাসসির নাহুবিদ, নাসিরুদ্দিন আবু-সাইদ আবুল-খায়র আব্দুল্লাহ বিন আবিল-কাসিম উমার বিন মুহাম্মাদ বিন আবিল-হাসান আলি আল-বাইদ্বাভী আল-শিরাযী আশ-শাফেঈ (মৃত্যু-1286) বলেছেন :

وقيل ما بالذات ضوء وما بالعرض نور، وقد نبه سبحانه وتعالى بذلك على أنه خلق الشمس نيرة في ذاتها والقمر نيراً بعرض مقابلة الشمس والاكتساب منها[10]

বলা হয় যে দউয়ুন হলো নিজস্ব আলো এবং নুর হলো ধার করা আলো, আল্লাহ তা'য়ালা এরদ্বারা জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি সুর্যকে নিজস্ব আলোর ধারক হিসেবে সৃষ্টি করেছেন, এবং সুর্যের বিপরীতে চাঁদকে সৃষ্টি করেছেন ধারকৃত আলোর বাহক হিসেবে এবং চাঁদ সুর্য হতে আলো লাভ করে।

(১০)
------

আরবি ভাষাবিদ সাহিত্যিক ফকিহ, আবু-ইব্রাহিম ইসহাক বিন ইব্রাহিম আল-ফারাবী (মৃত্যু-951 খ্রি) বলেছেন :
"والنُّورُ: من الضَّياءِ"[11]
"নুর হলো দ্বিয়ার অংশ "

(১১)
------

হাদিস ও তাফসিরের আলেম, শারফুদ্দিন আল-হুসাইন বিন মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ আত-তাইবী (মৃত্যু-1347 খ্রি) বলেছেন :

قال القاضي: ما بالذات: ضُوء، وما بالعرض: نور، وقد نبه سبحانه وتعالى بذلك على أنه خلق الشمس نيرة في ذاتها، والقمر نيراً بعرض الاكتساب [12]

আল-কাযি বলেছেন : যা নিজস্ব আলো, তা দউয়ুন এবং যা ধারকৃত আলো, তা নুর।আল্লাহ তা'য়ালা এরদ্বারা জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি সুর্যকে নিজস্ব আলোর ধারক হিসেবে সৃষ্টি করেছেন, এবং সুর্যের বিপরীতে চাঁদকে সৃষ্টি করেছেন ধারকৃত আলোর বাহক হিসেবে এবং চাঁদ সুর্য হতে আলো লাভ করে।

(১২)
------

ফকিহ মুফাসসির চিন্তাবিদ নাহুবিদ, শামসুদ্দিন মুহাম্মাদ বিন আহমাদ আল-খাতিব আশ-শিরবিনী আশ-শাফেঈ আল-কাহিরী (মৃত্যু-1570 খ্রি) বলেছেন :

{هو الذي جعل الشمس ضياءً} أي: ذات ضياء {والقمر نوراً} أي: ذا نور، وخص الشمس بالضياء؛ لأنها أقوى وآكد من النور، وخص القمر بالنور؛ لأنه أضعف من الضياء، لأنّ الشمس نيرة في ذاتها، والقمر نير بعرض مقابلة الشمس والاكتساب منها.[13]

{তিনিই সেই সত্ত্বা যিনি সুর্যকে করেছেন দ্বিয়া} অর্থাৎ দ্বিয়া এর অধিকারী। {এবং চাদকে করেছেন নুর} অর্থাৎ নুরের অধিকারী। সুর্যকে দ্বিয়া দ্বারা নির্দিষ্ট করা হয়েছে কেননা তা নুর হতে অধিক শক্তিশালী ও অধিক স্থায়ী, এবং চাঁদকে নুর দ্বারা নির্দিষ্ট করা হয়েছে কেননা তা দ্বিয়ার তুলনায় দুর্বল। কেননা সুর্য নিজস্ব আলো বহন করে এবং সুর্যের বিপরীতে চাঁদ ধার করা আলো ধারন করে, সুর্য হতে আলো লাভ করে।

একটি আপত্তির জবাব : অনেকে বলে যে "যদি নুর মানে ধার করা আলো হয়, তাহলেত আল্লাহর একটা নামও নুর, এরমানে আল্লাহর নুর ধার করা আলো? " এর জবাবে বলব,নুর শব্দের অর্থ ধার করা আলো হয় একটি নির্দিষ্ট প্রসংগের ক্ষেত্রে,সকলক্ষেত্রে হয়না। এইক্ষেত্রে সেই প্রসংগ ও প্যার্টান থাকার কারনে এর অর্থ দুর্বল আলো ও ধার করা আলো ধরা হয়েছে। কিন্ত আল্লাহর নামের ক্ষেত্রে সেই ধরনের কোনো প্রসংগ ও প্যার্টান নেই, অত-এব সেক্ষেত্রে এর অর্থ স্বাভাবিকভাবেই "আলো" হবে। নুর শব্দের একমাত্র অর্থ "ধার করা আলো " নয়। বরং নুর শব্দটি আমভাবে সকল ধরনের আলোর জন্যও ব্যবহৃত হয়। কখন এর অর্থ ধার করা আলো হবে আর কখন স্বাভাবিকভাবে যেকোনোধরনের আলো হবে … সেটা নির্ভর করে বাক্যের প্রসংগের উপর।


প্রমানসমুহ :

[1]আল-কোর'আন : (সুরা25/আয়াত61), (সুরা71/আয়াত16),(সুরা10/আয়াত 5)

[2]আন-নুকতু ওয়াল-উয়ুন (4/153)

[3]তাফসিরুল উসাইমিন,আল-ফুরকান (পৃ/263)

[4]আল-জামি লি'আহকামিল কোরান (8/309)

[5]উমদাতুল হুফফায (1/268)

[6]লুবাবুত তাফসির (পৃ/3384)

[7]তাজুল উরুস মিন-জাওয়াহিরিল ক্বমুস (14/300)

[8]মুজামুল ফুরুকিল লুগুইয়াহ (পৃ/332)

[9]গারাইবুল কোর'আন (3/560)

[10]আনওয়ারুত তানযিল  (2/90)

[11]মু'জামু দিওয়ানিল আদাব (3/315)

[12]ফুতুহুল গাইব (7/422)

[13]আস-সিরাজুল মুনির (2/8)